দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েলের চেয়ে বেশি মার্কিন সামরিক সহায়তা কোনো দেশই পায়নি। তবে গাজায় যে গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল, তাতে ওয়াশিংটনও ইসরায়েলকে বিলিয়ন ডলারের সামরিক তহবিল এবং অন্যান্য সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে শর্ত আরোপে বাধ্য হয়েছে।
গাজায় বেসামরিক নাগরিক হত্যা বন্ধ করতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গত সপ্তাহেই আলটিমেটাম দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, গাজার বেসামরিক নাগরিক ও ত্রাণসহায়তাকর্মীদের হত্যা বন্ধ না হলে হামাসবিরোধী লড়াইয়ে ইসরায়েলকে আর সহায়তা দেবে না তাঁর দেশ। তবে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে কী পরিমাণ সহায়তা দেবে তা একবার দেখে নেওয়া যাক।
২০১৬ সালে মার্কিন এবং ইসরায়েলি সরকার তৃতীয়বারের মতো ১০ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির অধীনে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত—এই ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে মোট ৩৮০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেবে। এর মধ্যে সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ৩৩০০ কোটি ডলার এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য থাকবে ৫০০ কোটি ডলার।
এবার দেখা যাক কী কী উন্নত অস্ত্র পাবে ইসরায়েল। প্রযুক্তিগতভাবে এখন পর্যন্ত তৈরি সবচেয়ে উন্নত ফাইটার জেট হিসেবে ধরা হয় এফ-৩৫ জয়েন্ট স্ট্রাইক ফাইটারকে। এই যুদ্ধবিমান আন্তর্জাতিকভাবে প্রথম ব্যবহার করেছে ইসরায়েল। ৭৫টি এফ-৩৫ জয়েন্ট স্ট্রাইক ফাইটার কিনতে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত বছরও এই ধরনের ৩৬টি যুদ্ধবিমান কিনেছিল তারা। আর মার্কিন সহায়তা থেকেই এসবের টাকা পরিশোধ করেছে ইসরায়েল।
২০০৬ সালে ইসরায়েল এবং লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধের পর স্বল্প পরিসরের আয়রন ডোম রকেট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিকাশ ও অস্ত্র তৈরিতে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলকে তার ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়তে তুলতেও বেশ কয়েকবার মিলিয়ন ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
১০০ থেকে ২০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল থেকে ১২৪ মাইল) দূরে ছোড়া রকেটকে গুলি করার জন্য তৈরি সামরিক ব্যবস্থা হচ্ছে ডেভিড’স স্লিং সিস্টেম। এই ব্যবস্থার উন্নয়নেও অর্থ সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েল আরও সামরিক সহায়তা পাবে কিনা তা নিয়েও চলছে আলোচনা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত বছর কংগ্রেসকে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সম্পূরক ব্যয় বিল অনুমোদন করতে বলেছিলেন। এই বিলের মধ্যে ইসরায়েলের জন্য ১৪০০ কোটি, ইউক্রেনের জন্য ৬০০ কোটি ডলার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গত ফেব্রুয়ারিতে বিলটি সিনেটে ৭০ শতাংশ সমর্থন পেলেও আটকে গেছে নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে। রিপাবলিকান আইন প্রণেতাদের ইউক্রেনে সহায়তা দেওয়ায় আপত্তির কারণেই মূলত বিলটি আটকে গেছে।
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩৩ হাজার। এ অবস্থায় মুষ্টিমেয় বামঘেঁষা ডেমোক্র্যাটদের প্রবল আপত্তির মুখে ইসরায়েলে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে শর্ত আরোপে বাধ্য হয় বাইডেন প্রশাসন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েলের চেয়ে বেশি মার্কিন সামরিক সহায়তা কোনো দেশই পায়নি। তবে গাজায় যে গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল, তাতে ওয়াশিংটনও ইসরায়েলকে বিলিয়ন ডলারের সামরিক তহবিল এবং অন্যান্য সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে শর্ত আরোপে বাধ্য হয়েছে।
গাজায় বেসামরিক নাগরিক হত্যা বন্ধ করতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গত সপ্তাহেই আলটিমেটাম দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, গাজার বেসামরিক নাগরিক ও ত্রাণসহায়তাকর্মীদের হত্যা বন্ধ না হলে হামাসবিরোধী লড়াইয়ে ইসরায়েলকে আর সহায়তা দেবে না তাঁর দেশ। তবে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে কী পরিমাণ সহায়তা দেবে তা একবার দেখে নেওয়া যাক।
২০১৬ সালে মার্কিন এবং ইসরায়েলি সরকার তৃতীয়বারের মতো ১০ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির অধীনে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত—এই ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে মোট ৩৮০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেবে। এর মধ্যে সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ৩৩০০ কোটি ডলার এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য থাকবে ৫০০ কোটি ডলার।
এবার দেখা যাক কী কী উন্নত অস্ত্র পাবে ইসরায়েল। প্রযুক্তিগতভাবে এখন পর্যন্ত তৈরি সবচেয়ে উন্নত ফাইটার জেট হিসেবে ধরা হয় এফ-৩৫ জয়েন্ট স্ট্রাইক ফাইটারকে। এই যুদ্ধবিমান আন্তর্জাতিকভাবে প্রথম ব্যবহার করেছে ইসরায়েল। ৭৫টি এফ-৩৫ জয়েন্ট স্ট্রাইক ফাইটার কিনতে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত বছরও এই ধরনের ৩৬টি যুদ্ধবিমান কিনেছিল তারা। আর মার্কিন সহায়তা থেকেই এসবের টাকা পরিশোধ করেছে ইসরায়েল।
২০০৬ সালে ইসরায়েল এবং লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধের পর স্বল্প পরিসরের আয়রন ডোম রকেট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিকাশ ও অস্ত্র তৈরিতে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলকে তার ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়তে তুলতেও বেশ কয়েকবার মিলিয়ন ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
১০০ থেকে ২০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল থেকে ১২৪ মাইল) দূরে ছোড়া রকেটকে গুলি করার জন্য তৈরি সামরিক ব্যবস্থা হচ্ছে ডেভিড’স স্লিং সিস্টেম। এই ব্যবস্থার উন্নয়নেও অর্থ সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েল আরও সামরিক সহায়তা পাবে কিনা তা নিয়েও চলছে আলোচনা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত বছর কংগ্রেসকে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সম্পূরক ব্যয় বিল অনুমোদন করতে বলেছিলেন। এই বিলের মধ্যে ইসরায়েলের জন্য ১৪০০ কোটি, ইউক্রেনের জন্য ৬০০ কোটি ডলার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গত ফেব্রুয়ারিতে বিলটি সিনেটে ৭০ শতাংশ সমর্থন পেলেও আটকে গেছে নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে। রিপাবলিকান আইন প্রণেতাদের ইউক্রেনে সহায়তা দেওয়ায় আপত্তির কারণেই মূলত বিলটি আটকে গেছে।
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩৩ হাজার। এ অবস্থায় মুষ্টিমেয় বামঘেঁষা ডেমোক্র্যাটদের প্রবল আপত্তির মুখে ইসরায়েলে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে শর্ত আরোপে বাধ্য হয় বাইডেন প্রশাসন।
ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এই পদক্ষেপ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্যকেই নাড়িয়ে দেয়নি, বরং এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব রাজনীতিতেও। মস্কো থেকে এর প্রতিক্রিয়া এসেছে দ্রুত ও তীব্রভাবে।
২ ঘণ্টা আগেমিছিলে অংশ নেন শতাধিক দলীয় কর্মী, সমর্থক, ছাত্র, যুব ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি। ‘আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক’, ‘ইরানে বোমাবাজি চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর হয় গোটা এলাকা। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ইরানি গণমাধ্যম ও স্থানীয় কর্মকর্তারা।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এই প্রস্তাবের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে