Ajker Patrika

মিনিয়াপোলিসে ফের কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে হত্যা, বিক্ষোভ-ভাংচুর

আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৩: ০৪
মিনিয়াপোলিসে ফের কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে হত্যা, বিক্ষোভ-ভাংচুর

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে পুলিশের গুলিতে দন্তে রাইট নামের এক তরুণ নিহত হয়েছে। গতকাল রোববার এই ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। এ সময়  পুলিশের দুটি গাড়ি ভেঙে ফেলেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

এ নিয়ে মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ বলেন, গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আর রাইটের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে যে জায়গায় হত্যা করা হয়েছিল সেখান থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে ওই তরুণকে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে।

রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ওই তরুণকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে ব্রুকলিন সেন্টার নামক জায়গায়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় নেমে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়।

এক পর্যায়ে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। এতে অন্তত দু’জন আহত হয়েছে। রাবার বুলেট ছোড়ার পর কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল পুলিশ। তবে ততক্ষণে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।

টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের গাড়িতে পাথর নিক্ষেপ করছে সাধারণ জনতা।  

এই ঘটনা বিস্তারিত জানতে  দন্তে রাইটের মা আরও তথ্য চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন।

একটি বিবৃতিতে ব্রুকলিন সেন্টার পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ট্রাফিক আইন আইন অমান্য করায় স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে  দন্তেকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ জানতে পারে যে তাঁর বিরুদ্ধে এর আগে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। তখন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করলে  দন্তে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে  যাওয়ার চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্দেশ্য করে গুলি চালায়। এই ঘটনার পর দন্তে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালানোর সময় আরেকটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে সে মারা যায়।

ব্রুকলিনের মেয়র মাইক এলিওট এই ঘটনাকে বিষাদময় বলে উল্লেখ করে একটি টুইট বার্তায় বলেন, আমরা প্রতিবাদকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে অব্যাহত থাকার জন্য বলছি।

গত বছরের ২৫ মে মিনিয়াপোলিসে পুলিশের হেফাজতে থাকার সময় মারা যান ৪৬ বছর বয়সী আফ্রিকান আমেরিকান নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড। অনলাইনে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় যে, বেশ কয়েক মিনিট ধরে ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু গেড়ে বসে  থাকতে দেখা যায় ডেরেক চাওভিনকে ।  ফ্লয়েড বারবারই বলছিলেন, তিনি শ্বাস নিতে পারছেন না।পুলিশের হাতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে পুরো দেশজুড়ে। প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে সম্প্রতি ফ্লয়েড হত্যার বিচার শুরু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত