অনলাইন ডেস্ক
গাজা উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশের একদিন হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত উপত্যকার বাসিন্দাদের মধ্যে কোনো ত্রাণ বিতরণ হয়নি। গাজার ভেতর ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে দিলেও সেগুলো জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে হস্তান্তর করছে না ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। আল-জাজিরা, বিবিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ।
দীর্ঘ ৮০ দিন অবরুদ্ধ করে রাখার পর গত সোমবার গাজায় সীমিত পরিসরে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয় ইসরায়েল। গতকাল মঙ্গলবার, কারেম শালোম ক্রসিং দিয়ে ৯৩ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশ করে গাজায়। এসব ট্রাকে করে এসেছে আটা, শিশুখাদ্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ। তবে, এসবের কিছুই এখনো গাজার অসহায় মানুষগুলোর হাতে পৌঁছায়নি।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের উদ্দেশ্যে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো বুঝে নিতে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করেছে জাতিসংঘের একটি টিম। কিন্তু তাদের কাছে ত্রাণ বুঝিয়ে দেয়নি ইসরায়েলি সেনারা।
ডুজারিক আরও বলেন, ইসরায়েলি শর্তের কারণে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম আরও জটিল হয়ে উঠেছে। কারেম শালোম ক্রসিংয়ে ইসরায়েলি সেনাদের সামনে ট্রাক থেকে ত্রাণ নামিয়ে সেগুলো যাচাই করে দেখতে হবে এর মধ্যে খাবার ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ছাড়া অন্য কিছু আছে কিনা, এরপর সেগুলো আবার ট্রাকে রিলোড করতে হবে। তবে, এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য প্রথমে জাতিসংঘ টিমকে গাজায় প্রবেশের জন্য ইসরায়েলের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। ইসরায়েলের এসব শর্তের কারণেই ত্রাণ বিতরণের প্রক্রিয়াটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ হয়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, এমনিতেই প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য ত্রাণ ঢুকতে পেরেছে গাজায়। যেন সাগরে এক ফোঁটা শিশির বিন্দু! গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তা সামাল দিতে উপত্যকাটিতে দিনে কমপক্ষে ৬০০ ট্রাক ত্রাণ প্রয়োজন। এর আগে গত সোমবার বিবিসি টুডের এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সতর্ক করে বলেছিলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ না করলে ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশের পরও বাসিন্দাদের মধ্যে বিতরণে বিলম্বের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন অনেকে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সমন্বয় অফিস—ইউএনওসিএইচএর মুখপাত্র জেন্স লার্কে বলেন, ‘গাজায় খাদ্য সংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সেখানে কেউই ভরপেট খেতে পারছে না। একটি নবজাতক খাবারের জন্য তার মায়ের ওপর নির্ভরশীল। তার মা-ই যখন অনাহারে, অপুষ্টিতে ভুগছেন, তখন তিনি তাঁর সন্তানকে কী খাওয়াবেন? প্রয়োজনীয় বুকের দুধ না পাওয়া অনেক শিশুর জীবন রক্ষাকারী সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের এসব সাপ্লিমেন্ট না দিতে পারলে প্রাণহানি এড়ানো যাবে না হয়তো!’
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ১১ সপ্তাহে পুষ্টিহীনতায় ভুগে মৃত্যু হয়েছে ৫৭টি শিশুর। মিত্র দেশগুলোর চাপে পড়ে গত সোমবার গাজায় সীমিত পরিসরে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত গাজায় ৯৩ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশ করেছে।
গাজা উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশের একদিন হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত উপত্যকার বাসিন্দাদের মধ্যে কোনো ত্রাণ বিতরণ হয়নি। গাজার ভেতর ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে দিলেও সেগুলো জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে হস্তান্তর করছে না ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। আল-জাজিরা, বিবিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ।
দীর্ঘ ৮০ দিন অবরুদ্ধ করে রাখার পর গত সোমবার গাজায় সীমিত পরিসরে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয় ইসরায়েল। গতকাল মঙ্গলবার, কারেম শালোম ক্রসিং দিয়ে ৯৩ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশ করে গাজায়। এসব ট্রাকে করে এসেছে আটা, শিশুখাদ্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ। তবে, এসবের কিছুই এখনো গাজার অসহায় মানুষগুলোর হাতে পৌঁছায়নি।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের উদ্দেশ্যে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো বুঝে নিতে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করেছে জাতিসংঘের একটি টিম। কিন্তু তাদের কাছে ত্রাণ বুঝিয়ে দেয়নি ইসরায়েলি সেনারা।
ডুজারিক আরও বলেন, ইসরায়েলি শর্তের কারণে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম আরও জটিল হয়ে উঠেছে। কারেম শালোম ক্রসিংয়ে ইসরায়েলি সেনাদের সামনে ট্রাক থেকে ত্রাণ নামিয়ে সেগুলো যাচাই করে দেখতে হবে এর মধ্যে খাবার ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ছাড়া অন্য কিছু আছে কিনা, এরপর সেগুলো আবার ট্রাকে রিলোড করতে হবে। তবে, এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য প্রথমে জাতিসংঘ টিমকে গাজায় প্রবেশের জন্য ইসরায়েলের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। ইসরায়েলের এসব শর্তের কারণেই ত্রাণ বিতরণের প্রক্রিয়াটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ হয়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, এমনিতেই প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য ত্রাণ ঢুকতে পেরেছে গাজায়। যেন সাগরে এক ফোঁটা শিশির বিন্দু! গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তা সামাল দিতে উপত্যকাটিতে দিনে কমপক্ষে ৬০০ ট্রাক ত্রাণ প্রয়োজন। এর আগে গত সোমবার বিবিসি টুডের এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সতর্ক করে বলেছিলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ না করলে ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশের পরও বাসিন্দাদের মধ্যে বিতরণে বিলম্বের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন অনেকে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সমন্বয় অফিস—ইউএনওসিএইচএর মুখপাত্র জেন্স লার্কে বলেন, ‘গাজায় খাদ্য সংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সেখানে কেউই ভরপেট খেতে পারছে না। একটি নবজাতক খাবারের জন্য তার মায়ের ওপর নির্ভরশীল। তার মা-ই যখন অনাহারে, অপুষ্টিতে ভুগছেন, তখন তিনি তাঁর সন্তানকে কী খাওয়াবেন? প্রয়োজনীয় বুকের দুধ না পাওয়া অনেক শিশুর জীবন রক্ষাকারী সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের এসব সাপ্লিমেন্ট না দিতে পারলে প্রাণহানি এড়ানো যাবে না হয়তো!’
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ১১ সপ্তাহে পুষ্টিহীনতায় ভুগে মৃত্যু হয়েছে ৫৭টি শিশুর। মিত্র দেশগুলোর চাপে পড়ে গত সোমবার গাজায় সীমিত পরিসরে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত গাজায় ৯৩ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশ করেছে।
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৭ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৭ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৭ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৭ ঘণ্টা আগে