আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথ সম্প্রতি ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা তিনি হোয়াইট হাউসকে না জানিয়েই নিয়েছেন বলে সিএনএনকে নিশ্চিত করেছে অন্তত পাঁচটি সূত্র। হেগসেথের এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের ভেতরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। কারণ, এর পেছনের কারণ ও এর পরিণতি জানতে চাইছিল সবাই। বিশেষ করে, কংগ্রেস ও ইউক্রেন সরকারকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য চাপ তৈরি হয়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না, আপনি বলুন কে দিয়েছে এই আদেশ?’ তবে পরক্ষণেই তিনি জানান, ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগে হেগসেথের অধীনে এই ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো বন্ধের সিদ্ধান্ত এই বছর দ্বিতীয়বারের মতো নিয়েছেন হেগসেথ। প্রতিবারই তাঁর সিদ্ধান্ত সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হতবাক করে দেয়। এটি প্রথমবার ঘটেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে এবং সেই সিদ্ধান্তও পরে দ্রুত পাল্টে দেওয়া হয়।
হেগসেথ এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বা ইউক্রেনবিষয়ক দূত অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল কিথ কেলগকেও জানাননি। তাঁরা বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে দেখে জানতে পারেন।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি কিংসলে উইলসন বলেন, ‘হেগসেথ প্রেসিডেন্টকে সামরিক সাহায্যের মূল্যায়ন এবং অস্ত্রের মজুত পর্যবেক্ষণের একটি কাঠামো দিয়েছেন। এটি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হয়েছে।’
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক পর্যালোচনা চালিয়েছে, যেন দেখা যায়—বিদেশি সব সাহায্য মার্কিন স্বার্থের সঙ্গে কতটা সংগতিপূর্ণ। তবে ট্রাম্প এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাওয়ার, যাতে এই নিষ্ঠুর যুদ্ধের প্রাণহানি থামানো যায়।
দুটি সূত্র জানায়, হেগসেথের চারপাশে কোনো চিফ অব স্টাফ বা ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা না থাকলেও তিনি বড় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অন্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি।
ট্রাম্প পরে হেগসেথকে নির্দেশ দেন অন্তত কিছু অস্ত্র—বিশেষ করে প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেমের ইন্টারসেপ্টর যেন আবার পাঠানো হয়। এই প্রতিরক্ষাটি রাশিয়ার ড্রোন ও মিসাইল হামলা থেকে ইউক্রেনের বেসামরিক মানুষকে রক্ষা করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আর ওই অস্ত্রগুলোর একটি বড় অংশ আগে থেকেই পোল্যান্ডে ছিল এবং সেখান থেকে দ্রুত ইউক্রেন পাঠানো সম্ভব ছিল। এই চালান মূলত বাইডেন প্রশাসনের সময় অনুমোদিত ছিল।
ট্রাম্প জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্তে নিজের ভূমিকাকে খাটো করে দেখান। গত সোমবার রাতে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, অস্ত্র সরবরাহ আবার শুরু হবে। পরদিন হোয়াইট হাউসে তিনি বলেন, ইউক্রেনীয়রা সাহস দেখিয়েছেন। অনেকে তো এগুলো চালাতেই সাহস পাবে না।
ট্রাম্প এখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি আগের মতো ইতিবাচক মনোভাব রাখছেন না। ন্যাটো সম্মেলনে তাঁর বক্তব্যে এই বিরক্তি প্রকাশ পেয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিন আমাদের দিকে অনেক গালগল্প ছুড়ে দেন, কিন্তু সেগুলো বাস্তবে ফাঁপা হয়ে দাঁড়ায়।’
তবে সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইউক্রেনকে অস্ত্র পাঠানো বন্ধের সিদ্ধান্ত ট্রাম্প নিজে দেননি। তিনি শুধু মার্কিন অস্ত্রভান্ডারের একটি মূল্যায়ন চেয়েছিলেন। এই সুপারিশ এসেছিল প্রতিরক্ষা নীতির আন্ডার সেক্রেটারি এলব্রিজ কলবির কাছ থেকে। তিনি বরাবরই ইউক্রেনে অতিরিক্ত মার্কিন অস্ত্র পাঠানোর বিষয়ে সন্দিহান ছিলেন।
কলবি তাঁর প্রস্তাব ডেপুটি সেক্রেটারি স্টিভ ফেইনবার্গের কাছে পাঠান, যিনি তা অনুমোদন করেন। হেগসেথ মনে করেছিলেন এটি ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
হোয়াইট হাউস পরে পেন্টাগনকে জানায়, তারা সাময়িকভাবে এ সিদ্ধান্তের দায় কাঁধে নিতে পারে। তবে কংগ্রেসকে অবশ্যই ব্যাখ্যা দিতে হবে কেন তাদের জানানো হয়নি।
এদিকে মার্কিন কংগ্রেস এখনো কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পায়নি যে, অস্ত্রভান্ডারে তীব্র ঘাটতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেসের এক সদস্য বলেছেন, যদি জরুরি প্রমাণ থাকত, কংগ্রেস অবশ্যই সহযোগিতা করত। কিন্তু পেন্টাগনের কাছ থেকে এমন কিছুই আসেনি।
মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথ সম্প্রতি ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা তিনি হোয়াইট হাউসকে না জানিয়েই নিয়েছেন বলে সিএনএনকে নিশ্চিত করেছে অন্তত পাঁচটি সূত্র। হেগসেথের এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের ভেতরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। কারণ, এর পেছনের কারণ ও এর পরিণতি জানতে চাইছিল সবাই। বিশেষ করে, কংগ্রেস ও ইউক্রেন সরকারকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য চাপ তৈরি হয়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না, আপনি বলুন কে দিয়েছে এই আদেশ?’ তবে পরক্ষণেই তিনি জানান, ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগে হেগসেথের অধীনে এই ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো বন্ধের সিদ্ধান্ত এই বছর দ্বিতীয়বারের মতো নিয়েছেন হেগসেথ। প্রতিবারই তাঁর সিদ্ধান্ত সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হতবাক করে দেয়। এটি প্রথমবার ঘটেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে এবং সেই সিদ্ধান্তও পরে দ্রুত পাল্টে দেওয়া হয়।
হেগসেথ এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বা ইউক্রেনবিষয়ক দূত অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল কিথ কেলগকেও জানাননি। তাঁরা বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে দেখে জানতে পারেন।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি কিংসলে উইলসন বলেন, ‘হেগসেথ প্রেসিডেন্টকে সামরিক সাহায্যের মূল্যায়ন এবং অস্ত্রের মজুত পর্যবেক্ষণের একটি কাঠামো দিয়েছেন। এটি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হয়েছে।’
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক পর্যালোচনা চালিয়েছে, যেন দেখা যায়—বিদেশি সব সাহায্য মার্কিন স্বার্থের সঙ্গে কতটা সংগতিপূর্ণ। তবে ট্রাম্প এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাওয়ার, যাতে এই নিষ্ঠুর যুদ্ধের প্রাণহানি থামানো যায়।
দুটি সূত্র জানায়, হেগসেথের চারপাশে কোনো চিফ অব স্টাফ বা ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা না থাকলেও তিনি বড় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অন্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি।
ট্রাম্প পরে হেগসেথকে নির্দেশ দেন অন্তত কিছু অস্ত্র—বিশেষ করে প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেমের ইন্টারসেপ্টর যেন আবার পাঠানো হয়। এই প্রতিরক্ষাটি রাশিয়ার ড্রোন ও মিসাইল হামলা থেকে ইউক্রেনের বেসামরিক মানুষকে রক্ষা করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আর ওই অস্ত্রগুলোর একটি বড় অংশ আগে থেকেই পোল্যান্ডে ছিল এবং সেখান থেকে দ্রুত ইউক্রেন পাঠানো সম্ভব ছিল। এই চালান মূলত বাইডেন প্রশাসনের সময় অনুমোদিত ছিল।
ট্রাম্প জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্তে নিজের ভূমিকাকে খাটো করে দেখান। গত সোমবার রাতে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, অস্ত্র সরবরাহ আবার শুরু হবে। পরদিন হোয়াইট হাউসে তিনি বলেন, ইউক্রেনীয়রা সাহস দেখিয়েছেন। অনেকে তো এগুলো চালাতেই সাহস পাবে না।
ট্রাম্প এখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি আগের মতো ইতিবাচক মনোভাব রাখছেন না। ন্যাটো সম্মেলনে তাঁর বক্তব্যে এই বিরক্তি প্রকাশ পেয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিন আমাদের দিকে অনেক গালগল্প ছুড়ে দেন, কিন্তু সেগুলো বাস্তবে ফাঁপা হয়ে দাঁড়ায়।’
তবে সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইউক্রেনকে অস্ত্র পাঠানো বন্ধের সিদ্ধান্ত ট্রাম্প নিজে দেননি। তিনি শুধু মার্কিন অস্ত্রভান্ডারের একটি মূল্যায়ন চেয়েছিলেন। এই সুপারিশ এসেছিল প্রতিরক্ষা নীতির আন্ডার সেক্রেটারি এলব্রিজ কলবির কাছ থেকে। তিনি বরাবরই ইউক্রেনে অতিরিক্ত মার্কিন অস্ত্র পাঠানোর বিষয়ে সন্দিহান ছিলেন।
কলবি তাঁর প্রস্তাব ডেপুটি সেক্রেটারি স্টিভ ফেইনবার্গের কাছে পাঠান, যিনি তা অনুমোদন করেন। হেগসেথ মনে করেছিলেন এটি ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
হোয়াইট হাউস পরে পেন্টাগনকে জানায়, তারা সাময়িকভাবে এ সিদ্ধান্তের দায় কাঁধে নিতে পারে। তবে কংগ্রেসকে অবশ্যই ব্যাখ্যা দিতে হবে কেন তাদের জানানো হয়নি।
এদিকে মার্কিন কংগ্রেস এখনো কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পায়নি যে, অস্ত্রভান্ডারে তীব্র ঘাটতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেসের এক সদস্য বলেছেন, যদি জরুরি প্রমাণ থাকত, কংগ্রেস অবশ্যই সহযোগিতা করত। কিন্তু পেন্টাগনের কাছ থেকে এমন কিছুই আসেনি।
আসামে আবারও বড় ধরনের রাজনৈতিক সমীকরণ সামনে আসছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন বোদোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর এই অঞ্চলের চারটি জেলা—কোকরাঝাড়, বক্সা, চিরাং ও ওডালগুড়িতে—মোট ৪০টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর ভোটগণনার পর ফলাফল প্রকাশ করা হবে...
৬ মিনিট আগেপশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ নতুন নয়। তবে এ বছর বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। তিনি জানিয়েছেন, এ বছর রাজ্যের প্রতিটি পূজা কমিটি পাবে ১ লাখ ১০ হাজার রুপি অনুদান। গত বছর ছিল ৮৫ হাজার রুপি। অনুদানের এই বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে পূজার আয়োজনকে...
১৬ মিনিট আগেভারতের পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল প্রদেশ এবারের বর্ষায় ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। প্রবল বৃষ্টি, ভূমিধস ও হঠাৎ নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জনজীবন বিপর্যস্ত। রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের (এসডিএমএ) হিসাবে, চলতি বর্ষা মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৩১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২২ মিনিট আগেবরখাস্ত করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে মামলার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর লিসা কুক। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে মার্কিন সময় মঙ্গলবার, কুকের আইনজীবী ওয়াশিংটনের খ্যাতনামা অ্যাটর্নি আবে লওয়েল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র একটি রেফারেল চিঠির ভিত্তিতে কুককে বরখাস্তের প্রচেষ্টা বেআইনি...
৪ ঘণ্টা আগে