ইসলাম ডেস্ক
প্রশ্ন: কোন কোন পশু দিয়ে কোরবানি করা যাবে? এক পশুতে কতজন কোরবানি করতে পারবে? কোরবানির পশু কেমন হওয়া উচিত? ইসলামি শরিয়তের আলোকে জানতে চাই। আবদুল করিম, নারায়ণগঞ্জ
উত্তর: সামর্থ্যবানদের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব। এটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের সম্পদ ব্যয় করে পশু কিনে তা আল্লাহর পথে জবাই করার নামই কোরবানি। জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে কোরবানি করতে হয়। ইসলামি শরিয়তের পক্ষ থেকে কোরবানির পশু ও এর বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এখানে তা বিস্তারিত তুলে ধরা হলো—
কোরবানির পশু: ছয় ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি করা যায়। উট, গরু, মহিষ, দুম্বা, ভেড়া ও ছাগল। এর বাইরে অন্য কোনো পশু দিয়ে কোরবানি করার অনুমতি নেই। ছাগল, ভেড়া ও দুম্বার ক্ষেত্রে কোরবানি করার জন্য শর্ত হলো, বয়স কমপক্ষে এক বছর পূর্ণ হতে হবে। অবশ্য ছয় মাসের ভেড়া যদি মোটাতাজা হয় এবং দেখতে এক বছর বয়সের মতো মনে হয়, তাহলে তা দিয়েই কোরবানি করা যাবে। গরু-মহিষের ক্ষেত্রে শর্ত হলো, দুই বছর পূর্ণ হতে হবে। আর উটের ক্ষেত্রে শর্ত হলো, পাঁচ বছর পূর্ণ হতে হবে। (হিদায়া: ৪/ ১০৩)
এক পশুতে কতজন: ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ইত্যাদির ক্ষেত্রে একটি পশু শুধু এক ব্যক্তিই কোরবানি দিতে পারবেন। তাতে একজনের বেশি অংশ নিতে পারবেন না। গরু, মহিষ ও উটে সর্বোচ্চ সাত ব্যক্তি অংশ নিতে পারবেন। এ ব্যাপারে আল্লাহর রাসুল (সা.) হাদিসে বলেছেন, ‘একটি উট ও গরু-মহিষে সাত ব্যক্তি কোরবানির জন্য শরিক হতে পারে।’ (মুসলিম: ১৩১৮)
পশুটি কেমন হবে: কোরবানির পশু দোষত্রুটিমুক্ত হতে হবে। পশুর যেসব দুর্বলতার কারণে কোরবানি দেওয়া যাবে না, তা এখানে তুলে ধরা হলো—
» অন্ধ
» বধির
» অত্যন্ত দুর্বল ও জীর্ণ-শীর্ণ
» জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে অক্ষম
» লেজের বেশির ভাগ অংশ কাটা
» জন্মগতভাবে কান না থাকা
» কানের বেশির ভাগ কাটা
» গোড়াসহ শিং উপড়ে যাওয়া
» পাগল হওয়ার কারণে ঘাস-পানি ঠিকমতো না খাওয়া
» বেশির ভাগ দাঁত না থাকা
» রোগের কারণে স্তনের দুধ শুকিয়ে যাওয়া
» ছাগলের দুটি দুধের যেকোনো একটি কাটা হওয়া
» গরু বা মহিষের চারটি দুধের যেকোনো দুটি কাটা হওয়া
হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘চার ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না। অন্ধ—যেটার অন্ধত্ব স্পষ্ট, রোগাক্রান্ত—যার রোগ স্পষ্ট, পঙ্গু—যার পঙ্গুত্ব স্পষ্ট এবং আহত—যার কোনো অঙ্গ ভেঙে গেছে।’ (ইবনে মাজাহ: ৩১৪৪)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু সওবান, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
প্রশ্ন: কোন কোন পশু দিয়ে কোরবানি করা যাবে? এক পশুতে কতজন কোরবানি করতে পারবে? কোরবানির পশু কেমন হওয়া উচিত? ইসলামি শরিয়তের আলোকে জানতে চাই। আবদুল করিম, নারায়ণগঞ্জ
উত্তর: সামর্থ্যবানদের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব। এটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের সম্পদ ব্যয় করে পশু কিনে তা আল্লাহর পথে জবাই করার নামই কোরবানি। জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে কোরবানি করতে হয়। ইসলামি শরিয়তের পক্ষ থেকে কোরবানির পশু ও এর বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এখানে তা বিস্তারিত তুলে ধরা হলো—
কোরবানির পশু: ছয় ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি করা যায়। উট, গরু, মহিষ, দুম্বা, ভেড়া ও ছাগল। এর বাইরে অন্য কোনো পশু দিয়ে কোরবানি করার অনুমতি নেই। ছাগল, ভেড়া ও দুম্বার ক্ষেত্রে কোরবানি করার জন্য শর্ত হলো, বয়স কমপক্ষে এক বছর পূর্ণ হতে হবে। অবশ্য ছয় মাসের ভেড়া যদি মোটাতাজা হয় এবং দেখতে এক বছর বয়সের মতো মনে হয়, তাহলে তা দিয়েই কোরবানি করা যাবে। গরু-মহিষের ক্ষেত্রে শর্ত হলো, দুই বছর পূর্ণ হতে হবে। আর উটের ক্ষেত্রে শর্ত হলো, পাঁচ বছর পূর্ণ হতে হবে। (হিদায়া: ৪/ ১০৩)
এক পশুতে কতজন: ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ইত্যাদির ক্ষেত্রে একটি পশু শুধু এক ব্যক্তিই কোরবানি দিতে পারবেন। তাতে একজনের বেশি অংশ নিতে পারবেন না। গরু, মহিষ ও উটে সর্বোচ্চ সাত ব্যক্তি অংশ নিতে পারবেন। এ ব্যাপারে আল্লাহর রাসুল (সা.) হাদিসে বলেছেন, ‘একটি উট ও গরু-মহিষে সাত ব্যক্তি কোরবানির জন্য শরিক হতে পারে।’ (মুসলিম: ১৩১৮)
পশুটি কেমন হবে: কোরবানির পশু দোষত্রুটিমুক্ত হতে হবে। পশুর যেসব দুর্বলতার কারণে কোরবানি দেওয়া যাবে না, তা এখানে তুলে ধরা হলো—
» অন্ধ
» বধির
» অত্যন্ত দুর্বল ও জীর্ণ-শীর্ণ
» জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে অক্ষম
» লেজের বেশির ভাগ অংশ কাটা
» জন্মগতভাবে কান না থাকা
» কানের বেশির ভাগ কাটা
» গোড়াসহ শিং উপড়ে যাওয়া
» পাগল হওয়ার কারণে ঘাস-পানি ঠিকমতো না খাওয়া
» বেশির ভাগ দাঁত না থাকা
» রোগের কারণে স্তনের দুধ শুকিয়ে যাওয়া
» ছাগলের দুটি দুধের যেকোনো একটি কাটা হওয়া
» গরু বা মহিষের চারটি দুধের যেকোনো দুটি কাটা হওয়া
হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘চার ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না। অন্ধ—যেটার অন্ধত্ব স্পষ্ট, রোগাক্রান্ত—যার রোগ স্পষ্ট, পঙ্গু—যার পঙ্গুত্ব স্পষ্ট এবং আহত—যার কোনো অঙ্গ ভেঙে গেছে।’ (ইবনে মাজাহ: ৩১৪৪)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু সওবান, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
সত্যে মুক্তি। মিথ্যা আনে বিপদ। মিথ্যাকে বলা হয় সব পাপের মূল। যুগে যুগে আল্লাহ তাআলা সত্যবাদীদের করেছেন পুরস্কৃত। আর মিথ্যাবাদীদের ধ্বংস করেছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘অতঃপর আমরা সবাই (আল্লাহর কাছে) এ মর্মে প্রার্থনা করি যে...
৪ ঘণ্টা আগেহজরত ইবরাহিম (আ.) সর্বপ্রথম হজের প্রবর্তন করেন। হজ প্রবর্তনের আগে ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে সঙ্গে নিয়ে পুনর্নির্মাণ করেন কাবাঘর। পুনর্নির্মাণ শেষ হলে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি নির্দেশ হলো হজব্রত পালনের।
১ দিন আগেহৃদয়ের সৌন্দর্য প্রকাশ করে মুচকি হাসি। এই হাসি এক নিঃশব্দ ভাষা। একটি মুচকি হাসি অনেক সময় দূরের মানুষকে আপন করে তোলে। কখনো ক্লান্ত মুখে এনে দেয় প্রশান্তি। আবার কখনো এই হাসি উত্তম সদকা। আমাদের নবী (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি ভালো কাজই সদকা। আর অন্য ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা—একটি ভালো কাজ...
১ দিন আগেপ্রশংসা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ও ও সর্বজনীন বিষয় যা পৃথিবীর সব মাখলুক করে থাকে। এমনকি পরকালীন জীবনে জান্নাতিরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে, তখন সেখানেও ৫ অবস্থায় আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করবেন।
২ দিন আগে