Ajker Patrika

ওয়ারেন বাফেট এবার রেকর্ড ৬ বিলিয়ন ডলার দান করলেন

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫, ১৫: ৩৬
বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের আরও ৬ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার অনুদান হিসেবে দিয়েছেন ওয়ারেন বাফেট। ছবি: সিএনবিসি
বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের আরও ৬ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার অনুদান হিসেবে দিয়েছেন ওয়ারেন বাফেট। ছবি: সিএনবিসি

বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের আরও ৬ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার অনুদান হিসেবে দিয়েছেন ওয়ারেন বাফেট। গত শুক্রবার গেটস ফাউন্ডেশন ও আরও চারটি পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠানে তিনি এই অর্থ দেন। প্রায় দুই দশক আগে সম্পদ বিলিয়ে দেওয়া শুরু করার পর এটিই তাঁর সবচেয়ে বড় বাৎসরিক অনুদান।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এই অনুদানের মাধ্যমে তিনি মোট ১ কোটি ২৩ লাখ ৬০ হাজারটি বার্কশায়ার ক্লাস-বি শেয়ার দিয়েছেন। এর ফলে, এখন পর্যন্ত তাঁর দান করা মোট অর্থের পরিমাণ ৬০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হয়ে গেছে।

ওয়ারেন বাফেট নতুন করে গেটস ফাউন্ডেশনকে দিয়েছেন ৯৪ লাখ ৩০ হাজার শেয়ার, সুসান থম্পসন বাফেট ফাউন্ডেশনকে দিয়েছেন ৯ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮৪ শেয়ার। এ ছাড়া, তাঁর তিন সন্তানের নেতৃত্বে তিনটি দাতব্য সংস্থায় যথাক্রমে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৩৬৬টি করে শেয়ার দিয়েছেন। এগুলো হলো—হাওয়ার্ড জি. বাফেট ফাউন্ডেশন, শেরউড ফাউন্ডেশন এবং নোভো ফাউন্ডেশন। এখনো বাফেট বার্কশায়ারের মোট শেয়ারের ১৩ দশমিক ৮ শতাংশের মালিক।

গত শুক্রবারের অনুদানের আগ পর্যন্ত বাফেটের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৫২ বিলিয়ন ডলার। এ সময় তিনি ‘ফোর্বস’ ম্যাগাজিনের তালিকায় বিশ্বের পঞ্চম ধনীতম ব্যক্তি ছিলেন। তবে এই অনুদান ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি ষষ্ঠ স্থানে চলে যাবেন। গত বছরের জুনে তিনি ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। একই বছরের নভেম্বরে পারিবারিক দাতব্য সংস্থাগুলোকে আরও ১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার দিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে বাফেট বলেছেন, তিনি তাঁর মালিকানায় থাকা বার্কশায়ারের কোনো শেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা রাখেন না। ৯৪ বছর বয়সী বাফেট ২০০৬ সালে তাঁর সম্পদ বিলিয়ে দেওয়া শুরু করেন। গত বছর তিনি তাঁর উইল পরিবর্তন করেন। নতুন উইলে বলা হয়, মৃত্যুর পর তাঁর বাকি ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ সম্পদ যাবে একটি দাতব্য ট্রাস্টে, যা তাঁর সন্তানরা পরিচালনা করবেন।

তাঁর সন্তানেরা এক দশকের মধ্যে সেই অর্থ বিতরণ করবেন এবং কোথায় কী পরিমাণ অর্থ যাবে, সেই সিদ্ধান্ত সবাইকে একমত হয়ে নিতে হবে। বর্তমানে সুসি বাফেটের বয়স ৭১, হাওয়ার্ড বাফেটের ৭০ এবং পিটার বাফেটের বয়স ৬৭। ওয়ারেন বাফেট ১৯৬৫ সাল থেকে নেব্রাস্কার ওমাহাভিত্তিক বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

এই ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ২০০টি ব্যবসা রয়েছে। যার মধ্যে—গেইকো গাড়ির বীমা কোম্পানি, বিএনএসএফ রেলপথ এবং অ্যাপল ও আমেরিকান এক্সপ্রেসের মতো অনেক নামকরা কোম্পানির শেয়ার অন্যতম।

সুসি বাফেট নেতৃত্ব দেন সুসান থম্পসন বাফেট ফাউন্ডেশনের। এই প্রতিষ্ঠান প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে। এটি সুসির মা ও ওয়ারেন বাফেটের প্রথম স্ত্রীর নামে প্রতিষ্ঠিত। শেরউড ফাউন্ডেশন নেব্রাস্কার দাতব্য সংস্থা ও শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষায় সহায়তা দেয়। হাওয়ার্ড জি. বাফেট ফাউন্ডেশন কাজ করে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট, মানবপাচার এবং সংঘাত প্রশমনে। নোভো ফাউন্ডেশন কাজ করে প্রান্তিক নারীদের, কিশোরীদের এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে। গত জুনে বাফেট জানিয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পর গেটস ফাউন্ডেশনে আর কোনো অনুদান যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত