Ajker Patrika

গাজায় ইসরায়েলের পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযানের প্রথম ধাপ শুরু, এক দিনেই নিহত ৮১

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৫, ১২: ১৮
গাজায় অনেকগুলো বহুজাতিক কোম্পানি ইসরায়েলি গণহত্যায় সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ছবি: আনাদুলু
গাজায় অনেকগুলো বহুজাতিক কোম্পানি ইসরায়েলি গণহত্যায় সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ছবি: আনাদুলু

গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় নগরী গাজা সিটিতে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযানের প্রথম ধাপ শুরু করেছে ইসরায়েল। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল বুধবার ইসরায়েলি অভিযানে অন্তত ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া অনাহারে মৃত্যু হয়েছে আরও তিন ফিলিস্তিনির। এ নিয়ে উপত্যকাটিতে অপুষ্টি ও অনাহারে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়াল ২৬৯, যাদের মধ্যে ১১২ জনই শিশু।

ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হামলাও থেমে নেই। গতকাল বুধবার বিতর্কিত সংগঠন জিএইচএফের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে। ওই ৩০ জনের মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনের জাতীয় বাস্কেটবল খেলোয়াড় মোহাম্মাদ শালান।

খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ প্রবেশ বন্ধ থাকায় গোটা গাজা উপত্যকা দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলেছে, ‘এটি আর সাধারণ ক্ষুধা নয়, এটি প্রকৃত অর্থে অনাহার।’ সংস্থাটি সতর্ক করেছে, অপুষ্টি শিশুদের বিকাশে স্থায়ী ক্ষতি করছে এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে সাধারণ রোগও প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজা সিটির প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ শিশু বর্তমানে মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।

এমন পরিস্থিতিতে গাজা সিটিতে নতুন করে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। ট্যাংক, সাঁজোয়া যানসহ বিভিন্ন সমরযান ঘিরে ফেলতে শুরু করেছে শহরটিকে। কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ আটকা পড়েছে সেখানে। এমন পরিস্থিতে নতুন করে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হবে বলে আশঙ্কা জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, গাজা সিটিতে অভিযানের ফলে আরও এক দফা ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ঘটবে। মানুষ ইতিমধ্যে বহুবার ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।

এদিকে, মধ্যস্থতাকারীরা ২২ মাস ধরে চলমান এই যুদ্ধ থামাতে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রস্তাবিত সর্বশেষ খসড়া চুক্তিতে সম্মতি দিয়েছে হামাস। সর্বশেষ কাঠামোতে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি, জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের পর্যায়ক্রমে বিনিময় এবং বর্ধিত সাহায্য প্রবেশের আহ্বান জানানো হয়েছে।

হামাস রাজি হলেও ইসরায়েল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

হামাস বলছে, গাজা সিটিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রবেশ একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত যে ইসরায়েল ‘নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে তার বর্বর যুদ্ধ’ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে এবং গাজা সিটি ধ্বংস করে এর বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার লক্ষ্য নিয়েছে। এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবের প্রতি নেতানিয়াহুর অবজ্ঞা এবং তার সাড়া না দেওয়াই প্রমাণ করে যে তিনি যেকোনো চুক্তির প্রকৃত বাধাদানকারী। তিনি যে ইসরায়েলি বন্দীদের জীবন নিয়ে চিন্তিত নন এবং তাদের ফেরাতে আন্তরিক নন, তা-ও প্রমাণিত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রতি রাতে সাপ হয়ে দংশন করেন স্ত্রী, প্রশাসনে অভিযোগ স্বামীর

চমকে দিয়ে বিসিবির সহসভাপতি হওয়া কে এই শাখাওয়াত

বিসিবির পরিচালক হলেন রুবাবা দৌলা

লন্ডন বৈঠকে ড. ইউনূসের সঙ্গে কী আলাপ হয়েছে—বিবিসি বাংলাকে যা বললেন তারেক রহমান

স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে ভারত বাংলাদেশের মানুষের বিরাগভাজন হলে ‘আমাদের কিছু করার নেই’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত