Ajker Patrika

গাজায় ১ লাখ টন বিস্ফোরক ফেলেছে ইসরায়েল, চালিয়েছে ১২ হাজার হত্যাকাণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৯ মে ২০২৫, ১০: ৫৮
গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে। ছবি: আনাদোলু
গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে। ছবি: আনাদোলু

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে ১৯ মাসের বেশি সময় ধরে। এই সময়ের মধ্যে হানাদার ইসরায়েল অঞ্চলটিতে ১ লাখ টনেরও বেশি বিস্ফোরক ফেলেছে, যার বড় একটি অংশই এখনো অবিস্ফোরিত রয়ে গেছে। এ ছাড়া, এই সময়ে দখলদার বাহিনী ১২ হাজারের বেশি হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এদিকে, অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিখোঁজ ১১ হাজারের বেশি মানুষসহ সব মিলিয়ে ৬২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

লন্ডন থেকে পরিচালিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে ১৯ মাস আগে অভিযান শুরুর পর ইসরায়েল ১ লাখ টন বিস্ফোরক ফেলেছে। এতে ৬২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনী ১২ হাজারেরও বেশি হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার গাজার সরকারি জনসংযোগ বিভাগ এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া যুদ্ধের মূল পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণে ৬২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে, যাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা অজানা।

ইসরায়েল ১২ হাজারেরও বেশি গণহত্যা চালিয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৯২৬টি গণহত্যা চালানো হয়েছে ফিলিস্তিনি পরিবারের সদস্যদের লক্ষ্য করে। এতে ২ হাজার ২০০টি পরিবার সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে এবং ৬ হাজার ৩৫০ জনের নাম সিভিল রেজিস্ট্রি থেকে মুছে গেছে।

অভিযানে গাজার কবরস্থানগুলোও টার্গেট করা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার কবর থেকে ২ হাজার ৩০০টি মরদেহ চুরি করেছে এবং হাসপাতালগুলোর ভেতরে সাতটি গণকবর তৈরি করেছে। এ পর্যন্ত ৫২৯টি মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

স্বাস্থ্য খাতের ভয়াবহতা তুলে ধরে গাজার জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং গাজার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার কারণে ২১ লাখের বেশি মানুষ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭১ হাজার ৩৩৮ জন হেপাটাইটিসে ভুগছে।

ধর্মীয় ও মানবিক পরিকাঠামোও ধ্বংস করা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে ৮২৮টি মসজিদ এবং আংশিকভাবে ১৬৭টি মসজিদ ধ্বংস করেছে। ৩টি গির্জাকেও টার্গেট করা হয়েছে এবং ৬০টি কবরস্থানের মধ্যে ১৯টি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।

ক্ষুধার্ত রাখার নীতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল ৬৬টি ত্রাণকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ২৯টি ফুড চ্যারিটি কিচেন এবং ৩৭টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র ছিল। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে সীমান্ত ক্রসিংগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ৩৭ হাজার ৪০০টি ত্রাণ ও জ্বালানিভর্তি ট্রাক প্রবেশে বাধা দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত নভেম্বরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ইসরায়েল গাজায় তার যুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগেরও সম্মুখীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লাহোরে পাল্টা আঘাত হেনে পাকিস্তানকে জবাব দিল ভারত

পাকিস্তানের চীনা জে-১০ দিয়ে ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস, যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নজরে এই টক্বর

আবদুল হামিদের দেশত্যাগে এবার কিশোরগঞ্জের এসপি প্রত্যাহার

একটি দলের ওপর ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব: মাহফুজ আলম

গতকাল রাতে ৪৮টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত