গাজা প্রসঙ্গে ট্রাম্প সমর্থক এমপি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসওম্যান মার্জোরি টেইলর গ্রিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন কট্টর ডানপন্থী মিত্র। ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে বলে একাধিকবার উল্লেখ করেছেন তিনি। রিপাবলিকান পার্টিতে ইসরায়েলের বর্বরতা নিয়ে সরব নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। যেখানে ঐতিহাসিকভাবে দলটি ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক।
সর্বশেষ গতকাল শনিবার এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট দিয়ে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে ইসরায়েলি অবরোধ ও সামরিক অভিযানে সৃষ্টি দুর্ভিক্ষে মারা যাওয়ার শিশুদের জন্য একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন তিনি। প্রচলিত মারণাস্ত্র নির্বিচারে ব্যবহারের পাশাপাশি খাদ্য, চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকারের বিষয়গুলোকেও ‘অস্ত্রে’ পরিণত করে ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। শেষ খবর অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে অন্তত ৬২ হাজার ৬২২ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অনাহারে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮১ জনে। এর মধ্যে শিশুই ১১৪টি।
নিচে গ্রিনের পোস্টটির বাংলা অনুবাদ তুলে ধরা হলো:
যদি আমাদের সরকার দ্বারা সংঘটিত কোনো ভয়াবহ কাজের কারণে আমেরিকায় দিন-রাত বোমা বর্ষণ করা হতো, এবং অসংখ্য নিরীহ আমেরিকান ও আমেরিকান শিশু নিহত ও মারাত্মকভাবে আহত হতো, এবং আমরা করুণার জন্য মিনতি করতাম, কিন্তু বাকি বিশ্ব বলতো—
‘আমেরিকানরা তাদের সরকারকে ভোট দিয়েছে, তাই তারা এর যোগ্য। তাদের সরকার খারাপ, তাই সব আমেরিকানই খারাপ। অতএব, এটিই তাদের প্রাপ্য এবং এটি করা উচিত।’
এবং আমাদের দুর্ভোগের প্রতি বিশ্ব নীরব থাকতো। কেউ আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতো না। এবং আমাদের শহর ও বাড়িঘর বোমা হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতো। এবং আমাদের অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যেত, কোনো খামার, কোনো মুদি দোকান, কোনো সুসংগঠিত সমাজ আর অবশিষ্ট থাকতো না। এবং কেউ আমাদের আহত ও ক্ষুধার্ত শিশুদের সাহায্য করতো না।
তাহলে আপনার কেমন লাগতো? আপনি কী ভাবতেন? আপনি কী করতেন?
আমাদের সবাইকে যা বলা হয়েছে, তা সত্ত্বেও এটাই ঘটছে গাজায়, যেখানে অসংখ্য নিরীহ মানুষ ও শিশু নিহত হচ্ছে এবং তারা হামাস নয়।
হামাস কি এর যোগ্য? হ্যাঁ। নিরীহ মানুষ ও শিশুরা কি এর যোগ্য? না।
গাজার নিরীহ মানুষরা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের নিরীহ মানুষদের হত্যা বা অপহরণ করেনি।
যেভাবে আমরা ৭ অক্টোবরের শিকার ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে কথা বলেছিলাম, একইভাবে আমেরিকানরা কীভাবে গাজার অসংখ্য নিরীহ মানুষ ও শিশুদের প্রতি সমবেদনা জানাতে নীরব থাকতে পারে?
এক ধরনের নিরীহ জীবনের কি কোনো মূল্য আছে, আর অন্য ধরনের নিরীহ জীবনের কোনো মূল্য নেই?
আমার মতে, ঈশ্বর সব নিরীহ জীবনকে একই চোখে দেখেন এবং তিনি তাদের সবাইকে ভালোবাসেন। সত্যি বলতে, তিনি তাঁর নিজের পুত্রকে সব মানুষের জন্য পাঠিয়েছেন, এটাই তাঁর ভালোবাসার পরিমাণ।
আমেরিকা সামরিক সাহায্যের জন্য ইসরায়েলকে বার্ষিক ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার দেয়।
আসলে, সংশোধন করছি।
মার্কিন করদাতারা সামরিক সাহায্যের জন্য ইসরায়েলকে বার্ষিক ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার দেন।
এর অর্থ হলো, প্রতিটি মার্কিন করদাতা ইসরায়েলের সামরিক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখছেন।
আমি জানি না আপনার কী মনে হয়, কিন্তু আমি এমন একটি বিদেশি দেশের, বিদেশি মানুষের বিরুদ্ধে একটি বিদেশি যুদ্ধের জন্য অর্থ দিতে চাই না, যার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এবং আমি এ বিষয়ে নীরব থাকব না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসওম্যান মার্জোরি টেইলর গ্রিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন কট্টর ডানপন্থী মিত্র। ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে বলে একাধিকবার উল্লেখ করেছেন তিনি। রিপাবলিকান পার্টিতে ইসরায়েলের বর্বরতা নিয়ে সরব নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। যেখানে ঐতিহাসিকভাবে দলটি ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক।
সর্বশেষ গতকাল শনিবার এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট দিয়ে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে ইসরায়েলি অবরোধ ও সামরিক অভিযানে সৃষ্টি দুর্ভিক্ষে মারা যাওয়ার শিশুদের জন্য একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন তিনি। প্রচলিত মারণাস্ত্র নির্বিচারে ব্যবহারের পাশাপাশি খাদ্য, চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকারের বিষয়গুলোকেও ‘অস্ত্রে’ পরিণত করে ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। শেষ খবর অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে অন্তত ৬২ হাজার ৬২২ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অনাহারে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮১ জনে। এর মধ্যে শিশুই ১১৪টি।
নিচে গ্রিনের পোস্টটির বাংলা অনুবাদ তুলে ধরা হলো:
যদি আমাদের সরকার দ্বারা সংঘটিত কোনো ভয়াবহ কাজের কারণে আমেরিকায় দিন-রাত বোমা বর্ষণ করা হতো, এবং অসংখ্য নিরীহ আমেরিকান ও আমেরিকান শিশু নিহত ও মারাত্মকভাবে আহত হতো, এবং আমরা করুণার জন্য মিনতি করতাম, কিন্তু বাকি বিশ্ব বলতো—
‘আমেরিকানরা তাদের সরকারকে ভোট দিয়েছে, তাই তারা এর যোগ্য। তাদের সরকার খারাপ, তাই সব আমেরিকানই খারাপ। অতএব, এটিই তাদের প্রাপ্য এবং এটি করা উচিত।’
এবং আমাদের দুর্ভোগের প্রতি বিশ্ব নীরব থাকতো। কেউ আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতো না। এবং আমাদের শহর ও বাড়িঘর বোমা হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতো। এবং আমাদের অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যেত, কোনো খামার, কোনো মুদি দোকান, কোনো সুসংগঠিত সমাজ আর অবশিষ্ট থাকতো না। এবং কেউ আমাদের আহত ও ক্ষুধার্ত শিশুদের সাহায্য করতো না।
তাহলে আপনার কেমন লাগতো? আপনি কী ভাবতেন? আপনি কী করতেন?
আমাদের সবাইকে যা বলা হয়েছে, তা সত্ত্বেও এটাই ঘটছে গাজায়, যেখানে অসংখ্য নিরীহ মানুষ ও শিশু নিহত হচ্ছে এবং তারা হামাস নয়।
হামাস কি এর যোগ্য? হ্যাঁ। নিরীহ মানুষ ও শিশুরা কি এর যোগ্য? না।
গাজার নিরীহ মানুষরা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের নিরীহ মানুষদের হত্যা বা অপহরণ করেনি।
যেভাবে আমরা ৭ অক্টোবরের শিকার ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে কথা বলেছিলাম, একইভাবে আমেরিকানরা কীভাবে গাজার অসংখ্য নিরীহ মানুষ ও শিশুদের প্রতি সমবেদনা জানাতে নীরব থাকতে পারে?
এক ধরনের নিরীহ জীবনের কি কোনো মূল্য আছে, আর অন্য ধরনের নিরীহ জীবনের কোনো মূল্য নেই?
আমার মতে, ঈশ্বর সব নিরীহ জীবনকে একই চোখে দেখেন এবং তিনি তাদের সবাইকে ভালোবাসেন। সত্যি বলতে, তিনি তাঁর নিজের পুত্রকে সব মানুষের জন্য পাঠিয়েছেন, এটাই তাঁর ভালোবাসার পরিমাণ।
আমেরিকা সামরিক সাহায্যের জন্য ইসরায়েলকে বার্ষিক ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার দেয়।
আসলে, সংশোধন করছি।
মার্কিন করদাতারা সামরিক সাহায্যের জন্য ইসরায়েলকে বার্ষিক ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার দেন।
এর অর্থ হলো, প্রতিটি মার্কিন করদাতা ইসরায়েলের সামরিক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখছেন।
আমি জানি না আপনার কী মনে হয়, কিন্তু আমি এমন একটি বিদেশি দেশের, বিদেশি মানুষের বিরুদ্ধে একটি বিদেশি যুদ্ধের জন্য অর্থ দিতে চাই না, যার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এবং আমি এ বিষয়ে নীরব থাকব না।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বশান্তির জন্য অনেক কিছু করছেন। এর জন্য তিনি নোবেল পাওয়ার যোগ্য। একই সঙ্গে ট্রাম্পকে এই পুরস্কার না দেওয়ায় তিনি নোবেল কমিটির সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেদুই বছর যুদ্ধের পর অবশেষে গাজায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। এই চুক্তির আওতায় হামাসের হাতে থাকা ৪৮ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে ২০ জন এখনো জীবিত আছেন। সোমবার পর্যন্ত জারি থাকা ৭২ ঘণ্টার সময়সীমার মধ্যে হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্
১ ঘণ্টা আগেপ্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিরস্ত্রীকরণ ‘অসম্ভব ও আলোচনাযোগ্য নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন হামাসের এক কর্মকর্তা। আজ শনিবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘অস্ত্র সমর্পণের প্রশ্নই আসে না, এটি কোনোভাবেই আলোচনার বিষয় নয়।’
২ ঘণ্টা আগেঘটনাটি ঘটে শুক্রবার স্থানীয় সময় গভীর রাতে ওয়াশিংটন কাউন্টির ছোট শহর লিল্যান্ডে। লিল্যান্ডের মেয়র জন লি শনিবার সকালে দ্য গার্ডিয়ানকে টেলিফোনে জানান, আহতদের মধ্যে অন্তত ১২ জনকে আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে