গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, সেখানকার ভৌত-অবকাঠামোর উন্নয়ন হবে। ফিলিস্তিনিদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তবে এ জন্য কোনো বাজেট কিংবা খরচ কত হতে পারে তা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন কোনো পরিকল্পনা নেয়নি, কত সেনা পাঠানো হতে পারে, তারও কোনো পরিকল্পনা নেই।
কয়েকটি দেশ ট্রাম্পের এ পরিকল্পনা সমর্থন দিচ্ছে। তবে এ ঘটনা যদি সত্যি হয়, তবে গাজায় জাতিগত নিধনের ঘটনাই ঘটবে। যুক্তরাষ্ট্র এই নীতি গ্রহণ করলে আরেকটি ঘটনা সেখানে ঘটবে। তা হলো, এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েল সবুজ সংকেত পাবে অবৈধ বসতি স্থাপনের। এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েল বসতি স্থাপন করছে। আর ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তের কারণে সব এলাকাতেই বসতি স্থাপনের সুযোগ পাবে ইসরায়েলে।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিন্তন প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাট ডাস বলেন, সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি হলো, ট্রাম্প এটিই বলে দিয়েছেন, ফিলিস্তিন নিয়ে ইসরায়েল তার শেষ লক্ষ্যে পৌঁছাতে যুক্তরাষ্ট্র তার নীতি দিয়ে সমর্থন করবে। এই এলাকা খুব দ্রুতই পশ্চিম তীরের মতো হয়ে যাবে, কোনো সন্দেহ নেই।
ইসরায়েলের যারা অবৈধ বসতি স্থাপনের পক্ষে, তারা ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ও উগ্র জাতীয়তাবাদী বেজালেল স্মোট্রিচ ইহুদি তীর্থযাত্রীদের ইসরায়েলে ফিরে আসার বিষয় নিয়ে বাইবেলের একটি অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করেছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। বলেছেন, ‘আমরা সবাই মিলে একটি অসাধারণ পৃথিবী গড়ে তুলব।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। যেসব দেশ ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে, তাদের গাজাবাসীকে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
হামাসের সঙ্গে ইরায়েলের যুদ্ধবিরতির কারণে নেতানিয়াহুর জোট ত্যাগ করেছেন ইসরায়েলের কট্টর ইহুদিবাদী আইনপ্রণেতা ইতামার বেন-জিভির। তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধ চলাকালে গাজা নিয়ে এ সমাধানের কথা আমি বলেছিলাম, তখন অনেকেই আমাকে ব্যঙ্গ করেছিলেন।’
নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এ ঘোষণা দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে তাঁর প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছিলেন। তিনি সেখানে গিয়ে বলেছিলেন, গাজায় আসলে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এরপরই মূলত ট্রাম্পের প্রশাসনের লোকজন গাজা নিয়ে ভিন্ন চিন্তাভাবনা শুরু করে।
ট্রাম্পের এই গাজা অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নতুন কোনো কিছুর সুরুয়াত নয়। বরং ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা রয়েছে, সেটার ওপরও প্রভাব ফেলবে।
অন্যদিকে ইসরায়েল প্রশাসনের যারা অবৈধ বসতি স্থাপন করা নিয়ে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ট্রাম্পের নতুন নীতিতে তারা খানিকটা হালে পানি পেয়েছেন।
ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশকে চটিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র সৌদি আরব, যারা কি না ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছিল, তারা ফিলিস্তিনের পক্ষ অবস্থান নিয়েছে। তারা বলে দিয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তারা ইরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি করবে না। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র জর্ডান বলেছে, ইসরায়েলি বসতি বাড়ানোর যে প্রক্রিয়া, তা অবশ্যই থামাতে হবে।
এ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিরা আছেন দুশ্চিন্তায়। তাঁরা ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, বিধ্বস্ত হলেও গাজা ছাড়বেন না তাঁরা। তবে ট্রাম্প আবার আরেক দিক থেকে ফিলিস্তিনিদের চাপে ফেলেছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ট্রাম্প। ফিলিস্তিনে জাতিসংঘ পরিচালিত শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনআরডব্লিউএ) তহবিল দেওয়া বন্ধ করতেই এ উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। এরপর পেছনেও রয়েছে ইসরায়েলের চাওয়া। দেশটির অভিযোগ, এই সংস্থা হামাসকে সাহায্য করে থাকে। হামাসের বাতাবরণ হয়েছে তাদের হাত ধরে। অর্থাৎ ইসরায়েলেরে চাওয়া অনুসারেই হাঁটছেন ট্রাম্প। পশ্চিম তীরের পর গাজাও ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে যাচ্ছে কি না, সে শঙ্কা বাড়ছেই।
ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, সেখানকার ভৌত-অবকাঠামোর উন্নয়ন হবে। ফিলিস্তিনিদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তবে এ জন্য কোনো বাজেট কিংবা খরচ কত হতে পারে তা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন কোনো পরিকল্পনা নেয়নি, কত সেনা পাঠানো হতে পারে, তারও কোনো পরিকল্পনা নেই।
কয়েকটি দেশ ট্রাম্পের এ পরিকল্পনা সমর্থন দিচ্ছে। তবে এ ঘটনা যদি সত্যি হয়, তবে গাজায় জাতিগত নিধনের ঘটনাই ঘটবে। যুক্তরাষ্ট্র এই নীতি গ্রহণ করলে আরেকটি ঘটনা সেখানে ঘটবে। তা হলো, এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েল সবুজ সংকেত পাবে অবৈধ বসতি স্থাপনের। এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েল বসতি স্থাপন করছে। আর ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তের কারণে সব এলাকাতেই বসতি স্থাপনের সুযোগ পাবে ইসরায়েলে।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিন্তন প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাট ডাস বলেন, সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি হলো, ট্রাম্প এটিই বলে দিয়েছেন, ফিলিস্তিন নিয়ে ইসরায়েল তার শেষ লক্ষ্যে পৌঁছাতে যুক্তরাষ্ট্র তার নীতি দিয়ে সমর্থন করবে। এই এলাকা খুব দ্রুতই পশ্চিম তীরের মতো হয়ে যাবে, কোনো সন্দেহ নেই।
ইসরায়েলের যারা অবৈধ বসতি স্থাপনের পক্ষে, তারা ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ও উগ্র জাতীয়তাবাদী বেজালেল স্মোট্রিচ ইহুদি তীর্থযাত্রীদের ইসরায়েলে ফিরে আসার বিষয় নিয়ে বাইবেলের একটি অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করেছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। বলেছেন, ‘আমরা সবাই মিলে একটি অসাধারণ পৃথিবী গড়ে তুলব।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। যেসব দেশ ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে, তাদের গাজাবাসীকে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
হামাসের সঙ্গে ইরায়েলের যুদ্ধবিরতির কারণে নেতানিয়াহুর জোট ত্যাগ করেছেন ইসরায়েলের কট্টর ইহুদিবাদী আইনপ্রণেতা ইতামার বেন-জিভির। তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধ চলাকালে গাজা নিয়ে এ সমাধানের কথা আমি বলেছিলাম, তখন অনেকেই আমাকে ব্যঙ্গ করেছিলেন।’
নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এ ঘোষণা দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে তাঁর প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছিলেন। তিনি সেখানে গিয়ে বলেছিলেন, গাজায় আসলে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এরপরই মূলত ট্রাম্পের প্রশাসনের লোকজন গাজা নিয়ে ভিন্ন চিন্তাভাবনা শুরু করে।
ট্রাম্পের এই গাজা অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নতুন কোনো কিছুর সুরুয়াত নয়। বরং ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা রয়েছে, সেটার ওপরও প্রভাব ফেলবে।
অন্যদিকে ইসরায়েল প্রশাসনের যারা অবৈধ বসতি স্থাপন করা নিয়ে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ট্রাম্পের নতুন নীতিতে তারা খানিকটা হালে পানি পেয়েছেন।
ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশকে চটিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র সৌদি আরব, যারা কি না ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছিল, তারা ফিলিস্তিনের পক্ষ অবস্থান নিয়েছে। তারা বলে দিয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তারা ইরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি করবে না। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র জর্ডান বলেছে, ইসরায়েলি বসতি বাড়ানোর যে প্রক্রিয়া, তা অবশ্যই থামাতে হবে।
এ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিরা আছেন দুশ্চিন্তায়। তাঁরা ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, বিধ্বস্ত হলেও গাজা ছাড়বেন না তাঁরা। তবে ট্রাম্প আবার আরেক দিক থেকে ফিলিস্তিনিদের চাপে ফেলেছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ট্রাম্প। ফিলিস্তিনে জাতিসংঘ পরিচালিত শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনআরডব্লিউএ) তহবিল দেওয়া বন্ধ করতেই এ উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। এরপর পেছনেও রয়েছে ইসরায়েলের চাওয়া। দেশটির অভিযোগ, এই সংস্থা হামাসকে সাহায্য করে থাকে। হামাসের বাতাবরণ হয়েছে তাদের হাত ধরে। অর্থাৎ ইসরায়েলেরে চাওয়া অনুসারেই হাঁটছেন ট্রাম্প। পশ্চিম তীরের পর গাজাও ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে যাচ্ছে কি না, সে শঙ্কা বাড়ছেই।
এনডিটিভি জানিয়েছে, হামলায় বাংকার বাস্টার বোমা ও টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র মিলিয়ে অভিযান চালানো হয়, যা ছিল গত কয়েক বছরে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ।
৯ মিনিট আগেতাঁর ভাষ্য, ইরানের রাজনৈতিক শাসন টিকে গেছে এবং সম্ভবত আরও শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছে। দেশটির মানুষ এখন আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। এমনকি যারা আগে নির্লিপ্ত ছিল বা বিরোধিতা করত, তারাও এখন এই নেতৃত্বের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে৪৫ মিনিটের এই ফোনালাপের উদ্যোগ এসেছিল ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের কাছ থেকে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরেই তিনি এই উদ্যোগ নেন।
১ ঘণ্টা আগেখোররামশহর-৪ বা খাইবার ক্ষেপণাস্ত্রকে ইরানের চতুর্থ প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ধরা হয়। এটি শব্দের গতির চেয়ে ১৬ গুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলের বাইরে এবং শব্দের গতির চেয়ে ৮ গুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলের ভেতরে চলতে সক্ষম। উচ্চ গতি এবং কৌশলগত সক্ষমতার জন্য এটিকে শনাক্ত ও প্রতিহত করা কঠিন...
১ ঘণ্টা আগে