আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের অনুমোদন ছাড়া কোনো সামরিক তথ্য প্রকাশ করতে পারবে না সাংবাদিকেরা। সম্প্রতি সাংবাদিকদের কাছে একটি মেমো পাঠিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল। ওই মেমোতে আরও জানানো হয়েছে, যারা এই শর্ত মানবে না, তারা পেন্টাগনের সংবাদ কভারের অধিকার হারাবে।
এই পদক্ষেপকে ট্রাম্প প্রশাসনের মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণের একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির তথ্যমতে, নতুন নিয়মের অংশ হিসেবে প্রেস পাস পেতে সাংবাদিকদের একটি ১০ পৃষ্ঠার ফর্মে স্বাক্ষর করতে হবে। স্বাক্ষরকারী সাংবাদিকদের মেনে নিতে হবে যে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমোদন ছাড়া কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না, এমনকি তা আনক্লাসিফায়েড হলেও।
নতুন এই নিয়মের পক্ষে পেন্টাগনের সাফাই—জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোপন তথ্য এবং নিয়ন্ত্রিত অগোপন তথ্য সুরক্ষিত রাখতে এটি প্রয়োজন ছিল।
এরই মধ্যে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন পেন্টাগনের এই নতুন নিয়মের কড়া সমালোচনা করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি এই নিয়ম বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। তাদের ভাষ্য—এ ধরনের বিধি নিষেধ মানুষের কাছে স্বচ্ছ তথ্য পৌঁছানোর প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।
তীব্র নিন্দা জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমসও। নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, গণতন্ত্রে স্বাধীন সাংবাদিকতার যে সংবিধানিক অধিকার রয়েছে তাকে পুরোপুরি থামিয়ে দিচ্ছে এই ধরনের বিধিনিষেধ।
ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারাও এই সিদ্ধান্তকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন। সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সিনিয়র সদস্য রোড আইল্যান্ডের সিনেটর জ্যাক রিড বলেছেন, ‘এই নিয়ম স্বাধীন মত প্রকাশ এবং সাংবাদিকতার জন্য একেবারেই অনুচিত আঘাত।’
রিড বলেন, ‘মূলত প্রশাসন নিজেদের ভুল-ত্রুটি ঢেকে রাখতে সাংবাদিকতার ওপর এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। সাংবাদিকতাকে দমন করে সত্য লুকিয়ে রাখতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকার সাংবাদিকদের শুধু ক্ষমতাসীন দলের বা পেন্টাগনের নোট রক্ষক হয়ে থাকা উচিত নয়।’
গত শুক্রবার সামাজিক মাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ লিখেছেন, ‘পেন্টাগন সাংবাদিকদের দ্বারা পরিচালিত হয় না। এটি পরিচালনা করে দেশের জনগণ।’
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার সামনে এসেছে প্রেস-প্রশাসন বিরোধ। গত সপ্তাহেই রক্ষণশীল রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্কের হত্যা নিয়ে মন্তব্যের জেরে ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির এবিসি নেটওয়ার্ককে জিমি কিমেলের লেইটা নাইট শো ‘জিমি কিমেল লাইভ’ বন্ধ করে দিতে বাধ্য করে দিতে দেখা যায়। অনেকেরই ধারণা প্রশাসনের চাপেই এমনটা করতে হয়েছে নেটওয়ার্কটিকে।
এর আগে গত এপ্রিলে হোয়াইট হাউসে বার্তা সংস্থা এপির প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। গালফ অব মেক্সিকোকে ট্রাম্পের নির্দেশনা অনুযায়ী, গালফ অব আমেরিকা হিসেবে উল্লেখ করতে রাজি না হওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয় সংবাদ সংস্থাটিকে। পরে, আদালতের হস্তক্ষেপে এপির প্রবেশাধিকার পুনর্বহাল করা হয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের অনুমোদন ছাড়া কোনো সামরিক তথ্য প্রকাশ করতে পারবে না সাংবাদিকেরা। সম্প্রতি সাংবাদিকদের কাছে একটি মেমো পাঠিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল। ওই মেমোতে আরও জানানো হয়েছে, যারা এই শর্ত মানবে না, তারা পেন্টাগনের সংবাদ কভারের অধিকার হারাবে।
এই পদক্ষেপকে ট্রাম্প প্রশাসনের মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণের একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির তথ্যমতে, নতুন নিয়মের অংশ হিসেবে প্রেস পাস পেতে সাংবাদিকদের একটি ১০ পৃষ্ঠার ফর্মে স্বাক্ষর করতে হবে। স্বাক্ষরকারী সাংবাদিকদের মেনে নিতে হবে যে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমোদন ছাড়া কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না, এমনকি তা আনক্লাসিফায়েড হলেও।
নতুন এই নিয়মের পক্ষে পেন্টাগনের সাফাই—জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোপন তথ্য এবং নিয়ন্ত্রিত অগোপন তথ্য সুরক্ষিত রাখতে এটি প্রয়োজন ছিল।
এরই মধ্যে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন পেন্টাগনের এই নতুন নিয়মের কড়া সমালোচনা করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি এই নিয়ম বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। তাদের ভাষ্য—এ ধরনের বিধি নিষেধ মানুষের কাছে স্বচ্ছ তথ্য পৌঁছানোর প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।
তীব্র নিন্দা জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমসও। নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, গণতন্ত্রে স্বাধীন সাংবাদিকতার যে সংবিধানিক অধিকার রয়েছে তাকে পুরোপুরি থামিয়ে দিচ্ছে এই ধরনের বিধিনিষেধ।
ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারাও এই সিদ্ধান্তকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন। সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সিনিয়র সদস্য রোড আইল্যান্ডের সিনেটর জ্যাক রিড বলেছেন, ‘এই নিয়ম স্বাধীন মত প্রকাশ এবং সাংবাদিকতার জন্য একেবারেই অনুচিত আঘাত।’
রিড বলেন, ‘মূলত প্রশাসন নিজেদের ভুল-ত্রুটি ঢেকে রাখতে সাংবাদিকতার ওপর এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। সাংবাদিকতাকে দমন করে সত্য লুকিয়ে রাখতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকার সাংবাদিকদের শুধু ক্ষমতাসীন দলের বা পেন্টাগনের নোট রক্ষক হয়ে থাকা উচিত নয়।’
গত শুক্রবার সামাজিক মাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ লিখেছেন, ‘পেন্টাগন সাংবাদিকদের দ্বারা পরিচালিত হয় না। এটি পরিচালনা করে দেশের জনগণ।’
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার সামনে এসেছে প্রেস-প্রশাসন বিরোধ। গত সপ্তাহেই রক্ষণশীল রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্কের হত্যা নিয়ে মন্তব্যের জেরে ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির এবিসি নেটওয়ার্ককে জিমি কিমেলের লেইটা নাইট শো ‘জিমি কিমেল লাইভ’ বন্ধ করে দিতে বাধ্য করে দিতে দেখা যায়। অনেকেরই ধারণা প্রশাসনের চাপেই এমনটা করতে হয়েছে নেটওয়ার্কটিকে।
এর আগে গত এপ্রিলে হোয়াইট হাউসে বার্তা সংস্থা এপির প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। গালফ অব মেক্সিকোকে ট্রাম্পের নির্দেশনা অনুযায়ী, গালফ অব আমেরিকা হিসেবে উল্লেখ করতে রাজি না হওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয় সংবাদ সংস্থাটিকে। পরে, আদালতের হস্তক্ষেপে এপির প্রবেশাধিকার পুনর্বহাল করা হয়।
অবশেষে বহুল প্রতীক্ষিত টিকটক চুক্তি সম্ভবত ঘনিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর চীনা সমকক্ষ সি চিনপিং আগামী শুক্রবার এই চুক্তির শর্ত নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে, উভয় পক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তারা একটি ‘ফ্রেমওয়ার্কে’ পৌঁছেছেন। ফ্রেমওয়ার্ক অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের
১৭ মিনিট আগেভারতেও নেপালের মতো জেন-জি আন্দোলন দানা বাঁধতে পারে। গতকাল শনিবার এক অনুষ্ঠানে গিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক দল ভারত রাষ্ট্র সমিতির কার্য নির্বাহী সভাপতি কে টি রামা রাও। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, যদি সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়, তবে ভারতেও নেপালের মতো প্রতিবাদ দেখা দিতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগেগাজায় যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চুক্তির মধ্যস্থতায় ফেরার আগে দোহায় হামলার জন্য ইসরায়েলকে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায়, কাতার আর মধ্যস্থতায় ফিরবে না। এমনটাই ইসরায়েলকে জানিয়েছে দোহা। এ বিষয়ে অবগত দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস।
৪ ঘণ্টা আগেজাপানে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্ব নির্বাচনের দৌড়ে অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছেন সানায়ে তাকাইচি। জাপানের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন হতে যাচ্ছে, কারণ এই দেশে নারী নেত্রী এখনো বিরল।
৪ ঘণ্টা আগে