
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা করছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগ ইলন মাস্কের নেতৃত্বে পেন্টাগনের কয়েক শ বিলিয়ন ডলারের প্রতারণা ও অপচয় ধরিয়ে দেবেন। এর ফলে মার্কিন প্রতিরক্ষা খাতে অপ্রয়োজনীয় কয়েক শ বিলিয়ন ডলার ব্যয় কমবে।
ট্রাম্প গতকাল রোববার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজের সাংবাদিক ব্রেট বেয়ারের সঙ্গে সুপার বৌল উপলক্ষে এক বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারের একটি অংশে ট্রাম্প জানান, তিনি মাস্ককে সরকারি ব্যয় পর্যালোচনার জন্য বিভিন্ন বিভাগ পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি খুব দ্রুতই, হয়তো আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে বলব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে নজর দিতে। তারপর আমি বলব, চলুন সামরিক বাহিনী দেখি। সামরিক খাতে কী ঘটছে, তা খতিয়ে দেখি।’ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সরকারি বিভাগ পেন্টাগন সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা কয়েক বিলিয়ন, এমনকি কয়েক শ বিলিয়ন ডলারের প্রতারণা ও অপচয় শনাক্ত করব।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাজেট বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে দেশটির বার্ষিক প্রতিরক্ষা ব্যয় প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের (১ লাখ কোটি) কাছাকাছি। সামরিক খাতে এই বিপুল অর্থ ব্যয়ের বেশির ভাগই বিভিন্ন অস্ত্র নির্মাণ প্রকল্প, প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর পরিচালনা ও কর্মীদের বেতন কাঠামোর মধ্যে পড়ে।
গত বছরের ডিসেম্বরে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৮৯৫ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন করেন, যা চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বাজেটের একটি বড় অংশ অনিয়ম ও অদক্ষতার কারণে অপচয় হয়।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও টেসলা-স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক বর্তমানে বিশেষ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। ট্রাম্প তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্মী সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে। এর অংশ হিসেবে, মাস্কের নেতৃত্বে ডিওজিই বিভিন্ন সরকারি সংস্থার গোপন নথি ও তথ্যভান্ডারে প্রবেশের অনুমতি চেয়েছে। মাস্কের টিম চাইছে, সরকারি কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করে কর্মসংখ্যা, ব্যয় ও কার্যক্রম বিশ্লেষণ করতে।
তবে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেক বিশ্লেষক ও সরকারি কর্মকর্তা বলছেন, এই প্রচেষ্টা আইনবিরুদ্ধ হতে পারে এবং এতে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
বিরোধী দল ডেমোক্র্যাট পার্টি ও সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নগুলো বলছে, মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি পেন্টাগনের মতো জটিল ও সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের জন্য যথেষ্ট দক্ষতা রাখে না। তারা আশঙ্কা করছে, মাস্কের নেতৃত্বাধীন দল অত্যন্ত সংবেদনশীল ও শ্রেণিবদ্ধ সামরিক তথ্যের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
এ ছাড়া মাস্কের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, স্পেসএক্স, টেসলা ও অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে বহু বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে যুক্ত রয়েছে। ফলে তাঁর নিরীক্ষা ও খরচ কমানোর পরিকল্পনায় স্বার্থ সংঘাতের প্রশ্ন উঠতে পারে।
পেন্টাগনের বাজেট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—উভয় দলই একাধিকবার প্রতিরক্ষা ব্যয়ে অদক্ষতা ও অপচয়ের সমালোচনা করেছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ গতকাল রোববার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসির মিট দ্য প্রেসে বলেন, পেন্টাগনের ক্রয় ও নির্মাণ প্রক্রিয়ায় ‘অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের বিশাল সুযোগ’ আছে।
ওয়াল্টজ বলেন, ‘ওখানে সবকিছুর খরচই অনেক বেশি, সময়ও অনেক বেশি লাগে, অথচ সৈন্যদের জন্য যা সরবরাহ করা হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাহাজ নির্মাণ খাতে প্রচুর অনিয়ম রয়েছে, যা একেবারে বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। এটি অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার।’
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত রিপাবলিকানদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেলেও ডেমোক্র্যাটরা কড়া সমালোচনা করছে। রিপাবলিকানদের দাবি, পেন্টাগনের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে মাস্কের মতো সফল উদ্যোক্তার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, প্রতিরক্ষা বিভাগের ক্রয় প্রক্রিয়া দীর্ঘ মেয়াদে সংস্কার করা জরুরি এবং সামরিক ব্যয় কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন।
তবে ডেমোক্র্যাটদের আশঙ্কা, মাস্কের প্রচেষ্টায় জাতীয় নিরাপত্তার তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে, তিনি নিজেই প্রতিরক্ষা বিভাগের বড় ঠিকাদার, ফলে স্বার্থ সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এমন উদ্যোগ নেওয়া বেআইনি হতে পারে।
ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, ইলন মাস্কের নেতৃত্বে পরিচালিত এই নিরীক্ষায় প্রতিরক্ষা ব্যয়ে বড় ধরনের অপচয় ও প্রতারণা ধরা পড়তে পারে। তবে এটি সরকারি প্রশাসন ও সামরিক খাতের জন্য কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ রয়েছে। সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যক্রম খতিয়ে দেখার নামে মাস্কের দল যদি ‘গোপন তথ্যভান্ডারে অনধিকার প্রবেশ ঘটায়’ তাহলে বিষয়টি কংগ্রেস ও আদালতের বিবেচনার বিষয় হয়ে উঠতে পারে।
অন্যদিকে, প্রতিরক্ষা ব্যয়ে ব্যাপক কাটছাঁটের উদ্যোগ পেন্টাগনের কার্যকারিতার ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে, সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। বিষয়টি এখন কেবল রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা করছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগ ইলন মাস্কের নেতৃত্বে পেন্টাগনের কয়েক শ বিলিয়ন ডলারের প্রতারণা ও অপচয় ধরিয়ে দেবেন। এর ফলে মার্কিন প্রতিরক্ষা খাতে অপ্রয়োজনীয় কয়েক শ বিলিয়ন ডলার ব্যয় কমবে।
ট্রাম্প গতকাল রোববার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজের সাংবাদিক ব্রেট বেয়ারের সঙ্গে সুপার বৌল উপলক্ষে এক বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারের একটি অংশে ট্রাম্প জানান, তিনি মাস্ককে সরকারি ব্যয় পর্যালোচনার জন্য বিভিন্ন বিভাগ পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি খুব দ্রুতই, হয়তো আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে বলব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে নজর দিতে। তারপর আমি বলব, চলুন সামরিক বাহিনী দেখি। সামরিক খাতে কী ঘটছে, তা খতিয়ে দেখি।’ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সরকারি বিভাগ পেন্টাগন সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা কয়েক বিলিয়ন, এমনকি কয়েক শ বিলিয়ন ডলারের প্রতারণা ও অপচয় শনাক্ত করব।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাজেট বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে দেশটির বার্ষিক প্রতিরক্ষা ব্যয় প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের (১ লাখ কোটি) কাছাকাছি। সামরিক খাতে এই বিপুল অর্থ ব্যয়ের বেশির ভাগই বিভিন্ন অস্ত্র নির্মাণ প্রকল্প, প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর পরিচালনা ও কর্মীদের বেতন কাঠামোর মধ্যে পড়ে।
গত বছরের ডিসেম্বরে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৮৯৫ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন করেন, যা চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বাজেটের একটি বড় অংশ অনিয়ম ও অদক্ষতার কারণে অপচয় হয়।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও টেসলা-স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক বর্তমানে বিশেষ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। ট্রাম্প তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্মী সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে। এর অংশ হিসেবে, মাস্কের নেতৃত্বে ডিওজিই বিভিন্ন সরকারি সংস্থার গোপন নথি ও তথ্যভান্ডারে প্রবেশের অনুমতি চেয়েছে। মাস্কের টিম চাইছে, সরকারি কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করে কর্মসংখ্যা, ব্যয় ও কার্যক্রম বিশ্লেষণ করতে।
তবে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেক বিশ্লেষক ও সরকারি কর্মকর্তা বলছেন, এই প্রচেষ্টা আইনবিরুদ্ধ হতে পারে এবং এতে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
বিরোধী দল ডেমোক্র্যাট পার্টি ও সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নগুলো বলছে, মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি পেন্টাগনের মতো জটিল ও সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের জন্য যথেষ্ট দক্ষতা রাখে না। তারা আশঙ্কা করছে, মাস্কের নেতৃত্বাধীন দল অত্যন্ত সংবেদনশীল ও শ্রেণিবদ্ধ সামরিক তথ্যের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
এ ছাড়া মাস্কের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, স্পেসএক্স, টেসলা ও অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে বহু বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে যুক্ত রয়েছে। ফলে তাঁর নিরীক্ষা ও খরচ কমানোর পরিকল্পনায় স্বার্থ সংঘাতের প্রশ্ন উঠতে পারে।
পেন্টাগনের বাজেট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—উভয় দলই একাধিকবার প্রতিরক্ষা ব্যয়ে অদক্ষতা ও অপচয়ের সমালোচনা করেছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ গতকাল রোববার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসির মিট দ্য প্রেসে বলেন, পেন্টাগনের ক্রয় ও নির্মাণ প্রক্রিয়ায় ‘অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের বিশাল সুযোগ’ আছে।
ওয়াল্টজ বলেন, ‘ওখানে সবকিছুর খরচই অনেক বেশি, সময়ও অনেক বেশি লাগে, অথচ সৈন্যদের জন্য যা সরবরাহ করা হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাহাজ নির্মাণ খাতে প্রচুর অনিয়ম রয়েছে, যা একেবারে বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। এটি অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার।’
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত রিপাবলিকানদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেলেও ডেমোক্র্যাটরা কড়া সমালোচনা করছে। রিপাবলিকানদের দাবি, পেন্টাগনের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে মাস্কের মতো সফল উদ্যোক্তার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, প্রতিরক্ষা বিভাগের ক্রয় প্রক্রিয়া দীর্ঘ মেয়াদে সংস্কার করা জরুরি এবং সামরিক ব্যয় কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন।
তবে ডেমোক্র্যাটদের আশঙ্কা, মাস্কের প্রচেষ্টায় জাতীয় নিরাপত্তার তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে, তিনি নিজেই প্রতিরক্ষা বিভাগের বড় ঠিকাদার, ফলে স্বার্থ সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এমন উদ্যোগ নেওয়া বেআইনি হতে পারে।
ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, ইলন মাস্কের নেতৃত্বে পরিচালিত এই নিরীক্ষায় প্রতিরক্ষা ব্যয়ে বড় ধরনের অপচয় ও প্রতারণা ধরা পড়তে পারে। তবে এটি সরকারি প্রশাসন ও সামরিক খাতের জন্য কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ রয়েছে। সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যক্রম খতিয়ে দেখার নামে মাস্কের দল যদি ‘গোপন তথ্যভান্ডারে অনধিকার প্রবেশ ঘটায়’ তাহলে বিষয়টি কংগ্রেস ও আদালতের বিবেচনার বিষয় হয়ে উঠতে পারে।
অন্যদিকে, প্রতিরক্ষা ব্যয়ে ব্যাপক কাটছাঁটের উদ্যোগ পেন্টাগনের কার্যকারিতার ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে, সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। বিষয়টি এখন কেবল রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা করছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগ ইলন মাস্কের নেতৃত্বে পেন্টাগনের কয়েক শ বিলিয়ন ডলারের প্রতারণা ও অপচয় ধরিয়ে দেবেন। এর ফলে মার্কিন প্রতিরক্ষা খাতে অপ্রয়োজনীয় কয়েক শ বিলিয়ন ডলার ব্যয় কমবে।
ট্রাম্প গতকাল রোববার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজের সাংবাদিক ব্রেট বেয়ারের সঙ্গে সুপার বৌল উপলক্ষে এক বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারের একটি অংশে ট্রাম্প জানান, তিনি মাস্ককে সরকারি ব্যয় পর্যালোচনার জন্য বিভিন্ন বিভাগ পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি খুব দ্রুতই, হয়তো আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে বলব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে নজর দিতে। তারপর আমি বলব, চলুন সামরিক বাহিনী দেখি। সামরিক খাতে কী ঘটছে, তা খতিয়ে দেখি।’ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সরকারি বিভাগ পেন্টাগন সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা কয়েক বিলিয়ন, এমনকি কয়েক শ বিলিয়ন ডলারের প্রতারণা ও অপচয় শনাক্ত করব।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাজেট বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে দেশটির বার্ষিক প্রতিরক্ষা ব্যয় প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের (১ লাখ কোটি) কাছাকাছি। সামরিক খাতে এই বিপুল অর্থ ব্যয়ের বেশির ভাগই বিভিন্ন অস্ত্র নির্মাণ প্রকল্প, প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর পরিচালনা ও কর্মীদের বেতন কাঠামোর মধ্যে পড়ে।
গত বছরের ডিসেম্বরে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৮৯৫ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন করেন, যা চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বাজেটের একটি বড় অংশ অনিয়ম ও অদক্ষতার কারণে অপচয় হয়।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও টেসলা-স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক বর্তমানে বিশেষ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। ট্রাম্প তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্মী সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে। এর অংশ হিসেবে, মাস্কের নেতৃত্বে ডিওজিই বিভিন্ন সরকারি সংস্থার গোপন নথি ও তথ্যভান্ডারে প্রবেশের অনুমতি চেয়েছে। মাস্কের টিম চাইছে, সরকারি কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করে কর্মসংখ্যা, ব্যয় ও কার্যক্রম বিশ্লেষণ করতে।
তবে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেক বিশ্লেষক ও সরকারি কর্মকর্তা বলছেন, এই প্রচেষ্টা আইনবিরুদ্ধ হতে পারে এবং এতে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
বিরোধী দল ডেমোক্র্যাট পার্টি ও সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নগুলো বলছে, মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি পেন্টাগনের মতো জটিল ও সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের জন্য যথেষ্ট দক্ষতা রাখে না। তারা আশঙ্কা করছে, মাস্কের নেতৃত্বাধীন দল অত্যন্ত সংবেদনশীল ও শ্রেণিবদ্ধ সামরিক তথ্যের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
এ ছাড়া মাস্কের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, স্পেসএক্স, টেসলা ও অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে বহু বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে যুক্ত রয়েছে। ফলে তাঁর নিরীক্ষা ও খরচ কমানোর পরিকল্পনায় স্বার্থ সংঘাতের প্রশ্ন উঠতে পারে।
পেন্টাগনের বাজেট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—উভয় দলই একাধিকবার প্রতিরক্ষা ব্যয়ে অদক্ষতা ও অপচয়ের সমালোচনা করেছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ গতকাল রোববার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসির মিট দ্য প্রেসে বলেন, পেন্টাগনের ক্রয় ও নির্মাণ প্রক্রিয়ায় ‘অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের বিশাল সুযোগ’ আছে।
ওয়াল্টজ বলেন, ‘ওখানে সবকিছুর খরচই অনেক বেশি, সময়ও অনেক বেশি লাগে, অথচ সৈন্যদের জন্য যা সরবরাহ করা হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাহাজ নির্মাণ খাতে প্রচুর অনিয়ম রয়েছে, যা একেবারে বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। এটি অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার।’
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত রিপাবলিকানদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেলেও ডেমোক্র্যাটরা কড়া সমালোচনা করছে। রিপাবলিকানদের দাবি, পেন্টাগনের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে মাস্কের মতো সফল উদ্যোক্তার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, প্রতিরক্ষা বিভাগের ক্রয় প্রক্রিয়া দীর্ঘ মেয়াদে সংস্কার করা জরুরি এবং সামরিক ব্যয় কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন।
তবে ডেমোক্র্যাটদের আশঙ্কা, মাস্কের প্রচেষ্টায় জাতীয় নিরাপত্তার তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে, তিনি নিজেই প্রতিরক্ষা বিভাগের বড় ঠিকাদার, ফলে স্বার্থ সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এমন উদ্যোগ নেওয়া বেআইনি হতে পারে।
ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, ইলন মাস্কের নেতৃত্বে পরিচালিত এই নিরীক্ষায় প্রতিরক্ষা ব্যয়ে বড় ধরনের অপচয় ও প্রতারণা ধরা পড়তে পারে। তবে এটি সরকারি প্রশাসন ও সামরিক খাতের জন্য কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ রয়েছে। সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যক্রম খতিয়ে দেখার নামে মাস্কের দল যদি ‘গোপন তথ্যভান্ডারে অনধিকার প্রবেশ ঘটায়’ তাহলে বিষয়টি কংগ্রেস ও আদালতের বিবেচনার বিষয় হয়ে উঠতে পারে।
অন্যদিকে, প্রতিরক্ষা ব্যয়ে ব্যাপক কাটছাঁটের উদ্যোগ পেন্টাগনের কার্যকারিতার ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে, সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। বিষয়টি এখন কেবল রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা করছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগ ইলন মাস্কের নেতৃত্বে পেন্টাগনের কয়েক শ বিলিয়ন ডলারের প্রতারণা ও অপচয় ধরিয়ে দেবেন। এর ফলে মার্কিন প্রতিরক্ষা খাতে অপ্রয়োজনীয় কয়েক শ বিলিয়ন ডলার ব্যয় কমবে।
ট্রাম্প গতকাল রোববার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজের সাংবাদিক ব্রেট বেয়ারের সঙ্গে সুপার বৌল উপলক্ষে এক বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারের একটি অংশে ট্রাম্প জানান, তিনি মাস্ককে সরকারি ব্যয় পর্যালোচনার জন্য বিভিন্ন বিভাগ পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি খুব দ্রুতই, হয়তো আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে বলব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে নজর দিতে। তারপর আমি বলব, চলুন সামরিক বাহিনী দেখি। সামরিক খাতে কী ঘটছে, তা খতিয়ে দেখি।’ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সরকারি বিভাগ পেন্টাগন সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা কয়েক বিলিয়ন, এমনকি কয়েক শ বিলিয়ন ডলারের প্রতারণা ও অপচয় শনাক্ত করব।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাজেট বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে দেশটির বার্ষিক প্রতিরক্ষা ব্যয় প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের (১ লাখ কোটি) কাছাকাছি। সামরিক খাতে এই বিপুল অর্থ ব্যয়ের বেশির ভাগই বিভিন্ন অস্ত্র নির্মাণ প্রকল্প, প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর পরিচালনা ও কর্মীদের বেতন কাঠামোর মধ্যে পড়ে।
গত বছরের ডিসেম্বরে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৮৯৫ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন করেন, যা চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বাজেটের একটি বড় অংশ অনিয়ম ও অদক্ষতার কারণে অপচয় হয়।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও টেসলা-স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক বর্তমানে বিশেষ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। ট্রাম্প তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্মী সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে। এর অংশ হিসেবে, মাস্কের নেতৃত্বে ডিওজিই বিভিন্ন সরকারি সংস্থার গোপন নথি ও তথ্যভান্ডারে প্রবেশের অনুমতি চেয়েছে। মাস্কের টিম চাইছে, সরকারি কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করে কর্মসংখ্যা, ব্যয় ও কার্যক্রম বিশ্লেষণ করতে।
তবে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেক বিশ্লেষক ও সরকারি কর্মকর্তা বলছেন, এই প্রচেষ্টা আইনবিরুদ্ধ হতে পারে এবং এতে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
বিরোধী দল ডেমোক্র্যাট পার্টি ও সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নগুলো বলছে, মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি পেন্টাগনের মতো জটিল ও সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের জন্য যথেষ্ট দক্ষতা রাখে না। তারা আশঙ্কা করছে, মাস্কের নেতৃত্বাধীন দল অত্যন্ত সংবেদনশীল ও শ্রেণিবদ্ধ সামরিক তথ্যের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
এ ছাড়া মাস্কের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, স্পেসএক্স, টেসলা ও অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে বহু বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে যুক্ত রয়েছে। ফলে তাঁর নিরীক্ষা ও খরচ কমানোর পরিকল্পনায় স্বার্থ সংঘাতের প্রশ্ন উঠতে পারে।
পেন্টাগনের বাজেট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—উভয় দলই একাধিকবার প্রতিরক্ষা ব্যয়ে অদক্ষতা ও অপচয়ের সমালোচনা করেছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ গতকাল রোববার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসির মিট দ্য প্রেসে বলেন, পেন্টাগনের ক্রয় ও নির্মাণ প্রক্রিয়ায় ‘অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের বিশাল সুযোগ’ আছে।
ওয়াল্টজ বলেন, ‘ওখানে সবকিছুর খরচই অনেক বেশি, সময়ও অনেক বেশি লাগে, অথচ সৈন্যদের জন্য যা সরবরাহ করা হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাহাজ নির্মাণ খাতে প্রচুর অনিয়ম রয়েছে, যা একেবারে বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। এটি অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার।’
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত রিপাবলিকানদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেলেও ডেমোক্র্যাটরা কড়া সমালোচনা করছে। রিপাবলিকানদের দাবি, পেন্টাগনের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে মাস্কের মতো সফল উদ্যোক্তার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, প্রতিরক্ষা বিভাগের ক্রয় প্রক্রিয়া দীর্ঘ মেয়াদে সংস্কার করা জরুরি এবং সামরিক ব্যয় কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন।
তবে ডেমোক্র্যাটদের আশঙ্কা, মাস্কের প্রচেষ্টায় জাতীয় নিরাপত্তার তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে, তিনি নিজেই প্রতিরক্ষা বিভাগের বড় ঠিকাদার, ফলে স্বার্থ সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এমন উদ্যোগ নেওয়া বেআইনি হতে পারে।
ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, ইলন মাস্কের নেতৃত্বে পরিচালিত এই নিরীক্ষায় প্রতিরক্ষা ব্যয়ে বড় ধরনের অপচয় ও প্রতারণা ধরা পড়তে পারে। তবে এটি সরকারি প্রশাসন ও সামরিক খাতের জন্য কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ রয়েছে। সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যক্রম খতিয়ে দেখার নামে মাস্কের দল যদি ‘গোপন তথ্যভান্ডারে অনধিকার প্রবেশ ঘটায়’ তাহলে বিষয়টি কংগ্রেস ও আদালতের বিবেচনার বিষয় হয়ে উঠতে পারে।
অন্যদিকে, প্রতিরক্ষা ব্যয়ে ব্যাপক কাটছাঁটের উদ্যোগ পেন্টাগনের কার্যকারিতার ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে, সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। বিষয়টি এখন কেবল রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশের সব নাগরিককে ২০০০ ডলার করে ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর যে রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন তা থেকে অর্জিত অর্থ থেকে এই ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে।
৩ মিনিট আগে
অবশেষে ৪০ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। মার্কিন সিনেট রিপাবলিকান পার্টি প্রস্তাবিত একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সরকারি অচলাবস্থা অবসানের পথ খুলে দিতে পারে।
১৯ মিনিট আগে
রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
৯ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কাঠামো ও বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার ফলে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আরও ক্ষমতাধর হবেন আর সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমবে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশের সব নাগরিককে ২০০০ ডলার করে ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর যে রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন তা থেকে অর্জিত অর্থ থেকে এই ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার আবারও আমেরিকান নাগরিকদের ২ হাজার ডলার করে ‘ডিভিডেন্ড’ বা ‘লভ্যাংশ’ দেওয়ার প্রস্তাব তুলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ অর্থ আসবে এই বছর শুল্ক থেকে সরকারের তোলা বিলিয়ন ডলার রাজস্ব থেকে। বিষয়টি তিনি বহুবার বলেছেন, কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন করেননি।
ট্রাম্প আবারও তাঁর শুল্কনীতি নিয়ে সরব হয়েছেন এমন এক সময়, যখন বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে বড় আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে। পাশাপাশি, সাম্প্রতিক নির্বাচনে রিপাবলিকানদের বড় ধাক্কা লেগেছে। যেখানে ভোটাররা মূল্যস্ফীতির জন্য তাদের দায়ী করেছেন, যা আংশিকভাবে ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের ফল।
ট্রাম্প নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘আমরা ট্রিলিয়ন ডলার আয় করছি এবং শিগগিরই ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বিশাল ঋণ পরিশোধ শুরু করব। যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড বিনিয়োগ হচ্ছে, নতুন কারখানা গড়ে উঠছে সর্বত্র।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘প্রত্যেকের জন্য অন্তত ২ হাজার ডলারের একটি ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে (অবশ্যই উচ্চ আয়ের মানুষ ছাড়া)।’
এর আগে, এই সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের বেশির ভাগ শুল্ক আইনগতভাবে বৈধ কি না, তা নিয়ে শুনানি হয়। বিচারপতিরা শুনানিতে ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাঁরা ইঙ্গিত দেন, এই শুল্ক আসলে রাজস্ব সংগ্রহের এক প্রকার করের মতো কাজ করেছে—বাণিজ্য ভারসাম্যজনিত কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার হাতিয়ার হিসেবে নয়।
যদি আদালত শেষ পর্যন্ত রায় দেয় যে এসব শুল্ক অবৈধ ছিল, তাহলে সরকারকে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ আমদানিকারকদের ফেরত দিতে হতে পারে। রোববার এবিসি নিউজের দিস উইক—অনুষ্ঠানে ট্রেজারি সচিব বা অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, শুল্কের উদ্দেশ্য রাজস্ব আদায় নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ভারসাম্য আনা।
ট্রাম্প এই বছর একাধিকবার এমন ‘শুল্ক ডিভিডেন্ড’ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে সম্প্রতি তিনি নির্দিষ্টভাবে ২ হাজার ডলার পরিমাণের কথাই বলছেন। সুপ্রিম কোর্ট কবে এই শুল্ক মামলার রায় দেবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদি আদালত শুল্ক বহাল রাখে, তাহলে নতুন প্রশ্ন উঠবে—এই ডিভিডেন্ড দেওয়ার অনুমোদন আদৌ আছে কি না, কারা এটি পাবেন, আর এতে সরকারের ঋণ পরিশোধের প্রচেষ্টায় কতটা প্রভাব পড়বে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশের সব নাগরিককে ২০০০ ডলার করে ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর যে রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন তা থেকে অর্জিত অর্থ থেকে এই ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার আবারও আমেরিকান নাগরিকদের ২ হাজার ডলার করে ‘ডিভিডেন্ড’ বা ‘লভ্যাংশ’ দেওয়ার প্রস্তাব তুলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ অর্থ আসবে এই বছর শুল্ক থেকে সরকারের তোলা বিলিয়ন ডলার রাজস্ব থেকে। বিষয়টি তিনি বহুবার বলেছেন, কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন করেননি।
ট্রাম্প আবারও তাঁর শুল্কনীতি নিয়ে সরব হয়েছেন এমন এক সময়, যখন বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে বড় আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে। পাশাপাশি, সাম্প্রতিক নির্বাচনে রিপাবলিকানদের বড় ধাক্কা লেগেছে। যেখানে ভোটাররা মূল্যস্ফীতির জন্য তাদের দায়ী করেছেন, যা আংশিকভাবে ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের ফল।
ট্রাম্প নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘আমরা ট্রিলিয়ন ডলার আয় করছি এবং শিগগিরই ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বিশাল ঋণ পরিশোধ শুরু করব। যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড বিনিয়োগ হচ্ছে, নতুন কারখানা গড়ে উঠছে সর্বত্র।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘প্রত্যেকের জন্য অন্তত ২ হাজার ডলারের একটি ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে (অবশ্যই উচ্চ আয়ের মানুষ ছাড়া)।’
এর আগে, এই সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের বেশির ভাগ শুল্ক আইনগতভাবে বৈধ কি না, তা নিয়ে শুনানি হয়। বিচারপতিরা শুনানিতে ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাঁরা ইঙ্গিত দেন, এই শুল্ক আসলে রাজস্ব সংগ্রহের এক প্রকার করের মতো কাজ করেছে—বাণিজ্য ভারসাম্যজনিত কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার হাতিয়ার হিসেবে নয়।
যদি আদালত শেষ পর্যন্ত রায় দেয় যে এসব শুল্ক অবৈধ ছিল, তাহলে সরকারকে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ আমদানিকারকদের ফেরত দিতে হতে পারে। রোববার এবিসি নিউজের দিস উইক—অনুষ্ঠানে ট্রেজারি সচিব বা অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, শুল্কের উদ্দেশ্য রাজস্ব আদায় নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ভারসাম্য আনা।
ট্রাম্প এই বছর একাধিকবার এমন ‘শুল্ক ডিভিডেন্ড’ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে সম্প্রতি তিনি নির্দিষ্টভাবে ২ হাজার ডলার পরিমাণের কথাই বলছেন। সুপ্রিম কোর্ট কবে এই শুল্ক মামলার রায় দেবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদি আদালত শুল্ক বহাল রাখে, তাহলে নতুন প্রশ্ন উঠবে—এই ডিভিডেন্ড দেওয়ার অনুমোদন আদৌ আছে কি না, কারা এটি পাবেন, আর এতে সরকারের ঋণ পরিশোধের প্রচেষ্টায় কতটা প্রভাব পড়বে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা করছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগ ইলন মাস্কের নেতৃত্বে পেন্টাগনের কয়েক শ বিলিয়ন ডলারের প্রতারণা ও অপচয় ধরিয়ে দেবেন। এর ফলে মার্কিন প্রতিরক্ষা খাতে অপ্রয়োজনীয় কয়েক শ বিলিয়ন ডলার ব্যয় কমবে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
অবশেষে ৪০ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। মার্কিন সিনেট রিপাবলিকান পার্টি প্রস্তাবিত একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সরকারি অচলাবস্থা অবসানের পথ খুলে দিতে পারে।
১৯ মিনিট আগে
রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
৯ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কাঠামো ও বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার ফলে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আরও ক্ষমতাধর হবেন আর সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমবে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অবশেষে ৪০ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। মার্কিন সিনেট রিপাবলিকান পার্টি প্রস্তাবিত একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সরকারি অচলাবস্থা অবসানের পথ খুলে দিতে পারে।
একদল মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাট সিনেটরের সঙ্গে রিপাবলিকান পার্টির সমঝোতার পর এই অগ্রগতি এসেছে। শর্ত হলো—রিপাবলিকানরা আগামী ডিসেম্বরে মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাওয়া স্বাস্থ্যসেবা ভর্তুকি নিয়ে উত্থাপিত বিলে যদি ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে ডেমোক্র্যাটরা এই তহবিলের বিলে ভোট দেবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত এই তহবিল প্যাকেজে কিছু সরকারি খাত—যেমন খাদ্য সহায়তা ও আইনসভা শাখার অর্থায়ন—চলতি অর্থবছর পর্যন্ত চালু রাখার বিলও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই প্যাকেজের পক্ষে আট ডেমোক্র্যাট সিনেটর ভোট দেন।
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক মাইক হান্না জানিয়েছেন, ডেমোক্র্যাটদের সমর্থনের ফলে সিনেট এখন অচলাবস্থা ভাঙার জন্য প্রয়োজনীয় ৬০ ভোট পেয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘এটিকে ক্লোচার ভোট বলা হয়। এর মাধ্যমে সিনেট সম্মত হয়েছে তহবিল সংক্রান্ত আলোচনা চালিয়ে যেতে এবং সরকার পুনরায় চালুর জন্য প্রয়োজনীয় বিলগুলো পাসের প্রক্রিয়া শুরু করতে।’
হান্না আরও বলেন, ‘ক্লোচার ভোটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—এটি একবার ৬০ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হয়ে গেলে পরবর্তী সব ভোট সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নেওয়া যায়। অর্থাৎ, সিনেটে এখন বিল ও অর্থায়ন প্রস্তাব পাস হওয়া অনেকটাই নিশ্চিত।’
তবে এই সংশোধিত প্যাকেজটি প্রতিনিধি পরিষদে পাস হতে হবে এবং এরপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরের জন্য পাঠাতে হবে। পুরো প্রক্রিয়ায় কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ফ্লোরিডায় সপ্তাহান্তের ছুটি কাটিয়ে হোয়াইট হাউসে ফিরে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, আমরা সরকার শাটডাউন অবসানের খুব কাছাকাছি।’
বর্তমানে টানা ৪০ দিন ধরে চলা এই অচলাবস্থার কারণে হাজারো ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার সরকারি কর্মচারী কর্মবিরতিতে গেছেন এবং লাখো আমেরিকানের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে।

অবশেষে ৪০ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। মার্কিন সিনেট রিপাবলিকান পার্টি প্রস্তাবিত একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সরকারি অচলাবস্থা অবসানের পথ খুলে দিতে পারে।
একদল মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাট সিনেটরের সঙ্গে রিপাবলিকান পার্টির সমঝোতার পর এই অগ্রগতি এসেছে। শর্ত হলো—রিপাবলিকানরা আগামী ডিসেম্বরে মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাওয়া স্বাস্থ্যসেবা ভর্তুকি নিয়ে উত্থাপিত বিলে যদি ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে ডেমোক্র্যাটরা এই তহবিলের বিলে ভোট দেবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত এই তহবিল প্যাকেজে কিছু সরকারি খাত—যেমন খাদ্য সহায়তা ও আইনসভা শাখার অর্থায়ন—চলতি অর্থবছর পর্যন্ত চালু রাখার বিলও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই প্যাকেজের পক্ষে আট ডেমোক্র্যাট সিনেটর ভোট দেন।
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক মাইক হান্না জানিয়েছেন, ডেমোক্র্যাটদের সমর্থনের ফলে সিনেট এখন অচলাবস্থা ভাঙার জন্য প্রয়োজনীয় ৬০ ভোট পেয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘এটিকে ক্লোচার ভোট বলা হয়। এর মাধ্যমে সিনেট সম্মত হয়েছে তহবিল সংক্রান্ত আলোচনা চালিয়ে যেতে এবং সরকার পুনরায় চালুর জন্য প্রয়োজনীয় বিলগুলো পাসের প্রক্রিয়া শুরু করতে।’
হান্না আরও বলেন, ‘ক্লোচার ভোটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—এটি একবার ৬০ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হয়ে গেলে পরবর্তী সব ভোট সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নেওয়া যায়। অর্থাৎ, সিনেটে এখন বিল ও অর্থায়ন প্রস্তাব পাস হওয়া অনেকটাই নিশ্চিত।’
তবে এই সংশোধিত প্যাকেজটি প্রতিনিধি পরিষদে পাস হতে হবে এবং এরপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরের জন্য পাঠাতে হবে। পুরো প্রক্রিয়ায় কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ফ্লোরিডায় সপ্তাহান্তের ছুটি কাটিয়ে হোয়াইট হাউসে ফিরে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, আমরা সরকার শাটডাউন অবসানের খুব কাছাকাছি।’
বর্তমানে টানা ৪০ দিন ধরে চলা এই অচলাবস্থার কারণে হাজারো ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার সরকারি কর্মচারী কর্মবিরতিতে গেছেন এবং লাখো আমেরিকানের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা করছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগ ইলন মাস্কের নেতৃত্বে পেন্টাগনের কয়েক শ বিলিয়ন ডলারের প্রতারণা ও অপচয় ধরিয়ে দেবেন। এর ফলে মার্কিন প্রতিরক্ষা খাতে অপ্রয়োজনীয় কয়েক শ বিলিয়ন ডলার ব্যয় কমবে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশের সব নাগরিককে ২০০০ ডলার করে ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর যে রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন তা থেকে অর্জিত অর্থ থেকে এই ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে।
৩ মিনিট আগে
রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
৯ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কাঠামো ও বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার ফলে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আরও ক্ষমতাধর হবেন আর সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমবে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বাড়িয়েছে। শুক্র থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা হামলায় শত শত ড্রোন ব্যবহার করা হয়, এতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে বলে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এই হামলাগুলো দেশটির একাধিক শহরে বিদ্যুৎ, তাপ এবং পানি সরবরাহ ব্যাহত করেছে। রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি সেন্টনেনার্গো জানিয়েছে, এতে তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে গেছে।
ইউক্রেনার্গো বলেছে, মেরামতের কিছু কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও কিয়েভ, দিনিপ্রোপেত্রভস্ক, দোনেৎস্ক, খারকিভ, পোলতাভা, চেরনিহিভ ও সুমি অঞ্চলে নিয়মিত বিদ্যুৎ-বিভ্রাট চলতে পারে বলে স্থানীয় সময় শনিবার রাতে জানিয়েছেন ইউক্রেনের জ্বালানি উপমন্ত্রী সভিতলানা গ্রিনচুক।
তিনি স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল ইউনাইটেড নিউজকে বলেন, ‘শত্রুপক্ষ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে, যেগুলো প্রতিহত করা অত্যন্ত কঠিন। রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এত বেশি সরাসরি জ্বালানি স্থাপনায় আঘাতের ঘটনা এর আগে দেখা যায়নি।’
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ড্রোন হামলার লক্ষ্য ছিল পশ্চিম ইউক্রেনের দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র। এসব উপকেন্দ্র খমেলনিতস্কি ও রিভনে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে; যেগুলো লুতস্ক শহর থেকে যথাক্রমে ১২০ কিলোমিটার ও ৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
সিবিহা টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ইউরোপের পারমাণবিক নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। আমরা আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বোর্ড অব গভর্নরসের জরুরি বৈঠক আহ্বানের দাবি জানাই, যাতে এই অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, চীন ও ভারত; যারা ঐতিহ্যগতভাবে রুশ তেলের বড় ক্রেতা, তারা যেন মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে এই আক্রমণ বন্ধে ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর এমন হামলা ইউক্রেনকে শীতের আগে তীব্র তাপ সরবরাহ সংকটে ফেলতে পারে। প্রায় চার বছর ধরে চলা রুশ আগ্রাসনে দেশটির বিদ্যুৎ ও তাপ সরবরাহব্যবস্থা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের জ্বালানি কোম্পানি নাফতোগাজ জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহান্তের হামলা অক্টোবরের শুরু থেকে নবম বৃহৎ গ্যাস অবকাঠামো আক্রমণ।
কিয়েভ স্কুল অব ইকোনমিকসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব হামলায় ইউক্রেনের প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের অর্ধেক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
ইউক্রেনের শীর্ষ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ওলেক্সান্দর খারচেঙ্কো বুধবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, যদি কিয়েভের দুটি প্রধান বিদ্যুৎ ও তাপ সরবরাহ কেন্দ্র টানা তিন দিনের বেশি সময় বন্ধ থাকে এবং তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়, তাহলে রাজধানীতে ‘প্রযুক্তিগত বিপর্যয়’ ঘটবে।
এদিকে রুশ হামলার জবাবে ইউক্রেনও সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার তেল মজুত কেন্দ্র ও শোধনাগারে হামলা জোরদার করেছে। এর মাধ্যমে মস্কোর জ্বালানি রপ্তানি ব্যাহত করা এবং দেশজুড়ে জ্বালানি ঘাটতি সৃষ্টি করাই কিয়েভের লক্ষ্য।
রোববার স্থানীয় সময় ভোরে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রিয়া জানিয়েছে, দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৪৪টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে।

রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বাড়িয়েছে। শুক্র থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা হামলায় শত শত ড্রোন ব্যবহার করা হয়, এতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে বলে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এই হামলাগুলো দেশটির একাধিক শহরে বিদ্যুৎ, তাপ এবং পানি সরবরাহ ব্যাহত করেছে। রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি সেন্টনেনার্গো জানিয়েছে, এতে তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে গেছে।
ইউক্রেনার্গো বলেছে, মেরামতের কিছু কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও কিয়েভ, দিনিপ্রোপেত্রভস্ক, দোনেৎস্ক, খারকিভ, পোলতাভা, চেরনিহিভ ও সুমি অঞ্চলে নিয়মিত বিদ্যুৎ-বিভ্রাট চলতে পারে বলে স্থানীয় সময় শনিবার রাতে জানিয়েছেন ইউক্রেনের জ্বালানি উপমন্ত্রী সভিতলানা গ্রিনচুক।
তিনি স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল ইউনাইটেড নিউজকে বলেন, ‘শত্রুপক্ষ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে, যেগুলো প্রতিহত করা অত্যন্ত কঠিন। রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এত বেশি সরাসরি জ্বালানি স্থাপনায় আঘাতের ঘটনা এর আগে দেখা যায়নি।’
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ড্রোন হামলার লক্ষ্য ছিল পশ্চিম ইউক্রেনের দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র। এসব উপকেন্দ্র খমেলনিতস্কি ও রিভনে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে; যেগুলো লুতস্ক শহর থেকে যথাক্রমে ১২০ কিলোমিটার ও ৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
সিবিহা টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ইউরোপের পারমাণবিক নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। আমরা আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বোর্ড অব গভর্নরসের জরুরি বৈঠক আহ্বানের দাবি জানাই, যাতে এই অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, চীন ও ভারত; যারা ঐতিহ্যগতভাবে রুশ তেলের বড় ক্রেতা, তারা যেন মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে এই আক্রমণ বন্ধে ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর এমন হামলা ইউক্রেনকে শীতের আগে তীব্র তাপ সরবরাহ সংকটে ফেলতে পারে। প্রায় চার বছর ধরে চলা রুশ আগ্রাসনে দেশটির বিদ্যুৎ ও তাপ সরবরাহব্যবস্থা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের জ্বালানি কোম্পানি নাফতোগাজ জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহান্তের হামলা অক্টোবরের শুরু থেকে নবম বৃহৎ গ্যাস অবকাঠামো আক্রমণ।
কিয়েভ স্কুল অব ইকোনমিকসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব হামলায় ইউক্রেনের প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের অর্ধেক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
ইউক্রেনের শীর্ষ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ওলেক্সান্দর খারচেঙ্কো বুধবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, যদি কিয়েভের দুটি প্রধান বিদ্যুৎ ও তাপ সরবরাহ কেন্দ্র টানা তিন দিনের বেশি সময় বন্ধ থাকে এবং তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়, তাহলে রাজধানীতে ‘প্রযুক্তিগত বিপর্যয়’ ঘটবে।
এদিকে রুশ হামলার জবাবে ইউক্রেনও সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার তেল মজুত কেন্দ্র ও শোধনাগারে হামলা জোরদার করেছে। এর মাধ্যমে মস্কোর জ্বালানি রপ্তানি ব্যাহত করা এবং দেশজুড়ে জ্বালানি ঘাটতি সৃষ্টি করাই কিয়েভের লক্ষ্য।
রোববার স্থানীয় সময় ভোরে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রিয়া জানিয়েছে, দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৪৪টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা করছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগ ইলন মাস্কের নেতৃত্বে পেন্টাগনের কয়েক শ বিলিয়ন ডলারের প্রতারণা ও অপচয় ধরিয়ে দেবেন। এর ফলে মার্কিন প্রতিরক্ষা খাতে অপ্রয়োজনীয় কয়েক শ বিলিয়ন ডলার ব্যয় কমবে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশের সব নাগরিককে ২০০০ ডলার করে ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর যে রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন তা থেকে অর্জিত অর্থ থেকে এই ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে।
৩ মিনিট আগে
অবশেষে ৪০ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। মার্কিন সিনেট রিপাবলিকান পার্টি প্রস্তাবিত একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সরকারি অচলাবস্থা অবসানের পথ খুলে দিতে পারে।
১৯ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কাঠামো ও বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার ফলে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আরও ক্ষমতাধর হবেন আর সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমবে।
১১ ঘণ্টা আগেসংবিধান সংশোধনী বিল
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কাঠামো ও বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার ফলে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আরও ক্ষমতাধর হবেন আর সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমবে।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই সংশোধনী বিল উত্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজারবাইজান সফরে থাকা অবস্থায় ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভার বৈঠক পরিচালনা করে খসড়াটিতে অনুমোদন দেন। এরপরই বিলটি সিনেটে উপস্থাপন করে পাঠানো হয় আইন ও বিচারবিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে।
আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বিলটি উপস্থাপন করে বলেন, ২৭তম সংশোধনী ২০০৬ সালে পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘চার্টার অব ডেমোক্রেসি’র অংশ, যা ১৮তম সংশোধনীর সময় অসম্পূর্ণ ছিল।
সেনাবাহিনীর কাঠামোয় বড় পরিবর্তন
প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, সংবিধানের ২৪৩ ধারা সংশোধন করে ‘সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি’—এই ধারায় পরিবর্তন আনা হবে। বর্তমানে বিদ্যমান ‘চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি’ পদটি বিলুপ্ত করে নতুন পদ ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ তৈরি করা হবে।
এই নতুন পদ কার্যকর হবে চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর থেকে। সেনাপ্রধান একই সঙ্গে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। এর ফলে সেনাপ্রধানের হাতে কার্যত পুরো সামরিক কাঠামোর নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে।
বিল অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’-এর সুপারিশে একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাকে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
এ ছাড়া সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের দেওয়া সম্মানসূচক উপাধি—ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ারফোর্স ও অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিট আজীবন বহাল থাকবে। এসব উপাধি বাতিল করার ক্ষমতা থাকবে কেবল পার্লামেন্টের হাতে।
বিচারব্যবস্থায় নতুন আদালত, কমবে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা
২৭তম সংশোধনীর সবচেয়ে আলোচিত প্রস্তাব হলো, একটি নতুন আদালত ‘ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট’ গঠন। এই আদালত প্রতিষ্ঠিত হলে সুপ্রিম কোর্টের কিছু সাংবিধানিক ক্ষমতা সরাসরি এখানেই স্থানান্তর হবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, সংবিধানের বিশেষ এখতিয়ার—যেমন সাংবিধানিক ব্যাখ্যা ও বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষমতা নতুন আদালতের হাতে যাবে। এর ফলে সুপ্রিম কোর্টের কর্তৃত্ব অনেকটাই সীমিত হয়ে পড়বে।
এই নতুন আদালতে দেশের চার প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে আর বিচারপতির সংখ্যা নির্ধারণ করবে পার্লামেন্ট। আদালতের প্রধান বিচারপতির মেয়াদ হবে তিন বছর।
বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা আরও বাড়বে। অর্থাৎ, বিচারব্যবস্থার ওপর নির্বাহী বিভাগের প্রভাব বাড়বে—যা স্বাধীন বিচারব্যবস্থার জন্য উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করছেন বিশ্লেষকেরা।
রাষ্ট্রপতির আজীবন দায়মুক্তি
প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি আজীবনের জন্য ফৌজদারি মামলার দায়মুক্তি পাবেন। অর্থাৎ, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ আনা যাবে না বা কোনো আদালত তাতে শুনানি করতে পারবেন না।
সংশোধনীর মূল বিষয়গুলো সংক্ষেপে—
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সংশোধনীর মাধ্যমে পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর প্রভাব আরও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সাংবিধানিক ভারসাম্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস পদটি বাস্তবায়িত হলে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির কার্যত রাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়ে উঠবেন, যাঁর ওপর প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টও নির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারে।
অন্যদিকে নতুন আদালত গঠনের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক ভূমিকা দুর্বল হয়ে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতিরা।

পাকিস্তানের সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কাঠামো ও বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার ফলে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আরও ক্ষমতাধর হবেন আর সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমবে।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই সংশোধনী বিল উত্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজারবাইজান সফরে থাকা অবস্থায় ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভার বৈঠক পরিচালনা করে খসড়াটিতে অনুমোদন দেন। এরপরই বিলটি সিনেটে উপস্থাপন করে পাঠানো হয় আইন ও বিচারবিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে।
আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বিলটি উপস্থাপন করে বলেন, ২৭তম সংশোধনী ২০০৬ সালে পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘চার্টার অব ডেমোক্রেসি’র অংশ, যা ১৮তম সংশোধনীর সময় অসম্পূর্ণ ছিল।
সেনাবাহিনীর কাঠামোয় বড় পরিবর্তন
প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, সংবিধানের ২৪৩ ধারা সংশোধন করে ‘সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি’—এই ধারায় পরিবর্তন আনা হবে। বর্তমানে বিদ্যমান ‘চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি’ পদটি বিলুপ্ত করে নতুন পদ ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ তৈরি করা হবে।
এই নতুন পদ কার্যকর হবে চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর থেকে। সেনাপ্রধান একই সঙ্গে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। এর ফলে সেনাপ্রধানের হাতে কার্যত পুরো সামরিক কাঠামোর নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে।
বিল অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’-এর সুপারিশে একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাকে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
এ ছাড়া সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের দেওয়া সম্মানসূচক উপাধি—ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ারফোর্স ও অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিট আজীবন বহাল থাকবে। এসব উপাধি বাতিল করার ক্ষমতা থাকবে কেবল পার্লামেন্টের হাতে।
বিচারব্যবস্থায় নতুন আদালত, কমবে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা
২৭তম সংশোধনীর সবচেয়ে আলোচিত প্রস্তাব হলো, একটি নতুন আদালত ‘ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট’ গঠন। এই আদালত প্রতিষ্ঠিত হলে সুপ্রিম কোর্টের কিছু সাংবিধানিক ক্ষমতা সরাসরি এখানেই স্থানান্তর হবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, সংবিধানের বিশেষ এখতিয়ার—যেমন সাংবিধানিক ব্যাখ্যা ও বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষমতা নতুন আদালতের হাতে যাবে। এর ফলে সুপ্রিম কোর্টের কর্তৃত্ব অনেকটাই সীমিত হয়ে পড়বে।
এই নতুন আদালতে দেশের চার প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে আর বিচারপতির সংখ্যা নির্ধারণ করবে পার্লামেন্ট। আদালতের প্রধান বিচারপতির মেয়াদ হবে তিন বছর।
বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা আরও বাড়বে। অর্থাৎ, বিচারব্যবস্থার ওপর নির্বাহী বিভাগের প্রভাব বাড়বে—যা স্বাধীন বিচারব্যবস্থার জন্য উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করছেন বিশ্লেষকেরা।
রাষ্ট্রপতির আজীবন দায়মুক্তি
প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি আজীবনের জন্য ফৌজদারি মামলার দায়মুক্তি পাবেন। অর্থাৎ, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ আনা যাবে না বা কোনো আদালত তাতে শুনানি করতে পারবেন না।
সংশোধনীর মূল বিষয়গুলো সংক্ষেপে—
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সংশোধনীর মাধ্যমে পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর প্রভাব আরও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সাংবিধানিক ভারসাম্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস পদটি বাস্তবায়িত হলে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির কার্যত রাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়ে উঠবেন, যাঁর ওপর প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টও নির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারে।
অন্যদিকে নতুন আদালত গঠনের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক ভূমিকা দুর্বল হয়ে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতিরা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা করছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগ ইলন মাস্কের নেতৃত্বে পেন্টাগনের কয়েক শ বিলিয়ন ডলারের প্রতারণা ও অপচয় ধরিয়ে দেবেন। এর ফলে মার্কিন প্রতিরক্ষা খাতে অপ্রয়োজনীয় কয়েক শ বিলিয়ন ডলার ব্যয় কমবে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশের সব নাগরিককে ২০০০ ডলার করে ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর যে রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন তা থেকে অর্জিত অর্থ থেকে এই ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে।
৩ মিনিট আগে
অবশেষে ৪০ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। মার্কিন সিনেট রিপাবলিকান পার্টি প্রস্তাবিত একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সরকারি অচলাবস্থা অবসানের পথ খুলে দিতে পারে।
১৯ মিনিট আগে
রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
৯ ঘণ্টা আগে