শরিফ আহমাদ
শীতকাল আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। রাত বড় এবং দিন ছোট হওয়ার কারণে বিভিন্ন ইবাদতের সুযোগ তৈরি হয় এই মৌসুমে। এ জন্য হাদিসে শীতকালকে ইবাদতের বসন্তকাল বলা হয়েছে। আর মুমিনের দৈনন্দিন জীবনের জরুরি অনুষঙ্গ নামাজের ক্ষেত্রে শীতকালে বিশেষ কিছু বিধান রয়েছে। যথা:
১. প্রথম ওয়াক্তে নামাজ আদায়
শীতকালে জোহর ও আসরের নামাজ ওয়াক্তের শুরুতেই আদায় করে নেওয়া উত্তম। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) প্রচণ্ড শীতের প্রথম ওয়াক্তেই নামাজ আদায় করতেন। আর প্রচণ্ড গরমের সময় (আবহাওয়া) ঠান্ডা করে নামাজ আদায় করতেন অর্থাৎ জুমা বা জোহরের নামাজ দেরিতে আদায় করতেন।’ (বুখারি: ৮৬০)
২. নাক-মুখ না ঢাকা
শীতকালে নাক-মুখ ঢেকে নামাজে দাঁড়ানো অনুচিত। বরং শীতের কাপড় গায়ে থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) কোনো এক ব্যক্তিকে নামাজে থাকাকালীন মুখ ঢাকতে নিষেধ করেন।’ (ইবনে মাজাহ: ৯৬৬)
৩. চাদর ব্যবহারে সতর্কতা
শীতকালে নামাজের সময় চাদর বা রুমাল ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। নামাজে চাদর বা রুমাল খুলে গেলে তা ঠিক করতে গিয়ে আমলে কাসিরে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, যা নামাজ ভঙ্গের অন্যতম কারণ। তাই নামাজের সময় ছোট রুমাল কাঁধে ঝুলিয়ে রাখাও নিষেধ। উবাদা ওয়ালিদ থেকে বর্ণিত, আমরা জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.)-এর কাছে উপস্থিত হলে তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.) সঙ্গে কোনো এক যুদ্ধে যাই। তিনি নামাজ আদায় করার জন্য দাঁড়ান। এ সময় আমার গায়ে একটি ছোট চাদর ছিল। আমি তা আমার কাঁধের দুই পাশে রাখার জন্য চেষ্টা করি। কিন্তু তা ছোট থাকায় কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছায়নি। আমার চাদরের লম্বা আঁচল ছিল। আমি সামান্য নত হয়ে ওই আঁচল দুটি কাঁধের ওপর এমনভাবে বেঁধে দিই, যাতে তা সরে না পড়তে পারে।...নামাজ শেষে রাসুল (সা.) বলেন, ‘হে জাবের।’ আমি বললাম, ‘হাজির, হে আল্লাহর রাসুল।’ তিনি বললেন, ‘যখন তোমার চাদর বড় হবে তখন তা কাঁধের দুই পাশে জড়িয়ে নেবে। আর যখন তা ছোট হবে তখন তা কোমরে শক্তভাবে বেঁধে নেবে।’ (আবু দাউদ: ৬৩৪)
৪. ফরজ নামাজে গুরুত্ব প্রদান
শীতকালে নামাজের প্রতি অলসতা বেড়ে যায়। ঠান্ডার মধ্যে বের হওয়া ও অজু-গোসল করার ভয়ে অনেকে নামাজই আদায় করেন না। অথচ নামাজের মতো ফরজ ইবাদত বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই মুমিনের জন্য। বরং শীতকালে ইবাদতের সওয়াব অনেক বেশি। আবু জর গিফারি (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) একদা শীতকালে বাইরে বেরোলেন। তখন গাছ থেকে পাতা ঝরার মৌসুম ছিল। রাসুল (সা.) গাছের একটা ডাল হাতে ধরলেন। ফলে পাতা আরও বেশি করে ঝরতে লাগল। এরপর তিনি বললেন, ‘হে আবু জর।’ আমি বললাম, ‘হাজির, হে আল্লাহর রাসুল।’ তখন রাসুল (সা.) এরশাদ করলেন, ‘মুসলমান বান্দা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নামাজ আদায় করে, তখন তার থেকে গুনাহসমূহ ঝরে পড়ে, যেমন এ গাছের পাতাগুলো ঝরে পড়ছে।’ (মুসনাদে আহমদ: ২১৪৪৮)
রায়পুর, লক্ষ্মীপুর
শীতকাল আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। রাত বড় এবং দিন ছোট হওয়ার কারণে বিভিন্ন ইবাদতের সুযোগ তৈরি হয় এই মৌসুমে। এ জন্য হাদিসে শীতকালকে ইবাদতের বসন্তকাল বলা হয়েছে। আর মুমিনের দৈনন্দিন জীবনের জরুরি অনুষঙ্গ নামাজের ক্ষেত্রে শীতকালে বিশেষ কিছু বিধান রয়েছে। যথা:
১. প্রথম ওয়াক্তে নামাজ আদায়
শীতকালে জোহর ও আসরের নামাজ ওয়াক্তের শুরুতেই আদায় করে নেওয়া উত্তম। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) প্রচণ্ড শীতের প্রথম ওয়াক্তেই নামাজ আদায় করতেন। আর প্রচণ্ড গরমের সময় (আবহাওয়া) ঠান্ডা করে নামাজ আদায় করতেন অর্থাৎ জুমা বা জোহরের নামাজ দেরিতে আদায় করতেন।’ (বুখারি: ৮৬০)
২. নাক-মুখ না ঢাকা
শীতকালে নাক-মুখ ঢেকে নামাজে দাঁড়ানো অনুচিত। বরং শীতের কাপড় গায়ে থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) কোনো এক ব্যক্তিকে নামাজে থাকাকালীন মুখ ঢাকতে নিষেধ করেন।’ (ইবনে মাজাহ: ৯৬৬)
৩. চাদর ব্যবহারে সতর্কতা
শীতকালে নামাজের সময় চাদর বা রুমাল ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। নামাজে চাদর বা রুমাল খুলে গেলে তা ঠিক করতে গিয়ে আমলে কাসিরে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, যা নামাজ ভঙ্গের অন্যতম কারণ। তাই নামাজের সময় ছোট রুমাল কাঁধে ঝুলিয়ে রাখাও নিষেধ। উবাদা ওয়ালিদ থেকে বর্ণিত, আমরা জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.)-এর কাছে উপস্থিত হলে তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.) সঙ্গে কোনো এক যুদ্ধে যাই। তিনি নামাজ আদায় করার জন্য দাঁড়ান। এ সময় আমার গায়ে একটি ছোট চাদর ছিল। আমি তা আমার কাঁধের দুই পাশে রাখার জন্য চেষ্টা করি। কিন্তু তা ছোট থাকায় কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছায়নি। আমার চাদরের লম্বা আঁচল ছিল। আমি সামান্য নত হয়ে ওই আঁচল দুটি কাঁধের ওপর এমনভাবে বেঁধে দিই, যাতে তা সরে না পড়তে পারে।...নামাজ শেষে রাসুল (সা.) বলেন, ‘হে জাবের।’ আমি বললাম, ‘হাজির, হে আল্লাহর রাসুল।’ তিনি বললেন, ‘যখন তোমার চাদর বড় হবে তখন তা কাঁধের দুই পাশে জড়িয়ে নেবে। আর যখন তা ছোট হবে তখন তা কোমরে শক্তভাবে বেঁধে নেবে।’ (আবু দাউদ: ৬৩৪)
৪. ফরজ নামাজে গুরুত্ব প্রদান
শীতকালে নামাজের প্রতি অলসতা বেড়ে যায়। ঠান্ডার মধ্যে বের হওয়া ও অজু-গোসল করার ভয়ে অনেকে নামাজই আদায় করেন না। অথচ নামাজের মতো ফরজ ইবাদত বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই মুমিনের জন্য। বরং শীতকালে ইবাদতের সওয়াব অনেক বেশি। আবু জর গিফারি (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) একদা শীতকালে বাইরে বেরোলেন। তখন গাছ থেকে পাতা ঝরার মৌসুম ছিল। রাসুল (সা.) গাছের একটা ডাল হাতে ধরলেন। ফলে পাতা আরও বেশি করে ঝরতে লাগল। এরপর তিনি বললেন, ‘হে আবু জর।’ আমি বললাম, ‘হাজির, হে আল্লাহর রাসুল।’ তখন রাসুল (সা.) এরশাদ করলেন, ‘মুসলমান বান্দা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নামাজ আদায় করে, তখন তার থেকে গুনাহসমূহ ঝরে পড়ে, যেমন এ গাছের পাতাগুলো ঝরে পড়ছে।’ (মুসনাদে আহমদ: ২১৪৪৮)
রায়পুর, লক্ষ্মীপুর
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগেআত্মীয়তার বন্ধন আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। পারস্পরিক সম্পর্কের এ বন্ধন না থাকলে হয়তো পৃথিবীর রূপ ভিন্ন থাকত। মা তার সন্তানের প্রতি, ভাই তার ভাইয়ের প্রতি, স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার যে রূপ আমরা দেখতে পাই—তা হয়তো থাকত না। কোরআন ও হাদিসে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেজুলুম আরবি শব্দ। জুলুমের অর্থ ব্যাপক এবং অনেক বিস্তৃত। সাধারণত জুলুম অর্থ নির্যাতন, নিপীড়ন। শরিয়তের পরিভাষায় জুলুম বলা হয়—কোনো উপযুক্ত জিনিসকে উপযুক্ত স্থানে না রেখে অনুপযুক্ত স্থানে রাখা। যে জুলুম করে তাকে জালিম বলা হয়। মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে একজন অন্যজনের ওপর জুলুম করে।
১৯ ঘণ্টা আগেমা-বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাঁদের আদর-সোহাগে আমাদের জীবনের ভিত্তি রচিত হয়। তাঁদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে গড়ে ওঠে সুন্দর ভবিষ্যৎ। তাঁদের ভরসায় আমরা শক্তি পাই এবং তাঁদের দোয়ায় জীবন সার্থক হয়। ইসলাম তাই মা-বাবাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে এবং তাঁদের প্রতি সদাচরণকে আল্লাহ তাআলার ইবাদতের
১ দিন আগে