Ajker Patrika

বিবিসির প্রতিবেদন

যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি

  • তেহরান পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র চালু হয় ১৯৬৭ সালে।
  • তখন ইরানের শাসক ছিলেন রেজা শাহ পাহলভি।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
স্যাটেলাইট ছবিতে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে নাতাঞ্জ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত
স্যাটেলাইট ছবিতে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে নাতাঞ্জ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত

ইরানে এবারের হামলা শুরুর কারণ হিসেবে দেশটির পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে দায়ী করেছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাঁর ভাষায়, ‘ইরানকে থামানো না হলে খুব কম সময়ের মধ্যে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে ফেলতে পারে। এটা এক বছরের মধ্যে হতে পারে। কয়েক মাসেও হতে পারে।’

ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে বা তৈরির দ্বারপ্রান্তে। ইসরায়েলের তরফে এমন অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। মাঝেমধ্যেই এমন দাবি করে থাকে তারা। তবে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছিল দেশটির সাবেক রাজা রেজা শাহ পাহলভির হাত ধরে। এটা ঘটে মূলত ষাটের দশকের দিকে। যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ১৯৬৭ সালে তেহরান পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র চালু হয়। অবশ্য পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ না করার নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফারেশন চুক্তিতে ১৯৬৮ সালে স্বাক্ষর করে ইরান।

ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল; উভয়ের বন্ধু ছিল ইরান। তবে ১৯৬৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সেই বন্ধুত্বের অবসান ঘটে। অনেকে ধারণা করেন, আশির দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইরান তার পারমাণবিক অস্ত্রের কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৮৪ সালে চীনের সহযোগিতায় ইরানের ইসফাহানে দেশটির সর্ববৃহৎ পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র চালু হয়। যদিও তেহরান সব সময়ই বিদ্যুৎ বা জ্বালানি খাতে এর শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের কথা বলে এসেছে।

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি প্রকাশ্যে আসে ২০০২ সালে। তখন নির্বাসিত বিরোধী নেতারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র এবং একটি ভারী পানির চুল্লি নির্মাণের গোপন কার্যক্রমের তথ্য প্রকাশ করেন। যদিও এর আগে থেকেই ইরানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগ ছিল।

১৯৯২ সালে মার্কিন কংগ্রেসে ইরান-ইরাক আর্মস নন-প্রলিফারেশন অ্যাক্ট বা অস্ত্র বিস্তার রোধ আইন পাস করা হয়। এতে বলা হয়, ‘ইরাক বা ইরানে পণ্য বা প্রযুক্তি সরবরাহের ক্ষেত্রে যখন মনে হবে সেগুলো সেই দেশের রাসায়নিক, জৈবিক, পারমাণবিক বা উন্নত অস্ত্র অর্জনে অবদান রাখতে পারে, এর বিরোধিতা করা যুক্তরাষ্ট্রের নীতি।’ সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন জর্জ ডব্লিউ বুশ। অন্যদিকে নেতানিয়াহু বরাবরই ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। ১৯৯২ সালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে তিনি বলেছিলেন, ‘তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে’ তেহরান পারমাণবিক বোমা তৈরি করে ফেলতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত