অনলাইন ডেস্ক
জিম্মিদের ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত গাজায় অবরোধ অব্যাহত থাকবে। এমনটাই জানিয়েছেন, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। ইসরায়েলি সূত্রের বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েল কাৎজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েলের নীতি স্পষ্ট—জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় কোনো মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। হামাসকে চাপ প্রয়োগের অন্যতম প্রধান কৌশল হিসেবে এটি করা হচ্ছে। যাতে জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে এটি তারা ব্যবহার করতে না পারে।’
কাৎজ আরও বলেন, ‘গাজায় কেউ সহায়তা পাঠানোর পরিকল্পনা করছে না, এমনকি তার কোনো প্রস্তুতিও নেই।’ হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘হামাস যদি জিম্মিদের না ইসরায়েলে ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে ভয়াবহ শক্তি দিয়ে তাদের আঘাত করা হবে।’
গত ২ মার্চ থেকে গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ফলে ঢুকতে পারছে না কোনো খাবার, পানি, জ্বালানি এমনকি ওষুধও। নির্বিচারে উপত্যকাজুড়ে চালানো হচ্ছে হামলা। বেসামরিকদের বাড়িঘর ও শরণার্থীশিবির লক্ষ্য করে চলছে বিমান থেকে হামলা। এমন পরিস্থিতিতে গাজা পরিণত হয়েছে মৃত্যুকূপে।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ একাধিক সহায়তা সংস্থা ইসরায়েলের এই অবরোধকে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে। তবে ইসরায়েল তা অস্বীকার করে যাচ্ছে। দেশটির সাফাই—গাজায় যথেষ্ট পরিমাণ খাবার, পানি ও জীবনধারণের প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপাদান রয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের এমন দাবি যে সত্য নয়, তা বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্টই। চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস বলছে, গাজা উপত্যকা ধীরে ধীরে সুবিশাল এক গণকবরে পরিণত হচ্ছে।
মাঠে থাকা চিকিৎসক ও সহায়তা সংস্থাগুলোর মতে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতি প্রতিদিনই আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। মেডিকেল এইড ফর প্যালেস্টাইনের পরিচালক মাহমুদ শালাবি বলেন, ‘গত ১৮ মাসে কখনো এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়নি—জীবনের মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত তো হতে হচ্ছে, প্রতিদিনই চারপাশে বাড়ছে হামলার আতঙ্ক।’
গাজায় সহায়তা পাঠানো ইসরায়েলে এখন একটি রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত ইস্যু। এখনো ৫৮ জন জিম্মি গাজায় রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকারের কট্টর ডানপন্থীরা বলছেন, জিম্মিদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত গাজার বেসামরিক জনগণকেও সহায়তা দেওয়া যাবে না।
দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বলেন, ‘যতক্ষণ আমাদের মানুষগুলো টানেলে আটকে রয়েছে, ততক্ষণ এক গ্রাম খাবারও গাজায় যাবে না।’
এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ আবার বলেছেন, ভবিষ্যতে ইসরায়েল নিজের তত্ত্বাবধানে গাজায় মানবিক সহায়তা বিতরণের জন্য ‘বেসামরিক কাঠামো’ গড়বে, যাতে তা হামাসের হাতে না পড়ে। তবে কবে এবং কীভাবে তা হবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি।
কিছু কিছু স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিজেই সহায়তা বিতরণের জন্য লজিস্টিক সেন্টার তৈরি করতে পারে, যেখানে নিরীক্ষিত সহায়তা সংস্থাগুলো কাজ করবে। তবে জাতিসংঘ এখনো তাদের কর্মীদের তালিকা ইসরায়েলকে দেয়নি। মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ের আলোচনা এখনো অচলাবস্থায়।
ইসরায়েল জানিয়েছে, যে কোনো চুক্তি হলেও তারা গাজার যেসব অংশ দখল করেছে, সেগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না। কাৎজ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘পূর্বের মতো এবার আর সেনা প্রত্যাহার হবে না। গাজা, লেবানন এবং সিরিয়ার মতো অঞ্চলেও নিরাপত্তা বেষ্টনী হিসেবে সেনা থাকবে।’
এদিকে, গতকাল রাতেও ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ১৩ ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে রয়েছেন খ্যাতনামা আলোকচিত্রী ফাতেমা হাসসুনা। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৮ মার্চ থেকে আবার হামলা শুরুর পর নিহত হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহতদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।
জিম্মিদের ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত গাজায় অবরোধ অব্যাহত থাকবে। এমনটাই জানিয়েছেন, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। ইসরায়েলি সূত্রের বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েল কাৎজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েলের নীতি স্পষ্ট—জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় কোনো মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। হামাসকে চাপ প্রয়োগের অন্যতম প্রধান কৌশল হিসেবে এটি করা হচ্ছে। যাতে জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে এটি তারা ব্যবহার করতে না পারে।’
কাৎজ আরও বলেন, ‘গাজায় কেউ সহায়তা পাঠানোর পরিকল্পনা করছে না, এমনকি তার কোনো প্রস্তুতিও নেই।’ হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘হামাস যদি জিম্মিদের না ইসরায়েলে ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে ভয়াবহ শক্তি দিয়ে তাদের আঘাত করা হবে।’
গত ২ মার্চ থেকে গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ফলে ঢুকতে পারছে না কোনো খাবার, পানি, জ্বালানি এমনকি ওষুধও। নির্বিচারে উপত্যকাজুড়ে চালানো হচ্ছে হামলা। বেসামরিকদের বাড়িঘর ও শরণার্থীশিবির লক্ষ্য করে চলছে বিমান থেকে হামলা। এমন পরিস্থিতিতে গাজা পরিণত হয়েছে মৃত্যুকূপে।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ একাধিক সহায়তা সংস্থা ইসরায়েলের এই অবরোধকে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে। তবে ইসরায়েল তা অস্বীকার করে যাচ্ছে। দেশটির সাফাই—গাজায় যথেষ্ট পরিমাণ খাবার, পানি ও জীবনধারণের প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপাদান রয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের এমন দাবি যে সত্য নয়, তা বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্টই। চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস বলছে, গাজা উপত্যকা ধীরে ধীরে সুবিশাল এক গণকবরে পরিণত হচ্ছে।
মাঠে থাকা চিকিৎসক ও সহায়তা সংস্থাগুলোর মতে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতি প্রতিদিনই আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। মেডিকেল এইড ফর প্যালেস্টাইনের পরিচালক মাহমুদ শালাবি বলেন, ‘গত ১৮ মাসে কখনো এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়নি—জীবনের মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত তো হতে হচ্ছে, প্রতিদিনই চারপাশে বাড়ছে হামলার আতঙ্ক।’
গাজায় সহায়তা পাঠানো ইসরায়েলে এখন একটি রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত ইস্যু। এখনো ৫৮ জন জিম্মি গাজায় রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকারের কট্টর ডানপন্থীরা বলছেন, জিম্মিদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত গাজার বেসামরিক জনগণকেও সহায়তা দেওয়া যাবে না।
দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বলেন, ‘যতক্ষণ আমাদের মানুষগুলো টানেলে আটকে রয়েছে, ততক্ষণ এক গ্রাম খাবারও গাজায় যাবে না।’
এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ আবার বলেছেন, ভবিষ্যতে ইসরায়েল নিজের তত্ত্বাবধানে গাজায় মানবিক সহায়তা বিতরণের জন্য ‘বেসামরিক কাঠামো’ গড়বে, যাতে তা হামাসের হাতে না পড়ে। তবে কবে এবং কীভাবে তা হবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি।
কিছু কিছু স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিজেই সহায়তা বিতরণের জন্য লজিস্টিক সেন্টার তৈরি করতে পারে, যেখানে নিরীক্ষিত সহায়তা সংস্থাগুলো কাজ করবে। তবে জাতিসংঘ এখনো তাদের কর্মীদের তালিকা ইসরায়েলকে দেয়নি। মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ের আলোচনা এখনো অচলাবস্থায়।
ইসরায়েল জানিয়েছে, যে কোনো চুক্তি হলেও তারা গাজার যেসব অংশ দখল করেছে, সেগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না। কাৎজ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘পূর্বের মতো এবার আর সেনা প্রত্যাহার হবে না। গাজা, লেবানন এবং সিরিয়ার মতো অঞ্চলেও নিরাপত্তা বেষ্টনী হিসেবে সেনা থাকবে।’
এদিকে, গতকাল রাতেও ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ১৩ ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে রয়েছেন খ্যাতনামা আলোকচিত্রী ফাতেমা হাসসুনা। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৮ মার্চ থেকে আবার হামলা শুরুর পর নিহত হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহতদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন দুই দেশের নেতারা। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা পাঁচ রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
৩৬ মিনিট আগেকানাডার ফেডারেল নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি প্রচারণার শেষ সপ্তাহে অপ্রত্যাশিতভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করেছে। এর মাধ্যমে দলটি আরও চার বছরের জন্য দেশটির শাসনভার গ্রহণ করতে চলেছে। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট
১ ঘণ্টা আগেভারতের গুজরাটে গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোররাত থেকে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ মানুষকে আটক করেছে পুলিশ, যাদের তারা বাংলাদেশি নাগরিক বলে সন্দেহ করছে। তবে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক বিকাশ সহায় সোমবার জানিয়েছেন, নথিপত্রের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে ৪৫০ জন বাংলাদেশিকে তাঁরা চিহ্নিত করতে পেরেছেন
৩ ঘণ্টা আগেউত্তর-পূর্ব চীনের একটি রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ২২ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে