গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পৌনে ২ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানবিষয়ক পিয়ার রিভিউড ব্রিটিশ জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মূলত ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজাবাসীর স্বাস্থ্যের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তা আমলে নিয়েই এই অনুমান করেছে জার্নালটি।
ল্যানসেটের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সশস্ত্র সংঘাতের সহিংসতার প্রত্যক্ষ ক্ষতির বাইরেও পরোক্ষ স্বাস্থ্যগত প্রভাব আছে। এমনকি যদি সংঘাত অবিলম্বে শেষ হয়ে যায়, তার পরও প্রজনন, সংক্রামক এবং অসংক্রামক রোগের মতো কারণগুলো থেকে আগামী কয়েক মাস ও বছরগুলোতে অনেক মানুষ পরোক্ষভাবে মৃত্যুবরণ করবেন।’
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘এই সংঘর্ষের তীব্রতা বিবেচনা করে মোট মৃতের সংখ্যা বড় হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিচর্যা অবকাঠামো ধ্বংস; খাদ্য, পানি এবং আশ্রয়ের তীব্র ঘাটতি; নিরাপদ স্থানে পালাতে স্থানীয়দের অক্ষমতা; জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার তহবিলের ঘাটতি ইত্যাদি গাজা উপত্যকায় এখনো সক্রিয় মানবিক সংকটগুলোর একটি।’
ব্রিটিশ জার্নালটিতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক সংঘাতে এ ধরনের পরোক্ষ মৃত্যুর সংখ্যা প্রত্যক্ষ মৃত্যুর সংখ্যার চেয়ে ৩ থেকে ১৫ গুণ। এখন পর্যন্ত পাওয়া যাওয়া ৩৭ হাজার ৩৯৬ জনের মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে অনুমান করা হয়, প্রতি একজনের প্রত্যক্ষ মৃত্যুর বিপরীতে চারজন পরোক্ষভাবে মারা গেছে। সেই হিসাব অনুসারে, গাজার বর্তমান সংঘাতে ১ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ বা তার বেশি মানুষ মারা গিয়ে থাকতে পারে।’
প্রতিবেদন অনুসারে, ‘মৃত্যুর এই পরিমাণ ২০২২ সালে গাজার যে পরিমাণ জনসংখ্যা ছিল—২৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৫৯ জন—তার ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। এর আগে, ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি—যখন ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার—প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, যদি দ্রুতই একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫৮ হাজার ২৬০। অবশ্য যদি কোনো ধরনের মহামারি এবং যুদ্ধের গতি বৃদ্ধির মতো ঘটনা ঘটে, তাহলে চলতি বছরের ৬ আগস্ট নাগাদ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৮৭ হাজার ২৬০।’
এদিকে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন চলছে ৯ মাস ধরে। এই সময়ের মধ্যে অঞ্চলটিতে হামাসসহ অন্যান্য প্রতিরোধযোদ্ধা গোষ্ঠীর আক্রমণে অন্তত ৬৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী এ সংখ্যা জানিয়েছে।
অন্যদিকে, গাজায় গতকাল রোববার বিকেলের আগের ২৪ ঘণ্টায় তিনটি স্থানে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে ইসরায়েল, যাতে অন্তত ৫৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১২৩ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ৫৫ জনসহ ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ১৫৩ জনে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্তত ৮৭ হাজার ৮২৮ জন।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পৌনে ২ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানবিষয়ক পিয়ার রিভিউড ব্রিটিশ জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মূলত ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজাবাসীর স্বাস্থ্যের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তা আমলে নিয়েই এই অনুমান করেছে জার্নালটি।
ল্যানসেটের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সশস্ত্র সংঘাতের সহিংসতার প্রত্যক্ষ ক্ষতির বাইরেও পরোক্ষ স্বাস্থ্যগত প্রভাব আছে। এমনকি যদি সংঘাত অবিলম্বে শেষ হয়ে যায়, তার পরও প্রজনন, সংক্রামক এবং অসংক্রামক রোগের মতো কারণগুলো থেকে আগামী কয়েক মাস ও বছরগুলোতে অনেক মানুষ পরোক্ষভাবে মৃত্যুবরণ করবেন।’
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘এই সংঘর্ষের তীব্রতা বিবেচনা করে মোট মৃতের সংখ্যা বড় হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিচর্যা অবকাঠামো ধ্বংস; খাদ্য, পানি এবং আশ্রয়ের তীব্র ঘাটতি; নিরাপদ স্থানে পালাতে স্থানীয়দের অক্ষমতা; জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার তহবিলের ঘাটতি ইত্যাদি গাজা উপত্যকায় এখনো সক্রিয় মানবিক সংকটগুলোর একটি।’
ব্রিটিশ জার্নালটিতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক সংঘাতে এ ধরনের পরোক্ষ মৃত্যুর সংখ্যা প্রত্যক্ষ মৃত্যুর সংখ্যার চেয়ে ৩ থেকে ১৫ গুণ। এখন পর্যন্ত পাওয়া যাওয়া ৩৭ হাজার ৩৯৬ জনের মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে অনুমান করা হয়, প্রতি একজনের প্রত্যক্ষ মৃত্যুর বিপরীতে চারজন পরোক্ষভাবে মারা গেছে। সেই হিসাব অনুসারে, গাজার বর্তমান সংঘাতে ১ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ বা তার বেশি মানুষ মারা গিয়ে থাকতে পারে।’
প্রতিবেদন অনুসারে, ‘মৃত্যুর এই পরিমাণ ২০২২ সালে গাজার যে পরিমাণ জনসংখ্যা ছিল—২৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৫৯ জন—তার ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। এর আগে, ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি—যখন ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার—প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, যদি দ্রুতই একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫৮ হাজার ২৬০। অবশ্য যদি কোনো ধরনের মহামারি এবং যুদ্ধের গতি বৃদ্ধির মতো ঘটনা ঘটে, তাহলে চলতি বছরের ৬ আগস্ট নাগাদ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৮৭ হাজার ২৬০।’
এদিকে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন চলছে ৯ মাস ধরে। এই সময়ের মধ্যে অঞ্চলটিতে হামাসসহ অন্যান্য প্রতিরোধযোদ্ধা গোষ্ঠীর আক্রমণে অন্তত ৬৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী এ সংখ্যা জানিয়েছে।
অন্যদিকে, গাজায় গতকাল রোববার বিকেলের আগের ২৪ ঘণ্টায় তিনটি স্থানে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে ইসরায়েল, যাতে অন্তত ৫৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১২৩ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ৫৫ জনসহ ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ১৫৩ জনে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্তত ৮৭ হাজার ৮২৮ জন।
কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদে ইরানের পাল্টা হামলার ঘটনায় সৌদি আরব তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একে ‘আন্তর্জাতিক আইন ও সুসম্পর্কের নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে দেশটি। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা এই হামলাকে সবচেয়ে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানাই।’
৩৫ মিনিট আগেদোহা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুহান্নাদ সেলুম মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাতারভিত্তিক ঘাঁটি আল-উদেইদে ইরানের সর্বশেষ হামলাটি মূলত প্রতীকী এবং এটি ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার একটি নতুন স্তর। তিনি বলেন, ইরান অতীতে যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে ইরাকের ভেতরে হামলা চালিয়েছে।
৩৮ মিনিট আগেমধ্যপ্রাচ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে কুয়েত সাময়িকভাবে নিজের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। এর আগে কাতার ও বাহরাইন একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়। কুয়েতের এই সিদ্ধান্ত এসেছে ইরান-ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত ঘনীভূত হওয়ার প্রেক্ষাপটে।
৪২ মিনিট আগেকাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর আগে দোহাকে আগাম জানিয়ে দেয় ইরান। ঘটনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র জানায়, এই সমন্বয়ের উদ্দেশ্য ছিল ক্ষয়ক্ষতি কমানো এবং উত্তেজনার মধ্যে ‘কূটনৈতিক...
১ ঘণ্টা আগে