আজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়া ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ফিরে পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর সামাজিক মাধ্যমে এমনটাই লিখেছেন ট্রাম্প।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজ মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমার ধারণা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থনে ইউক্রেন এখন লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী। সময়, ধৈর্য এবং ইউরোপ বিশেষ করে ন্যাটোর সহায়তায় ইউক্রেন তার আসল সীমানা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম বলে আমি মনে করি।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের দৃঢ় সমর্থন যদি অব্যাহত থাকে, তবে এটি জেলেনস্কির জন্য একটি বড় জয় হবে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে চাপ বজায় রাখতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দীর্ঘদিন ধরে আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন তিনি।
তারা আরও বলছেন, এ অবস্থান ট্রাম্পের পূর্ববর্তী মন্তব্য থেকে একেবারেই আলাদা। এর আগে তিনি বলেছিলেন ইউক্রেন কখনোই ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলে যাওয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপসহ সব ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। সেই মন্তব্য ইউক্রেন, ইউরোপীয় মিত্রদের হতাশ করেছিল এবং জাতিসংঘের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার নীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল।
তবে এখন ট্রাম্পের যুদ্ধক্ষেত্র-সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি ইউক্রেনের অবস্থানের সঙ্গেই বেশি মিলছে বলে জানান জেলেনস্কি। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প নিজেই এক গেম চেঞ্জার।’
গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প একাধিকবার বলেছিলেন হোয়াইট হাউসে ফেরার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। কিন্তু ইস্যুটি নিয়ে কাজ শুরুর পর ট্রাম্প টের পেয়েছেন আসলে এতটাই সহজ নয়। গত মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠকও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এরপরই যেন সবকিছু আরও স্থবির হয়ে গেছে।
তবে, জাতিসংঘের ভাষণে ট্রাম্প বলেন, তিনি ভেবেছিলেন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা খুবই সহজ হবে কারণ পুতিনের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক বেশ ভালো। এর পর তিনি রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত দেন। এবং ইউরোপকেও একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে ইঙ্গিত দেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘রাশিয়া সাড়ে তিন বছর ধরে যুদ্ধ চালাচ্ছে। সত্যিই যদি রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা অতটাই শক্তিশালী হতো তাহলে এক সপ্তাহেরও কম সময়ে তারা জিতে যেত। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এ থেকে প্রমাণিত হয় রাশিয়া আসলে শুধু কাগজে কলমেই “বাঘ”।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণে ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, কারণ এটি মূলত ‘একটি ছোটখাটো সংঘর্ষ’ হওয়ার কথা ছিল। তাঁর ভাষায়, ‘এটি দেখিয়ে দিচ্ছে নেতৃত্ব কী। খারাপ নেতৃত্ব একটি দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে।’
জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেন, ‘সংঘাতের অবসানে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হলো রাশিয়ার অর্থনীতি এখন ভয়াবহ অবস্থায়।’ জেলেনস্কি এতে সম্মতি জানিয়ে রুশ তেল ও গ্যাস আমদানি বন্ধে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি ট্রাম্পের আহ্বানকে সমর্থন করেন। বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘ইউক্রেন যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আমরা তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।’
রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়া ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ফিরে পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর সামাজিক মাধ্যমে এমনটাই লিখেছেন ট্রাম্প।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজ মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমার ধারণা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থনে ইউক্রেন এখন লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী। সময়, ধৈর্য এবং ইউরোপ বিশেষ করে ন্যাটোর সহায়তায় ইউক্রেন তার আসল সীমানা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম বলে আমি মনে করি।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের দৃঢ় সমর্থন যদি অব্যাহত থাকে, তবে এটি জেলেনস্কির জন্য একটি বড় জয় হবে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে চাপ বজায় রাখতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দীর্ঘদিন ধরে আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন তিনি।
তারা আরও বলছেন, এ অবস্থান ট্রাম্পের পূর্ববর্তী মন্তব্য থেকে একেবারেই আলাদা। এর আগে তিনি বলেছিলেন ইউক্রেন কখনোই ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলে যাওয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপসহ সব ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। সেই মন্তব্য ইউক্রেন, ইউরোপীয় মিত্রদের হতাশ করেছিল এবং জাতিসংঘের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার নীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল।
তবে এখন ট্রাম্পের যুদ্ধক্ষেত্র-সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি ইউক্রেনের অবস্থানের সঙ্গেই বেশি মিলছে বলে জানান জেলেনস্কি। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প নিজেই এক গেম চেঞ্জার।’
গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প একাধিকবার বলেছিলেন হোয়াইট হাউসে ফেরার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। কিন্তু ইস্যুটি নিয়ে কাজ শুরুর পর ট্রাম্প টের পেয়েছেন আসলে এতটাই সহজ নয়। গত মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠকও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এরপরই যেন সবকিছু আরও স্থবির হয়ে গেছে।
তবে, জাতিসংঘের ভাষণে ট্রাম্প বলেন, তিনি ভেবেছিলেন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা খুবই সহজ হবে কারণ পুতিনের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক বেশ ভালো। এর পর তিনি রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত দেন। এবং ইউরোপকেও একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে ইঙ্গিত দেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘রাশিয়া সাড়ে তিন বছর ধরে যুদ্ধ চালাচ্ছে। সত্যিই যদি রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা অতটাই শক্তিশালী হতো তাহলে এক সপ্তাহেরও কম সময়ে তারা জিতে যেত। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এ থেকে প্রমাণিত হয় রাশিয়া আসলে শুধু কাগজে কলমেই “বাঘ”।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণে ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, কারণ এটি মূলত ‘একটি ছোটখাটো সংঘর্ষ’ হওয়ার কথা ছিল। তাঁর ভাষায়, ‘এটি দেখিয়ে দিচ্ছে নেতৃত্ব কী। খারাপ নেতৃত্ব একটি দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে।’
জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেন, ‘সংঘাতের অবসানে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হলো রাশিয়ার অর্থনীতি এখন ভয়াবহ অবস্থায়।’ জেলেনস্কি এতে সম্মতি জানিয়ে রুশ তেল ও গ্যাস আমদানি বন্ধে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি ট্রাম্পের আহ্বানকে সমর্থন করেন। বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘ইউক্রেন যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আমরা তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।’
ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চল। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটায় গুয়াংফু এলাকায় আঘাত হানে রাগাসা নামের সুপার টাইফুনটি। সবশেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ক্যাটাগরি পাঁচের এই হ্যারিকেনে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ আরও ১২৪ জন।
১৪ মিনিট আগেস্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, বৈঠকের শুরুতেই সংবাদমাধ্যমকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা গাজার যুদ্ধ শেষ করতে চাই। আমরা এটা শেষ করব। হয়তো এখনই শেষ করতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটাই আমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। কারণ, আমরা এমন কিছু শেষ করতে যাচ্ছি
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি সত্যিই নোবেল শান্তি পুরস্কার জিততে চান, তাহলে তাঁকে গাজার যুদ্ধ থামাতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার এমন মন্তব্যই করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেগাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজবহরে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’য় ফের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় বুধবার রাতে সুমুদ ফ্লোটিলার আশপাশে ১১টি বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে। এখনো জাহাজগুলোর ওপর ইসরায়েলি ড্রোন উড়ছে বলে জানিয়েছেন জাহাজে থাকা অধিকার কর্মীরা।
৪ ঘণ্টা আগে