অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরির হোয়াইটম্যান এয়ার ফোর্স ঘাঁটি থেকে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত গুয়াম ঘাঁটির দিকে যাত্রা করেছে। আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দু’টি ইতিমধ্যেই প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দু’টি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
এ ছাড়া, সান ফ্রান্সেসকোর উত্তরাঞ্চল থেকে আরও দুটি ট্যাংকার বিমান উড্ডয়ন করেছে। তারা বর্তমানে উত্তরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং পরবর্তী রিফুয়েলিং পয়েন্ট হিসেবে হাওয়াইয়ের দিকে রওনা হয়েছে।
বি-২ স্পিরিট স্টেলথ বোমারু বিমান যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত অস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি। এটি অত্যন্ত গোপনে প্রবেশ করে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাঝেও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। বিশেষ করে ইরানের মাটির নিচের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জন্য এটি কার্যকরী।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ইরানকে নিয়ে কোনো সামরিক সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে মার্কিন বাহিনী তা বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। হেগসেথ বলেন, ‘তেহরান যদি সময়মতো চুক্তির পথে না আসে, তাহলে যেকোনো পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
প্রতিটি বি-২ বোমারুর মূল্য প্রায় ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমান। এটি তৈরি করেছে নর্থরপ গ্রুম্যান। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এখন পর্যন্ত মাত্র ২১টি বিমান উৎপাদন করা হয়েছে। এটি রিফুয়েলিং ছাড়া ৬ হাজার নটিক্যাল মাইল (প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার) দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।
বিমানটি প্রায় ৪০ হাজার পাউন্ড অস্ত্র বহনে সক্ষম, যার মধ্যে রয়েছে— জিডিএএম (JDAM)— এটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য জিপিএস-নির্ভর বোমা। জেএএসএসএম-ইআর (JASSM-ER)— এটি এধরনের মিসাইল, যা ৮০০ কিলোমিটারের বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। এ ছাড়া রয়েছে, জেএসওডব্লিউ (JSOW) মিসাইল— যা লক্ষ্যবস্তুর কাছাকাছি না গিয়েও দূর থেকে নিখুঁত হামলায় সক্ষম।
বি-২ বোমারু যুক্তরাষ্ট্রের নিউক্লিয়ার ট্রায়াড ব্যবস্থার অংশ। এটি সর্বোচ্চ ১৬টি বি-৮৩ পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম। এই ধরনের অস্ত্র পরিবহনের সময় স্টেলথ প্রযুক্তির কারণে শত্রুপক্ষ সাধারণত এর উপস্থিতি টের পায় না।
বি-২ বিমানে রাখা যায় ৩০ হাজার পাউন্ডের এমওপি (MOP) বোমা, যা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী কনভেনশনাল (অপারমাণবিক) বোমা হিসেবে পরিচিত। এই বোমা ২০০ ফুটের বেশি কংক্রিটের নিচে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে, যা ইরানের পারমাণবিক গবেষণা স্থাপনাগুলোর জন্য ভয়াবহ হুমকি।
যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরির হোয়াইটম্যান এয়ার ফোর্স ঘাঁটি থেকে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত গুয়াম ঘাঁটির দিকে যাত্রা করেছে। আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দু’টি ইতিমধ্যেই প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দু’টি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
এ ছাড়া, সান ফ্রান্সেসকোর উত্তরাঞ্চল থেকে আরও দুটি ট্যাংকার বিমান উড্ডয়ন করেছে। তারা বর্তমানে উত্তরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং পরবর্তী রিফুয়েলিং পয়েন্ট হিসেবে হাওয়াইয়ের দিকে রওনা হয়েছে।
বি-২ স্পিরিট স্টেলথ বোমারু বিমান যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত অস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি। এটি অত্যন্ত গোপনে প্রবেশ করে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাঝেও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। বিশেষ করে ইরানের মাটির নিচের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জন্য এটি কার্যকরী।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ইরানকে নিয়ে কোনো সামরিক সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে মার্কিন বাহিনী তা বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। হেগসেথ বলেন, ‘তেহরান যদি সময়মতো চুক্তির পথে না আসে, তাহলে যেকোনো পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
প্রতিটি বি-২ বোমারুর মূল্য প্রায় ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমান। এটি তৈরি করেছে নর্থরপ গ্রুম্যান। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এখন পর্যন্ত মাত্র ২১টি বিমান উৎপাদন করা হয়েছে। এটি রিফুয়েলিং ছাড়া ৬ হাজার নটিক্যাল মাইল (প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার) দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।
বিমানটি প্রায় ৪০ হাজার পাউন্ড অস্ত্র বহনে সক্ষম, যার মধ্যে রয়েছে— জিডিএএম (JDAM)— এটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য জিপিএস-নির্ভর বোমা। জেএএসএসএম-ইআর (JASSM-ER)— এটি এধরনের মিসাইল, যা ৮০০ কিলোমিটারের বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। এ ছাড়া রয়েছে, জেএসওডব্লিউ (JSOW) মিসাইল— যা লক্ষ্যবস্তুর কাছাকাছি না গিয়েও দূর থেকে নিখুঁত হামলায় সক্ষম।
বি-২ বোমারু যুক্তরাষ্ট্রের নিউক্লিয়ার ট্রায়াড ব্যবস্থার অংশ। এটি সর্বোচ্চ ১৬টি বি-৮৩ পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম। এই ধরনের অস্ত্র পরিবহনের সময় স্টেলথ প্রযুক্তির কারণে শত্রুপক্ষ সাধারণত এর উপস্থিতি টের পায় না।
বি-২ বিমানে রাখা যায় ৩০ হাজার পাউন্ডের এমওপি (MOP) বোমা, যা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী কনভেনশনাল (অপারমাণবিক) বোমা হিসেবে পরিচিত। এই বোমা ২০০ ফুটের বেশি কংক্রিটের নিচে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে, যা ইরানের পারমাণবিক গবেষণা স্থাপনাগুলোর জন্য ভয়াবহ হুমকি।
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৪ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৫ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৫ ঘণ্টা আগেইরানের ইস্পাহান শহরে অবস্থিত একটি পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)। সংস্থাটির প্রধান রাফায়েল গ্রোসি জানান, হামলার লক্ষ্য ছিল একটি সেন্ট্রিফিউজ ওয়ার্কশপ, যেখানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজে
৬ ঘণ্টা আগে