আজকের পত্রিকা ডেস্ক
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গতকাল শুক্রবার ভাষণ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই ভাষণ দক্ষিণ ইসরায়েলের গাজা সীমান্তে লাউডস্পিকারে শোনানো হয়। তবে অনেক গাজাবাসী দাবি করেন, তাঁরা এই ভাষণ শুনতে পাননি।
ভাষণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর সমালোচনা করেন নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহু বক্তব্য শুরু করার আগেই গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি।
ভাষণে নেতানিয়াহু দাবি করেন, তাঁর বক্তব্য গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে লাউডস্পিকারের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। গাজার বাসিন্দাদের মোবাইল ফোনেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে সব গাজাবাসী তা শুনতে পাননি। আর যাঁরা শুনেছিলেন, তাঁদের সবাই এতে মনোযোগও দেননি।
গাজার বাসিন্দা ফাদি বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা দূর থেকে কিছু আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম, কিন্তু মানুষের ভিড় এবং গোলমালের কারণে তা অস্পষ্ট ছিল।’
ফাদি আরও প্রশ্ন করেন, ‘অবরুদ্ধ বেসামরিক মানুষদের তাঁবুর ভেতরে জোর করে তাঁর ভাষণ প্রচার করে কী লাভ?’
অন্যদিকে, যারা গাজার দক্ষিণে রাফাহতে ছিল, তারা কিছুই শুনতে পারেনি।
কেন্দ্রীয় গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ শহরে আশ্রয় নেওয়া ৩০ বছর বয়সী বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নারী রান্দা হানান বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, নেতানিয়াহুর এই দাবি সত্য নয়। তিনি বলেন, ‘মিথ্যা কথা। আমরা কোনো বার্তা বা ফোনে কিছুই পাইনি। কোনো লাউডস্পিকারও শুনিনি।’
হানান বলেন, ইসরায়েলি গণমাধ্যমে লাউডস্পিকারের ছবি দেখা ছাড়া তিনি নেতানিয়াহুর ভাষণ শুনতে পারেননি, যদিও তিনি শুনতে চাইতেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে কী, যদি তারা সত্যিই ট্রাকে করে স্পিকার বসিয়ে গাজার চারপাশে ঘোরানোর চেষ্টা করত। আমার মনে হয়, তারা খুব ভয় পেত।’
নেতানিয়াহু ভাষণে হামাস সদস্যদের উদ্দেশে অস্ত্র নামিয়ে রেখে অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দিতে সতর্কবার্তা দেন। এ ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় হামাস টেলিগ্রামে একটি দীর্ঘ বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু একটি ‘বিভ্রান্তিকর’ ভাষণ দিয়েছেন, যাতে ধারাবাহিকভাবে ‘স্পষ্ট মিথ্যা ও স্ববিরোধী তথ্য’ ছিল।
হামাস আরও বলেছে, মিথ্যা দিয়ে সত্য পরিবর্তন করা যাবে না। তারা মনে করে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল যা করছে, অর্থাৎ ‘মিথ্যা, ভুল তথ্য এবং পদ্ধতিগত হত্যার’ মাধ্যমে ‘দখলদারি’ চালাচ্ছে, যা সম্পর্কে বিশ্ব এখন ‘আরও বেশি সচেতন’।
বিবৃতির শেষে হামাস বিশ্বের কাছে দাবি জানায়, তারা যেন গাজায় এই হত্যা বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেয় এবং ইসরায়েলকে এই ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে, খাবার ও ওষুধ প্রবেশের অনুমতি দেয় এবং একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপগুলো সম্পূর্ণ করে।
নেতানিয়াহু আগ্রাসন থামানোর কোনো ইঙ্গিত না দিলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার দাবি করেছেন, তিনি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে জিম্মিদের মুক্ত করার একটি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছেন।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘মনে হচ্ছে আমরা গাজা নিয়ে একটি চুক্তির পথে আছি। আমি মনে করি, এই চুক্তিতেই জিম্মিদের মুক্তি মিলবে। এটি এমন একটি চুক্তি হবে, যা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাবে।’
তবে তিনি কোনো বিস্তারিত তথ্য বা সময়সীমা জানাননি। আগামী সোমবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের কথা রয়েছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গতকাল শুক্রবার ভাষণ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই ভাষণ দক্ষিণ ইসরায়েলের গাজা সীমান্তে লাউডস্পিকারে শোনানো হয়। তবে অনেক গাজাবাসী দাবি করেন, তাঁরা এই ভাষণ শুনতে পাননি।
ভাষণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর সমালোচনা করেন নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহু বক্তব্য শুরু করার আগেই গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি।
ভাষণে নেতানিয়াহু দাবি করেন, তাঁর বক্তব্য গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে লাউডস্পিকারের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। গাজার বাসিন্দাদের মোবাইল ফোনেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে সব গাজাবাসী তা শুনতে পাননি। আর যাঁরা শুনেছিলেন, তাঁদের সবাই এতে মনোযোগও দেননি।
গাজার বাসিন্দা ফাদি বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা দূর থেকে কিছু আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম, কিন্তু মানুষের ভিড় এবং গোলমালের কারণে তা অস্পষ্ট ছিল।’
ফাদি আরও প্রশ্ন করেন, ‘অবরুদ্ধ বেসামরিক মানুষদের তাঁবুর ভেতরে জোর করে তাঁর ভাষণ প্রচার করে কী লাভ?’
অন্যদিকে, যারা গাজার দক্ষিণে রাফাহতে ছিল, তারা কিছুই শুনতে পারেনি।
কেন্দ্রীয় গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ শহরে আশ্রয় নেওয়া ৩০ বছর বয়সী বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নারী রান্দা হানান বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, নেতানিয়াহুর এই দাবি সত্য নয়। তিনি বলেন, ‘মিথ্যা কথা। আমরা কোনো বার্তা বা ফোনে কিছুই পাইনি। কোনো লাউডস্পিকারও শুনিনি।’
হানান বলেন, ইসরায়েলি গণমাধ্যমে লাউডস্পিকারের ছবি দেখা ছাড়া তিনি নেতানিয়াহুর ভাষণ শুনতে পারেননি, যদিও তিনি শুনতে চাইতেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে কী, যদি তারা সত্যিই ট্রাকে করে স্পিকার বসিয়ে গাজার চারপাশে ঘোরানোর চেষ্টা করত। আমার মনে হয়, তারা খুব ভয় পেত।’
নেতানিয়াহু ভাষণে হামাস সদস্যদের উদ্দেশে অস্ত্র নামিয়ে রেখে অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দিতে সতর্কবার্তা দেন। এ ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় হামাস টেলিগ্রামে একটি দীর্ঘ বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু একটি ‘বিভ্রান্তিকর’ ভাষণ দিয়েছেন, যাতে ধারাবাহিকভাবে ‘স্পষ্ট মিথ্যা ও স্ববিরোধী তথ্য’ ছিল।
হামাস আরও বলেছে, মিথ্যা দিয়ে সত্য পরিবর্তন করা যাবে না। তারা মনে করে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল যা করছে, অর্থাৎ ‘মিথ্যা, ভুল তথ্য এবং পদ্ধতিগত হত্যার’ মাধ্যমে ‘দখলদারি’ চালাচ্ছে, যা সম্পর্কে বিশ্ব এখন ‘আরও বেশি সচেতন’।
বিবৃতির শেষে হামাস বিশ্বের কাছে দাবি জানায়, তারা যেন গাজায় এই হত্যা বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেয় এবং ইসরায়েলকে এই ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে, খাবার ও ওষুধ প্রবেশের অনুমতি দেয় এবং একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপগুলো সম্পূর্ণ করে।
নেতানিয়াহু আগ্রাসন থামানোর কোনো ইঙ্গিত না দিলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার দাবি করেছেন, তিনি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে জিম্মিদের মুক্ত করার একটি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছেন।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘মনে হচ্ছে আমরা গাজা নিয়ে একটি চুক্তির পথে আছি। আমি মনে করি, এই চুক্তিতেই জিম্মিদের মুক্তি মিলবে। এটি এমন একটি চুক্তি হবে, যা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাবে।’
তবে তিনি কোনো বিস্তারিত তথ্য বা সময়সীমা জানাননি। আগামী সোমবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের কথা রয়েছে।
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বেরেলিতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’—প্রচারাভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় আলেম ও ইত্তেহাদে মিল্লাত কাউন্সিলের প্রধান তৌকির রাজাকে শনিবার আটক করেছে পুলিশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১২ মিনিট আগেভাই-বোনের সম্পর্ক নিয়ে আপত্তিকর ও কুরুচিকর মন্তব্য করে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রর জনসমক্ষে সৌহার্দ্য বিনিময়ের (আলিঙ্গন ও মাথায় স্নেহচুম্বন) প্রসঙ্গ টেনে তিনি এটিকে ভারতীয়
১৫ মিনিট আগেজাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বক্তৃতা দিতে পোডিয়ামে ওঠা মাত্র রেকর্ডসংখ্যক কূটনীতিক হল ছেড়ে বের হয়ে যান। পরে তাঁরা ফিরে এসে পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের নেতাদের কাছ থেকে গাজার গণহত্যা নিয়ে কঠোর সমালোচনা শোনেন।
১ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে রীতিমতো গাজায় গণহত্যা চালানো দেশ ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। কেবল তাই নয়, পরে তিনি নিউইয়র্কে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভেও অংশ নেন। আর এই ঘটনাগুলোর পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, পেত্রোর ভিসা বাতিল করা হব
১ ঘণ্টা আগে