Ajker Patrika

জ্বালানি সংকটে গাজায় খাদ্য সরবরাহ বন্ধ হতে পারে: জাতিসংঘ

আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ২১: ১৫
জ্বালানি সংকটে গাজায় খাদ্য সরবরাহ বন্ধ হতে পারে: জাতিসংঘ

জ্বালানি সংকটের মুখে বন্ধ হয়ে যেতে পারে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার হাজারো পরিবারের জরুরি খাদ্য সরবরাহ। আজ শুক্রবার জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা (এফএও) এ তথ্য জানিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রতিনিধি সামের আবদেল জাবের বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ শুধু দুটি বেকারিতে রুটি প্রস্তুত করার মতো জ্বালানি রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে সরবরাহকৃত রুটির ওপর নির্ভরশীল হাজারো পরিবারের জন্য এটি ভয়ানক এক পরিস্থিতি হবে।’ 

সংস্থাটি বলে, তারা দৈনিক দুই লাখ মানুষের জন্য রুটি সরবরাহ করে। তবে, জ্বালানি সংকটের কারণে গত বুধবারে এ সরবরাহের পরিমাণ কমে দেড় লাখে পৌঁছেছে। 

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, বেকারির জন্য জ্বালানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাফাহ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করা ত্রাণবাহী ট্রাক ও গাজায় বণ্টনের জন্যও জ্বালানি প্রয়োজন। 

সংস্থাটি আরও বলছে, গাজার দোকানগুলো থেকে দ্রুতই ফুরিয়ে যাচ্ছে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। ক্ষতিগ্রস্ত পথঘাট, নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং জ্বালানি সংকটের কারণে তা মজুত করাও সম্ভব হচ্ছে না। 

এখন পর্যন্ত গাজা ও পশ্চিম তীরের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর প্রায় ৬ লাখ ৩০ হাজার মানুষকে জরুরি খাদ্যসহায়তা দিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। সরবরাহকৃত খাবারের মধ্যে রয়েছে কৌটাজাত খাবার ও টাটকা রুটি। 

গত শনিবার রাফাহ ক্রসিং পয়েন্ট খুলে দেওয়ার পর থেকে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির ৯টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করে, অপেক্ষায় রয়েছে আরও ৩৯টি ট্রাক। 

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা জানিয়েছে, অবরুদ্ধ অঞ্চলের চাহিদা মেটাতে গাজায় প্রতিদিন ৪০ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশ করতে হবে। 

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বানের প্রতি সমর্থনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আবদেল জাবের বলেন, গাজার জনগণের এখন নিরবচ্ছিন্ন সহায়তা প্রয়োজন। 

৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। বিশেষ করে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধের কারণে গাজায় জীবন রক্ষাকারী মানবিক কার্যক্রম বিপজ্জনকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত