Ajker Patrika

খুশির মাস রমজানেও অন্ধকার সময় পার করছে পশ্চিম তীর

আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৫, ১৫: ৪৬
খুশির মাস রমজানেও অন্ধকার সময় পার করছে পশ্চিম তীর

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ফিলিস্তিনের অপর অংশ পশ্চিম তীরে চলছে ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক ধরপাকড়। যুদ্ধ শুরুর পর বিগত সাড়ে পাঁচ মাসে অঞ্চলটি থেকে ৭ হাজার ৩৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফলে গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছে পশ্চিম তীরের প্রতিটি মানুষ। প্রতিটি রাত তাদের জন্য বয়ে আনে অন্ধকার এক সময়। এমনকি মুসলিমদের পবিত্র ও খুশির মাস রমজানেও সেখানে ইসরায়েল আতঙ্কের ঘনঘোর অন্ধকার। 

পশ্চিম তীরের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলেছেন সেখানকার একটি হাসপাতালের পরিচালক ওয়াসিম বকর। তাঁর হাসপাতালটি পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে। বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, পবিত্র রমজানে প্রতিদিন ইফতারের আয়োজনের বদলে তাঁরা আতঙ্কে সময় পার করেন। কেউই বাইরে যান না। কারণ, রাত তাঁদের জন্য নিরাপদ নয়। যখন ইচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী যেখানে-সেখানে তল্লাশি চালায়। 

গাজায় অভিযান শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরেও উত্তাপ বেড়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এই হামলার পর থেকে পশ্চিম তীরের জেনিন সরকারি হাসপাতালে মরদেহ এসেছে ৪৪টি। আর ইসরায়েলের বাহিনীর তল্লাশি চালানোর পর এই হাসপাতালে ২৬৪ জন আহত মানুষ চিকিৎসা নিতে এসেছেন। 

জেনিনে শরণার্থীশিবিরে থাকেন মোহাম্মদ ওমর। পেশায় মিষ্টি বিক্রেতা ওমর বলেন, ‘এখন রাস্তায় কোনো মানুষ নাই। মানুষ ঘরে থাকছে। সবাই ভয়ে আছেন, যেকোনো সময় বোমা হামলা হতে পারে। মানুষের হাতে টাকা-পয়সা নেই খরচ করার মতো।’ 

এদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়ে আছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও। হাসপাতাল পরিচালক ওয়াসিম বলেন, ‘সহিংসতা ও ভয় হাসপাতালের কর্মীদের ওপরও প্রভাব ফেলেছে।’ এর কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হতাহতের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের চাপ বেড়েছে। রাতদিন রোগী আসছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত