আপনার জিজ্ঞাসা
ইসলাম ডেস্ক
প্রশ্ন: চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করার বিধান কী? কখন এটি জায়েজ এবং কখন এটি জায়েজ নয়, তা কোরআন ও হাদিসের আলোকে জানতে চাই। আনিসুর রহমান, ঢাকা।
উত্তর: আপনার প্রশ্নটি অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং আধুনিক মুসলিম সমাজে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা। ইসলামের বিধানগুলো মানুষের সাধ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, কঠিন করতে চান না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)। এই নীতির ওপর ভিত্তি করেই অসুস্থ ও অক্ষম ব্যক্তির জন্য নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
নামাজের মৌলিক ফরজগুলো হলো দাঁড়ানো, রুকু ও সিজদা। যদি কোনো ব্যক্তি এসবের কোনো একটি সঠিকভাবে আদায় করতে সম্পূর্ণ অক্ষম হন, তবেই তিনি চেয়ারে বা বসে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
চেয়ারে বসে নামাজ আদায়ের বিধান
১. দাঁড়াতে অক্ষম কিন্তু সিজদা করতে সক্ষম: যদি কোনো ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে না পারেন, কিন্তু মাটিতে বসে সিজদা করতে সক্ষম হন, তাহলে তাঁকে অবশ্যই মাটিতে বসেই সিজদা করে নামাজ আদায় করতে হবে। এই অবস্থায় চেয়ারে বসে রুকু-সিজদা করলে নামাজ শুদ্ধ হবে না।
২. দাঁড়াতে ও সিজদা করতে অক্ষম: যদি কোনো ব্যক্তি দাঁড়াতে এবং মাটিতে বসে সিজদা করতে উভয় ক্ষেত্রেই অক্ষম হন, তাহলে তিনি চেয়ারে বসে ইশারার মাধ্যমে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে মাটিতে বসে ইশারা করা উত্তম, তবে প্রয়োজন হলে চেয়ারে বসলে নামাজ আদায় হবে।
৩. কিছু সময় দাঁড়াতে সক্ষম: যদি কেউ নামাজের কিছু অংশে দাঁড়াতে পারেন, তবে তাঁকে কোনো লাঠি বা দেয়ালের ওপর ভর দিয়ে হলেও যতটুকু সম্ভব দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে বসে নামাজ আদায় করা জায়েজ হবে না।
৪. দাঁড়াতে সক্ষম কিন্তু রুকু ও সিজদা করতে অক্ষম: যদি কেউ দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন, কিন্তু রুকু বা সিজদা করতে না পারেন, তাহলে তাঁর জন্য বসে ইশারার মাধ্যমে নামাজ আদায় করা জায়েজ। এ ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে ইশারা করার চেয়ে বসে ইশারা করা উত্তম।
নফল নামাজের ক্ষেত্রে: ওপরে বর্ণিত বিধান ফরজ নামাজের জন্য। আর সুস্থ ব্যক্তিরাও নফল নামাজ বসে আদায় করতে পারবেন, কিন্তু এ ক্ষেত্রে অর্ধেক সওয়াব পাওয়া যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে চেয়ারে না বসে মাটিতে বসা উত্তম।
মোট কথা, সামান্য অসুস্থতার কারণে চেয়ারে বসে নামাজ আদায়ের অভ্যাস করা উচিত নয়। ইসলামের বিধান অনুযায়ী, নামাজে দাঁড়ানো, রুকু ও সিজদা করা ফরজ। যতক্ষণ পর্যন্ত এগুলোর কোনো একটি যথাযথভাবে আদায় করার সক্ষমতা থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত তা সঠিকভাবে আদায় করতে হবে। প্রকৃত অক্ষমতার ক্ষেত্রেই কেবল চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করা জায়েজ।
উত্তর দিয়েছেন ,মুফতি শাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করার বিধান কী? কখন এটি জায়েজ এবং কখন এটি জায়েজ নয়, তা কোরআন ও হাদিসের আলোকে জানতে চাই। আনিসুর রহমান, ঢাকা।
উত্তর: আপনার প্রশ্নটি অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং আধুনিক মুসলিম সমাজে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা। ইসলামের বিধানগুলো মানুষের সাধ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, কঠিন করতে চান না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)। এই নীতির ওপর ভিত্তি করেই অসুস্থ ও অক্ষম ব্যক্তির জন্য নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
নামাজের মৌলিক ফরজগুলো হলো দাঁড়ানো, রুকু ও সিজদা। যদি কোনো ব্যক্তি এসবের কোনো একটি সঠিকভাবে আদায় করতে সম্পূর্ণ অক্ষম হন, তবেই তিনি চেয়ারে বা বসে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
চেয়ারে বসে নামাজ আদায়ের বিধান
১. দাঁড়াতে অক্ষম কিন্তু সিজদা করতে সক্ষম: যদি কোনো ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে না পারেন, কিন্তু মাটিতে বসে সিজদা করতে সক্ষম হন, তাহলে তাঁকে অবশ্যই মাটিতে বসেই সিজদা করে নামাজ আদায় করতে হবে। এই অবস্থায় চেয়ারে বসে রুকু-সিজদা করলে নামাজ শুদ্ধ হবে না।
২. দাঁড়াতে ও সিজদা করতে অক্ষম: যদি কোনো ব্যক্তি দাঁড়াতে এবং মাটিতে বসে সিজদা করতে উভয় ক্ষেত্রেই অক্ষম হন, তাহলে তিনি চেয়ারে বসে ইশারার মাধ্যমে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে মাটিতে বসে ইশারা করা উত্তম, তবে প্রয়োজন হলে চেয়ারে বসলে নামাজ আদায় হবে।
৩. কিছু সময় দাঁড়াতে সক্ষম: যদি কেউ নামাজের কিছু অংশে দাঁড়াতে পারেন, তবে তাঁকে কোনো লাঠি বা দেয়ালের ওপর ভর দিয়ে হলেও যতটুকু সম্ভব দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে বসে নামাজ আদায় করা জায়েজ হবে না।
৪. দাঁড়াতে সক্ষম কিন্তু রুকু ও সিজদা করতে অক্ষম: যদি কেউ দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন, কিন্তু রুকু বা সিজদা করতে না পারেন, তাহলে তাঁর জন্য বসে ইশারার মাধ্যমে নামাজ আদায় করা জায়েজ। এ ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে ইশারা করার চেয়ে বসে ইশারা করা উত্তম।
নফল নামাজের ক্ষেত্রে: ওপরে বর্ণিত বিধান ফরজ নামাজের জন্য। আর সুস্থ ব্যক্তিরাও নফল নামাজ বসে আদায় করতে পারবেন, কিন্তু এ ক্ষেত্রে অর্ধেক সওয়াব পাওয়া যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে চেয়ারে না বসে মাটিতে বসা উত্তম।
মোট কথা, সামান্য অসুস্থতার কারণে চেয়ারে বসে নামাজ আদায়ের অভ্যাস করা উচিত নয়। ইসলামের বিধান অনুযায়ী, নামাজে দাঁড়ানো, রুকু ও সিজদা করা ফরজ। যতক্ষণ পর্যন্ত এগুলোর কোনো একটি যথাযথভাবে আদায় করার সক্ষমতা থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত তা সঠিকভাবে আদায় করতে হবে। প্রকৃত অক্ষমতার ক্ষেত্রেই কেবল চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করা জায়েজ।
উত্তর দিয়েছেন ,মুফতি শাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
রিজিক হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য নির্ধারিত সব ধরনের অনুগ্রহ ও উপকরণ, যা জীবনের কল্যাণ সাধন করে। এটি শুধু অর্থ-সম্পদেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর বিস্তৃতি অনেক গভীর। শস্য, ফল, ব্যবসা-বাণিজ্য, এমনকি সুস্থ দেহ, উত্তম স্ত্রী, নেক সন্তান ও আধ্যাত্মিক কল্যাণ—সবকিছুই রিজিকের অন্তর্ভুক্ত।
৫ ঘণ্টা আগেসমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়া এক ভয়ংকর ব্যাধি হলো সুদ (রিবা)। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা সুদকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছেন। সুদ গ্রহণ-প্রদানকারী, এর সাক্ষী এবং লেখক—হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী সবাই অভিশপ্ত।
৬ ঘণ্টা আগেসাহাবায়ে কেরাম বর্ণনা করেছেন, তাঁর চেহারা ছিল পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল, চোখের জ্যোতি হৃদয়কে মুগ্ধ করত, আর মুখমণ্ডল থেকে উদ্ভাসিত মৃদু হাসি মানুষের মন ছুঁয়ে যেত। শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, তাঁর চরিত্রের সৌন্দর্য—সদাচরণ, নম্রতা, ধৈর্য, আন্তরিকতা ও দয়া—সমস্ত মানবজাতির জন্য এক অনন্য আদর্শ স্থাপন...
৬ ঘণ্টা আগেভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সেই ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি, বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন...
১৫ ঘণ্টা আগে