এবার লেখক হিসেবে পুরস্কৃত হলেন ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী আহেদ তামিমি। গত ১৮ জানুয়ারি প্যালেস্টাইন বুক অ্যাওয়ার্ডসের (পিবিএ) ১২তম আসরের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়। ফিলিস্তিনের লেখকদের সম্মান জানাতে ও উৎসাহিত করতে নিয়মিত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ভাইকে ছিনিয়ে নিতে এক ইসরায়েলি সেনার হাতে কামড় দেওয়ার ছবি ছড়িয়ে পড়লে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন আহেদ তামিমি। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৪ বছর। এরপর তামিমিকে আটক করে নিয়ে যায় ইসরায়েলি বাহিনী। গত নভেম্বর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার জিম্মি ও বন্দিবিনিময়ের সময় তামিমি মুক্ত হন।
তামিমি এই আয়োজনে ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক দেনা তাকরুরির সঙ্গে যৌথভাবে স্মৃতিকথা পুরস্কার জিতেছেন। আহেদ তামিমি তাঁর আত্মজীবনী ‘দে কল্ড মি আ লায়নেস: আ প্যালেস্টিনিয়ান গার্লস ফাইট ফর ফ্রিডম’-এর জন্য পুরস্কৃত হন।
এই উপন্যাসে তামিমির অধিকারকর্মী হিসেবে সক্রিয়তার ইতিহাস রয়েছে, যার কারণে তাঁকে ১৬ বছর বয়সে ইসরায়েল আট মাসের কারাদণ্ড দেয়।
সম্মাননা গ্রহণের সময় বক্তৃতায় তামিমি তাঁর বাবা বাসেম তামিমির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কোনো অভিযোগ ছাড়াই বাসেমকে আটক করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় যুদ্ধের অবসানের পাশাপাশি বাবার মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন তামিমি।
তিনি বলেন, ‘এ যুদ্ধ শেষ হওয়া ছাড়া এবং তাঁর (বাসেম তামিমি) ফিরে আসা ছাড়া আমি কোনো কিছুতে আনন্দ পাচ্ছি না।’
তামিমি বলেন, ‘আমি আশা করি, বিশ্ব এই জীবনেই আমাদের আশা পূরণ করবে। কারণ, দুঃখজনকভাবে আমরা যা দেখেছি এবং যা এখনো দেখছি, তারপরে আমরা সমস্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবতা এবং এর অর্থের প্রতি আমাদের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি।’
তাকরুরি তাঁর পুরস্কার গ্রহণের ভাষণে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘সম্পৃক্ততা’ তুলে ধরেন। তিনি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধে তামিমির অবদানের জন্যও প্রশংসা করেন এবং তাঁকে ‘অবিচলিত এবং অনুপ্রেরণামূলক’ আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, ‘এই দখলদারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং ইসরায়েল সত্যিকার অর্থেই পরবর্তী ধাপের গণহত্যার উন্মাদনায় মেতে উঠেছে, যা আমাদের সবার জন্য উদ্বেগজনক। কিন্তু আমরা মুক্তি ও স্বাধীনতার স্বপ্নে অবিচল ও আশাবাদী।’
এই অনুষ্ঠানে অন্য আরও লেখক সম্মাননা পেয়েছেন। দোভাষী কাব্যগ্রন্থ ‘আই সিং ফ্রম দ্য উইনডো অব এক্সাইল’-এর জন্য সৃজনশীল পুরস্কার পেয়েছেন দারিন তাতৌর। অনুবাদগ্রন্থ ‘অ্যামোং দ্য আমন্ড ট্রিজ: আ প্যালেস্টিনিয়ান মেমোয়ার’-এর জন্য পুরস্কার পেয়েছেন ইব্রাহিম মুহাবি।
মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে কাজ করা, অধিকারকর্মী ও সাংবাদিক ড. রোজম্যারি সায়িঘকে তাঁর কাজে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নারীদের বিশেষভাবে তুলে আনার জন্য আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
গত নভেম্বরের শুরুতে সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়ার সন্দেহে আহেদ তামিমিকে আবার গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। পশ্চিম তীরে অভিযান চালানোর সময় ২২ বছর বয়সী এই অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভাইকে গ্রেপ্তার করতে বাধা দিতে এক ইসরায়েলি সেনার হাতে কামড় দেওয়ার ছবি ছড়িয়ে পড়লে মাত্র ১৪ বছর বয়সেই বিখ্যাত হয়ে ওঠেন তামিমি। সেই থেকে তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীনতা ও বিদ্রোহের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। জেরুজালেমের কাছেই বেথলেহেমে পশ্চিম তীরের সঙ্গে ইসরায়েলের সীমানাপ্রাচীরে তামিমির একটি বড় প্রতিকৃতি আঁকা হয়েছে।
পশ্চিম তীরে বাড়ির আঙিনায় দুই ইসরায়েলি সেনাকে চড় মারার অভিযোগে ২০১৭ সালে তামিমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আট মাস পর ছাড়া পান তিনি।
এবার লেখক হিসেবে পুরস্কৃত হলেন ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী আহেদ তামিমি। গত ১৮ জানুয়ারি প্যালেস্টাইন বুক অ্যাওয়ার্ডসের (পিবিএ) ১২তম আসরের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়। ফিলিস্তিনের লেখকদের সম্মান জানাতে ও উৎসাহিত করতে নিয়মিত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ভাইকে ছিনিয়ে নিতে এক ইসরায়েলি সেনার হাতে কামড় দেওয়ার ছবি ছড়িয়ে পড়লে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন আহেদ তামিমি। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৪ বছর। এরপর তামিমিকে আটক করে নিয়ে যায় ইসরায়েলি বাহিনী। গত নভেম্বর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার জিম্মি ও বন্দিবিনিময়ের সময় তামিমি মুক্ত হন।
তামিমি এই আয়োজনে ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক দেনা তাকরুরির সঙ্গে যৌথভাবে স্মৃতিকথা পুরস্কার জিতেছেন। আহেদ তামিমি তাঁর আত্মজীবনী ‘দে কল্ড মি আ লায়নেস: আ প্যালেস্টিনিয়ান গার্লস ফাইট ফর ফ্রিডম’-এর জন্য পুরস্কৃত হন।
এই উপন্যাসে তামিমির অধিকারকর্মী হিসেবে সক্রিয়তার ইতিহাস রয়েছে, যার কারণে তাঁকে ১৬ বছর বয়সে ইসরায়েল আট মাসের কারাদণ্ড দেয়।
সম্মাননা গ্রহণের সময় বক্তৃতায় তামিমি তাঁর বাবা বাসেম তামিমির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কোনো অভিযোগ ছাড়াই বাসেমকে আটক করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় যুদ্ধের অবসানের পাশাপাশি বাবার মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন তামিমি।
তিনি বলেন, ‘এ যুদ্ধ শেষ হওয়া ছাড়া এবং তাঁর (বাসেম তামিমি) ফিরে আসা ছাড়া আমি কোনো কিছুতে আনন্দ পাচ্ছি না।’
তামিমি বলেন, ‘আমি আশা করি, বিশ্ব এই জীবনেই আমাদের আশা পূরণ করবে। কারণ, দুঃখজনকভাবে আমরা যা দেখেছি এবং যা এখনো দেখছি, তারপরে আমরা সমস্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবতা এবং এর অর্থের প্রতি আমাদের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি।’
তাকরুরি তাঁর পুরস্কার গ্রহণের ভাষণে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘সম্পৃক্ততা’ তুলে ধরেন। তিনি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধে তামিমির অবদানের জন্যও প্রশংসা করেন এবং তাঁকে ‘অবিচলিত এবং অনুপ্রেরণামূলক’ আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, ‘এই দখলদারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং ইসরায়েল সত্যিকার অর্থেই পরবর্তী ধাপের গণহত্যার উন্মাদনায় মেতে উঠেছে, যা আমাদের সবার জন্য উদ্বেগজনক। কিন্তু আমরা মুক্তি ও স্বাধীনতার স্বপ্নে অবিচল ও আশাবাদী।’
এই অনুষ্ঠানে অন্য আরও লেখক সম্মাননা পেয়েছেন। দোভাষী কাব্যগ্রন্থ ‘আই সিং ফ্রম দ্য উইনডো অব এক্সাইল’-এর জন্য সৃজনশীল পুরস্কার পেয়েছেন দারিন তাতৌর। অনুবাদগ্রন্থ ‘অ্যামোং দ্য আমন্ড ট্রিজ: আ প্যালেস্টিনিয়ান মেমোয়ার’-এর জন্য পুরস্কার পেয়েছেন ইব্রাহিম মুহাবি।
মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে কাজ করা, অধিকারকর্মী ও সাংবাদিক ড. রোজম্যারি সায়িঘকে তাঁর কাজে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নারীদের বিশেষভাবে তুলে আনার জন্য আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
গত নভেম্বরের শুরুতে সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়ার সন্দেহে আহেদ তামিমিকে আবার গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। পশ্চিম তীরে অভিযান চালানোর সময় ২২ বছর বয়সী এই অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভাইকে গ্রেপ্তার করতে বাধা দিতে এক ইসরায়েলি সেনার হাতে কামড় দেওয়ার ছবি ছড়িয়ে পড়লে মাত্র ১৪ বছর বয়সেই বিখ্যাত হয়ে ওঠেন তামিমি। সেই থেকে তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীনতা ও বিদ্রোহের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। জেরুজালেমের কাছেই বেথলেহেমে পশ্চিম তীরের সঙ্গে ইসরায়েলের সীমানাপ্রাচীরে তামিমির একটি বড় প্রতিকৃতি আঁকা হয়েছে।
পশ্চিম তীরে বাড়ির আঙিনায় দুই ইসরায়েলি সেনাকে চড় মারার অভিযোগে ২০১৭ সালে তামিমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আট মাস পর ছাড়া পান তিনি।
শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রন্ধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠককে ভারত স্বাগত জানাচ্ছে। শান্তির পথে তাঁদের নেতৃত্ব প্রশংসনীয়। তবে সমাধানের একমাত্র পথ হলো সংলাপ ও কূটনীতি। বিশ্ব চায় ইউক্রেন যুদ্ধ
১৫ মিনিট আগেতদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পাকিস্তানি এজেন্টরা প্রথমে জ্যোতির সঙ্গে অনলাইনে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়। এভাবেই পাকিস্তান হাইকমিশনে কর্মরত এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশ নামে এক কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। এহসানের সঙ্গে অন্তত দুবার তিনি পাকিস্তানে গিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেদেশভাগ কোনো একক নেতার কাজ ছিল না। তিনটি প্রধান শক্তি একত্রে কাজ করেছে—জিন্নাহ যিনি পাকিস্তানের দাবি তুলেছিলেন, কংগ্রেস যারা অবশেষে বিভাজন মেনে নিয়েছিল এবং লর্ড মাউন্টব্যাটেন যিনি তা বাস্তবায়ন করেছিলেন।
২ ঘণ্টা আগেইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে সহায়তা করছে চীন। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিয়োথ আরোনাথের এক প্রতিবেদনে। আর, ইরান-চীনের এই যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ইসরায়েল। যদিও ইরান বা চীনের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে