ইসলাম ডেস্ক
‘হক’ শব্দের অর্থ অধিকার, অংশ ও প্রাপ্য। হক দুই প্রকার। ১. হাক্কুল্লাহ বা আল্লাহর হক ২. হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক।
হাক্কুল্লাহ বা আল্লাহর হক হলো যা মহান আল্লাহ তাঁর বান্দার কাছে প্রাপ্য। বান্দার প্রতি আল্লাহ তাআলার সর্বপ্রথম ও সবচেয়ে বড় হক হচ্ছে ইমান আনা এবং আকিদা পরিশুদ্ধ করা।
প্রথমে আকিদা বিশুদ্ধ করতে হয়, এরপর বিশুদ্ধ আকিদার ওপর ইমান আনতে হয়। আকিদার বিশুদ্ধতা ছাড়া ইমানের কোনো সুযোগ ও বাস্তবতা ইসলামে নেই। তাই প্রথম কাজ হিসেবে আকিদার বিশুদ্ধতা নিয়ে অনেক আলোচনা ও লেখালেখি হলেও ইমানের ওপর আলোচনা ও কাজ খুবই কম হয়। তা ছাড়া ইমানের আলোচনায় সমসাময়িক বিষয়গুলো আলোকপাত করা অত্যন্ত জরুরি।
মহান আল্লাহ তাঁর হক সম্পর্কে বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখো।’ (সুরা নিসা: ১৩৬)
আরও বলেন, ‘আর তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো এবং তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক কোরো না।’ (সুরা নিসা: ৩৬)
হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যতক্ষণ মানুষ এ সাক্ষ্য না দেবে—আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আদিষ্ট হয়েছি। কাজেই যে ব্যক্তি স্বীকার করে নেবে যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই, সে আমার থেকে তার জীবন ও সম্পদকে নিরাপদ করে নিল। তবে শরিয়তসম্মত কোনো কারণ ঘটলে তা ভিন্ন কথা। আর তার (কৃতকর্মের) হিসাব-নিকাশ আল্লাহর কাছে।’ (সহিহ্ বুখারি ও সহিহ্ মুসলিম)
হজরত মুআজ (রা.) বলেন, ‘উফাইর নামক একটি গাধার পিঠে আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পেছনে আরোহী ছিলাম। তিনি আমাকে বললেন, ‘হে মুআজ, তুমি কি জানো বান্দার ওপর আল্লাহর হক কী এবং আল্লাহর ওপর বান্দার হক কী?’ আমি বললাম, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ভালো জানেন।’
তখন তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই বান্দার ওপর আল্লাহর হক হলো বান্দা তাঁর ইবাদত করবে এবং তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না। আর আল্লাহর ওপর বান্দার হক হলো তাঁর ইবাদতে কাউকে শরিক না করলে আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেন না। (সহিহ্ বুখারি: ২৮৫৬)
উক্ত আয়াত ও হাদিস থেকে বান্দার প্রতি আল্লাহ তাআলার কয়েকটি হক প্রমাণিত হলো। তার মধ্যে সর্বপ্রধান হক হলো, আল্লাহ তাআলার প্রতি বান্দার ইমান আনা।
সুতরাং বান্দার প্রতি মহান আল্লাহর প্রধান হক হলো বান্দা একমাত্র তাঁর তার প্রতি ইমান আনবে এবং তারই ইবাদত করবে।
লেখক: মুফতি ইবরাহীম আল খলীল, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
‘হক’ শব্দের অর্থ অধিকার, অংশ ও প্রাপ্য। হক দুই প্রকার। ১. হাক্কুল্লাহ বা আল্লাহর হক ২. হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক।
হাক্কুল্লাহ বা আল্লাহর হক হলো যা মহান আল্লাহ তাঁর বান্দার কাছে প্রাপ্য। বান্দার প্রতি আল্লাহ তাআলার সর্বপ্রথম ও সবচেয়ে বড় হক হচ্ছে ইমান আনা এবং আকিদা পরিশুদ্ধ করা।
প্রথমে আকিদা বিশুদ্ধ করতে হয়, এরপর বিশুদ্ধ আকিদার ওপর ইমান আনতে হয়। আকিদার বিশুদ্ধতা ছাড়া ইমানের কোনো সুযোগ ও বাস্তবতা ইসলামে নেই। তাই প্রথম কাজ হিসেবে আকিদার বিশুদ্ধতা নিয়ে অনেক আলোচনা ও লেখালেখি হলেও ইমানের ওপর আলোচনা ও কাজ খুবই কম হয়। তা ছাড়া ইমানের আলোচনায় সমসাময়িক বিষয়গুলো আলোকপাত করা অত্যন্ত জরুরি।
মহান আল্লাহ তাঁর হক সম্পর্কে বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখো।’ (সুরা নিসা: ১৩৬)
আরও বলেন, ‘আর তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো এবং তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক কোরো না।’ (সুরা নিসা: ৩৬)
হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যতক্ষণ মানুষ এ সাক্ষ্য না দেবে—আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আদিষ্ট হয়েছি। কাজেই যে ব্যক্তি স্বীকার করে নেবে যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই, সে আমার থেকে তার জীবন ও সম্পদকে নিরাপদ করে নিল। তবে শরিয়তসম্মত কোনো কারণ ঘটলে তা ভিন্ন কথা। আর তার (কৃতকর্মের) হিসাব-নিকাশ আল্লাহর কাছে।’ (সহিহ্ বুখারি ও সহিহ্ মুসলিম)
হজরত মুআজ (রা.) বলেন, ‘উফাইর নামক একটি গাধার পিঠে আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পেছনে আরোহী ছিলাম। তিনি আমাকে বললেন, ‘হে মুআজ, তুমি কি জানো বান্দার ওপর আল্লাহর হক কী এবং আল্লাহর ওপর বান্দার হক কী?’ আমি বললাম, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ভালো জানেন।’
তখন তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই বান্দার ওপর আল্লাহর হক হলো বান্দা তাঁর ইবাদত করবে এবং তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না। আর আল্লাহর ওপর বান্দার হক হলো তাঁর ইবাদতে কাউকে শরিক না করলে আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেন না। (সহিহ্ বুখারি: ২৮৫৬)
উক্ত আয়াত ও হাদিস থেকে বান্দার প্রতি আল্লাহ তাআলার কয়েকটি হক প্রমাণিত হলো। তার মধ্যে সর্বপ্রধান হক হলো, আল্লাহ তাআলার প্রতি বান্দার ইমান আনা।
সুতরাং বান্দার প্রতি মহান আল্লাহর প্রধান হক হলো বান্দা একমাত্র তাঁর তার প্রতি ইমান আনবে এবং তারই ইবাদত করবে।
লেখক: মুফতি ইবরাহীম আল খলীল, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
হিজরি সনের তৃতীয় মাস হলো রবিউল আউয়াল। ‘রবিউন’ শব্দের অর্থ বসন্ত। এ মাসে আরবের প্রকৃতিতে বসন্ত আসত, তাই এর নাম ‘রবিউল আউয়াল’ বা বসন্তের প্রথম মাস। মুসলিম উম্মাহর কাছে মাসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
৭ ঘণ্টা আগেসৃষ্টিকর্তা হিসেবে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জানা-অজানা, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব বিষয় সম্পর্কে অবগত। তিনি জানেন, মানুষ ভুল করবে এবং পাপকাজে লিপ্ত হবে। তবে এ পাপ হয়ে যাওয়ার পর বান্দা যখন অনুতপ্ত হয়ে তাঁর কাছে ফিরে আসে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে, তখন আল্লাহ অত্যন্ত খুশি হন।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলামে মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য যেমন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তেমনি সন্তানের প্রতিও মাতা-পিতার দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। সন্তান জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মাতা-পিতার প্রতি তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের কর্তব্য ও দায়িত্ব কার্যকর হতে শুরু করে এবং তখন থেকেই সে হক অনুযায়ী আমল করা মাতা-পিতার...
১ দিন আগেইসলামে বিয়ে একদিকে যেমন জৈবিক প্রয়োজন মেটানোর মাধ্যম, অন্যদিকে আত্মার প্রশান্তি, ভালোবাসা ও প্রণয়ের উৎস। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে একটি হলো—তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে জীবনসঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন—যাতে তোমরা তাদের মাঝে প্রশান্তি পাও এবং তিনি তোমাদের মাঝে...
১ দিন আগে