Ajker Patrika

হামাসের হাতে জিম্মি ৯ বছরের এমিলি হ্যান্ডের জন্য আয়ারল্যান্ডে ‘কেবল প্রার্থনা’

আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১১: ৫৯
হামাসের হাতে জিম্মি ৯ বছরের এমিলি হ্যান্ডের জন্য আয়ারল্যান্ডে ‘কেবল প্রার্থনা’

হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ৯ বছর বয়সী আইরিশ-ইসরায়েলি শিশু এমিলি হ্যান্ড মুক্তি পেয়েছে। তার মুক্তিতে স্বস্তি পেয়েছেন জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার। আর এ কারণেই ইসরায়েলের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন তিনি। হ্যান্ডের মুক্তিতে আয়ারল্যান্ডের অবদান কেবল ‘প্রার্থনা’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র ইলন লেভি।

গাজায় চার দিনের চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় দ্বিতীয় দিনে গত শনিবার ১৩ ইসরায়েলিসহ মোট ১৭ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এর মধ্যে ছিল এমিলি হ্যান্ড। এই শিশুর মুক্তিতে সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার বলেন, ‘হারিয়ে যাওয়া নিষ্পাপ শিশুটিকে পাওয়া গেছে। সে ফিরে এসেছে। এখন আমরা স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারব। আমাদের প্রার্থনার জবাব মিলেছে।’

এর পরই লিওর দিকে তোপ দাগান ইলন লেভি। এক্সে পোস্ট দিয়ে তিনি বলেন, ‘এমিলি হ্যান্ড হারিয়ে যায়নি। প্রতিবেশীদের হত্যা করা ডেথ স্কোয়াড তাকে নির্মমভাবে অপহরণ করেছিল। তাকে খুঁজে পাওয়া হয়নি। হামাস পুরো সময়ই তার হদিস জানত, কারণ তারাই হ্যান্ডকে জিম্মি করে রেখেছিল। হামাস কোনোভাবেই আপনাদের প্রার্থনা শোনেনি। তারা শুনেছে ইসরায়েলি বাহিনীর চাপ প্রয়োগের ভাষা।’

লেভি আরও বলেন, ‘যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চাপ প্রয়োগ ছাড়া এমিলি হ্যান্ড এখনো জিম্মি হয়েই রয়ে যেত, সেই বাহিনীর অভিযানকে আয়ারল্যান্ডের কাছে প্রতিশোধ মনে হয়েছিল। এটা লজ্জাজনক। কারণ, হামাস আগে অন্ধ ছিল আর এখন চোখে দেখতে পাচ্ছে—বিষয়টি এমন নয়।’

অন্য একটি পোস্টে ইলন লেভি বলেন, ‘জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া ছোট্ট মেয়েকে যখন কোনো পর্যটক খুঁজে পেয়ে ফিরিয়ে দেয়, তার সম্পর্কেই এভাবে বলা যেতে পারে। কিন্তু প্রতিবেশীদের নির্মমভাবে হত্যা করা ডেথ স্কোয়াডের অপহরণের শিকার কোনো শিশু সম্পর্কে এভাবে বলা যায় না। তবে আইরিশ প্রধানমন্ত্রীর পোস্টে পরিষ্কার হয়েছে, এমিলি হ্যান্ডের মুক্তি পাওয়ায় তাদের অবদান কতটুকু—কেবল প্রার্থনা।’

ইউরোপীয় দেশ হওয়া সত্ত্বেও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই উত্তেজনাপূর্ণ। গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ সম্পর্কে লিও ভারাদকার ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করেছিলেন। তবে গাজায় ক্রমাগত বোমাবর্ষণে বেসামরিকদের জীবন রক্ষা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা বিঘ্নিত হবে বলে মত প্রকাশ করেন ভারাদকার। পাশাপাশি, ইসরায়েলি আগ্রাসনকে প্রতিশোধপ্রবণতার সঙ্গেও তুলনা করে আইরিশ প্রধানমন্ত্রী।

আইরিশ প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি হিগিনসও ইসরায়েলের সমালোচনা করেছেন। অভিযোগ করেছেন যে, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়ে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা করছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত