গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতের ফলে উপত্যকাটি এক ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখে পড়েছে। ত্রাণকর্মীদের হত্যা, ত্রাণবাহী যানবাহনের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার কারণে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) গাজার প্রধান ক্রসিং কারেম শালোম দিয়ে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে জানান, শনিবার ইসরায়েল সীমান্তের কারেম শালোম ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ নিয়ে আসা কয়েকটি ট্রাক লুট হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে নভেম্বর মাসে প্রায় ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক লুট হওয়ার ঘটনা ঘটে। রাফাহ ক্রসিং বন্ধ হওয়ার পর কারেম শালোম ক্রসিং ত্রাণ সরবরাহের প্রধান পথ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
লাজারিনি বলেন, ‘চলমান অবরোধ, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বাধা, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ত্রাণের অভাবে গাজার জনগণের দুর্দশা তীব্রতর হচ্ছে।’
ইউএনআরডব্লিউএর তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে গড়ে মাত্র ৬৫টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে, যেখানে যুদ্ধের আগে প্রতিদিন গড়ে ৫০০টি ট্রাক প্রবেশ করত। এ পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ত্রাণ লুট করে উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে।
জাতিসংঘ জানায়, ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৩৩ জন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন। গত শনিবার খান ইউনিসে এক ইসরায়েলি বিমান হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের তিন কর্মী নিহত হন। ইসরায়েল দাবি করে, নিহতদের একজন হামাসের যোদ্ধা ছিলেন। তবে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি তারা।
ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, হামাস ত্রাণ সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে, হামাস দাবি করছে, ইসরায়েল গাজার ত্রাণ কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য তাদের পুলিশ বাহিনীকে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে, কায়রোতে হামাস নেতারা যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রও হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে কাজ করছে। তবে এখনো কোনো পক্ষ থেকে সমঝোতার ইঙ্গিত মেলেনি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সংঘাত শুরুর পর থেকে প্রায় ৪৪ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ৯০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। অন্যদিকে, ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের জিম্মি হওয়া ৬৩ জন এখনো জীবিত।
গাজায় চলমান সংঘাত অবসানের কোনো সুনির্দিষ্ট সমাধান না হওয়ায় পরিস্থিতি দিন দিন আরও জটিল আকার ধারণ করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এ মানবিক সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ত্রাণকর্মী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতের ফলে উপত্যকাটি এক ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখে পড়েছে। ত্রাণকর্মীদের হত্যা, ত্রাণবাহী যানবাহনের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার কারণে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) গাজার প্রধান ক্রসিং কারেম শালোম দিয়ে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে জানান, শনিবার ইসরায়েল সীমান্তের কারেম শালোম ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ নিয়ে আসা কয়েকটি ট্রাক লুট হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে নভেম্বর মাসে প্রায় ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক লুট হওয়ার ঘটনা ঘটে। রাফাহ ক্রসিং বন্ধ হওয়ার পর কারেম শালোম ক্রসিং ত্রাণ সরবরাহের প্রধান পথ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
লাজারিনি বলেন, ‘চলমান অবরোধ, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বাধা, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ত্রাণের অভাবে গাজার জনগণের দুর্দশা তীব্রতর হচ্ছে।’
ইউএনআরডব্লিউএর তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে গড়ে মাত্র ৬৫টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে, যেখানে যুদ্ধের আগে প্রতিদিন গড়ে ৫০০টি ট্রাক প্রবেশ করত। এ পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ত্রাণ লুট করে উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে।
জাতিসংঘ জানায়, ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৩৩ জন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন। গত শনিবার খান ইউনিসে এক ইসরায়েলি বিমান হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের তিন কর্মী নিহত হন। ইসরায়েল দাবি করে, নিহতদের একজন হামাসের যোদ্ধা ছিলেন। তবে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি তারা।
ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, হামাস ত্রাণ সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে, হামাস দাবি করছে, ইসরায়েল গাজার ত্রাণ কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য তাদের পুলিশ বাহিনীকে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে, কায়রোতে হামাস নেতারা যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রও হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে কাজ করছে। তবে এখনো কোনো পক্ষ থেকে সমঝোতার ইঙ্গিত মেলেনি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সংঘাত শুরুর পর থেকে প্রায় ৪৪ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ৯০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। অন্যদিকে, ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের জিম্মি হওয়া ৬৩ জন এখনো জীবিত।
গাজায় চলমান সংঘাত অবসানের কোনো সুনির্দিষ্ট সমাধান না হওয়ায় পরিস্থিতি দিন দিন আরও জটিল আকার ধারণ করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এ মানবিক সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ত্রাণকর্মী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ছয় দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটছে। সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি। কূটনীতিক বহিষ্কারসহ...
৪ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ের জন্য ১৫ হাজার সেনাসদস্য পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও ৪ সহস্রাধিক। সব মিলিয়ে মোট হতাহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএসের এক গোপন...
৫ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের ঘটনায় চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতের বিমান সংস্থাগুলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই বলছে, এ ঘটনায় দেশটির এয়ারলাইনসগুলোর বাড়তি খরচ মাসে ৩০৭ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগেভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, পাকিস্তান কোনো উত্তেজনা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেবে না, তবে ভারত উসকানি দিলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
৭ ঘণ্টা আগে