আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির মধ্যে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সমাধান না এলেও অগ্রগতির একটি ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ইউক্রেন, জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, ফিনল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো নেতাদের অংশগ্রহণে বৈঠকটি ছিল যেন এক ঐক্যের প্রদর্শনী। তবে বহু প্রশ্ন এখনো অমীমাংসিতই রয়ে গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক থেকে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাওয়া গেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমসের প্রতিবেদনের আলোকে দেখা যাক বিষয়গুলো কী কী—
পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠকের সম্ভাবনা
২০১৯ সালে প্যারিসে সর্বশেষ পুতিন ও জেলেনস্কি মুখোমুখি হয়েছিলেন। এরপর রুশ প্রেসিডেন্ট নানা শর্ত আরোপ করে বৈঠক এড়িয়ে গেছেন। তবে ট্রাম্পের সরাসরি হস্তক্ষেপে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। হোয়াইট হাউসে সোমবার জেলেনস্কি ও তাঁর মিত্র ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের মাঝপথে ট্রাম্প পুতিনকে ফোন করে তিন পক্ষের একটি বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ জানান, পুতিন দুই সপ্তাহের মধ্যেই জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রতিশ্রুতি
ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্ররা বহুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নিশ্চয়তার দাবি জানিয়ে আসছিল। ট্রাম্প অবশেষে তাতে সাড়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের (ইউক্রেন) ভালো সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দেব।’ তবে এই নিশ্চয়তার সুনির্দিষ্ট রূপ কী হবে তা এখনো অস্পষ্ট। ট্রাম্প সেনা পাঠানোর বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি, তবে তা পুরোপুরি নাকচও করেননি। জেলেনস্কি নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশ হিসেবে ৯০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রচুক্তির কথাও উল্লেখ করেন।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে মতবিরোধ
ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পের সঙ্গে ঐক্য প্রদর্শন করলেও যুদ্ধবিরতির প্রশ্নে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। জার্মান চ্যান্সেলর মার্জ বলেন, কোনো বৈঠকের আগে যুদ্ধবিরতি অপরিহার্য। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁও একই মত প্রকাশ করেন। কিন্তু ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। ফলে আলোচনায় সূক্ষ্ম বিভাজন স্পষ্ট হয়।
জেলেনস্কির কূটনৈতিক কৌশল
গত ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ব্যর্থ বৈঠকের পর এবার জেলেনস্কি প্রস্তুত হয়েই এসেছিলেন। প্রতিটি বক্তব্যে তিনি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান, যা আমেরিকান নেতার কাছে ভালোভাবে গ্রহণযোগ্য হয়। এ ছাড়া এবার তিনি পোশাকেও শালীনতা বজায় রেখেছিলেন, ফলে আগেরবারের মতো বিদ্রূপের শিকার হতে হয়নি। এবার তাঁর পোশাকের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্পও।
জেলেনস্কি এবার তাঁর স্ত্রী ওলেনার পক্ষ থেকে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের জন্য একটি চিঠিও উপহার দেন। এটি বৈঠকের পরিবেশকে আরও অনুকূল করে।
বৈঠকে পুতিনের ছায়া
বৈঠকের প্রতিটি মুহূর্তে পুতিনের প্রভাব অনুভূত হয়েছে। ট্রাম্প বৈঠক চলাকালীনই ফোনে পুতিনকে আলোচনার অগ্রগতি জানান। এমনকি তিনি মাখোঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমার মনে হয়, পুতিন একটি সমঝোতা করতে চান।’ তবে ইউরোপীয় নেতারা এই বিষয়ে সংশয়ী ছিলেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, পুতিন কখনোই শান্তির ব্যাপারে আন্তরিক ছিলেন না। এখন অগ্রগতি নির্ভর করছে, প্রস্তাবিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে পুতিন যোগ দেবেন কি না।
হোয়াইট হাউস সম্মেলনে অনেক প্রশ্নেরই উত্তর মেলেনি, তবে এটি নিঃসন্দেহে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠক যদি সত্যিই অনুষ্ঠিত হয়, তবে যুদ্ধ সমাপ্তির পথে এটি হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবুও পুতিনের প্রতি আস্থা রাখা নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের শঙ্কা রয়েই গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির মধ্যে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সমাধান না এলেও অগ্রগতির একটি ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ইউক্রেন, জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, ফিনল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো নেতাদের অংশগ্রহণে বৈঠকটি ছিল যেন এক ঐক্যের প্রদর্শনী। তবে বহু প্রশ্ন এখনো অমীমাংসিতই রয়ে গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক থেকে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাওয়া গেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমসের প্রতিবেদনের আলোকে দেখা যাক বিষয়গুলো কী কী—
পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠকের সম্ভাবনা
২০১৯ সালে প্যারিসে সর্বশেষ পুতিন ও জেলেনস্কি মুখোমুখি হয়েছিলেন। এরপর রুশ প্রেসিডেন্ট নানা শর্ত আরোপ করে বৈঠক এড়িয়ে গেছেন। তবে ট্রাম্পের সরাসরি হস্তক্ষেপে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। হোয়াইট হাউসে সোমবার জেলেনস্কি ও তাঁর মিত্র ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের মাঝপথে ট্রাম্প পুতিনকে ফোন করে তিন পক্ষের একটি বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ জানান, পুতিন দুই সপ্তাহের মধ্যেই জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রতিশ্রুতি
ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্ররা বহুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নিশ্চয়তার দাবি জানিয়ে আসছিল। ট্রাম্প অবশেষে তাতে সাড়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের (ইউক্রেন) ভালো সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দেব।’ তবে এই নিশ্চয়তার সুনির্দিষ্ট রূপ কী হবে তা এখনো অস্পষ্ট। ট্রাম্প সেনা পাঠানোর বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি, তবে তা পুরোপুরি নাকচও করেননি। জেলেনস্কি নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশ হিসেবে ৯০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রচুক্তির কথাও উল্লেখ করেন।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে মতবিরোধ
ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পের সঙ্গে ঐক্য প্রদর্শন করলেও যুদ্ধবিরতির প্রশ্নে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। জার্মান চ্যান্সেলর মার্জ বলেন, কোনো বৈঠকের আগে যুদ্ধবিরতি অপরিহার্য। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁও একই মত প্রকাশ করেন। কিন্তু ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। ফলে আলোচনায় সূক্ষ্ম বিভাজন স্পষ্ট হয়।
জেলেনস্কির কূটনৈতিক কৌশল
গত ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ব্যর্থ বৈঠকের পর এবার জেলেনস্কি প্রস্তুত হয়েই এসেছিলেন। প্রতিটি বক্তব্যে তিনি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান, যা আমেরিকান নেতার কাছে ভালোভাবে গ্রহণযোগ্য হয়। এ ছাড়া এবার তিনি পোশাকেও শালীনতা বজায় রেখেছিলেন, ফলে আগেরবারের মতো বিদ্রূপের শিকার হতে হয়নি। এবার তাঁর পোশাকের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্পও।
জেলেনস্কি এবার তাঁর স্ত্রী ওলেনার পক্ষ থেকে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের জন্য একটি চিঠিও উপহার দেন। এটি বৈঠকের পরিবেশকে আরও অনুকূল করে।
বৈঠকে পুতিনের ছায়া
বৈঠকের প্রতিটি মুহূর্তে পুতিনের প্রভাব অনুভূত হয়েছে। ট্রাম্প বৈঠক চলাকালীনই ফোনে পুতিনকে আলোচনার অগ্রগতি জানান। এমনকি তিনি মাখোঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমার মনে হয়, পুতিন একটি সমঝোতা করতে চান।’ তবে ইউরোপীয় নেতারা এই বিষয়ে সংশয়ী ছিলেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, পুতিন কখনোই শান্তির ব্যাপারে আন্তরিক ছিলেন না। এখন অগ্রগতি নির্ভর করছে, প্রস্তাবিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে পুতিন যোগ দেবেন কি না।
হোয়াইট হাউস সম্মেলনে অনেক প্রশ্নেরই উত্তর মেলেনি, তবে এটি নিঃসন্দেহে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠক যদি সত্যিই অনুষ্ঠিত হয়, তবে যুদ্ধ সমাপ্তির পথে এটি হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবুও পুতিনের প্রতি আস্থা রাখা নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের শঙ্কা রয়েই গেছে।
মালয়েশিয়ার তেরেংগানু প্রদেশে মুসলিম পুরুষদের জন্য শুক্রবারের জুমার নামাজে হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর এই নিয়ম ভাঙলে শাস্তির বিধানও ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন আইনে বলা হয়েছে—কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া জুমার নামাজ বাদ দিলে মুসলিম পুরুষদের দুই বছরের কারাদণ্ড কিংবা সর্বোচ্চ তিন হাজার রিঙ্গিত (৮৬ হাজার টাকা)
১৭ মিনিট আগেআলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তাঁদের আলোচনা যতটা প্রীতিময় ছিল, বাস্তব সমাধানের দিক থেকে ততটাই শূন্য। কূটনৈতিক ভঙ্গিমা, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আবহে বৈঠক চ
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন ও ভিয়েতনামের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করায় উইগ ও উইভ তৈরিতে ব্যবহৃত হেয়ার এক্সটেনশন ও আঠার দাম অনেক বেড়ে গেছে। কৃষ্ণাঙ্গ সৌন্দর্য পণ্যের বড় অংশই এই দুই দেশ থেকে আমদানি করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেভারত-চীন সম্পর্কের উন্নতির ধারায় নতুন মাত্রা যোগ হলো রেয়ার আর্থ তথা বিরল খনিজ নিয়ে। বৈদ্যুতিক গাড়ি, ইলেকট্রনিক ব্যাটারি, মহাকাশ থেকে শুরু করে বর্তমান বিশ্বে এ ধরনের খনিজ এখন অপরিহার্য উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ভারতের বিরল খনিজের প্রয়োজন মেটাতে তারা পদক্ষেপ নেবে।
৩ ঘণ্টা আগে