মুফতি হাসান আরিফ
সন্তান জন্মের পর মা-বাবার গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্তব্য হলো—তার নামে আকিকা করা। নবী করিম (সা.) বলেন, প্রত্যেক শিশু তার আকিকার সঙ্গে দায়বদ্ধ থাকে। তার জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু জবাই করতে হয়, তার মাথা কামাতে হয় এবং নাম রাখতে হয়। (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১৬৫)
মহানবী (সা.) নিজেও আকিকা দিয়েছেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নাতি হাসান ও হোসাইনের পক্ষ থেকে দুটি করে বকরি জবেহ করেছেন।’ (সুনানে আবু দাউদ)
আকিকা ছেলের পক্ষ থেকে দুটি ও মেয়ের পক্ষ থেকে একটি বকরি করা সুন্নত। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ছেলে সন্তানের জন্য দুটি ও কন্যা সন্তানের জন্য একটি পশু আকিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। (জামে তিরমিজি)
প্রযুক্তির কল্যাণে এখন জন্মের কয়েক মাস আগেই জানা যায়—গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে। গর্ভকালীন সময়ে কি বাচ্চার নামে আকিকা করে ফেলা যাবে?
ইসলামের বিধান মতে—আকিকার সম্পর্ক সন্তান জন্মের সঙ্গে। নবী করিম (সা.) সন্তান জন্মের পর আকিকা দিতে বলেছেন। তিনি বলেন, সন্তান জন্মের সপ্তম দিন বা চতুর্দশ দিন অথবা একুশতম দিন আকিকা কর। (জামে তিরমিজি)। এই দিনগুলোতে না দিতে পারলে পরবর্তীতেও আকিকা দেওয়া যায়। কিন্তু সন্তান জন্ম হওয়ার আগে আকিকা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তবে সন্তান জন্মের আগে আকিকার জন্য পশু কিনে রাখা যাবে। নিজে পেলে পুষে সেই পশু দিয়ে নিজ সন্তানের নামে আকিকা দেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, আকিকার গোশত শিশুর মা-বাবাসহ সবাই খেতে পারবেন। কোরবানির পশুর ক্ষেত্রে যেসব শর্ত রয়েছে আকিকার পশুর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। অর্থাৎ পশুর কোনো অংশ পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া যাবে না।
আকিকার পশুর চামড়া বিক্রি করলে, সে টাকা সদকা করে দিতে হবে। মাংস বিক্রি করা যাবে না। বরং মাংস খাবেন, সদকা করবেন ও যাকে ইচ্ছা উপহার হিসেবে দেবেন।
আরও পড়ুন:
সন্তান জন্মের পর মা-বাবার গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্তব্য হলো—তার নামে আকিকা করা। নবী করিম (সা.) বলেন, প্রত্যেক শিশু তার আকিকার সঙ্গে দায়বদ্ধ থাকে। তার জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু জবাই করতে হয়, তার মাথা কামাতে হয় এবং নাম রাখতে হয়। (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১৬৫)
মহানবী (সা.) নিজেও আকিকা দিয়েছেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নাতি হাসান ও হোসাইনের পক্ষ থেকে দুটি করে বকরি জবেহ করেছেন।’ (সুনানে আবু দাউদ)
আকিকা ছেলের পক্ষ থেকে দুটি ও মেয়ের পক্ষ থেকে একটি বকরি করা সুন্নত। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ছেলে সন্তানের জন্য দুটি ও কন্যা সন্তানের জন্য একটি পশু আকিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। (জামে তিরমিজি)
প্রযুক্তির কল্যাণে এখন জন্মের কয়েক মাস আগেই জানা যায়—গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে। গর্ভকালীন সময়ে কি বাচ্চার নামে আকিকা করে ফেলা যাবে?
ইসলামের বিধান মতে—আকিকার সম্পর্ক সন্তান জন্মের সঙ্গে। নবী করিম (সা.) সন্তান জন্মের পর আকিকা দিতে বলেছেন। তিনি বলেন, সন্তান জন্মের সপ্তম দিন বা চতুর্দশ দিন অথবা একুশতম দিন আকিকা কর। (জামে তিরমিজি)। এই দিনগুলোতে না দিতে পারলে পরবর্তীতেও আকিকা দেওয়া যায়। কিন্তু সন্তান জন্ম হওয়ার আগে আকিকা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তবে সন্তান জন্মের আগে আকিকার জন্য পশু কিনে রাখা যাবে। নিজে পেলে পুষে সেই পশু দিয়ে নিজ সন্তানের নামে আকিকা দেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, আকিকার গোশত শিশুর মা-বাবাসহ সবাই খেতে পারবেন। কোরবানির পশুর ক্ষেত্রে যেসব শর্ত রয়েছে আকিকার পশুর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। অর্থাৎ পশুর কোনো অংশ পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া যাবে না।
আকিকার পশুর চামড়া বিক্রি করলে, সে টাকা সদকা করে দিতে হবে। মাংস বিক্রি করা যাবে না। বরং মাংস খাবেন, সদকা করবেন ও যাকে ইচ্ছা উপহার হিসেবে দেবেন।
আরও পড়ুন:
পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
৩৮ মিনিট আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১৪ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১৬ ঘণ্টা আগেমহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র রিজিকদাতা। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে থাকেন। তাই রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা জরুরি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ৪টি আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়।
১৭ ঘণ্টা আগে