Ajker Patrika

দুঃখ ভুলিয়ে দিতে গাজার পথে পথে শিশুদের গান শোনায় মেয়েটি

আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯: ০৬
দুঃখ ভুলিয়ে দিতে গাজার পথে পথে শিশুদের গান শোনায় মেয়েটি

রুয়া হাসুনা যখন তাঁর বাদ্যযন্ত্রটি বাজাতে শুরু করেন তখন ধীরে ধীরে তাঁর চারপাশে জড়ো হতে থাকে গাজার শিশুরা। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে একসময় তারা হাততালি দিতে শুরু করে। যুদ্ধ ক্লান্ত, অভুক্ত আর আতঙ্কগ্রস্ত ওই শিশুগুলোকে কিছুটা আনন্দ দিতে গেয়ে ওঠেন রুয়া।

দক্ষিণ গাজার রাফা এলাকায় তাঁবুর মধ্যে বসবাস করা শিশুদের মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে রুয়ার গান শুনে। গাজায় গত দুই মাসের বিরামহীন বোমা বর্ষণে ঘর-বাড়ি হারিয়ে ওই এলাকাটিতে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি।

যুদ্ধবিধ্বস্ত শিশুদের আনন্দ দিতে বর্তমানে এক ডজনের বেশি স্বেচ্ছাসেবী গাজার ক্যাম্প থেকে ক্যাম্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের কেউ কৌতুক বলেন, কেউ নৃত্য করেন আবার কেউ গল্প বলেন, গান শোনান। রুয়া হাসুনা তাঁদেরই একজন।

২৩ বছর বয়সী রুয়া ‘উদ’ নামে মধ্যপ্রাচ্যে জনপ্রিয় একটি বাদ্যযন্ত্র বাজান। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের কথা ভুলিয়ে দিতে শিশুদের জন্য আমরা যা পারি তা-ই করি। তাদের মানসিক চাপ কমিয়ে দিতেই গান শোনাই।’

রুয়া জানান—ছোট ছোট শ্রোতারা যখন তাঁর গান শুনতে শুরু করে, তখন তারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ড্রোনের আওয়াজ আর শুনতে পায় না। সংগীতের ভেতর ডুবে যায় তারা।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে গাজার উদ্বাস্তু হওয়া ১৯ লাখ মানুষের মধ্যে অর্ধেকই শিশু। গত ৭ অক্টোবরের পর থেকেই তাদের জীবন পুরোপুরি বদলে গেছে। যুদ্ধ আর ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বেঁচে যাওয়া শিশুরা এখন এক অমানবিক জীবন-যাপন করছে বিভিন্ন ক্যাম্পে।

উদ নামে মধ্যপ্রাচ্যে জনপ্রিয় একটি বাদ্য বাজার রুয়া। রুয়াদের দলটি তাই এক ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পে ছুটে বেড়ায়। প্রতিটি ক্যাম্পেই তাঁরা অন্তত তিন ঘণ্টা সময় শিশুদের সঙ্গে কাটান।

যার উদ্যোগে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তিনি হলেন আওনি ফারহাত নামে এক প্রবাসী। বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। কারণ আমরা এর মাধ্যমে দেখেছি—শিশুদের মানসিক অবস্থা খুব করুণ অবস্থায় রয়েছে।’

চলমান সংঘাতের মধ্যেই নেদারল্যান্ডসে বসবাস করা ফারহাত যুদ্ধবিরতির সুযোগে গাজায় ফিরে এসেছেন। রুয়ার মতো কিছু স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে গাজার শিশুদের দুঃখ ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন।

রুয়ার গানের শ্রোতাদের মধ্যে নিজার শাহিন নামে এক শিশু বলে, ‘আমি আমার দুশ্চিন্তা এবং যাদেরকে হারিয়েছি তাদের ভুলে থাকতে চাই। আমি আবার আগের মতো জীবন চাই। এখানে এখন কোনো খাবার নাই, পানি নাই, কিছুই নাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এনবিআর বিলুপ্তির জেরে প্রায় অচল দেশের রাজস্ব কর্মকাণ্ড

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রশ্নে যে প্রতিক্রিয়া জানাল যুক্তরাষ্ট্র

২ ম্যাচ খেলেই মোস্তাফিজ কীভাবে ৬ কোটি রুপি পাবেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত