Ajker Patrika

লকারবি বোমা হামলার সন্দেহভাজন ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের হেফাজতে

লকারবি বোমা হামলার সন্দেহভাজন ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের হেফাজতে

তিন দশক আগের আলোচিত লকারবি বোমা হামলার অন্যতম সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখন যুক্তরাষ্ট্রের হেফাজতে রয়েছেন। তিনি একজন লিবিয়ার নাগরিক। স্কটিশ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ৩৪ বছর আগে স্কটল্যান্ডের লকারবিতে প্যান অ্যাম ফ্লাইট ১০৩ ধ্বংসকারী বোমা তৈরির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আবু আগিলা মাসুদ। দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বলেছিল, তিনি ১৯৮৮ সালের ২১ ডিসেম্বর লকারবিতে সংঘটিত বোমা হামলার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। ওই হামলায় বোয়িং ৭৪৭ বিমান বিস্ফোরিত হয়ে ২৭০ জন নিহত হয়েছিল। এটি ব্রিটেনের মাটিতে সংঘটিত সবচেয়ে মারাত্মক সন্ত্রাসী ঘটনা। 

লন্ডন থেকে নিউইয়র্কগামী ওই উড়োজাহাজের ২৫৯ জন যাত্রী এবং ক্রু মারা যায়। এ ছাড়া উড়োজাহাজটি লকারবির যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছে, সেখানে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে আরও ১১ জন নিহত হয়। 

মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র কথিত প্যান অ্যাম ফ্লাইট ১০৩ বোমা প্রস্তুতকারীকে হেফাজতে নিয়েছে। দুই বছর আগে মার্কিন বিচার বিভাগ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। তিনি তখন অন্যান্য অপরাধের দায়ে লিবিয়ার হেফাজতে ছিলেন। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন মাসুদকে লিবিয়ার একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী অপহরণ করেছে বলে গত মাসে মাসে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয় যে, মাসুদকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষর কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। 

মার্কিন বিচার বিভাগের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘সন্দেহভাজন ব্যক্তি মাসুদকে ওয়াশিংটনের একটি ফেডারেল আদালতে প্রাথমিকভাবে হাজির করা হবে। পাঁচ বছর আগে তিনি বোমা তৈরির অভিযোগে লিবিয়ায় কারাগারে ছিলেন।’ 

এর আগে লকারবি হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসের এক বিশেষ আদালতে আবদেলবাসেত আল-মেগরাহি নামে এক ব্যক্তি অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যাকে ওই হামলার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। 

নেদারল্যান্ডসের আদালত মেগরাহিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ার পর ২০০৯ সালে সরকার তাঁকে সহানুভূতির ভিত্তিতে মুক্তি দেয়। এরপর ২০১২ সালে তিনি লিবিয়ায় মারা যান। অভিযোগ রয়েছে, লিবিয়ার কারাগারে থাকার সময় মাসুদ মেগরাহির সঙ্গে উড়োজাহাজ হামলার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত