ইসমাঈল সিদ্দিকী
কয়েক দিনের টানা বর্ষণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে কয়েক লাখ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে একজন মুমিনের দায়িত্ব হলো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রয়োজন পূরণে এগিয়ে আসা। তাদের জন্য খাবার, পানীয়, ওষুধসহ অন্যান্য দরকারি জিনিসপত্রের জোগান দেওয়া। এটি ইসলামের শিক্ষা ও মহান ইবাদত।
বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো অন্যদের কর্তব্যও বটে। কারণ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা অভাবী মানুষকে সাহায্য করার আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আর তাদের ধন-সম্পদে আছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার।’ (সুরা জারিয়াত: ১৯)
সাময়িক বিপদে পড়ে অভাবগ্রস্তরাও অভাবীই। তাই দেখা যায়, ধনী ব্যক্তি সফরে গিয়ে সম্পদহারা হয়ে গেলে তিনি জাকাত গ্রহণ করতে পারেন। দানের গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির অতিরিক্ত বাহন বা বাহনের জায়গা খালি আছে, সে যেন বাহনহীন ব্যক্তিকে তা দিয়ে সাহায্য করে। কোনো ব্যক্তির যদি অতিরিক্ত পাথেয় থাকে, সে যেন পাথেয়হীন ব্যক্তিকে তা দিয়ে সাহায্য করে।’ বর্ণনাকারী বলেন, ‘নবীজি এভাবে আরও অনেক সম্পদের কথা বলেছেন, তাতে আমাদের মনে হতে লাগল যে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদে আমাদের কোনো অধিকার নেই।’ (মুসলিম: ৪৪০৯)
মুমিনরা এক দেহের একাধিক অঙ্গের মতো। একজনের বিপদে অন্যজন নিশ্চিন্তে বসে থাকতে পারে না। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘দয়া, মায়া ও হৃদ্যতায় মুমিনদের দেখবে—তারা এক দেহের মতো। কোনো এক অঙ্গ আক্রান্ত হলে তার সারা শরীর নির্ঘুম ও জ্বরাক্রান্ত হয়ে পড়ে।’ (বুখারি: ৬০১১)
আর আক্রান্ত মানুষের উচিত আল্লাহর কাছে তওবা করা এবং তাঁর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা। কারণ এসব বিপদাপদ মহান আল্লাহর পরীক্ষা। তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের ভয়, ক্ষুধা এবং ধনসম্পদ ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দিয়ে পরীক্ষা করব। (হে রাসুল) আপনি ধৈর্যশীলদের শুভসংবাদ দিন।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
কয়েক দিনের টানা বর্ষণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে কয়েক লাখ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে একজন মুমিনের দায়িত্ব হলো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রয়োজন পূরণে এগিয়ে আসা। তাদের জন্য খাবার, পানীয়, ওষুধসহ অন্যান্য দরকারি জিনিসপত্রের জোগান দেওয়া। এটি ইসলামের শিক্ষা ও মহান ইবাদত।
বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো অন্যদের কর্তব্যও বটে। কারণ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা অভাবী মানুষকে সাহায্য করার আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আর তাদের ধন-সম্পদে আছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার।’ (সুরা জারিয়াত: ১৯)
সাময়িক বিপদে পড়ে অভাবগ্রস্তরাও অভাবীই। তাই দেখা যায়, ধনী ব্যক্তি সফরে গিয়ে সম্পদহারা হয়ে গেলে তিনি জাকাত গ্রহণ করতে পারেন। দানের গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির অতিরিক্ত বাহন বা বাহনের জায়গা খালি আছে, সে যেন বাহনহীন ব্যক্তিকে তা দিয়ে সাহায্য করে। কোনো ব্যক্তির যদি অতিরিক্ত পাথেয় থাকে, সে যেন পাথেয়হীন ব্যক্তিকে তা দিয়ে সাহায্য করে।’ বর্ণনাকারী বলেন, ‘নবীজি এভাবে আরও অনেক সম্পদের কথা বলেছেন, তাতে আমাদের মনে হতে লাগল যে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদে আমাদের কোনো অধিকার নেই।’ (মুসলিম: ৪৪০৯)
মুমিনরা এক দেহের একাধিক অঙ্গের মতো। একজনের বিপদে অন্যজন নিশ্চিন্তে বসে থাকতে পারে না। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘দয়া, মায়া ও হৃদ্যতায় মুমিনদের দেখবে—তারা এক দেহের মতো। কোনো এক অঙ্গ আক্রান্ত হলে তার সারা শরীর নির্ঘুম ও জ্বরাক্রান্ত হয়ে পড়ে।’ (বুখারি: ৬০১১)
আর আক্রান্ত মানুষের উচিত আল্লাহর কাছে তওবা করা এবং তাঁর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা। কারণ এসব বিপদাপদ মহান আল্লাহর পরীক্ষা। তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের ভয়, ক্ষুধা এবং ধনসম্পদ ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দিয়ে পরীক্ষা করব। (হে রাসুল) আপনি ধৈর্যশীলদের শুভসংবাদ দিন।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামের অন্যতম রুকন নামাজ। নামাজ আদায়ের জন্য অজু আবশ্যক। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জান্নাতের চাবি নামাজ। আর নামাজের চাবি হচ্ছে অজু।’ (জামে তিরমিজি: ৪)। অজু করার পর বেশ কিছু কারণ পাওয়া গেলে তা ভেঙে যায়।
২ ঘণ্টা আগেইসলামের ইতিহাসের এক গভীর শোকের মাস হলো মহররম। এই মাসের দশম দিন ‘আশুরা’ মুসলিম জাতির হৃদয়ে বহন করে এক গাঢ় স্মৃতি, করুণ ইতিহাস ও চেতনার মশাল। আর এই দিনের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে কারবালার প্রান্তরে হুসাইন ইবনে আলী (রা.)-এর শাহাদাত। মহররম, আশুরা ও কারবালা—এই তিনটি শব্দ যেন ত্যাগ, সত্য এবং
১৭ ঘণ্টা আগেপ্রত্যেক সভ্য জাতির মধ্যে পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাতের সময় ভালোবাসা ও সম্প্রীতি প্রকাশার্থে কোনো কোনো বাক্য আদান-প্রদান করার প্রথা প্রচলিত আছে। কিন্তু তুলনা করলে দেখা যাবে যে ইসলামের সালাম যতটুকু ব্যাপক অর্থবোধক, অন্য কোনো জাতির অভিবাদন ততটুকু নয়। কেননা, এতে শুধু ভালোবাসাই প্রকাশ করা হয় না...
১৮ ঘণ্টা আগেমহানবী (সা.) ৪০ বছর বয়সে আল্লাহর পক্ষ থেকে নবুওয়াতপ্রাপ্ত হোন। এরপর আল্লাহর নির্দেশে তিনি ইসলামের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছাতে থাকেন। তাঁর দাওয়াতে বিবেক সম্পন্ন মানুষজন সত্যপথ চিনতে পারে। ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে শুরু করে। নবী করিম (সা.)-এর আহ্বানে মানুষের সঠিক পথে আসার বিষয়টি মক্কার কাফেররা...
১৯ ঘণ্টা আগে