Ajker Patrika

গাজায় ক্ষমতা না ছাড়লে হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার হুমকি ট্রাম্পের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজার সংঘাত বন্ধে প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে বাধা দিলে হামাসকে ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করে দেওয়া হবে। শনিবার সিএনএনের সাংবাদিক জ্যাক টেপারের পাঠানো বার্তার জবাবে ট্রাম্প এমন হুমকি দেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই বার্তায় বলেন, হামাস যদি গাজার নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে তাদের ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ করা হবে।

জ্যাক টেপার ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামের বক্তব্য অনুযায়ী, হামাস কার্যত ট্রাম্পের ২০ দফা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, তারা নিরস্ত্রীকরণের শর্তে রাজি নয়। তারা গাজার প্রশাসনও ফিলিস্তিনিদের হাতেই রাখতে চায়। গ্রাহাম কি ভুল বলছেন—জানতে চাইলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা খুব শিগগির তা জানতে পারব। সময়ই সব বলবে!’

ট্রাম্প আরও বলেন, হামাস সত্যিই শান্তির পথে আগ্রহী কি না, সে বিষয়ে তিনি শিগগির ‘স্পষ্টতা’ আশা করছেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁর পরিকল্পনাকে পুরোপুরি সমর্থন করছেন কি না—এমন প্রশ্নে ট্রাম্পের সংক্ষিপ্ত উত্তর, ‘হ্যাঁ, বিবির (নেতানিয়াহু) সঙ্গে আছি।’ তিনি আরও জানান, তাঁর যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বাস্তবায়নে তিনি কঠোর পরিশ্রম করছেন এবং আশাবাদী যে সেটি শিগগির কার্যকর হবে।

এর আগেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁর প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় ইসরায়েল প্রাথমিকভাবে সেনা প্রত্যাহারের শর্তটি মেনে নিয়েছে। ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এখন প্রশাসন হামাসের নিশ্চিত জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে। হামাস সম্মতি জানালেই যুদ্ধবিরতি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। বন্দী ও কয়েদি বিনিময় শুরু হবে, এরপর ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহারের পরবর্তী পর্যায় আসবে, যা আমাদের নিয়ে যাবে সেই ৩ হাজার বছরের বিপর্যয়ের অবসানের আরও কাছে।’

তিনি আরও জানান, ইসরায়েল ইতিমধ্যে গাজায় বিমান হামলা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করার পথে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’। তবে একই দিনে সিএনএন জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হয়েছে।

গত শুক্রবার ট্রাম্প জানান, হামাস তাঁর ২০ দফা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। ট্রুথ সোশ্যালে এক ভিডিও বার্তায় তিনি দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক ও অভূতপূর্ব’ বলে বর্ণনা করেন। এরপর থেকে আলোচনা হচ্ছে, দুই বছরের এই যুদ্ধ হয়তো সমাপ্তির দিকে এগোচ্ছে।

ইসরায়েলও ঘোষণা করেছে, তারা পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে দ্রুত কাজ শুরু করবে। ওয়াশিংটন সফরের সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইতিমধ্যে এটি অনুমোদন করেছেন বলে জানা গেছে। তবু কিছু সম্ভাব্য বাধা রয়ে গেছে। যেমন ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নির্দিষ্ট সময়সূচি এখনো অস্পষ্ট। গাজায় ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের কারণে আরও কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং হামাসের নিরস্ত্রীকরণ ও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের মতো বিষয়গুলো এখনো অমীমাংসিত রয়েছে।

এই প্রশ্নগুলো উঠছে; কারণ, গাজা যুদ্ধ বন্ধে পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবগুলো পুনরায় ইসরায়েলের আক্রমণ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে গিয়েছিল এবং আবার লড়াই শুরু হয়েছিল।

গাজায় এখনো ঠিক এমন পরিস্থিতিই বিরাজ করছে। বোমা হামলা বন্ধে ট্রাম্পের আহ্বান এবং ২০ দফা পরিকল্পনায় হামাসের সাড়া দেওয়ার পরের দিন অর্থাৎ শনিবার কিছুটা শান্ত পরিবেশ বজায় থাকলেও বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ কমার কোনো স্থায়ী লক্ষণ দেখা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৭৯৩ মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি, দায়ীদের শনাক্ত করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড করল বিটকয়েন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ৫০০ টাকা, প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক

ইউরোপের সুন্দর দেশ এস্তোনিয়ায় স্থায়ী বসবাসের আবেদন করবেন যেভাবে

কোরআন অবমাননার অভিযোগে নর্থ সাউথে ছাত্রকে সহপাঠীদের পিটুনি, মধ্যরাতে উদ্ধার করল পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত