আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত বেলারুশে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন এক সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে সেনা পাঠিয়েছে। এ মহড়ায় প্রতিবেশী ন্যাটো দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধের অনুশীলন চলছে। এটি এমন সময় ঘটল, যখন ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অবনতির মুখে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও বেলারুশের প্রায় ৩০ হাজার সেনা ‘জাপাদ’ নামের এ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। এতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও আকাশপথে হামলার মহড়া রয়েছে। মস্কোর পূর্বাঞ্চল, আর্কটিক, বাল্টিক সাগর থেকে শুরু করে বেলারুশের পশ্চিম সীমান্ত পর্যন্ত এলাকাজুড়ে এ মহড়া চালানো হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ৬৫ জন সেনা পাঠিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন কুমায়ুন রেজিমেন্টের সদস্যরাও, যা ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইউনিট। তাদের রাখা হয়েছে মুলিনো প্রশিক্ষণকেন্দ্রে, যা নিঝনি নভগোরদ শহর থেকে ৪০ মাইল পশ্চিমে। অর্থাৎ ন্যাটো সীমান্ত থেকে বেশ দূরে।
নয়াদিল্লি বলেছে, মহড়ায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য হলো—ভারত-রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও মজবুত করা এবং উভয় দেশের সেনাদের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়ানো। এতে ‘যৌথ প্রশিক্ষণ, কৌশলগত মহড়া ও বিশেষ অস্ত্রচালনার অনুশীলন’ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকেই ভারত কোনো বৃহৎ শক্তির সঙ্গে সরাসরি না জড়ানোর নীতি অনুসরণ করে আসছে। তবে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সামরিক সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কেনে। অতীতেও ভারত জাপাদ মহড়ায় অংশ নিয়েছে, এমনকি ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আক্রমণের আগেও। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরও তারা কিছু রুশ মহড়ায় যোগ দিয়েছে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া ও ন্যাটোর টানাপোড়েন চরমে থাকা অবস্থায় ভারতের অংশগ্রহণ একটি উদ্বেগজনক সংকেত। ন্যাটো সম্প্রতি পূর্ব সীমান্তে অর্থাৎ রাশিয়াসংলগ্ন এলাকায় আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করেছে। কারণ, গত সপ্তাহে ২১টি রুশ ড্রোন পোল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে এবং গত সপ্তাহান্তে একটি ড্রোন ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে রোমানিয়ার ভেতরে ঢুকে যায়।
গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্ররা ভারতকে রাশিয়ার সামরিক প্রভাব থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বেশ কয়েকটি বড় অস্ত্রচুক্তিও করেছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলেছেন—ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, পাকিস্তানি সেনাপ্রধানকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়ে এবং গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের চার দিনের সংঘাত সমাধান করার দাবি তুলে।
গত মাসের শেষদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ‘বিশেষ ও অগ্রাধিকারমূলক’ অংশীদারত্বের প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি চীনের নেতৃত্বাধীন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে উষ্ণ আলিঙ্গন জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা ও ভূরাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ডেভিড মেরকেল বলেন, ভারত জাপাদ মহড়ায় অংশ নিয়ে দেখিয়ে দিল যে, তারা এখনো মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ককেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতের সক্রিয় অংশগ্রহণ, বিশেষ করে, পোল্যান্ডে ড্রোন হামলার পর ও ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্কের শীতলতার মধ্যে, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত নিরাপত্তা সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করছে।
জার্মান পররাষ্ট্রনীতির বিশ্লেষক উলরিশ স্পেক বলেছেন, ভারত এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে ‘সীমা অতিক্রম করেছে।’ ফিনল্যান্ডের কৌশলগত বিশেষজ্ঞ সারি আরহো হাভরেন এটিকে অপ্রয়োজনীয় ও ‘ভয়াবহ বার্তা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আজ মঙ্গলবার শেষ হওয়ার কথা থাকা জাপাদ মহড়া এখন পর্যন্ত তেমন কোনো উত্তেজনা তৈরি করেনি। যদিও ন্যাটো শঙ্কা প্রকাশ করেছিল, মহড়াকে কেন্দ্র করে রাশিয়া সীমান্তে উসকানি দিতে পারে।
বেলারুশও বিষয়টিকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছে। তারা বলছে, এই মহড়া পশ্চিমাদের জন্য কোনো হুমকি নয় এবং মূলত ন্যাটো সীমান্ত থেকে দূরেই হচ্ছে। বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ন্যাটো সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও হাঙ্গেরি মহড়ায় পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে। তবে প্রতিবেশী পোল্যান্ড, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়া আমন্ত্রণ পেলেও প্রতিনিধি পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও বেলারুশ পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো—ইইউ রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সীমান্ত স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠেকানো এবং নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা। গত সপ্তাহে বেলারুশ জানায়, তারা কয়েকটি ‘ভুলবশত ঢুকে পড়া’ ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে, যেগুলো পোল্যান্ডের দিকে যাচ্ছিল। পোল্যান্ডের সেনাপ্রধানের দাবি অনুযায়ী, বেলারুশ আগে থেকেই সতর্ক করেছিল।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন দূত জন কোলের সফরকালে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ৫২ জন রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেন। এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র বেলারুশের জাতীয় এয়ারলাইন বেলাভিয়ার ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কোল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র খুব শিগগির মিনস্কে দূতাবাস পুনরায় চালু করবে। রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর ২০২২ সালে এই দূতাবাস বন্ধ হয়েছিল।
মুক্তি পাওয়া বন্দীদের মধ্যে ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিকোলা স্টাটকেভিচ। তিনি ২০২০ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন। তবে তিনি লিথুয়ানিয়ায় যেতে অস্বীকৃতি জানান এবং কয়েক ঘণ্টা সীমান্তে কাটানোর পর আবার বেলারুশে ফেরত পাঠানো হয়। পরে তাঁকে ফের কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ব্রিটিশ কূটনীতিকের স্ত্রী ও দ্বৈত নাগরিক জুলিয়া ফেইনারকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি গত বছর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং সাত বছরের সাজা পেয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি ও উগ্রপন্থাকে সহায়তা করেছেন। রাশিয়ার মতো বেলারুশও ‘চরমপন্থা’কে প্রেসিডেন্টবিরোধী আন্দোলন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে।
গত মাসে লুকাশেঙ্কো বিরোধী নেতা সভেৎলানা সিখানোউস্কায়ার স্বামী সিয়ারহেই সিখানোউস্কিকেও মুক্তি দেন। তখন ইউক্রেনবিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত কিথ কেলগ মিনস্ক সফরে ছিলেন। তবে এখনো বেলারুশে এক হাজারের বেশি রাজনৈতিক বন্দী রয়েছেন।
তবে এত কিছুর পরও লুকাশেঙ্কো এখনো রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ। গতকাল রুশ গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পশ্চিমাদের অমিত্রতাপূর্ণ নীতি এখন প্রকাশ্য আগ্রাসনে রূপ নিচ্ছে। তিনি আরও জানান, বেলারুশ ইউক্রেনের রুশ নিয়ন্ত্রিত খেরসন অঞ্চলে কৃষি উন্নয়নে সহায়তা করবে।

ভারত বেলারুশে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন এক সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে সেনা পাঠিয়েছে। এ মহড়ায় প্রতিবেশী ন্যাটো দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধের অনুশীলন চলছে। এটি এমন সময় ঘটল, যখন ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অবনতির মুখে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও বেলারুশের প্রায় ৩০ হাজার সেনা ‘জাপাদ’ নামের এ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। এতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও আকাশপথে হামলার মহড়া রয়েছে। মস্কোর পূর্বাঞ্চল, আর্কটিক, বাল্টিক সাগর থেকে শুরু করে বেলারুশের পশ্চিম সীমান্ত পর্যন্ত এলাকাজুড়ে এ মহড়া চালানো হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ৬৫ জন সেনা পাঠিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন কুমায়ুন রেজিমেন্টের সদস্যরাও, যা ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইউনিট। তাদের রাখা হয়েছে মুলিনো প্রশিক্ষণকেন্দ্রে, যা নিঝনি নভগোরদ শহর থেকে ৪০ মাইল পশ্চিমে। অর্থাৎ ন্যাটো সীমান্ত থেকে বেশ দূরে।
নয়াদিল্লি বলেছে, মহড়ায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য হলো—ভারত-রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও মজবুত করা এবং উভয় দেশের সেনাদের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়ানো। এতে ‘যৌথ প্রশিক্ষণ, কৌশলগত মহড়া ও বিশেষ অস্ত্রচালনার অনুশীলন’ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকেই ভারত কোনো বৃহৎ শক্তির সঙ্গে সরাসরি না জড়ানোর নীতি অনুসরণ করে আসছে। তবে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সামরিক সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কেনে। অতীতেও ভারত জাপাদ মহড়ায় অংশ নিয়েছে, এমনকি ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আক্রমণের আগেও। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরও তারা কিছু রুশ মহড়ায় যোগ দিয়েছে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া ও ন্যাটোর টানাপোড়েন চরমে থাকা অবস্থায় ভারতের অংশগ্রহণ একটি উদ্বেগজনক সংকেত। ন্যাটো সম্প্রতি পূর্ব সীমান্তে অর্থাৎ রাশিয়াসংলগ্ন এলাকায় আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করেছে। কারণ, গত সপ্তাহে ২১টি রুশ ড্রোন পোল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে এবং গত সপ্তাহান্তে একটি ড্রোন ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে রোমানিয়ার ভেতরে ঢুকে যায়।
গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্ররা ভারতকে রাশিয়ার সামরিক প্রভাব থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বেশ কয়েকটি বড় অস্ত্রচুক্তিও করেছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলেছেন—ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, পাকিস্তানি সেনাপ্রধানকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়ে এবং গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের চার দিনের সংঘাত সমাধান করার দাবি তুলে।
গত মাসের শেষদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ‘বিশেষ ও অগ্রাধিকারমূলক’ অংশীদারত্বের প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি চীনের নেতৃত্বাধীন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে উষ্ণ আলিঙ্গন জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা ও ভূরাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ডেভিড মেরকেল বলেন, ভারত জাপাদ মহড়ায় অংশ নিয়ে দেখিয়ে দিল যে, তারা এখনো মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ককেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতের সক্রিয় অংশগ্রহণ, বিশেষ করে, পোল্যান্ডে ড্রোন হামলার পর ও ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্কের শীতলতার মধ্যে, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত নিরাপত্তা সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করছে।
জার্মান পররাষ্ট্রনীতির বিশ্লেষক উলরিশ স্পেক বলেছেন, ভারত এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে ‘সীমা অতিক্রম করেছে।’ ফিনল্যান্ডের কৌশলগত বিশেষজ্ঞ সারি আরহো হাভরেন এটিকে অপ্রয়োজনীয় ও ‘ভয়াবহ বার্তা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আজ মঙ্গলবার শেষ হওয়ার কথা থাকা জাপাদ মহড়া এখন পর্যন্ত তেমন কোনো উত্তেজনা তৈরি করেনি। যদিও ন্যাটো শঙ্কা প্রকাশ করেছিল, মহড়াকে কেন্দ্র করে রাশিয়া সীমান্তে উসকানি দিতে পারে।
বেলারুশও বিষয়টিকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছে। তারা বলছে, এই মহড়া পশ্চিমাদের জন্য কোনো হুমকি নয় এবং মূলত ন্যাটো সীমান্ত থেকে দূরেই হচ্ছে। বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ন্যাটো সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও হাঙ্গেরি মহড়ায় পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে। তবে প্রতিবেশী পোল্যান্ড, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়া আমন্ত্রণ পেলেও প্রতিনিধি পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও বেলারুশ পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো—ইইউ রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সীমান্ত স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠেকানো এবং নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা। গত সপ্তাহে বেলারুশ জানায়, তারা কয়েকটি ‘ভুলবশত ঢুকে পড়া’ ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে, যেগুলো পোল্যান্ডের দিকে যাচ্ছিল। পোল্যান্ডের সেনাপ্রধানের দাবি অনুযায়ী, বেলারুশ আগে থেকেই সতর্ক করেছিল।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন দূত জন কোলের সফরকালে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ৫২ জন রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেন। এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র বেলারুশের জাতীয় এয়ারলাইন বেলাভিয়ার ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কোল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র খুব শিগগির মিনস্কে দূতাবাস পুনরায় চালু করবে। রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর ২০২২ সালে এই দূতাবাস বন্ধ হয়েছিল।
মুক্তি পাওয়া বন্দীদের মধ্যে ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিকোলা স্টাটকেভিচ। তিনি ২০২০ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন। তবে তিনি লিথুয়ানিয়ায় যেতে অস্বীকৃতি জানান এবং কয়েক ঘণ্টা সীমান্তে কাটানোর পর আবার বেলারুশে ফেরত পাঠানো হয়। পরে তাঁকে ফের কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ব্রিটিশ কূটনীতিকের স্ত্রী ও দ্বৈত নাগরিক জুলিয়া ফেইনারকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি গত বছর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং সাত বছরের সাজা পেয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি ও উগ্রপন্থাকে সহায়তা করেছেন। রাশিয়ার মতো বেলারুশও ‘চরমপন্থা’কে প্রেসিডেন্টবিরোধী আন্দোলন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে।
গত মাসে লুকাশেঙ্কো বিরোধী নেতা সভেৎলানা সিখানোউস্কায়ার স্বামী সিয়ারহেই সিখানোউস্কিকেও মুক্তি দেন। তখন ইউক্রেনবিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত কিথ কেলগ মিনস্ক সফরে ছিলেন। তবে এখনো বেলারুশে এক হাজারের বেশি রাজনৈতিক বন্দী রয়েছেন।
তবে এত কিছুর পরও লুকাশেঙ্কো এখনো রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ। গতকাল রুশ গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পশ্চিমাদের অমিত্রতাপূর্ণ নীতি এখন প্রকাশ্য আগ্রাসনে রূপ নিচ্ছে। তিনি আরও জানান, বেলারুশ ইউক্রেনের রুশ নিয়ন্ত্রিত খেরসন অঞ্চলে কৃষি উন্নয়নে সহায়তা করবে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত বেলারুশে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন এক সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে সেনা পাঠিয়েছে। এ মহড়ায় প্রতিবেশী ন্যাটো দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধের অনুশীলন চলছে। এটি এমন সময় ঘটল, যখন ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অবনতির মুখে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও বেলারুশের প্রায় ৩০ হাজার সেনা ‘জাপাদ’ নামের এ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। এতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও আকাশপথে হামলার মহড়া রয়েছে। মস্কোর পূর্বাঞ্চল, আর্কটিক, বাল্টিক সাগর থেকে শুরু করে বেলারুশের পশ্চিম সীমান্ত পর্যন্ত এলাকাজুড়ে এ মহড়া চালানো হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ৬৫ জন সেনা পাঠিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন কুমায়ুন রেজিমেন্টের সদস্যরাও, যা ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইউনিট। তাদের রাখা হয়েছে মুলিনো প্রশিক্ষণকেন্দ্রে, যা নিঝনি নভগোরদ শহর থেকে ৪০ মাইল পশ্চিমে। অর্থাৎ ন্যাটো সীমান্ত থেকে বেশ দূরে।
নয়াদিল্লি বলেছে, মহড়ায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য হলো—ভারত-রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও মজবুত করা এবং উভয় দেশের সেনাদের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়ানো। এতে ‘যৌথ প্রশিক্ষণ, কৌশলগত মহড়া ও বিশেষ অস্ত্রচালনার অনুশীলন’ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকেই ভারত কোনো বৃহৎ শক্তির সঙ্গে সরাসরি না জড়ানোর নীতি অনুসরণ করে আসছে। তবে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সামরিক সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কেনে। অতীতেও ভারত জাপাদ মহড়ায় অংশ নিয়েছে, এমনকি ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আক্রমণের আগেও। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরও তারা কিছু রুশ মহড়ায় যোগ দিয়েছে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া ও ন্যাটোর টানাপোড়েন চরমে থাকা অবস্থায় ভারতের অংশগ্রহণ একটি উদ্বেগজনক সংকেত। ন্যাটো সম্প্রতি পূর্ব সীমান্তে অর্থাৎ রাশিয়াসংলগ্ন এলাকায় আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করেছে। কারণ, গত সপ্তাহে ২১টি রুশ ড্রোন পোল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে এবং গত সপ্তাহান্তে একটি ড্রোন ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে রোমানিয়ার ভেতরে ঢুকে যায়।
গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্ররা ভারতকে রাশিয়ার সামরিক প্রভাব থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বেশ কয়েকটি বড় অস্ত্রচুক্তিও করেছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলেছেন—ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, পাকিস্তানি সেনাপ্রধানকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়ে এবং গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের চার দিনের সংঘাত সমাধান করার দাবি তুলে।
গত মাসের শেষদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ‘বিশেষ ও অগ্রাধিকারমূলক’ অংশীদারত্বের প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি চীনের নেতৃত্বাধীন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে উষ্ণ আলিঙ্গন জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা ও ভূরাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ডেভিড মেরকেল বলেন, ভারত জাপাদ মহড়ায় অংশ নিয়ে দেখিয়ে দিল যে, তারা এখনো মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ককেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতের সক্রিয় অংশগ্রহণ, বিশেষ করে, পোল্যান্ডে ড্রোন হামলার পর ও ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্কের শীতলতার মধ্যে, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত নিরাপত্তা সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করছে।
জার্মান পররাষ্ট্রনীতির বিশ্লেষক উলরিশ স্পেক বলেছেন, ভারত এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে ‘সীমা অতিক্রম করেছে।’ ফিনল্যান্ডের কৌশলগত বিশেষজ্ঞ সারি আরহো হাভরেন এটিকে অপ্রয়োজনীয় ও ‘ভয়াবহ বার্তা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আজ মঙ্গলবার শেষ হওয়ার কথা থাকা জাপাদ মহড়া এখন পর্যন্ত তেমন কোনো উত্তেজনা তৈরি করেনি। যদিও ন্যাটো শঙ্কা প্রকাশ করেছিল, মহড়াকে কেন্দ্র করে রাশিয়া সীমান্তে উসকানি দিতে পারে।
বেলারুশও বিষয়টিকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছে। তারা বলছে, এই মহড়া পশ্চিমাদের জন্য কোনো হুমকি নয় এবং মূলত ন্যাটো সীমান্ত থেকে দূরেই হচ্ছে। বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ন্যাটো সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও হাঙ্গেরি মহড়ায় পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে। তবে প্রতিবেশী পোল্যান্ড, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়া আমন্ত্রণ পেলেও প্রতিনিধি পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও বেলারুশ পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো—ইইউ রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সীমান্ত স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠেকানো এবং নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা। গত সপ্তাহে বেলারুশ জানায়, তারা কয়েকটি ‘ভুলবশত ঢুকে পড়া’ ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে, যেগুলো পোল্যান্ডের দিকে যাচ্ছিল। পোল্যান্ডের সেনাপ্রধানের দাবি অনুযায়ী, বেলারুশ আগে থেকেই সতর্ক করেছিল।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন দূত জন কোলের সফরকালে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ৫২ জন রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেন। এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র বেলারুশের জাতীয় এয়ারলাইন বেলাভিয়ার ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কোল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র খুব শিগগির মিনস্কে দূতাবাস পুনরায় চালু করবে। রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর ২০২২ সালে এই দূতাবাস বন্ধ হয়েছিল।
মুক্তি পাওয়া বন্দীদের মধ্যে ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিকোলা স্টাটকেভিচ। তিনি ২০২০ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন। তবে তিনি লিথুয়ানিয়ায় যেতে অস্বীকৃতি জানান এবং কয়েক ঘণ্টা সীমান্তে কাটানোর পর আবার বেলারুশে ফেরত পাঠানো হয়। পরে তাঁকে ফের কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ব্রিটিশ কূটনীতিকের স্ত্রী ও দ্বৈত নাগরিক জুলিয়া ফেইনারকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি গত বছর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং সাত বছরের সাজা পেয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি ও উগ্রপন্থাকে সহায়তা করেছেন। রাশিয়ার মতো বেলারুশও ‘চরমপন্থা’কে প্রেসিডেন্টবিরোধী আন্দোলন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে।
গত মাসে লুকাশেঙ্কো বিরোধী নেতা সভেৎলানা সিখানোউস্কায়ার স্বামী সিয়ারহেই সিখানোউস্কিকেও মুক্তি দেন। তখন ইউক্রেনবিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত কিথ কেলগ মিনস্ক সফরে ছিলেন। তবে এখনো বেলারুশে এক হাজারের বেশি রাজনৈতিক বন্দী রয়েছেন।
তবে এত কিছুর পরও লুকাশেঙ্কো এখনো রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ। গতকাল রুশ গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পশ্চিমাদের অমিত্রতাপূর্ণ নীতি এখন প্রকাশ্য আগ্রাসনে রূপ নিচ্ছে। তিনি আরও জানান, বেলারুশ ইউক্রেনের রুশ নিয়ন্ত্রিত খেরসন অঞ্চলে কৃষি উন্নয়নে সহায়তা করবে।

ভারত বেলারুশে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন এক সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে সেনা পাঠিয়েছে। এ মহড়ায় প্রতিবেশী ন্যাটো দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধের অনুশীলন চলছে। এটি এমন সময় ঘটল, যখন ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অবনতির মুখে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও বেলারুশের প্রায় ৩০ হাজার সেনা ‘জাপাদ’ নামের এ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। এতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও আকাশপথে হামলার মহড়া রয়েছে। মস্কোর পূর্বাঞ্চল, আর্কটিক, বাল্টিক সাগর থেকে শুরু করে বেলারুশের পশ্চিম সীমান্ত পর্যন্ত এলাকাজুড়ে এ মহড়া চালানো হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ৬৫ জন সেনা পাঠিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন কুমায়ুন রেজিমেন্টের সদস্যরাও, যা ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইউনিট। তাদের রাখা হয়েছে মুলিনো প্রশিক্ষণকেন্দ্রে, যা নিঝনি নভগোরদ শহর থেকে ৪০ মাইল পশ্চিমে। অর্থাৎ ন্যাটো সীমান্ত থেকে বেশ দূরে।
নয়াদিল্লি বলেছে, মহড়ায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য হলো—ভারত-রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও মজবুত করা এবং উভয় দেশের সেনাদের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়ানো। এতে ‘যৌথ প্রশিক্ষণ, কৌশলগত মহড়া ও বিশেষ অস্ত্রচালনার অনুশীলন’ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকেই ভারত কোনো বৃহৎ শক্তির সঙ্গে সরাসরি না জড়ানোর নীতি অনুসরণ করে আসছে। তবে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সামরিক সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কেনে। অতীতেও ভারত জাপাদ মহড়ায় অংশ নিয়েছে, এমনকি ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আক্রমণের আগেও। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরও তারা কিছু রুশ মহড়ায় যোগ দিয়েছে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া ও ন্যাটোর টানাপোড়েন চরমে থাকা অবস্থায় ভারতের অংশগ্রহণ একটি উদ্বেগজনক সংকেত। ন্যাটো সম্প্রতি পূর্ব সীমান্তে অর্থাৎ রাশিয়াসংলগ্ন এলাকায় আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করেছে। কারণ, গত সপ্তাহে ২১টি রুশ ড্রোন পোল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে এবং গত সপ্তাহান্তে একটি ড্রোন ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে রোমানিয়ার ভেতরে ঢুকে যায়।
গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্ররা ভারতকে রাশিয়ার সামরিক প্রভাব থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বেশ কয়েকটি বড় অস্ত্রচুক্তিও করেছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলেছেন—ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, পাকিস্তানি সেনাপ্রধানকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়ে এবং গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের চার দিনের সংঘাত সমাধান করার দাবি তুলে।
গত মাসের শেষদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ‘বিশেষ ও অগ্রাধিকারমূলক’ অংশীদারত্বের প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি চীনের নেতৃত্বাধীন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে উষ্ণ আলিঙ্গন জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা ও ভূরাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ডেভিড মেরকেল বলেন, ভারত জাপাদ মহড়ায় অংশ নিয়ে দেখিয়ে দিল যে, তারা এখনো মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ককেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতের সক্রিয় অংশগ্রহণ, বিশেষ করে, পোল্যান্ডে ড্রোন হামলার পর ও ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্কের শীতলতার মধ্যে, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত নিরাপত্তা সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করছে।
জার্মান পররাষ্ট্রনীতির বিশ্লেষক উলরিশ স্পেক বলেছেন, ভারত এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে ‘সীমা অতিক্রম করেছে।’ ফিনল্যান্ডের কৌশলগত বিশেষজ্ঞ সারি আরহো হাভরেন এটিকে অপ্রয়োজনীয় ও ‘ভয়াবহ বার্তা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আজ মঙ্গলবার শেষ হওয়ার কথা থাকা জাপাদ মহড়া এখন পর্যন্ত তেমন কোনো উত্তেজনা তৈরি করেনি। যদিও ন্যাটো শঙ্কা প্রকাশ করেছিল, মহড়াকে কেন্দ্র করে রাশিয়া সীমান্তে উসকানি দিতে পারে।
বেলারুশও বিষয়টিকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছে। তারা বলছে, এই মহড়া পশ্চিমাদের জন্য কোনো হুমকি নয় এবং মূলত ন্যাটো সীমান্ত থেকে দূরেই হচ্ছে। বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ন্যাটো সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও হাঙ্গেরি মহড়ায় পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে। তবে প্রতিবেশী পোল্যান্ড, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়া আমন্ত্রণ পেলেও প্রতিনিধি পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও বেলারুশ পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো—ইইউ রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সীমান্ত স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠেকানো এবং নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা। গত সপ্তাহে বেলারুশ জানায়, তারা কয়েকটি ‘ভুলবশত ঢুকে পড়া’ ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে, যেগুলো পোল্যান্ডের দিকে যাচ্ছিল। পোল্যান্ডের সেনাপ্রধানের দাবি অনুযায়ী, বেলারুশ আগে থেকেই সতর্ক করেছিল।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন দূত জন কোলের সফরকালে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ৫২ জন রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেন। এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র বেলারুশের জাতীয় এয়ারলাইন বেলাভিয়ার ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কোল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র খুব শিগগির মিনস্কে দূতাবাস পুনরায় চালু করবে। রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর ২০২২ সালে এই দূতাবাস বন্ধ হয়েছিল।
মুক্তি পাওয়া বন্দীদের মধ্যে ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিকোলা স্টাটকেভিচ। তিনি ২০২০ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন। তবে তিনি লিথুয়ানিয়ায় যেতে অস্বীকৃতি জানান এবং কয়েক ঘণ্টা সীমান্তে কাটানোর পর আবার বেলারুশে ফেরত পাঠানো হয়। পরে তাঁকে ফের কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ব্রিটিশ কূটনীতিকের স্ত্রী ও দ্বৈত নাগরিক জুলিয়া ফেইনারকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি গত বছর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং সাত বছরের সাজা পেয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি ও উগ্রপন্থাকে সহায়তা করেছেন। রাশিয়ার মতো বেলারুশও ‘চরমপন্থা’কে প্রেসিডেন্টবিরোধী আন্দোলন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে।
গত মাসে লুকাশেঙ্কো বিরোধী নেতা সভেৎলানা সিখানোউস্কায়ার স্বামী সিয়ারহেই সিখানোউস্কিকেও মুক্তি দেন। তখন ইউক্রেনবিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত কিথ কেলগ মিনস্ক সফরে ছিলেন। তবে এখনো বেলারুশে এক হাজারের বেশি রাজনৈতিক বন্দী রয়েছেন।
তবে এত কিছুর পরও লুকাশেঙ্কো এখনো রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ। গতকাল রুশ গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পশ্চিমাদের অমিত্রতাপূর্ণ নীতি এখন প্রকাশ্য আগ্রাসনে রূপ নিচ্ছে। তিনি আরও জানান, বেলারুশ ইউক্রেনের রুশ নিয়ন্ত্রিত খেরসন অঞ্চলে কৃষি উন্নয়নে সহায়তা করবে।

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৪ ঘণ্টা আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৫ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৫ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬৯ বছর বয়সী এ নেতার ভাষণের ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজয়বর্গীয় তাঁর বক্তব্যে দাবি করেন, সম্রাট শাহজাহান একটি মন্দিরকে কবরে রূপান্তরিত করে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন।
বিজয়বর্গীয় বলেন, মমতাজকে প্রথমে বুরহানপুরে সমাহিত করা হয়েছিল। পরে তাঁর দেহ এমন একটি স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়, যেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছিল। সেই মন্দিরের ওপরই বর্তমান তাজমহল দাঁড়িয়ে রয়েছে।
একই অনুষ্ঠানে বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সভাপতি নীতিন নবীনের উদ্দেশে বিজয়বর্গীয় বলেন, বিহারে জন্ম নিলেই যে একজন মানুষকে নম্র হতে হবে, তার কোনো মানে নেই, তবে নীতিন নবীন অত্যন্ত নম্রতার সঙ্গে এগিয়ে গেছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে বিহারিদের প্রতি অবমাননাকর হিসেবে দেখছেন অনেকে।
বিজয়বর্গীয়ের এ বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র ভূপেন্দ্র গুপ্ত বলেন, বিজেপি মন্ত্রীরা সব সীমা লঙ্ঘন করছেন এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ভূপেন্দ্র গুপ্ত বিদ্রূপ করে বলেন, একজন মন্ত্রী বলছেন ভাস্কো দা গামা ভারত আবিষ্কার করেননি, আরেকজন বলছেন তাজমহল আসলে মন্দির। তাঁদের উচিত বিশ্ববাসীর জন্য ইতিহাসের একটি নতুন বই লেখা। তাহলেই বোঝা যাবে, পৃথিবী তাঁদের সম্পর্কে কী ভাবে।
ভূপেন্দ্র প্রশ্ন তোলেন, যদি বিহারিদের সম্পর্কে বিজেপির এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তবে কেন তারা সেখানে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে রাজনীতি করছে?
তবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের জন্য বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি একাধিকবার আপত্তিকর মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি ইন্দোরে দুই অস্ট্রেলীয় নারী ক্রিকেটার হেনস্তার শিকার হলে তিনি দায়ীদের ধরার বদলে খেলোয়াড়দেরই ‘শিক্ষা নেওয়া’র পরামর্শ দিয়েছিলেন। নারীদের পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘অল্প পোশাকে’ মেয়েদের দেখলে তাঁর ভালো লাগে না। এ ছাড়া রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আন্তরিকতাকে ‘বিদেশি মূল্যবোধ’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
অনেকে বলছেন, তাজমহল নিয়ে এমন দাবি উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আগে থেকেই ছিল। তবে একজন দায়িত্বশীল কেবিনেট মন্ত্রীর মুখে এমন কথা সামাজিক মেরুকরণকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ভারত, মধ্যপ্রদেশ, তাজমহল, বিতর্ক, মন্তব্য, মন্ত্রী, মন্দির, ইতিহাস

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬৯ বছর বয়সী এ নেতার ভাষণের ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজয়বর্গীয় তাঁর বক্তব্যে দাবি করেন, সম্রাট শাহজাহান একটি মন্দিরকে কবরে রূপান্তরিত করে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন।
বিজয়বর্গীয় বলেন, মমতাজকে প্রথমে বুরহানপুরে সমাহিত করা হয়েছিল। পরে তাঁর দেহ এমন একটি স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়, যেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছিল। সেই মন্দিরের ওপরই বর্তমান তাজমহল দাঁড়িয়ে রয়েছে।
একই অনুষ্ঠানে বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সভাপতি নীতিন নবীনের উদ্দেশে বিজয়বর্গীয় বলেন, বিহারে জন্ম নিলেই যে একজন মানুষকে নম্র হতে হবে, তার কোনো মানে নেই, তবে নীতিন নবীন অত্যন্ত নম্রতার সঙ্গে এগিয়ে গেছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে বিহারিদের প্রতি অবমাননাকর হিসেবে দেখছেন অনেকে।
বিজয়বর্গীয়ের এ বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র ভূপেন্দ্র গুপ্ত বলেন, বিজেপি মন্ত্রীরা সব সীমা লঙ্ঘন করছেন এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ভূপেন্দ্র গুপ্ত বিদ্রূপ করে বলেন, একজন মন্ত্রী বলছেন ভাস্কো দা গামা ভারত আবিষ্কার করেননি, আরেকজন বলছেন তাজমহল আসলে মন্দির। তাঁদের উচিত বিশ্ববাসীর জন্য ইতিহাসের একটি নতুন বই লেখা। তাহলেই বোঝা যাবে, পৃথিবী তাঁদের সম্পর্কে কী ভাবে।
ভূপেন্দ্র প্রশ্ন তোলেন, যদি বিহারিদের সম্পর্কে বিজেপির এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তবে কেন তারা সেখানে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে রাজনীতি করছে?
তবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের জন্য বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি একাধিকবার আপত্তিকর মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি ইন্দোরে দুই অস্ট্রেলীয় নারী ক্রিকেটার হেনস্তার শিকার হলে তিনি দায়ীদের ধরার বদলে খেলোয়াড়দেরই ‘শিক্ষা নেওয়া’র পরামর্শ দিয়েছিলেন। নারীদের পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘অল্প পোশাকে’ মেয়েদের দেখলে তাঁর ভালো লাগে না। এ ছাড়া রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আন্তরিকতাকে ‘বিদেশি মূল্যবোধ’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
অনেকে বলছেন, তাজমহল নিয়ে এমন দাবি উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আগে থেকেই ছিল। তবে একজন দায়িত্বশীল কেবিনেট মন্ত্রীর মুখে এমন কথা সামাজিক মেরুকরণকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ভারত, মধ্যপ্রদেশ, তাজমহল, বিতর্ক, মন্তব্য, মন্ত্রী, মন্দির, ইতিহাস

ভারত বেলারুশে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন এক সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে সেনা পাঠিয়েছে। এই মহড়ায় প্রতিবেশী ন্যাটো দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধের অনুশীলন চলছে। এটি এমন সময় ঘটল, যখন ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অবনতির মুখে।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৫ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৫ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করেন।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপিশাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালান এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেন। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপিশাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তরচেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করেন।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপিশাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালান এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেন। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপিশাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তরচেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

ভারত বেলারুশে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন এক সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে সেনা পাঠিয়েছে। এই মহড়ায় প্রতিবেশী ন্যাটো দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধের অনুশীলন চলছে। এটি এমন সময় ঘটল, যখন ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অবনতির মুখে।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৫ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ভারত বেলারুশে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন এক সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে সেনা পাঠিয়েছে। এই মহড়ায় প্রতিবেশী ন্যাটো দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধের অনুশীলন চলছে। এটি এমন সময় ঘটল, যখন ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অবনতির মুখে।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৪ ঘণ্টা আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৫ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ভারত বেলারুশে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন এক সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে সেনা পাঠিয়েছে। এই মহড়ায় প্রতিবেশী ন্যাটো দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধের অনুশীলন চলছে। এটি এমন সময় ঘটল, যখন ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অবনতির মুখে।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৪ ঘণ্টা আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৫ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৫ ঘণ্টা আগে