জেরুসালেম পোস্টের নিবন্ধ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইসরায়েল আবারও গাজা সিটিতে সামরিক অভিযান শুরু করেছে। যুদ্ধ পর্যবেক্ষকদের কাছে বিষয়টি বিস্ময়ের মনে হতে পারে। অনেকের প্রশ্ন—যুদ্ধের শুরুতেই কি গাজা সিটি হামাসের কাছ থেকে দখল করেনি ইসরায়েল? তাহলে এখন কিসের অভিযান? আবার অনেকে ভাবতে পারেন, আগের সময়গুলোতে কেন শহরটি দখল করা হয়নি?
এগুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। গাজার রাজধানী এখনো কীভাবে হামাসের নিয়ন্ত্রণে? কেন ইসরায়েল টানা ২২ মাস ধরে শহরের চারপাশে লড়াই চালিয়ে শত শত সেনা হারাল, অথচ এখনো প্রায় ৫০ জন জিম্মি গাজায় আটকা এবং হামাসের হাতে গাজা সিটি ও অন্যান্য এলাকার নিয়ন্ত্রণ রয়ে গেল?
যুদ্ধের শুরুতে হামাস ভেবেছিল, ইসরায়েল সরাসরি গাজা সিটি দখল করবে। কিন্তু বাস্তবে যা ঘটল তা হলো, ২০২৩ সালের অক্টোবরে স্থল অভিযানের প্রথম দিকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটি ও উত্তর গাজাকে কেন্দ্রীয় গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপর এক মাস ধরে সেনারা শহরের আশপাশের বিভিন্ন মহল্লা ও উপশহরে অভিযান চালায়, কিন্তু কখনো শহরটিকে পুরোপুরি দখল করে ধরে রাখেনি। ট্যাংক ও পদাতিক সেনারা অনেক এলাকা দ্রুত দখল করে আবার সরে যায়। ইসরায়েলি কমান্ডারদের মতে, এটি ছিল ‘হানা দিয়ে ফিরে আসা’ কৌশল, যা শুরুতে কার্যকর হবে বলে তারা ভেবেছিল।
নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ইসরায়েলি সেনারা দাবি করে, গাজার ২৪টি হামাস ব্যাটালিয়নের মধ্যে অন্তত ১০টি তারা ভেঙে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য ছিল, উত্তর গাজায় হামাসকে তারা কার্যত ভেঙে দিয়েছে। তবে বাস্তবে দেখা যায়, হামাসের ওই ইউনিটগুলো ধ্বংস হয়নি। গাজা সিটিতে ছিল একটি ব্রিগেড এবং উত্তর গাজায় আরেকটি। ২০২৪ সালের নভেম্বর নাগাদ—অর্থাৎ, হামাসের ব্যাটালিয়নগুলো ভাঙার দাবি জানানোর এক বছর পর—ইসরায়েলি সেনারা তৃতীয়বারের মতো জাবালিয়ায় অভিযান চালাতে বাধ্য হয়। সেখানে হাজার হাজার হামাস সদস্য তখনো সক্রিয় ছিলেন। এ সময় ৭০ হাজার মানুষকে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে সরিয়ে নিতে হয়।
২০২৫ সালের মে মাসে শুরু হওয়া ‘গিদিওনস চ্যারিয়টস’ অভিযানে আবারও ইসরায়েল গাজা পুনর্দখলের ঘোষণা দেয়। ইসরায়েলি রাজনীতিকরা হুমকি দেন, এবার গোটা অঞ্চল ধ্বংস করা হবে। কিন্তু জুন ও জুলাই মাসে ইসরায়েল যেসব এলাকা দখল করে, সেগুলো আসলে ২০২৩ ও ২০২৪ সালেও একাধিকবার দখল করা হয়েছিল। হামাস তখনো গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে।
বর্তমানে কী ঘটছে? ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ট্যাংক গাজা সিটির উপকণ্ঠে ঢুকেছে। দক্ষিণ গাজার সাবরা মহল্লা এবং সিটির দক্ষিণাঞ্চলের জেইতুন এলাকায় অভিযান চলছে। এই জেইতুন এলাকা নেতজারিম করিডর ও গাজা সিটির মাঝামাঝি। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত চারবার এ এলাকা দখল করেছিল ইসরায়েল।
সাবরা এলাকায়ও সীমিত অভিযান চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি রাজনীতিকদের বিশ্বাস, হামাসকে যদি গাজা সিটি থেকে সরানো যায়, তবে তাদের পতন ঘটতে পারে। কিন্তু হামাস রাফাহ ও খান ইউনিস থেকেও হটেছে, তবু সংগঠনটি ভাঙেনি। বরং প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, তাদের প্রায় সব কোম্পানি, ব্যাটালিয়ন ও ব্রিগেড পর্যায়ের কমান্ডার নিহত হয়েছে। গাজায় শীর্ষ নেতৃত্বের বেশির ভাগকেও হারিয়েছে তারা। তবু হামাস নতুন যোদ্ধা তৈরি করছে এবং টিকে আছে।
হামাস সাধারণত ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান শুরু হলে সরে যায়, গা ঢাকা দেয়। যেমন—বেইত হানুন এলাকায় তারা টানা ২০ মাস টিকে ছিল, যেখানে তারা ইসরায়েলি সীমান্তের খুব কাছেই অবস্থান করছিল। অবশেষে ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এ এলাকায় ইসরায়েল প্রতিটি বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে হামাসকে পরাজিত করে।
অনেকে মনে করেন, গাজা সিটি হামাসের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। প্রতীকী দিক থেকে শহরটির মূল্য অনেক, তবে সামরিকভাবে এতটা স্পষ্ট নয়। হামাসের শক্ত ঘাঁটি বরাবরই ছিল গাজার কেন্দ্রীয় ক্যাম্পগুলোতে। এসব এলাকায় মূলত ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা শরণার্থীদের বংশধররা বাস করে। হামাসের প্রতি এই জনগোষ্ঠীর সমর্থন বেশি। অন্যদিকে গাজার পুরোনো পরিবারগুলোর মধ্যে হামাসের সমর্থন কম। এরা মূলত গাজা সিটিতেই থাকে। সুতরাং, তাদের এলাকায় অভিযান চালালে কি হামাস ভেঙে পড়বে?
গাজা সিটি ইসরায়েলের জন্য জটিল চ্যালেঞ্জ। ২০২৪ সালে শহরটি কেন্দ্রীয় গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল, কারণ ইসরায়েল নেতজারিম করিডর দখল করেছিল। কিন্তু ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে সেই করিডর থেকে সরে আসে সেনারা আর পুনর্দখলও করতে পারেনি। এখনো গাজা সিটিতে কত মানুষ আছে, তা স্পষ্ট নয়—হয়তো কয়েক লাখ। এত মানুষের ভেতরে যুদ্ধ চালানো জটিল হবে। ইসরায়েলি সেনারা সাধারণত কোনো এলাকায় ঢোকার আগে মানুষকে সরে যেতে বলে। এতে হামাসও পালানোর সুযোগ পেয়ে যায়। তাহলে এবারও কি হামাস গাজা সিটি ছেড়ে চলে যাবে এবং আগের মতোই টিকে থাকবে?
ইসরায়েল আবারও গাজা সিটিতে সামরিক অভিযান শুরু করেছে। যুদ্ধ পর্যবেক্ষকদের কাছে বিষয়টি বিস্ময়ের মনে হতে পারে। অনেকের প্রশ্ন—যুদ্ধের শুরুতেই কি গাজা সিটি হামাসের কাছ থেকে দখল করেনি ইসরায়েল? তাহলে এখন কিসের অভিযান? আবার অনেকে ভাবতে পারেন, আগের সময়গুলোতে কেন শহরটি দখল করা হয়নি?
এগুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। গাজার রাজধানী এখনো কীভাবে হামাসের নিয়ন্ত্রণে? কেন ইসরায়েল টানা ২২ মাস ধরে শহরের চারপাশে লড়াই চালিয়ে শত শত সেনা হারাল, অথচ এখনো প্রায় ৫০ জন জিম্মি গাজায় আটকা এবং হামাসের হাতে গাজা সিটি ও অন্যান্য এলাকার নিয়ন্ত্রণ রয়ে গেল?
যুদ্ধের শুরুতে হামাস ভেবেছিল, ইসরায়েল সরাসরি গাজা সিটি দখল করবে। কিন্তু বাস্তবে যা ঘটল তা হলো, ২০২৩ সালের অক্টোবরে স্থল অভিযানের প্রথম দিকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটি ও উত্তর গাজাকে কেন্দ্রীয় গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপর এক মাস ধরে সেনারা শহরের আশপাশের বিভিন্ন মহল্লা ও উপশহরে অভিযান চালায়, কিন্তু কখনো শহরটিকে পুরোপুরি দখল করে ধরে রাখেনি। ট্যাংক ও পদাতিক সেনারা অনেক এলাকা দ্রুত দখল করে আবার সরে যায়। ইসরায়েলি কমান্ডারদের মতে, এটি ছিল ‘হানা দিয়ে ফিরে আসা’ কৌশল, যা শুরুতে কার্যকর হবে বলে তারা ভেবেছিল।
নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ইসরায়েলি সেনারা দাবি করে, গাজার ২৪টি হামাস ব্যাটালিয়নের মধ্যে অন্তত ১০টি তারা ভেঙে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য ছিল, উত্তর গাজায় হামাসকে তারা কার্যত ভেঙে দিয়েছে। তবে বাস্তবে দেখা যায়, হামাসের ওই ইউনিটগুলো ধ্বংস হয়নি। গাজা সিটিতে ছিল একটি ব্রিগেড এবং উত্তর গাজায় আরেকটি। ২০২৪ সালের নভেম্বর নাগাদ—অর্থাৎ, হামাসের ব্যাটালিয়নগুলো ভাঙার দাবি জানানোর এক বছর পর—ইসরায়েলি সেনারা তৃতীয়বারের মতো জাবালিয়ায় অভিযান চালাতে বাধ্য হয়। সেখানে হাজার হাজার হামাস সদস্য তখনো সক্রিয় ছিলেন। এ সময় ৭০ হাজার মানুষকে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে সরিয়ে নিতে হয়।
২০২৫ সালের মে মাসে শুরু হওয়া ‘গিদিওনস চ্যারিয়টস’ অভিযানে আবারও ইসরায়েল গাজা পুনর্দখলের ঘোষণা দেয়। ইসরায়েলি রাজনীতিকরা হুমকি দেন, এবার গোটা অঞ্চল ধ্বংস করা হবে। কিন্তু জুন ও জুলাই মাসে ইসরায়েল যেসব এলাকা দখল করে, সেগুলো আসলে ২০২৩ ও ২০২৪ সালেও একাধিকবার দখল করা হয়েছিল। হামাস তখনো গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে।
বর্তমানে কী ঘটছে? ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ট্যাংক গাজা সিটির উপকণ্ঠে ঢুকেছে। দক্ষিণ গাজার সাবরা মহল্লা এবং সিটির দক্ষিণাঞ্চলের জেইতুন এলাকায় অভিযান চলছে। এই জেইতুন এলাকা নেতজারিম করিডর ও গাজা সিটির মাঝামাঝি। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত চারবার এ এলাকা দখল করেছিল ইসরায়েল।
সাবরা এলাকায়ও সীমিত অভিযান চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি রাজনীতিকদের বিশ্বাস, হামাসকে যদি গাজা সিটি থেকে সরানো যায়, তবে তাদের পতন ঘটতে পারে। কিন্তু হামাস রাফাহ ও খান ইউনিস থেকেও হটেছে, তবু সংগঠনটি ভাঙেনি। বরং প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, তাদের প্রায় সব কোম্পানি, ব্যাটালিয়ন ও ব্রিগেড পর্যায়ের কমান্ডার নিহত হয়েছে। গাজায় শীর্ষ নেতৃত্বের বেশির ভাগকেও হারিয়েছে তারা। তবু হামাস নতুন যোদ্ধা তৈরি করছে এবং টিকে আছে।
হামাস সাধারণত ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান শুরু হলে সরে যায়, গা ঢাকা দেয়। যেমন—বেইত হানুন এলাকায় তারা টানা ২০ মাস টিকে ছিল, যেখানে তারা ইসরায়েলি সীমান্তের খুব কাছেই অবস্থান করছিল। অবশেষে ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এ এলাকায় ইসরায়েল প্রতিটি বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে হামাসকে পরাজিত করে।
অনেকে মনে করেন, গাজা সিটি হামাসের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। প্রতীকী দিক থেকে শহরটির মূল্য অনেক, তবে সামরিকভাবে এতটা স্পষ্ট নয়। হামাসের শক্ত ঘাঁটি বরাবরই ছিল গাজার কেন্দ্রীয় ক্যাম্পগুলোতে। এসব এলাকায় মূলত ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা শরণার্থীদের বংশধররা বাস করে। হামাসের প্রতি এই জনগোষ্ঠীর সমর্থন বেশি। অন্যদিকে গাজার পুরোনো পরিবারগুলোর মধ্যে হামাসের সমর্থন কম। এরা মূলত গাজা সিটিতেই থাকে। সুতরাং, তাদের এলাকায় অভিযান চালালে কি হামাস ভেঙে পড়বে?
গাজা সিটি ইসরায়েলের জন্য জটিল চ্যালেঞ্জ। ২০২৪ সালে শহরটি কেন্দ্রীয় গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল, কারণ ইসরায়েল নেতজারিম করিডর দখল করেছিল। কিন্তু ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে সেই করিডর থেকে সরে আসে সেনারা আর পুনর্দখলও করতে পারেনি। এখনো গাজা সিটিতে কত মানুষ আছে, তা স্পষ্ট নয়—হয়তো কয়েক লাখ। এত মানুষের ভেতরে যুদ্ধ চালানো জটিল হবে। ইসরায়েলি সেনারা সাধারণত কোনো এলাকায় ঢোকার আগে মানুষকে সরে যেতে বলে। এতে হামাসও পালানোর সুযোগ পেয়ে যায়। তাহলে এবারও কি হামাস গাজা সিটি ছেড়ে চলে যাবে এবং আগের মতোই টিকে থাকবে?
মিয়ানমারের আগামী জাতীয় নির্বাচন শুরু হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। দেশটির জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার এই তারিখ ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘ প্রতিশ্রুত নির্বাচনের প্রথম ধাপ চলতি বছরের ২৮ ডিসেম্বর শুরু হবে।
৫ মিনিট আগেপ্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভোর চারটার দিকে ফজরের নামাজ আদায় করছিলেন মুসল্লিরা। সেই সময় বন্দুকধারীরা মসজিদে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালায়। নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে এ ধরনের হামলা নতুন নয়।
৩৬ মিনিট আগেদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা আজ বুধবার সকালে নিজ বাসভবনে আয়োজিত গণশুনানিতে থাপ্পড় বা চপেটাঘাতের শিকার হয়েছেন। এরপর তিনি গুরুতর আহত হলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় দিল্লি রাজনীতিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
১ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৭১ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে ১৭ শিশুও। গতকাল মঙ্গলবার প্রাদেশিক সরকারের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। অতিরিক্ত গতি ও অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে