আজকের পত্রিকা ডেস্ক
খাইবার পাখতুনখাওয়ায় পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বিমান হামলায় শিশু, নারীসহ অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানগুলো নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) আস্তানা লক্ষ্য করে খাইবার জেলার তিরাহ উপত্যকার মাতরে দারা গ্রামে আটটি এলএস-৬ বোমা নিক্ষেপ করে। এতে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। নিহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছে, তবে তাদের অবস্থা সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, শিশুদের মরদেহসহ আরও অনেক মরদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মরদেহ থাকার আশঙ্কায় উদ্ধারকর্মীরা তল্লাশি চালাচ্ছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
খাইবার পাখতুনখাওয়ায় অতীতেও বহু সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে এবং সেখানে বহু বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চলতি বছরের জুনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছিল, খাইবার পাখতুনখাওয়ায় বারবার ড্রোন হামলা পাকিস্তানে বেসামরিক জীবনকে ভয়াবহভাবে অবজ্ঞা করার ইঙ্গিত দেয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার ডেপুটি রিজিওনাল ডিরেক্টর ইজাবেল লাসি বলেন, ‘খাইবার পাখতুনখাওয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে।’
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন খাইবার পাখতুনখাওয়া পুলিশের তথ্যের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সেখানে ৬০৫টি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটেছে। এতে অন্তত ১৩৮ জন বেসামরিক এবং ৭৯ জন পাকিস্তানি পুলিশ নিহত হয়েছে। শুধু আগস্ট মাসেই এমন ১২৯টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ছয়জন পাকিস্তানি সেনা ও আধা সামরিক ফেডারেল কনস্টাবুলারি সদস্যের হত্যাকাণ্ডও অন্তর্ভুক্ত।
এ ঘটনার পর পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসিপি) আজ সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, খাইবার পাখতুনখাওয়ার তিরাহ এলাকায় ‘আকাশপথে বোমা হামলায়’ বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবরে তারা গভীরভাবে মর্মাহত। এইচআরসিপি এ বিষয়ে দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেনি।
এদিকে, খাইবার থেকে নির্বাচিত ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য মোহাম্মদ ইকবাল খান আফ্রিদি একটি ভিডিও বার্তায় এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি ভিডিওটি গণমাধ্যমের কাছেও পাঠান। তিনি বলেন, তিরাহ উপত্যকায় যুদ্ধবিমানের বোমার আঘাতে বয়স্ক নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে তিনি জনগণকে ঘটনাস্থলে আসার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘খাইবারে এমন ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এখানকার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা এখন একটি রুটিনে পরিণত হয়েছে।’
একই ধরনের একটি ঘটনায় গত মে মাসে, খাইবার পাখতুনখাওয়ার দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলার ওয়ানা তহসিলে সন্দেহজনক কোয়াডকপ্টার হামলায় ৭ শিশুসহ ২২ জন আহত হয়েছিল। এর প্রায় এক সপ্তাহ আগে, উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার মীর আলি তহসিলে সন্দেহজনক কোয়াডকপ্টার হামলায় ৪ শিশু নিহত এবং আরও ৫ জন আহত হন। পরে সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, এ ঘটনার সঙ্গে তাদের মিথ্যাভাবে জড়ানো হয়েছে। এই হামলা নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।
খাইবার পাখতুনখাওয়ায় পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বিমান হামলায় শিশু, নারীসহ অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানগুলো নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) আস্তানা লক্ষ্য করে খাইবার জেলার তিরাহ উপত্যকার মাতরে দারা গ্রামে আটটি এলএস-৬ বোমা নিক্ষেপ করে। এতে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। নিহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছে, তবে তাদের অবস্থা সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, শিশুদের মরদেহসহ আরও অনেক মরদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মরদেহ থাকার আশঙ্কায় উদ্ধারকর্মীরা তল্লাশি চালাচ্ছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
খাইবার পাখতুনখাওয়ায় অতীতেও বহু সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে এবং সেখানে বহু বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চলতি বছরের জুনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছিল, খাইবার পাখতুনখাওয়ায় বারবার ড্রোন হামলা পাকিস্তানে বেসামরিক জীবনকে ভয়াবহভাবে অবজ্ঞা করার ইঙ্গিত দেয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার ডেপুটি রিজিওনাল ডিরেক্টর ইজাবেল লাসি বলেন, ‘খাইবার পাখতুনখাওয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে।’
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন খাইবার পাখতুনখাওয়া পুলিশের তথ্যের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সেখানে ৬০৫টি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটেছে। এতে অন্তত ১৩৮ জন বেসামরিক এবং ৭৯ জন পাকিস্তানি পুলিশ নিহত হয়েছে। শুধু আগস্ট মাসেই এমন ১২৯টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ছয়জন পাকিস্তানি সেনা ও আধা সামরিক ফেডারেল কনস্টাবুলারি সদস্যের হত্যাকাণ্ডও অন্তর্ভুক্ত।
এ ঘটনার পর পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসিপি) আজ সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, খাইবার পাখতুনখাওয়ার তিরাহ এলাকায় ‘আকাশপথে বোমা হামলায়’ বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবরে তারা গভীরভাবে মর্মাহত। এইচআরসিপি এ বিষয়ে দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেনি।
এদিকে, খাইবার থেকে নির্বাচিত ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য মোহাম্মদ ইকবাল খান আফ্রিদি একটি ভিডিও বার্তায় এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি ভিডিওটি গণমাধ্যমের কাছেও পাঠান। তিনি বলেন, তিরাহ উপত্যকায় যুদ্ধবিমানের বোমার আঘাতে বয়স্ক নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে তিনি জনগণকে ঘটনাস্থলে আসার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘খাইবারে এমন ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এখানকার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা এখন একটি রুটিনে পরিণত হয়েছে।’
একই ধরনের একটি ঘটনায় গত মে মাসে, খাইবার পাখতুনখাওয়ার দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলার ওয়ানা তহসিলে সন্দেহজনক কোয়াডকপ্টার হামলায় ৭ শিশুসহ ২২ জন আহত হয়েছিল। এর প্রায় এক সপ্তাহ আগে, উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার মীর আলি তহসিলে সন্দেহজনক কোয়াডকপ্টার হামলায় ৪ শিশু নিহত এবং আরও ৫ জন আহত হন। পরে সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, এ ঘটনার সঙ্গে তাদের মিথ্যাভাবে জড়ানো হয়েছে। এই হামলা নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আজ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিতে পারে ফ্রান্স। তবে এর আগে থেকে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরের মেয়রেরা সরকারের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে শহরের টাউন হলগুলোতে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়েছেন।
২৬ মিনিট আগেগাজায় ইসরায়েলি সেনাদের (আইডিএফ) পরিবর্তে একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে ফ্রান্স। যুদ্ধ শেষে এই বাহিনী অঞ্চলটির দায়িত্ব নেবে এবং হামাসকে নিরস্ত্র করার কাজ করবে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল প্রাপ্ত খসড়া প্রস্তাবের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালের ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের হুঁশিয়ারির জবাবে পাল্টা হুমকি দিল যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার সতর্ক করে বলেন, পশ্চিম তীরের কোনো ভূমি নতুন করে দখল করলে ইসরায়েলের পরিণত হবে ভয়াবহ।
৩ ঘণ্টা আগেফ্রান্স ও সৌদি আরব আজ সোমবার ফিলিস্তিনে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে সমর্থন জোগাড়ের লক্ষ্যে এক বহুজাতিক সম্মেলনের আয়োজন করছেন। অন্তত কয়েক ডজন দেশের নেতারা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। আশা করা হচ্ছে, এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবেন। তবে এই পদক্ষেপের তীব্র...
৪ ঘণ্টা আগে