Ajker Patrika

২০২৪ সালে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলল কমনওয়েলথ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৫৮
গত ১৭ জানুয়ারি ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে দেওয়া একটি রায়ের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এক নারী। ছবি: এএফপি
গত ১৭ জানুয়ারি ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে দেওয়া একটি রায়ের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এক নারী। ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রকাশিত চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ভোটের স্বচ্ছতা ও ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে কমনওয়েলথ অবজারভার গ্রুপ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলটির ন্যায্যভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতা ক্রমাগত সীমিত করা হয়েছিল এবং এতে জনগণের মৌলিক রাজনৈতিক অধিকার খর্ব হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে পিটিআইকে দলীয় প্রতীক (ব্যাট) না দেওয়া এবং তাদের প্রার্থীদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধ্য করা ছিল সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা। আইনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এর পরিণতি ছিল অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

প্রতিবেদনটিতে পিটিআই দলটির প্রধান নেতা ইমরান খানকে নির্বাচনের আগে একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা এবং কারাবন্দী রাখা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব পদক্ষেপ কার্যত মাঠের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট করেছে।

কমনওয়েলথের পর্যবেক্ষকেরা আরও জানান, পিটিআই নেতাকর্মী ও সমর্থকদের গ্রেপ্তার, আটক, গুম, অফিস ও বাড়ি তল্লাশি—এসব ঘটনা তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার হরণ করেছে। নির্বাচনের রাতে মোবাইল ফোন সেবা বন্ধ করাকে তাঁরা স্বচ্ছতা হ্রাসের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন।

নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমের কাভারেজ নিয়েও প্রতিবেদনটিতে তীব্র সমালোচনা করা হয়। বলা হয়, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন করপোরেশন মূলত পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) ও পিপিপিকে প্রচার করেছে। এর বিপরীতে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রাপ্য কভারেজ দেওয়া হয়নি। এমনকি ইমরান খানের নাম উচ্চারণ করতে পর্যন্ত নিষেধ করে দেওয়া হয়েছিল সম্প্রচারকদের।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়—কিছু কেন্দ্রের ভোটের ফল ও চূড়ান্ত ফলাফলের মধ্যে অসংগতি ছিল। এভাবে বেআইনিভাবে কিছু প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে বলে আশঙ্কা রয়েছে। পর্যবেক্ষকেরা সতর্ক করেছেন, এসব ঘটনা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা ও অন্তর্ভুক্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে।

এর আগে পিটিআই অভিযোগ করেছিল, কমনওয়েলথ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিজেদের প্রতিবেদন বিলম্বিত করে সেনা-সমর্থিত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহকারী সায়েদ জুলফিকার বুখারি বলেন, ‘এটি পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে জালিয়াতিপূর্ণ নির্বাচন ছিল। কমনওয়েলথের নীরবতা গণতন্ত্র হত্যার সহায়ক।’

তবে কমনওয়েলথ পিটিআই-এর ওই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, প্রতিবেদনটি পাকিস্তান সরকার ও নির্বাচন কমিশন আগেই পেয়েছিল এবং প্রকাশ বিলম্বিত হলেও তা প্রকাশনা প্রক্রিয়ারই অংশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় মার্কিন শান্তি প্রস্তাবে আরব-ইউরোপসহ সবাই একমত, কী আছে ট্রাম্পের ২০ দফায়

সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদের জানাজায় মানুষের ঢল

ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে হামলা, ছুরিকাঘাতে জামায়াত নেতা নিহত

খুব কষ্ট পেলাম! লাশের হাতে হ্যান্ডকাফ— সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদের মৃত্যু প্রসঙ্গে মান্না

পুলিশের জালে জালিয়াতির মামলায় ফাঁসলেন ‘সম্পদের দেবী’, উদ্ধার ৬১ হাজার বিটকয়েন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত