মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
পৃথিবীতে মানুষকে পাঠানোর সময় আল্লাহ তাআলা বলে দিয়েছেন যে তাদের কাছে তিনি সঠিক পথের দিকনির্দেশনা পাঠাবেন। এরপর যারা সে নির্দেশনা অনুসরণ করবে, তারা ধ্বংস ও পথহারা হবে না। আর যারা নির্দেশনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তাদের জীবন হবে সংকটময় এবং কিয়ামতের দিন তাদের অন্ধ অবস্থায় ওঠানো হবে। (সুরা ত্বহা: ১২৩-১২৪)
আল্লাহ তাআলা তাঁর ঘোষণা অনুযায়ী পৃথিবীতে মানবসভ্যতার সূচনাকাল থেকে যুগে যুগে প্রতিটি জাতির জন্য অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন এবং তাঁদের মাধ্যমে মানবজাতিকে সঠিক পথের দিশা দেখিয়েছেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘এমন কোনো সম্প্রদায় নেই, যাদের কাছে সতর্ককারী (নবী-রাসুল) আসেনি।’ (সুরা ফাতির: ২৪)
আল্লাহর প্রেরিত নবী-রাসুলদের মধ্যে সর্বশেষ নবী হলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর পর থেকে কেয়ামত পর্যন্ত সমগ্র বিশ্বের সমগ্র মানব ও জিন জাতির জন্য তিনিই একমাত্র নবী ও রাসুল। তাঁর পরে আল্লাহ তাআলা অন্য কোনো নবী-রাসুল পাঠাননি, পাঠাবেন না। এটা পবিত্র কোরআন, বিশুদ্ধ হাদিস ও সব সাহাবির ইজমা (সর্বসম্মত অবস্থান) দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুহাম্মদ তোমাদের মধ্য থেকে কোনো পুরুষের পিতা নয়, বরং সে হচ্ছে আল্লাহর রাসুল ও সর্বশেষ নবী।’ (সুরা আহজাব: ৪০)
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ছয়টি বিষয়ের মাধ্যমে আমাকে সব নবীর ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে—১. আমাকে জাওয়ামিউল কালিম তথা অল্প শব্দে বেশি মর্ম বোঝানোর যোগ্যতা দেওয়া হয়েছে, ২. আমাকে (সমীহযোগ্য) ব্যক্তিত্ব দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে, ৩. আমার জন্য গনিমত তথা যুদ্ধলব্ধ সম্পদ বৈধ করা হয়েছে, ৪. সমগ্র পৃথিবীকে আমার জন্য পবিত্র ও নামাজ পড়ার উপযোগী স্থান বানানো হয়েছে, ৫. আমাকে সমগ্র সৃষ্টির রাসুলরূপে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ৬. আমার মাধ্যমে নবীদের ধারা শেষ করা হয়েছে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) আলি (রা.)-কে বললেন, ‘মুসার জন্য হারুন যেমন, আমার জন্য তুমিও তেমন। তবে পার্থক্য হলো, আমার পরে কোনো নবী নেই।’ (বুখারি ও মুসলিম)
আরেক হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘বনি ইসরাইলের নেতৃত্ব দিতেন নবীগণ। একজন নবীর মৃত্যু হলে তাঁর স্থলে অন্য একজন নবী আসতেন। আর আমার পরে কোনো নবী নেই।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য একটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি হলাম সর্বশেষ নবী, আমার পরে আর কোনো নবী নেই।’ (মুসলিম)
মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকালের পর কয়েকজন লোক নবী হওয়ার দাবি করেছিল। হজরত আবু বকর (রা.)-এর নেতৃত্বে সব সাহাবি সর্বসম্মতভাবে তাদের প্রতিহত করেছিলেন।
সুতরাং উপরিউক্ত প্রমাণসমূহের ভিত্তিতে মুসলমানদের সর্বসম্মত বিশ্বাস হলো, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-ই হলেন সর্বশেষ নবী। তাঁর পরে অন্য কোনো নবী বা রাসুল আসেননি, আসবেনও না।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
পৃথিবীতে মানুষকে পাঠানোর সময় আল্লাহ তাআলা বলে দিয়েছেন যে তাদের কাছে তিনি সঠিক পথের দিকনির্দেশনা পাঠাবেন। এরপর যারা সে নির্দেশনা অনুসরণ করবে, তারা ধ্বংস ও পথহারা হবে না। আর যারা নির্দেশনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তাদের জীবন হবে সংকটময় এবং কিয়ামতের দিন তাদের অন্ধ অবস্থায় ওঠানো হবে। (সুরা ত্বহা: ১২৩-১২৪)
আল্লাহ তাআলা তাঁর ঘোষণা অনুযায়ী পৃথিবীতে মানবসভ্যতার সূচনাকাল থেকে যুগে যুগে প্রতিটি জাতির জন্য অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন এবং তাঁদের মাধ্যমে মানবজাতিকে সঠিক পথের দিশা দেখিয়েছেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘এমন কোনো সম্প্রদায় নেই, যাদের কাছে সতর্ককারী (নবী-রাসুল) আসেনি।’ (সুরা ফাতির: ২৪)
আল্লাহর প্রেরিত নবী-রাসুলদের মধ্যে সর্বশেষ নবী হলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর পর থেকে কেয়ামত পর্যন্ত সমগ্র বিশ্বের সমগ্র মানব ও জিন জাতির জন্য তিনিই একমাত্র নবী ও রাসুল। তাঁর পরে আল্লাহ তাআলা অন্য কোনো নবী-রাসুল পাঠাননি, পাঠাবেন না। এটা পবিত্র কোরআন, বিশুদ্ধ হাদিস ও সব সাহাবির ইজমা (সর্বসম্মত অবস্থান) দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুহাম্মদ তোমাদের মধ্য থেকে কোনো পুরুষের পিতা নয়, বরং সে হচ্ছে আল্লাহর রাসুল ও সর্বশেষ নবী।’ (সুরা আহজাব: ৪০)
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ছয়টি বিষয়ের মাধ্যমে আমাকে সব নবীর ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে—১. আমাকে জাওয়ামিউল কালিম তথা অল্প শব্দে বেশি মর্ম বোঝানোর যোগ্যতা দেওয়া হয়েছে, ২. আমাকে (সমীহযোগ্য) ব্যক্তিত্ব দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে, ৩. আমার জন্য গনিমত তথা যুদ্ধলব্ধ সম্পদ বৈধ করা হয়েছে, ৪. সমগ্র পৃথিবীকে আমার জন্য পবিত্র ও নামাজ পড়ার উপযোগী স্থান বানানো হয়েছে, ৫. আমাকে সমগ্র সৃষ্টির রাসুলরূপে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ৬. আমার মাধ্যমে নবীদের ধারা শেষ করা হয়েছে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) আলি (রা.)-কে বললেন, ‘মুসার জন্য হারুন যেমন, আমার জন্য তুমিও তেমন। তবে পার্থক্য হলো, আমার পরে কোনো নবী নেই।’ (বুখারি ও মুসলিম)
আরেক হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘বনি ইসরাইলের নেতৃত্ব দিতেন নবীগণ। একজন নবীর মৃত্যু হলে তাঁর স্থলে অন্য একজন নবী আসতেন। আর আমার পরে কোনো নবী নেই।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য একটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি হলাম সর্বশেষ নবী, আমার পরে আর কোনো নবী নেই।’ (মুসলিম)
মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকালের পর কয়েকজন লোক নবী হওয়ার দাবি করেছিল। হজরত আবু বকর (রা.)-এর নেতৃত্বে সব সাহাবি সর্বসম্মতভাবে তাদের প্রতিহত করেছিলেন।
সুতরাং উপরিউক্ত প্রমাণসমূহের ভিত্তিতে মুসলমানদের সর্বসম্মত বিশ্বাস হলো, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-ই হলেন সর্বশেষ নবী। তাঁর পরে অন্য কোনো নবী বা রাসুল আসেননি, আসবেনও না।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
হিজরি সনের তৃতীয় মাস হলো রবিউল আউয়াল। ‘রবিউন’ শব্দের অর্থ বসন্ত। এ মাসে আরবের প্রকৃতিতে বসন্ত আসত, তাই এর নাম ‘রবিউল আউয়াল’ বা বসন্তের প্রথম মাস। মুসলিম উম্মাহর কাছে মাসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রথমে আকিদা বিশুদ্ধ করতে হয়, এরপর বিশুদ্ধ আকিদার ওপর ইমান আনতে হয়। আকিদার বিশুদ্ধতা ছাড়া ইমানের কোনো সুযোগ ও বাস্তবতা ইসলামে নেই। তাই প্রথম কাজ হিসেবে আকিদার বিশুদ্ধতা নিয়ে অনেক আলোচনা ও লেখালেখি হলেও ইমানের ওপর আলোচনা ও কাজ খুবই কম হয়। তা ছাড়া ইমানের আলোচনায় সমসাময়িক বিষয়গুলো আলোকপাত করা...
১৩ ঘণ্টা আগেসৃষ্টিকর্তা হিসেবে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জানা-অজানা, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব বিষয় সম্পর্কে অবগত। তিনি জানেন, মানুষ ভুল করবে এবং পাপকাজে লিপ্ত হবে। তবে এ পাপ হয়ে যাওয়ার পর বান্দা যখন অনুতপ্ত হয়ে তাঁর কাছে ফিরে আসে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে, তখন আল্লাহ অত্যন্ত খুশি হন।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলামে মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য যেমন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তেমনি সন্তানের প্রতিও মাতা-পিতার দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। সন্তান জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মাতা-পিতার প্রতি তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের কর্তব্য ও দায়িত্ব কার্যকর হতে শুরু করে এবং তখন থেকেই সে হক অনুযায়ী আমল করা মাতা-পিতার...
১ দিন আগে