Ajker Patrika

খাদ্যসংকটের মধ্যে গাজায় সশস্ত্র গ্রুপের লুটপাট, ৬ জনকে হত্যা করল হামাস

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৫ মে ২০২৫, ১৩: ২৩
নুসেইরাহ শরণার্থীশিবিরে খাবারের জন্য বাসিন্দাদের হাহাকার। ছবি: এএফপি
নুসেইরাহ শরণার্থীশিবিরে খাবারের জন্য বাসিন্দাদের হাহাকার। ছবি: এএফপি

লুটপাটের অভিযোগে ৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে হামাস। পায়ে গুলি করে আহত করা হয়েছে আরও ১৩ জনকে। গত শুক্রবার (২ মে) হামাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হামাসের বলছে, সাধারণ ফিলিস্তিনি নয়, এসব লুটেরারা মূলত সন্ত্রাসী দল। আগামী দুই দিনে সন্ত্রাসীদের প্রত্যেককে খুঁজে খুঁজে বের করে সাজা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।

হামাস ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহে গাজা উপত্যকায় বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত কিছু গ্রুপ খাদ্য গুদাম এবং কমিউনিটি কিচেনে হামলা চালিয়েছে। এরপর হামাস বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন লুটপাটকারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।

হামাসের কর্মকর্তারা কিছু লুটপাটকারীর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সঙ্গে যোগসাজশে যুক্ত থাকার অভিযোগ করেছেন। যেখানে ইসরায়েল দুই মাস ধরে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে।

যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত মার্চে গাজায় আগ্রাসন পুনরায় শুরু করেছে ইসরায়েল। সেসময় থেকেই উপত্যকাটি অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েলি প্রশাসন। ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কোনো ধরনের ত্রাণ সহায়তা। দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই অবরোধে গাজায় রীতিমতো দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে খাবারের মজুত। আর সেই খাবার লুট করতে গাজার রাস্তায় রাস্তায় সন্ত্রাসী সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা বেড়েছে বলে জানাচ্ছে হামাস। তাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগও করেছে তারা।

২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে হামাস বেশ কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। তাদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধেই ইসরায়েলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ ছিল।

গত শনিবার গাজার স্বরাষ্ট্র ও জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, একটি অপরাধী গোষ্ঠী ও দখলদারদের সহযোগী দল তৎপর হয়েছে, যারা নাগরিকদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলছে, আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এবং ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে আক্রমণ করছে।

প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর গত ২ মার্চ থেকে গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করেছে ইসরায়েল, যাতে খাদ্য ও ওষুধসহ সব ধরনের মানবিক সহায়তা বন্ধ রয়েছে। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের শিশু বিভাগের প্রধান ড. আহমাদ আল-ফাররা সতর্ক করেছেন, ‘বর্তমান সংকট চলতে থাকলে অপুষ্টির কারণে ব্যাপক হারে বাড়তে পারে শিশুমৃত্যু।’ শনিবার সকালেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে মৃত্যু হয়েছে দুই মাস বয়সী এক শিশুর।

এদিকে, শিগগিরই গাজায় ত্রাণ সহায়তা ঢুকবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কয়েক দিনের মধ্যেই এমন একটি মানবিক সহায়তা পরিকল্পনার ঘোষণা আসতে পারে, যাতে খাদ্য ও ওষুধ গাজাবাসীর কাছে পৌঁছানো যাবে—নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখন পুরোপুরি কার্যকর। হামাসের হাতে না গিয়ে গাজার বেসামরিকরাই যাতে জরুরি সহায়তা পায় তার ব্যবস্থা করা হবে।’ তবে ঠিক কোন প্রক্রিয়ায় তা বাস্তবায়িত হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। জানা গেছে, একটি বেসরকারি সংস্থা পুরো সহায়তা কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

হেফাজতসহ ধর্ম ব্যবসায়ীরা নারীবিদ্বেষী প্রচারণা চালাচ্ছে: ৬৮ মানবাধিকার সংগঠন

মানিকগঞ্জে সালিসে বিএনপি নেতার নির্দেশে পাঁচ ভাইকে জুতাপেটা

রাখাইনে মানবিক করিডর: জান্তার আপত্তিতে সরকারে দ্বিধা

ভারতের ব্ল্যাকআউট মহড়া, সীমান্তে আটার মজুত বাড়াচ্ছে পাকিস্তান, যুদ্ধ কি লেগে যাচ্ছে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত