Ajker Patrika

আদালত অবৈধ ঘোষণার পর ট্রাম্পের শুল্কের ভবিষ্যৎ কী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১০: ৪৪
মার্কিন আদালত ট্রাম্পে শুল্ক আরোপের আইনি ভিত্তিকে অবৈধ বলায় শুল্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন আদালত ট্রাম্পে শুল্ক আরোপের আইনি ভিত্তিকে অবৈধ বলায় শুল্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালত রায় দিয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা অধিকাংশ শুল্কই প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর জরুরি ক্ষমতার এখতিয়ারের বাইরে বা অতিরিক্ত ব্যবহার। গত শুক্রবার আদালত জানায়, প্রায় সব দেশের ওপর আরোপিত তথাকথিত ‘রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টাপাল্টি শুল্ক’ অবৈধভাবে আরোপ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গত মে মাসে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতও একই সিদ্ধান্ত দেয়। আদালত সে সময় জানায়, ট্রাম্প বৈশ্বিক শুল্ক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইনের অধীনে অনুমোদিত বলে যুক্তি দেখিয়ে যে শুল্ক আরোপ করেছেন, তা ঠিক নয়।

তবে মার্কিন ফেডারেল আপিল আদালত এখনো শুল্ক বাতিল করেনি। রায়ে বলা হয়েছে, এসব শুল্ক অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বহাল থাকবে। এরপর বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে তোলা হবে। এখনো অনেক কিছু স্পষ্ট নয়। তবে এতটুকু বোঝা যাচ্ছে, এ রায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অন্যতম প্রধান নীতির জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

আপিল আদালত কী বলেছে?

আদালতের ১১ জন বিচারকের মধ্যে সাতজন নিম্ন আদালতের রায়কে সমর্থন করেন। নিম্ন আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প বৈশ্বিক শুল্ক আরোপের ক্ষমতা রাখেন না। চারজন বিচারক এই অবস্থানের বিরোধিতা করেন। ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে আইনকে তাঁর শুল্কনীতি বাস্তবায়নের ভিত্তি করেছিলেন, সেটির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিচারকেরা শুল্ক আরোপের বিষয়টিকে অবৈধ বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল ইমারজেন্সি ইকোনমিক পাওয়ারস অ্যাক্টের (আইইইপিএ) ব্যাখ্যায় বিচারকেরা বলেন, এ আইনে শুল্ক, কর বা সেরকম কিছু আরোপের ক্ষমতা দেওয়া হয়নি প্রেসিডেন্টকে।

আর এ এ কারণেই মার্কিন আপিল আদালত ট্রাম্পের যুক্তি খারিজ করে দেয়। আদালত রায়ে বলেছে, এই শুল্ক ‘আইনের পরিপন্থী হওয়ায় অবৈধ।’ রায় ঘোষণার পরপরই ট্রাম্প তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। রায় ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, আপিল আদালত ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ এবং এই রায় দেশের জন্য ‘বড় বিপর্যয়’। তিনি আরও লেখেন, ‘যদি এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকে, তাহলে তা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেবে।’

আইইইপিএ কী?

দীর্ঘ কয়েক দশক আগে প্রণীত ইন্টারন্যাশনাল ইমারজেন্সি ইকোনমিক পাওয়ারস অ্যাক্ট (আইইইপিএ) আইনটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দুই দফায় ক্ষমতায় থাকার সময় বারবার ব্যবহার করেছেন। আইইইপিএ প্রেসিডেন্টকে উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা দেয়, যাতে তিনি জাতীয় জরুরি অবস্থা বা বিদেশ থেকে আসা বড় ধরনের হুমকির জবাব দিতে পারেন।

১৯৭৭ সালে প্রণীত এই আইনে বলা আছে, প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিতে পারবেন, যদি এমন কোনো ‘অস্বাভাবিক ও গুরুতর হুমকি’ তৈরি হয়, যা পুরোপুরি বা আংশিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে আসে এবং তা দেশের জাতীয় নিরাপত্তা, পররাষ্ট্রনীতি বা অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ হয়।

আইনটি সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও জো বাইডেনও ব্যবহার করেছেন। ২০১৪ সালে রাশিয়া অবৈধভাবে ক্রিমিয়া দখল করলে ওবামা এই আইনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। আট বছর পর রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় হামলা চালালে বাইডেন একই আইন ব্যবহার করে আবার নিষেধাজ্ঞা দেন।

তবে আপিল আদালত রায়ে জানিয়েছে, এই জরুরি আইন প্রেসিডেন্টকে শুল্ক আরোপের মতো ব্যাপক ক্ষমতা দেয় না। আদালত বলেছে, আইইইপিএতে কোথাও ‘শুল্ক’ (বা এর সমার্থক কোনো শব্দ) উল্লেখ নেই এবং এমন কোনো প্রক্রিয়াগত শর্তও নেই, যা প্রেসিডেন্টকে শুল্ক আরোপের সীমা নির্ধারণ করে দেয়।

তবে ট্রাম্প যুক্তি দিয়েছিলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্য ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর। তাই এটিকে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে তিনি বৈশ্বিক শুল্ক আরোপ করেছিলেন। কিন্তু আদালত রায়ে জানায়, শুল্ক আরোপ প্রেসিডেন্টের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না এবং ‘অর্থ ব্যয়ের ক্ষমতা (যার মধ্যে কর আরোপও অন্তর্ভুক্ত) কংগ্রেসের হাতে ন্যস্ত।’

এ রায় এত গুরুত্বপূর্ণ কেন

ট্রাম্পের এজেন্ডার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনায় বড় ধরনের ধাক্কা দেওয়ার পাশাপাশি ফেডারেল আপিল আদালতের এই রায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ধারাবাহিক প্রভাব বিশ্ববাজারেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

শুল্ক আসলে একধরনের কর, যা বিদেশ থেকে নির্দিষ্ট পণ্য আমদানির সময় কোম্পানিগুলোকে দিতে হয়। ফলে এগুলো বিক্রি এবং লাভের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং লন্ডন বিজনেস স্কুলের অর্থনীতিবিদ ড. লিন্ডা ইউহ বিবিসি রেডিও ফোরের টুডে অনুষ্ঠানে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে।’

শুল্ক আরোপের উদ্দেশ্য হলো দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিদেশি পণ্য কেনা থেকে নিরুৎসাহিত করা, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে প্রভাবিত করে। এখন দেশগুলো অপেক্ষা করছে, যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি গ্রহণ করবে কি না, যা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এ সময়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা করা থেকে বিরত থাকতে পারে।

ড. ইউহের মতে, এমন হলে তা ‘অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে স্থবির করে দিতে পারে।’ এ ছাড়া রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়তে পারে। যেমন—যদি সুপ্রিম কোর্ট ফেডারেল আপিল আদালতের রায় উল্টে দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষে দাঁড়ায়, তাহলে এটি এমন একটি নজির তৈরি করবে, যা প্রেসিডেন্টকে আইইইপিএ আইন আরও আক্রমণাত্মকভাবে ব্যবহার করতে উৎসাহিত করবে।

এরপর কী?

এখন মামলাটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতে গড়ানোর সম্ভাবনাই বেশি। ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্টে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, জনগণের প্রতি ‘অযত্নশীল ও অজ্ঞ রাজনীতিবিদেরা আমাদের বিরুদ্ধে শুল্ক ব্যবহার করতে দিয়েছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সহায়তায় আমরা সেগুলো আমাদের দেশের কল্যাণে ব্যবহার করব এবং আমেরিকাকে আবারও ধনী, শক্তিশালী ও ক্ষমতাশালী করে তুলব!’

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে রক্ষণশীল বিচারপতিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় প্রেসিডেন্টের অবস্থানকে সমর্থন করার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে বেশি। নয় বিচারপতির মধ্যে ছয়জন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টদের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে নিয়োগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প নিজেই, তাঁর প্রথম মেয়াদকালে।

তবে আদালত একই সঙ্গে প্রেসিডেন্টদের সমালোচনাও করেছে। বিচারকেরা সতর্ক করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট কংগ্রেস অনুমোদিত ক্ষমতার বাইরে গিয়ে নীতি প্রয়োগের চেষ্টা করছেন। উদাহরণস্বরূপ, জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে আদালত ‘মেজর কোয়েশ্চনস ডকট্রিনকে’ আরও প্রসারিত করে। এর মাধ্যমে বিদ্যমান আইন ব্যবহার করে ডেমোক্র্যাটদের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন সীমিত করার উদ্যোগ ও কোটি কোটি আমেরিকানের শিক্ষাঋণ মওকুফের পরিকল্পনা বাতিল করে দেয় আদালত।

শুল্ক অবৈধ ঘোষণা হলে কী হবে?

ফেডারেল আপিল আদালত ৭-৪ ভোটের রায়ে জানিয়েছে, ট্রাম্পের প্রায় সর্বজনীন শুল্ক আরোপ ‘অবৈধ।’ এখন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার জন্য। এই মামলার রায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং বিশ্বের বাকি দেশের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

যদি সুপ্রিম কোর্ট আপিল আদালতের রায় বহাল রাখে, তাহলে বাজারে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। প্রশ্ন উঠতে পারে, আমদানি শুল্ক থেকে যে কয়েক বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা হয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরত দিতে হবে কি না।

এ ছাড়া বড় অর্থনীতির দেশগুলো যেমন—যুক্তরাজ্য, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া যেসব দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করেছে, সেগুলোও অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে। এমনকি যেসব বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে, সেগুলোও অচলাবস্থায় পড়তে পারে।

আপিল আদালতের রায় বহাল থাকলে তা ট্রাম্পের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব এবং ‘ডিলমেকার’ হিসেবে তাঁর খ্যাতির জন্য বড় ধাক্কা হবে। তবে যদি সুপ্রিম কোর্ট রায় উল্টে দেয়, তাহলে তার বিপরীত প্রভাব পড়বে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিপুল অর্থ ঢেলেছেন ২৬ বিলিয়নিয়ার—তারপরও মামদানিকে হারানো যায়নি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি নিউইয়র্কের মেয়রের দায়িত্ব নেবেন মামদানি। ছবি: সংগৃহীত
২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি নিউইয়র্কের মেয়রের দায়িত্ব নেবেন মামদানি। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক সমাজতান্ত্রিক প্রার্থী জোহরান মামদানির প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছিলেন অন্তত ২৬ জন বিলিয়নিয়ার। শুধু তাই নয়, মামদানিকে হারাতে তাঁরা সম্মিলিতভাবে প্রায় ২২ মিলিয়ন ডলারের তহবিল দিয়েছিলেন। তবে এত কিছু করেও আটকানো যায়নি মামদানির বিজয়। জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো, নগর পরিচালিত মুদি দোকান, বিনা মূল্যে গণপরিবহন এবং সর্বজনীন শিশু যত্নের মতো প্রগতিশীল নীতি নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচনে বাজিমাত করেছেন তিনি।

ধনী শ্রেণির প্রবল বিরোধিতার মুখেও মামদানির এই জয় মার্কিন রাজনীতিতে এক নতুন দৃষ্টান্ত। ফোর্বস-এর তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ, হেজ ফান্ড ম্যানেজার বিল অ্যাকম্যান, এয়ারবিএনবি-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা জো গেবিয়া এবং ‘ইস্টি লন্ডার’-এর উত্তরাধিকারী লডার পরিবারসহ নিউইয়র্কের অন্তত ২৬ জন ধনকুবের মিলে মামদানির প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমোকে সমর্থন দেন এবং কুমোর নির্বাচনী প্রচারণায় ২২ মিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেন।

এর মধ্যে ব্লুমবার্গ একাই দেন ৮.৩ মিলিয়ন ডলার, অ্যাকম্যান দেন ১.৭৫ মিলিয়ন, লডার পরিবার ২.৬ মিলিয়ন এবং জন হেজ ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেন। মোট এই তহবিলের অর্ধেকের বেশি—প্রায় ১৩.৬ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল মামদানির ডেমোক্রেটিক মনোনয়ন ঠেকাতেই।

মামদানি এক সমাবেশে বলেন, ‘বিল অ্যাকম্যান ও রোনাল্ড লডারের মতো বিলিয়নিয়ারেরা এই নির্বাচনে মিলিয়ন ডলার ঢেলেছেন। কারণ তাঁরা বলেন, আমরা তাদের অস্তিত্বের হুমকি। আমি স্বীকার করি—তাঁরা ঠিকই বলেছেন।’

তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, যারা আগে মামদানির বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজন এখন তাঁকে সমর্থনের বার্তা দিচ্ছেন। এর মধ্যে মামদানিকে উদ্দেশ্য করে সামাজিক মাধ্যমে অ্যাকম্যান লিখেছেন, ‘এখন আপনার বড় দায়িত্ব। নিউইয়র্কের কল্যাণে যদি কিছু করতে পারি, জানাবেন।’

অন্যদিকে ‘জেপি-মরগান চেস’-এর সিইও জেমি ডাইমন একসময় মামদানিকে ‘সোশ্যালিস্টের চেয়েও বেশি মার্কসবাদী’ বলেছিলেন। তবে অবস্থান পাল্টে এখন বলছেন, তিনি নতুন মেয়রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী এবং প্রয়োজনে সহায়তাও করতে প্রস্তুত।

জোহরান মামদানি ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি নিউইয়র্কের মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইন্দোনেশিয়ায় জুমার নামাজে বিস্ফোরণ, আহত অর্ধশতাধিক—এক ছাত্রকে সন্দেহ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিস্ফোরণের পর পুলিশ এলাকাটি ঘিরে ফেলে। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
বিস্ফোরণের পর পুলিশ এলাকাটি ঘিরে ফেলে। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আজ শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে একটি মসজিদে পরপর দুটি বিস্ফোরণে অন্তত ৫৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে দগ্ধ হয়েছেন এবং শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনতারা জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি সম্ভাব্য হামলা হিসেবে তদন্ত করছে। এর মধ্যে ১৭ বছর বয়সী এক ছাত্রকে সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলটি ছিল রাজধানীর কেলাপা গ্যাডিং এলাকার একটি স্কুল কমপ্লেক্সের ভেতরের মসজিদ। বিস্ফোরণের সময় মসজিদের ভেতরে শতাধিক মানুষ ছিলেন।

স্কুলের ক্যানটিনে কাজ করছিলেন লুসিয়ানা (৪৩)। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ হলো। আমাদের হৃদ্‌স্পন্দন বেড়ে গেল, কেউ ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারছিল না। সবাই দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে গেল। একাধিক বিস্ফোরণ হয়েছিল, জানালার কাচ ভেঙে যায়, সবাই আতঙ্কে পালাতে শুরু করে।’

লুসিয়ানা আরও বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো বিদ্যুতের তারে শর্টসার্কিট হয়েছে বা সাউন্ড সিস্টেম বিস্ফোরিত হয়েছে। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছে—বুঝে ওঠার আগেই মসজিদ থেকে সাদা ধোঁয়া উঠতে শুরু করে।’

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার সুফমি দাসকো আহমাদ হাসপাতাল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের জানান, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সন্দেহভাজন ওই ছাত্রও রয়েছে। তাকে বর্তমানে অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তবে তিনি হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি।

ইন্দোনেশিয়ার পুলিশপ্রধান লিস্টিও সিগিট প্রাবোও জানান, সন্দেহভাজন কিশোরটি ওই স্কুলেরই ছাত্র। তার পরিচয়, আগে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডে সে সম্পৃক্ত কি না ও হামলার সম্ভাব্য উদ্দেশ্য অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছি এবং তার পরিচয়, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, বাড়িঘরসহ সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

বিস্ফোরণের পর পুলিশ মসজিদ ও স্কুল কমপ্লেক্সটি ঘিরে ফেলে এবং এলাকাটি অপরাধস্থল (ক্রাইম সিন) হিসেবে ঘোষণা করে। কালো পোশাক পরা পুলিশ সদস্যরা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল হাতে পাহারায় ছিলেন। রাস্তাজুড়ে ছিল অ্যাম্বুলেন্স ও সাঁজোয়া যানবাহন।

জানা গেছে, মসজিদটি নৌবাহিনীর মালিকানাধীন এলাকায় অবস্থিত এবং সেখানে বহু সামরিক কর্মকর্তা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য বাস করেন। স্থানীয় বাসিন্দা ইমানুয়েল তারিগান বলেন, ‘আমার বাচ্চারা ওই স্কুলেই পড়ে। বিস্ফোরণের পর আমি তাদের খুঁজতে গিয়েছিলাম। প্রচণ্ড ভিড় ছিল, অনেক আহত মানুষকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেছি। কারও কারও মুখ পুরোপুরি বিকৃত হয়ে গিয়েছিল।’

ইন্দোনেশিয়ায় চার্চ ও কিছু পশ্চিমা স্থাপনায় হামলার ইতিহাস থাকলেও মসজিদে হামলার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে আসছে চীনের অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরি ‘ফুজিয়ান’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চীনের সবচেয়ে আধুনিক বিমানবাহী রণতরি ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রণতরিটি আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফুজিয়ান হলো চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরি, যা অত্যাধুনিক ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপাল্ট সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিমানগুলো আরও বেশি গতিতে উড্ডয়ন করতে সক্ষম হবে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাহাজের সংখ্যার দিক থেকে ইতিমধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনী চীনের। এর মধ্যে ফুজিয়ানের এই সক্ষমতা দেশটির নৌবাহিনীকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল।

প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে চীন অভূতপূর্ব গতিতে নৌবাহিনী সম্প্রসারণ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ওপর কৌশলগত চাপ সৃষ্টি করেছে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফুজিয়ান তার ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপাল্ট এবং সমতল ফ্লাইট ডেক ব্যবহার করে তিন ধরনের যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন করাতে পারে। নিজস্বভাবে নির্মিত এই রণতরিটি ভারী অস্ত্র ও জ্বালানি বহন করতে সক্ষম বিমান পরিচালনা করার পাশাপাশি দূরপাল্লার হামলার ক্ষেত্রেও সহায়ক। এর ফলে এটি চীনের আগের দুটি রুশ-নির্মিত রণতরি ‘লিয়াওনিং’ ও ‘শানদং’-এর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফুজিয়ানকে দেশের নৌবাহিনীর বিকাশে একটি ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ, যার বিমানবাহী রণতরিতে ফুজিয়ানের মতো ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপাল্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

গত বুধবার দক্ষিণাঞ্চলীয় হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং রণতরিটির ডেকে ঘুরে দেখেন এবং সমুদ্রে এর কর্মক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপাল্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্তটি ব্যক্তিগতভাবে সি চিন পিংই নিয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানের সময় রণতরির ফ্লাইট ডেক ও ঘাটে সারিবদ্ধ অবস্থায় থাকা নাবিকদের সঙ্গে সি চিন পিং কথা বলেন। নাবিকেরা একযোগে স্লোগান দেন, ‘দলের নির্দেশ মেনে চলব, জয়লাভের জন্য লড়ব, আর শ্রেষ্ঠ শৃঙ্খলা বজায় রাখব!’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্যারিসে বিক্ষোভ, হাতাহাতি, হট্টগোলে বাধাগ্রস্ত ইসরায়েলি কনসার্ট

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৩৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভকারীদের বাধায় পণ্ড হয়েছে ইসরায়েলি অর্কেস্ট্রার একটি কনসার্ট। কনসার্টের স্থলে বিক্ষোভকারীরা ধোঁয়ার ফ্লেয়ার জ্বালিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করলে দর্শকদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার (৭ অক্টোবর) আমিরাতভিত্তিক দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্যারিস ফিলহারমনি কনসার্ট হলে এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। আয়োজক কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, তিন দফায় কিছু দর্শক কনসার্ট ব্যাহত করার চেষ্টা করেছেন। এর মধ্যে দুবার তাঁরা ধোঁয়া ছড়িয়েছেন। পরে উপস্থিত দর্শকেরা বাধা দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। বিশৃঙ্খলাকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয় এবং কনসার্ট পুনরায় শুরু হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লরঁ নুনেজ এ ঘটনার ‘কঠোরভাবে নিন্দা’ জানিয়েছেন।

এই কনসার্টকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল আয়োজক সংস্থা ও ফ্রান্সের অন্যতম বৃহৎ শ্রমিক ইউনিয়ন ‘জেনারেল কনফেডারেশন অব লেবার’-এর মধ্যে। গত মাসে ইউনিয়নটি দাবি করে, কনসার্ট হলে যেন গাজার চলমান পরিস্থিতি ও ইসরায়েলের কথিত যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে দর্শকদের অবহিত করা হয়। তাদের বক্তব্যে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা চলছে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

তবে কনসার্ট হল কর্তৃপক্ষ এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে জানায়, তারা কখনোই আমন্ত্রিত শিল্পীদের চলমান রাজনৈতিক বিরোধ বা সংবেদনশীল বিষয়ে অবস্থান নিতে বাধ্য করে না।

এদিকে ফ্রান্সের বামঘেঁষা রাজনীতিকদের কেউ কেউ ইসরায়েলি শিল্পীদের বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইউরোপজুড়ে রুশ শিল্পীদেরও এভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য মানোঁ ওব্রি বলেন, রাশিয়া ইউরোভিশন থেকে বাদ পড়লে কেউ অবাক হয়নি। একইভাবে ইসরায়েলও যুদ্ধাপরাধে লিপ্ত।

ইসরায়েলি অর্কেস্ট্রার পরিচালক লাহাভ শানি ইতিপূর্বে বেলজিয়ামেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। বেলজিয়ামের ফ্ল্যান্ডার্স ফেস্টিভ্যাল তাঁর কনসার্ট বাতিল করেছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘গাজার বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ আমাদের সবাইকে ব্যথিত করে, কিন্তু আমাকে রাজনৈতিক বিবৃতি দিতে বাধ্য করা দুঃখজনক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত