আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে নিন্দা-সমালোচনার পরও গাজা সিটিতে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। আজ মঙ্গলবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
ওই দুই কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নগরীর উপকণ্ঠ থেকে শুরু হয়েছে অভিযান। তাঁরা জানান, শুরুতে পরিকল্পনা ছিল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সব মানুষকে সরানোর পরই অভিযান শুরু হবে। কিন্তু গত দুই মাসে খুব অল্পসংখ্যক মানুষকেই সরানো সম্ভব হয়েছে। তাই, সেই পরিকল্পনা বাতিল করে এখনই অভিযান শুরু হলো।
এই অভিযান খুবই ধীর গতিতে ও ধাপে ধাপে এগোবে বলে সিএনএনকে জানিয়েছেন ওই দুই কর্মকর্তা। এর আগে, চলতি বছর আগস্টে গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন দেয় ইসরায়েল। তাদের ভাষ্য—এখান থেকেই অভিযান পরিচালনা করছে হামাস। তাই হামাস নির্মূলের জন্য গাজা সিটি দখল অনিবার্য!
এই পরিকল্পনা অনুমোদনের পর থেকেই গাজা সিটি বিমান হামলার মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে ইসরায়েল। একের পর এক বহুতল ভবনকে বানানো হচ্ছে হামলার লক্ষ্যবস্তু। প্রতিদিন শয়ে শয়ে হত্যা করা হচ্ছে বেসামরিক মানুষদের। মরণঘাতী অস্ত্রের হামলায় তো বটেই, নগরীর বাসিন্দাদের প্রাণ হারাতে হচ্ছে খাদ্যের অভাবেও। এ ছাড়া, নতুন করে বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে আরও বহু মানুষকে। গত সোমবার, এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এলাকাটি থেকে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, আরও ১ লাখ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে, গাজা সিটিতে ইসরায়েলের এই স্থল অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জিম্মিদের স্বজনেররা। জেরুজালেমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। গতকাল সোমবার রাতভর সেখানে অবস্থান করেছেন তারা। জিম্মিদের স্বজনদের সংগঠন হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম বলছে, ‘গতকাল বিকেলে গাজা সিটিতে বোমাবর্ষণের মাত্রা বহুগুণে বেড়েছে। আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোও তো সেখানেই রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী—আইডিএফ তাদের ওপর এভাবে বোমাবর্ষণ করতে পারে না।’
গাজায় এখনো ৪৮ জন জিম্মি রয়ে গেছেন। যাদের ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ওপর ক্রমেই চাপ বাড়ছে।
এদিকে, বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইসরায়েল গাজা সিটিতে যে মাত্রায় অভিযান শুরু করেছে তাতে জিম্মিদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। সিএনএনের এক সামরিক বিশ্লেষক সতর্ক করে বলেছেন, গাজা নগরীতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে এবং হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের জীবনও বিপন্ন করতে পারে। স্থল অভিযান শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রের অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী কর্নেল সেডরিক লেইটন মন্তব্য করেন, এ অভিযানে জিম্মিরা বেঁচে গেলে তা হবে এক ধরনের ‘অলৌকিক ঘটনা’। লেইটন বলেন, ‘এ ধরনের অভিযানে যে ধরনের শক্তি ব্যবহার করা হবে, তা মূলত ভীষণ কড়া ও নির্মম। সেনাদের ধ্বংসস্তূপ পেরিয়ে পথ খুঁজে নিতে হবে। হামাস যেসব সুড়ঙ্গ এখনো দখল করে রেখেছে, সেগুলোর ভেতর দিয়েও তাদের অগ্রসর হতে হবে।’
বিশ্বজুড়ে নিন্দা-সমালোচনার পরও গাজা সিটিতে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। আজ মঙ্গলবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
ওই দুই কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নগরীর উপকণ্ঠ থেকে শুরু হয়েছে অভিযান। তাঁরা জানান, শুরুতে পরিকল্পনা ছিল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সব মানুষকে সরানোর পরই অভিযান শুরু হবে। কিন্তু গত দুই মাসে খুব অল্পসংখ্যক মানুষকেই সরানো সম্ভব হয়েছে। তাই, সেই পরিকল্পনা বাতিল করে এখনই অভিযান শুরু হলো।
এই অভিযান খুবই ধীর গতিতে ও ধাপে ধাপে এগোবে বলে সিএনএনকে জানিয়েছেন ওই দুই কর্মকর্তা। এর আগে, চলতি বছর আগস্টে গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন দেয় ইসরায়েল। তাদের ভাষ্য—এখান থেকেই অভিযান পরিচালনা করছে হামাস। তাই হামাস নির্মূলের জন্য গাজা সিটি দখল অনিবার্য!
এই পরিকল্পনা অনুমোদনের পর থেকেই গাজা সিটি বিমান হামলার মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে ইসরায়েল। একের পর এক বহুতল ভবনকে বানানো হচ্ছে হামলার লক্ষ্যবস্তু। প্রতিদিন শয়ে শয়ে হত্যা করা হচ্ছে বেসামরিক মানুষদের। মরণঘাতী অস্ত্রের হামলায় তো বটেই, নগরীর বাসিন্দাদের প্রাণ হারাতে হচ্ছে খাদ্যের অভাবেও। এ ছাড়া, নতুন করে বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে আরও বহু মানুষকে। গত সোমবার, এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এলাকাটি থেকে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, আরও ১ লাখ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে, গাজা সিটিতে ইসরায়েলের এই স্থল অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জিম্মিদের স্বজনেররা। জেরুজালেমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। গতকাল সোমবার রাতভর সেখানে অবস্থান করেছেন তারা। জিম্মিদের স্বজনদের সংগঠন হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম বলছে, ‘গতকাল বিকেলে গাজা সিটিতে বোমাবর্ষণের মাত্রা বহুগুণে বেড়েছে। আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোও তো সেখানেই রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী—আইডিএফ তাদের ওপর এভাবে বোমাবর্ষণ করতে পারে না।’
গাজায় এখনো ৪৮ জন জিম্মি রয়ে গেছেন। যাদের ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ওপর ক্রমেই চাপ বাড়ছে।
এদিকে, বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইসরায়েল গাজা সিটিতে যে মাত্রায় অভিযান শুরু করেছে তাতে জিম্মিদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। সিএনএনের এক সামরিক বিশ্লেষক সতর্ক করে বলেছেন, গাজা নগরীতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে এবং হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের জীবনও বিপন্ন করতে পারে। স্থল অভিযান শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রের অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী কর্নেল সেডরিক লেইটন মন্তব্য করেন, এ অভিযানে জিম্মিরা বেঁচে গেলে তা হবে এক ধরনের ‘অলৌকিক ঘটনা’। লেইটন বলেন, ‘এ ধরনের অভিযানে যে ধরনের শক্তি ব্যবহার করা হবে, তা মূলত ভীষণ কড়া ও নির্মম। সেনাদের ধ্বংসস্তূপ পেরিয়ে পথ খুঁজে নিতে হবে। হামাস যেসব সুড়ঙ্গ এখনো দখল করে রেখেছে, সেগুলোর ভেতর দিয়েও তাদের অগ্রসর হতে হবে।’
ইউবিএস বিশ্লেষক জিয়োভান্নি স্টাউনোভো বলেন, দুর্বল ডলার কিছুটা ভূমিকা রাখছে, তবে মূল বিষয় হলো ফেড এই সপ্তাহে সুদের হার কমাবে এমন প্রত্যাশা।
১৩ মিনিট আগেনিজের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস তাঁর, তাঁর পরিবার ও তাঁর ব্যবসা সম্পর্কে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছে; যদিও তিনি অভিযোগগুলোর বিস্তারিত জানাননি।
৩৫ মিনিট আগেএক জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে বলেন, ‘সেদিন প্রথমে নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্পের মধ্যে রাজনৈতিক স্তরে আলোচনা হয়েছিল; পরে সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে। ট্রাম্প “না বলেননি”।’
১ ঘণ্টা আগেভারত বেলারুশে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন এক সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে সেনা পাঠিয়েছে। এই মহড়ায় প্রতিবেশী ন্যাটো দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধের অনুশীলন চলছে। এটি এমন সময় ঘটল, যখন ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক অবনতির মুখে।
১ ঘণ্টা আগে