Ajker Patrika

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা হলে পানি সংকটে পড়বে উপসাগরীয় অঞ্চল, কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবার্তা

কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জাসিম আল থানি। ছবি: এএফপি
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জাসিম আল থানি। ছবি: এএফপি

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা হলে উপসাগরীয় অঞ্চলে পানি সরবরাহ বিপর্যস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জাসিম আল থানি। তিনি বলেন, এতে সমুদ্র সম্পূর্ণভাবে দূষিত হয়ে যাবে, ফলে কাতারসহ গোটা অঞ্চল পানি সংকটে পড়বে।

রোববার আমিরাত-ভিত্তিক দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, ডানপন্থী মার্কিন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব তাকার কার্লসনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে নিজের আশঙ্কার কথা জানান শেখ মোহাম্মদ। তিনি আরও জানান, তাঁর দেশ কাতার ইতিমধ্যে সম্ভাব্য হামলার প্রভাব বিশ্লেষণ করে দেখেছে।

শেখ মোহাম্মদ বলেন, ‘সমুদ্র পুরোপুরি দূষিত হয়ে যাবে এবং কাতারে তিন দিনের মধ্যেই পানির ঘাটতি দেখা দেবে।’

তিনি বলেন, ‘পানি থাকবে না, মাছ থাকবে না, কিছুই থাকবে না...কোনো জীবনই টিকে থাকবে না।’

সাক্ষাৎকারটি গত শুক্রবার প্রকাশিত হয়। সেদিনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে পারমাণবিক আলোচনার আমন্ত্রণ জানান। সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প সতর্ক করেন—তিনি শান্তিচুক্তি দেখতে চান, তবে অন্য কোনো উপায়েও সমস্যার সমাধান সম্ভব।

ইরানের দক্ষিণে মাত্র ১৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাতার। দেশটি পানি সরবরাহের জন্য মূলত সমুদ্রের লবণাক্ত পানি অপসারণ প্রযুক্তির (ডিস্যালিনেশন) ওপর নির্ভরশীল। কাতারের মতো অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোও মরু অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এই প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল।

এদিকে ইরানের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বুশেহরের অবস্থান উপসাগরীয় উপকূলে। তবে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রগুলো উপকূল থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে দেশটির ভেতরে অবস্থিত।

ইরানের উপকূলীয় স্থাপনাগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ মোহাম্মদ জানান—কাতারের শুধু সামরিক উদ্বেগই নয়, বরং নিরাপত্তা ও নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকিও রয়েছে। তিনি বলেন, ‘কাতার সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে একটি কূটনৈতিক সমাধান না আসা পর্যন্ত আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব।’

ইরান আলোচনার জন্য প্রস্তুত উল্লেখ করে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা এমন একপর্যায়ে পৌঁছাতে চায়, যেখানে সবাই স্বস্তি বোধ করবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তারা পুরো অঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে মনোযোগী হয়েছে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

পশ্চিমা শক্তিগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করার অভিযোগ করে আসছে। যদিও তেহরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ২০১৫ সালে ইরান একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল, যেখানে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত রাখার শর্ত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প ২০১৮ সালে প্রথম দফায় ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত