আজকের পত্রিকা ডেস্ক
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর জাপান ও চীনসহ এশিয়ার একাধিক দেশ ওই শিক্ষার্থীদের নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরের সুযোগ করে দিতে এগিয়ে এসেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার ফলে অনেক শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের মাটি ছেড়ে নতুন গন্তব্য খুঁজছেন। সেই সুযোগকেই কাজে লাগাতে চাইছে এশিয়ার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
জাপানের শিক্ষা উপমন্ত্রী তোশিকো আবে দেশটির সব বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুরোধ করেছেন যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ করে হার্ভার্ডে অধ্যয়নরত বিদেশি ও জাপানি শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা নেয়। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, বিদেশি শিক্ষার্থীরা যেন তাদের পড়াশোনা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন এমন ব্যবস্থা নেয় যাতে এসব শিক্ষার্থীকে গ্রহণ করা যায়।’
জাপানের ১১০ জন শিক্ষার্থী ও ১৫০ জন গবেষক বর্তমানে হার্ভার্ডে রয়েছেন। এর বাইরে শুধু জাপান থেকেই প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করছেন। অন্যদিকে, হার্ভার্ডে মোট শিক্ষার্থীর ২৭ শতাংশই বিদেশি—সংখ্যার দিক দিয়ে যা প্রায় ৬ হাজার ৮০০ জন।
এর আগে চীনও হার্ভার্ডের বিদেশি শিক্ষার্থীদের সরাসরি শর্তহীন ভর্তির প্রস্তাব দিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রামের স্বীকৃতি বাতিল করেছে। এর ফলে সেখানে পড়া বা ভর্তিরত হাজারো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বিপাকে পড়ে যান।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম এই নিষেধাজ্ঞাকে জায়েজ করতে হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে সহিংসতা ছড়ানো, ইহুদিবিদ্বেষ উসকে দেওয়া এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ তোলেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এই পদক্ষেপকে অবৈধ ও প্রতিহিংসামূলক বলেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে এশিয়ার অনেক শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে এসেছে। হংকং, জাপান, ম্যাকাও ও মালয়েশিয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হার্ভার্ডের বিপদে পড়া শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য উন্মুক্ত আহ্বান জানিয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের জন্য তারা ভর্তি প্রক্রিয়াও সহজ করেছে। পাশাপাশি পড়াশোনার ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা দিয়েছে, এমনকি গবেষকদের জন্যও সহায়তা দিচ্ছে।
জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, তারা সাময়িকভাবে হার্ভার্ডের শিক্ষার্থীদের গ্রহণ করার কথা ভাবছে। ২০২২ সালে ইউক্রেন থেকে উদ্বাস্তু শিক্ষার্থীদের আশ্রয় দিয়ে তারা এমন কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিল। অপরদিকে, জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রে থাকা জাপানি গবেষকদের সহায়তা করতে চায়।
হংকংয়ের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হার্ভার্ডের শিক্ষার্থী ও অফার পাওয়া শিক্ষার্থীদের একটি উন্মুক্ত আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সিটি ইউনিভার্সিটি অব হংকংও বিপদগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছে।
মালয়েশিয়ার সানওয়ে ইউনিভার্সিটির প্রধান নির্বাহী এলিজাবেথ লি বলেছেন, ‘যেসব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এই সংকটে পড়েছেন, তাদের আমরা সরাসরি স্থানান্তরের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।’ তিনি আরও জানান, তারা অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির সঙ্গে অংশীদারত্বে হার্ভার্ডে অর্জিত ক্রেডিট স্থানান্তরের ব্যবস্থা করবেন।
ম্যাকাও-এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও হার্ভার্ডের শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিতে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।
বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ আমেরিকান উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করবে এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের এশিয়ার দিকে ঝুঁকিয়ে দেবে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সাইমন মারজিনসন বলেন, ‘হার্ভার্ড বিশ্বের বহু প্রতিভাবান শিক্ষার্থীকে আকৃষ্ট করে। তাদের হারানো হার্ভার্ডের জন্য বড় ক্ষতি।’
এই অবস্থায় ট্রাম্প প্রশাসনের আরেক ঘোষণায় জানানো হয়েছে, চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা ‘আগ্রাসীভাবে’ বাতিল করা হবে। বিশেষ করে যারা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত বা স্পর্শকাতর বিষয়ে অধ্যয়ন করছেন।
এই সংকট শুধু হার্ভার্ড নয়, আমেরিকান উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যৎ এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার দিকেও এক নতুন প্রশ্নচিহ্ন ছুড়ে দিয়েছে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর জাপান ও চীনসহ এশিয়ার একাধিক দেশ ওই শিক্ষার্থীদের নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরের সুযোগ করে দিতে এগিয়ে এসেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার ফলে অনেক শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের মাটি ছেড়ে নতুন গন্তব্য খুঁজছেন। সেই সুযোগকেই কাজে লাগাতে চাইছে এশিয়ার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
জাপানের শিক্ষা উপমন্ত্রী তোশিকো আবে দেশটির সব বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুরোধ করেছেন যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ করে হার্ভার্ডে অধ্যয়নরত বিদেশি ও জাপানি শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা নেয়। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, বিদেশি শিক্ষার্থীরা যেন তাদের পড়াশোনা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন এমন ব্যবস্থা নেয় যাতে এসব শিক্ষার্থীকে গ্রহণ করা যায়।’
জাপানের ১১০ জন শিক্ষার্থী ও ১৫০ জন গবেষক বর্তমানে হার্ভার্ডে রয়েছেন। এর বাইরে শুধু জাপান থেকেই প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করছেন। অন্যদিকে, হার্ভার্ডে মোট শিক্ষার্থীর ২৭ শতাংশই বিদেশি—সংখ্যার দিক দিয়ে যা প্রায় ৬ হাজার ৮০০ জন।
এর আগে চীনও হার্ভার্ডের বিদেশি শিক্ষার্থীদের সরাসরি শর্তহীন ভর্তির প্রস্তাব দিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রামের স্বীকৃতি বাতিল করেছে। এর ফলে সেখানে পড়া বা ভর্তিরত হাজারো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বিপাকে পড়ে যান।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম এই নিষেধাজ্ঞাকে জায়েজ করতে হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে সহিংসতা ছড়ানো, ইহুদিবিদ্বেষ উসকে দেওয়া এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ তোলেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এই পদক্ষেপকে অবৈধ ও প্রতিহিংসামূলক বলেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে এশিয়ার অনেক শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে এসেছে। হংকং, জাপান, ম্যাকাও ও মালয়েশিয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হার্ভার্ডের বিপদে পড়া শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য উন্মুক্ত আহ্বান জানিয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের জন্য তারা ভর্তি প্রক্রিয়াও সহজ করেছে। পাশাপাশি পড়াশোনার ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা দিয়েছে, এমনকি গবেষকদের জন্যও সহায়তা দিচ্ছে।
জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, তারা সাময়িকভাবে হার্ভার্ডের শিক্ষার্থীদের গ্রহণ করার কথা ভাবছে। ২০২২ সালে ইউক্রেন থেকে উদ্বাস্তু শিক্ষার্থীদের আশ্রয় দিয়ে তারা এমন কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিল। অপরদিকে, জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রে থাকা জাপানি গবেষকদের সহায়তা করতে চায়।
হংকংয়ের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হার্ভার্ডের শিক্ষার্থী ও অফার পাওয়া শিক্ষার্থীদের একটি উন্মুক্ত আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সিটি ইউনিভার্সিটি অব হংকংও বিপদগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছে।
মালয়েশিয়ার সানওয়ে ইউনিভার্সিটির প্রধান নির্বাহী এলিজাবেথ লি বলেছেন, ‘যেসব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এই সংকটে পড়েছেন, তাদের আমরা সরাসরি স্থানান্তরের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।’ তিনি আরও জানান, তারা অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির সঙ্গে অংশীদারত্বে হার্ভার্ডে অর্জিত ক্রেডিট স্থানান্তরের ব্যবস্থা করবেন।
ম্যাকাও-এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও হার্ভার্ডের শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিতে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।
বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ আমেরিকান উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করবে এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের এশিয়ার দিকে ঝুঁকিয়ে দেবে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সাইমন মারজিনসন বলেন, ‘হার্ভার্ড বিশ্বের বহু প্রতিভাবান শিক্ষার্থীকে আকৃষ্ট করে। তাদের হারানো হার্ভার্ডের জন্য বড় ক্ষতি।’
এই অবস্থায় ট্রাম্প প্রশাসনের আরেক ঘোষণায় জানানো হয়েছে, চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা ‘আগ্রাসীভাবে’ বাতিল করা হবে। বিশেষ করে যারা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত বা স্পর্শকাতর বিষয়ে অধ্যয়ন করছেন।
এই সংকট শুধু হার্ভার্ড নয়, আমেরিকান উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যৎ এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার দিকেও এক নতুন প্রশ্নচিহ্ন ছুড়ে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের মাঝে দেশবাসীকে বিদেশি পণ্যের ব্যবহার বন্ধ করে দেশীয় পণ্য ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল রোববার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই আহ্বান জানান তিনি। আজ থেকে ভারতে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) কার্যকর হবে বলে জানান মোদি।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আকস্মিক সিদ্ধান্তে এইচ-১বি ভিসায় ১ লাখ ডলারের ফি আরোপের ঘোষণায় চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে। এই নীতির প্রতিক্রিয়ায় শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভারত সরকার জানায়, এই ধরনের পদক্ষেপে গুরুতর মানবিক পরিণতি হতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগেখেয়াল করুন, এই তিন দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলেও সমস্যা সমাধানে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের কথা বলেছে। অর্থাৎ এই একটামাত্র উপায় ছাড়া হয়তো ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সমস্যা সমাধানের কোনো পথ নেই। কিন্তু এই দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান কি আদৌ সম্ভব?
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। শিগগির স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স, পর্তুগালসহ আরও কয়েকটি দেশ। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে ১৪০টিরও বেশি দেশের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে ফিলিস্তিন। এই অবস্থায় পশ্চিম তীরে বসবাস করা ফিলিস্তিনিদের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল যুক্তরাজ্যভিত্তিক গার্ডিয়ান।
৭ ঘণ্টা আগে