ইসলাম ডেস্ক
আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের নানা বিপদাপদ দিয়ে পরীক্ষা করেন। এর মাধ্যমে তিনি তাদের গুনাহ মাফ করেন এবং মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তোমাদের কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা অবশ্যই পরীক্ষা করব। তুমি সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের।...’ (সুরা বাকারা: ১৫৫) তাই এই সময়ে মুমিনকে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। এখানে পাঁচটি করণীয়ের কথা তুলে ধরা হলো—
১. দোয়া করা
অবিরাম দোয়া ও প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মুমিনের বিপদ ও সংকট দূর করে দেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘বরং তিনিই আর্তের আহ্বানে সাড়া দেন, যখন সে তাঁকে ডাকে এবং বিপদ দূর করেন।...’ (সুরা নামল: ৬২)
২. ইস্তিগফার করা
ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা বিপদ ও দুশ্চিন্তা দূর করে এবং জীবনে প্রাচুর্য আনে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তিগফার পড়লে আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করবেন, সব দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করবেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে জীবিকা দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।’ (আবু দাউদ: ৫১৮)
৩. জিকির করা
সংকটকালে বেশি বেশি আল্লাহর জিকির বা স্মরণ করা আবশ্যক। কেননা, এতে মানসিক অস্থিরতা কমে। তাসবিহ পাঠ, মাসনুন দোয়া, কোরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি জিকিরের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন, ‘তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত) যারা ইমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের হৃদয় প্রশান্ত হয়। জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণেই হৃদয় প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাদ: ২৮)
৪. উত্তম প্রতিদান আশা করা
মুমিন সংকটকালে ধৈর্য ধারণ করবে এবং আল্লাহর কাছে এর উত্তম প্রতিদান আশা করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুসলিম ব্যক্তির ওপর যে কষ্ট-ক্লেশ, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানি আসে, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে ফোটে—এসবের বিনিময়ে আল্লাহ তার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেন।’ (বুখারি: ৫৬৪১)
৫. পারস্পরিক সহযোগিতা
বিপদ, বিপর্যয় ও সংকটের সময় মুমিনরা পরস্পরের সহযোগিতা করবে। কেননা আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা সৎ কাজ ও আল্লাহভীতিতে পরস্পরের সহযোগিতা করবে এবং পাপ ও সীমালঙ্ঘনে একে অপরের সহযোগিতা করবে না।’ (সুরা মায়িদা: ২)
আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের নানা বিপদাপদ দিয়ে পরীক্ষা করেন। এর মাধ্যমে তিনি তাদের গুনাহ মাফ করেন এবং মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তোমাদের কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা অবশ্যই পরীক্ষা করব। তুমি সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের।...’ (সুরা বাকারা: ১৫৫) তাই এই সময়ে মুমিনকে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। এখানে পাঁচটি করণীয়ের কথা তুলে ধরা হলো—
১. দোয়া করা
অবিরাম দোয়া ও প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মুমিনের বিপদ ও সংকট দূর করে দেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘বরং তিনিই আর্তের আহ্বানে সাড়া দেন, যখন সে তাঁকে ডাকে এবং বিপদ দূর করেন।...’ (সুরা নামল: ৬২)
২. ইস্তিগফার করা
ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা বিপদ ও দুশ্চিন্তা দূর করে এবং জীবনে প্রাচুর্য আনে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তিগফার পড়লে আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করবেন, সব দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করবেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে জীবিকা দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।’ (আবু দাউদ: ৫১৮)
৩. জিকির করা
সংকটকালে বেশি বেশি আল্লাহর জিকির বা স্মরণ করা আবশ্যক। কেননা, এতে মানসিক অস্থিরতা কমে। তাসবিহ পাঠ, মাসনুন দোয়া, কোরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি জিকিরের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন, ‘তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত) যারা ইমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের হৃদয় প্রশান্ত হয়। জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণেই হৃদয় প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাদ: ২৮)
৪. উত্তম প্রতিদান আশা করা
মুমিন সংকটকালে ধৈর্য ধারণ করবে এবং আল্লাহর কাছে এর উত্তম প্রতিদান আশা করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুসলিম ব্যক্তির ওপর যে কষ্ট-ক্লেশ, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানি আসে, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে ফোটে—এসবের বিনিময়ে আল্লাহ তার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেন।’ (বুখারি: ৫৬৪১)
৫. পারস্পরিক সহযোগিতা
বিপদ, বিপর্যয় ও সংকটের সময় মুমিনরা পরস্পরের সহযোগিতা করবে। কেননা আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা সৎ কাজ ও আল্লাহভীতিতে পরস্পরের সহযোগিতা করবে এবং পাপ ও সীমালঙ্ঘনে একে অপরের সহযোগিতা করবে না।’ (সুরা মায়িদা: ২)
মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য এক অনন্য উপহার পবিত্র কোরআন। এটি নিছক কোনো গ্রন্থ নয়—হিদায়াত, রহমত ও জ্ঞানের এক অফুরন্ত ভান্ডার। এই মহাগ্রন্থ মানবজাতির জন্য পথপ্রদর্শক, মানুষকে পথভ্রষ্টের অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসে। এটি রোগাক্রান্ত হৃদয়ের এক মহৌষধ, মানুষকে সঠিক পথের দিশা দেয়। এটি মুমিনের
১৫ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগেআল্লাহ পাক আপনাকে সম্পদ দিয়েছেন—এর মানে এই নয়, আল্লাহ পাক আপনাকে সম্পদের অপচয় করার অধিকার দিয়েছেন। বরং এই যে সম্পদ, যা নিয়ে মানুষের অহংকারের শেষ নেই—এই সম্পদ কাল কিয়ামতের দিন বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। কারণ, আল্লাহ পাক সম্পদের হিসাব চাইবেন।
১ দিন আগেপবিত্র কোরআন—যে গ্রন্থের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে মুমিন হৃদয়। দিশেহারা মানুষ পায় সঠিক পথের দিশা। এ গ্রন্থে রয়েছে উপদেশ গ্রহণে আগ্রহীদের জন্য অনন্য উপদেশ। আর যারা মুখ ফিরিয়ে নেয় কোরআন থেকে, তাদের জন্য এতে বর্ণিত হয়েছে সতর্কবার্তা।
২ দিন আগে