Ajker Patrika

পুতিনকে টোমাহক দিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন ট্রাম্প, এই ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য কী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ট্রাম্প পুতিনকে হুমকি দিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনকে টোমহক ক্ষেপণাস্ত্র দেবেন, যদি যুদ্ধ শেষ না হয়। ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্প পুতিনকে হুমকি দিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনকে টোমহক ক্ষেপণাস্ত্র দেবেন, যদি যুদ্ধ শেষ না হয়। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রাশিয়া যদি দ্রুত ৩ বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান না ঘটায়, তাহলে তাঁর দেশ ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে। গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টোমাহকসহ বিভিন্ন অস্ত্রের অনুরোধ করেছিলেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইউক্রেনের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করবে না, বরং ন্যাটোকে দেবে, যারা পরে সেগুলো ইউক্রেনকে দিতে পারে। হ্যাঁ, আমি ওকে (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে) বলতে পারি—যদি যুদ্ধের নিষ্পত্তি না হয়, তাহলে আমরা হয়তো এটা করব। আবার নাও করতে পারি। কিন্তু করতে পারি। ওরা কি টোমাহক ওদের দিকে তেড়ে আসতে দেখতে চায়? আমার মনে হয় না।’

গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেছিলেন, টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের আগে তিনি জানতে চান, কিয়েভ সেগুলো কীভাবে ব্যবহার করবে। কারণ, তিনি যুদ্ধের মাত্রা বাড়াতে চান না। পরে জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেন এই ক্ষেপণাস্ত্র শুধুমাত্র সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে, রাশিয়ার বেসামরিক মানুষদের টার্গেট করবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো ওদের (রাশিয়ার) বেসামরিক নাগরিকদের আক্রমণ করিনি। এটাই ইউক্রেন ও রাশিয়ার বড় পার্থক্য। তাই যখন আমরা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের কথা বলি, তখন আমরা শুধু সামরিক লক্ষ্যের কথাই বলি।’

টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য কী

টোমাহক একটি দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যা সাধারণত সাগর থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় এবং গভীর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ব্যবহৃত হয়। এর পাল্লা প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার। দৈর্ঘ্য ২০ ফুট, ডানার বিস্তার সাড়ে ৮ ফুট এবং ওজন প্রায় ১ হাজার ৫১০ কেজি। প্রায় ১৩ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের এই ক্ষেপণাস্ত্র সাধারণত যুদ্ধজাহাজ বা সাবমেরিন থেকে উল্লম্বভাবে নিক্ষেপ করা হয়। তবে সাবমেরিন থেকেও টর্পেডো টিউব বা বাইরের লঞ্চার ব্যবহার করে অনুভূমিকভাবে ছোড়া সম্ভব।

ইউক্রেনকে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হলে তাদের রাশিয়ার অভ্যন্তরে আঘাত হানার ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যাবে। এর মাধ্যমে তারা রাশিয়ার গভীরভূমির সামরিক ঘাঁটি, রসদকেন্দ্র, বিমানঘাঁটি ও কমান্ড সেন্টারের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলা চালাতে পারবে—যেগুলো এখন পর্যন্ত তাদের নাগালের বাইরে রয়ে গেছে।

এর আগে, ১৯৯১ সালের পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধে প্রথমবার টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। ‘অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম’ নামের ওই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ৪২টি দেশের জোট ইরাকের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালায়। সে সময় ইরাকের সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র, কমান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, বাগদাদের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বহু লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে টোমাহক ব্যবহার করা হয়।

পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র বাহিনী জিপিএসযুক্ত টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে এবং ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের অবস্থানেও এটি ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এরদোয়ানের বাধায় নেতানিয়াহুকে মিসরের সম্মেলনে নিতে পারলেন না ট্রাম্প

ইসরায়েল থেকে মুক্তি পেলেও ফিলিস্তিনে ফিরছেন না ১৫৪ জন, যেতে হবে ‘অমানবিক’ নির্বাসনে

বাংলাদেশ-হংকং ফুটবল ম্যাচ টিভিতে দেখাবে না, তাহলে দেখার উপায়

ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ

রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত