Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্রে ৫৩৮ অভিবাসী গ্রেপ্তার, ফেরত পাঠানো শুরু

২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ট্রাম্প পরিদর্শনে যান। ছবি: এএফপি
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ট্রাম্প পরিদর্শনে যান। ছবি: এএফপি

ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির প্রয়োগ শুরু হয়েছে তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার দিন থেকেই। এবার দেশটির প্রশাসন ৫৩৮ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। কয়েক শ অভিবাসীকে এরই মধ্যে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিটের বরাতে এসব তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা এএফপি।

গতকাল বৃহস্পতিবার লেভিট বলেন, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভিবাসী প্রত্যাহার অভিযান বেশ ভালোভাবেই চলছে। প্রতিশ্রুতি রাখা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন ৫৩৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। শত শত অভিবাসীকে সামরিক বিমানে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

গতকাল নিউইয়র্ক শহরের মেয়র রাস জে বারাকা এক বিবৃতিতে বলেন, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কর্মকর্তারা কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধ অধিবাসীসহ নাগরিকদের গ্রেপ্তার করেছে।

মেয়র বলেন, ‘অভিযানে গ্রেপ্তারদের একজন সাবেক মার্কিন সেনাসদস্য। এই জঘন্য কাজটি সরাসরি মার্কিন সংবিধানের লঙ্ঘন।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে আইসিই অভিযানে ৫৩৮ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়।

এ অভিযান নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন নিউজার্সির ডেমোক্রেটিক সিনেটর কোরি বুকার ও অ্যান্ডি কিম। তাঁরা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘এ ধরনের পদক্ষেপ আমাদের সব কমিউনিটিতে ভয়ের উদ্রেক করছে। আমাদের ইমিগ্রেশন সিস্টেমের জন্য যথাযথ সমাধান প্রয়োজন, ভয় দেখানো কৌশল নয়।’

নির্বাচনী প্রচারে অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অভিবাসী প্রত্যাহার অভিযান চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে একাধিক নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন তিনি। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘একজন কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে আমার কাছে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো, আমাদের দেশকে হুমকি এবং আক্রমণ থেকে রক্ষা করা, আর সেটাই আমি করতে যাচ্ছি।’

প্রথম কার্যদিবসেই যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনকে সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণ, বন্দিশিবির এবং অভিবাসীদের স্থানান্তরে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সহায়তা করার নির্দেশ দেন। প্রয়োজন হলে সীমান্তে সেনা পাঠানোর ক্ষমতা প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনকে ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ বা ‘মেক্সিকোতেই অবস্থান করতে থাকো’ কর্মসূচি পুনরায় চালু করার নির্দেশ দেন। কর্মসূচিতে মেক্সিকো ছাড়া অন্য দেশগুলোর অভিবাসী, যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চায়, তাদের মামলা মার্কিন আদালতে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মেক্সিকোতে থাকতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত