কলকাতা প্রতিনিধি
ভারতীয় শিক্ষাঙ্গনে ফের বিতর্কের ঝড়। স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরও দেশভাগের ইতিহাসকে ঘিরে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন বিতর্ক। এনসিইআরটির প্রকাশিত সাম্প্রতিক মডিউলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশভাগ কোনো একক নেতার কাজ ছিল না। তিনটি প্রধান শক্তি একত্রে কাজ করেছে—জিন্নাহ যিনি পাকিস্তানের দাবি তুলেছিলেন, কংগ্রেস যারা অবশেষে বিভাজন মেনে নিয়েছিল এবং লর্ড মাউন্টব্যাটেন যিনি তা বাস্তবায়ন করেছিলেন।
এই নতুন পাঠ্য অধ্যায় প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া তীব্র হয়েছে। কংগ্রেস নেতা পবন খেরা একে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ’ বলে আখ্যা দেন এবং এনসিইআরটির মডিউল পুড়িয়ে ফেলার আহ্বান জানান। তাঁর অভিযোগ, ইতিহাসকে বিকৃত করে কংগ্রেসের ভূমিকা ছোট করা হচ্ছে এবং বিজেপি-আরএসএসের রাজনৈতিক মতাদর্শকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
আসলে এর আগে থেকেই অভিযোগ উঠছিল যে, মোদি সরকারের সময়ে পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে আরএসএসের ভূমিকা, নাথুরাম গডসের সংস্রব, কিংবা গুজরাট দাঙ্গার মতো অধ্যায়। সমালোচকদের মতে, এর উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু মৌলবাদী শক্তিকে দায়মুক্ত করা। এবারে দেশভাগের দায় সরাসরি কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপানোয় বিজেপি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে—তারা ইতিহাসকে নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শ অনুযায়ী পুনর্লিখন করছে।
আন্তর্জাতিক মহলেও এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বহু ইতিহাসবিদ মনে করেন, দেশভাগ ছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক নীতি, মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তের সমন্বিত ফল। কিন্তু এনসিইআরটির এই একতরফা বিশ্লেষণ ভারতের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে। বিদেশি গবেষকদের দৃষ্টিতে এটি প্রমাণ করছে, ভারতে শিক্ষা ও ইতিহাসকেও ভোট রাজনীতির চাপে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভারতের সংবিধান নিজেকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু আজ বিজেপি ও আরএসএস যেভাবে ইতিহাসের অধ্যায় পরিবর্তন করছে, তা কি সেই ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, আসলে এভাবেই বিজেপি তাদের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি প্রজন্মের পর প্রজন্মে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। ফলে তারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই কাঠগড়ায় দাঁড়াচ্ছে—যেখানে প্রশ্ন উঠছে, ভারত কি সত্যিই একটি উদার গণতন্ত্র হিসেবে থেকে যাচ্ছে, নাকি শিক্ষা ও ইতিহাসও দলীয় মতাদর্শের শিকার হচ্ছে।
এই বিতর্কের মধ্য দিয়ে পরিষ্কার হচ্ছে, কেবল ইতিহাস নয়, ভারতের রাজনৈতিক বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়েও একধরনের লড়াই শুরু হয়ে গেছে। দেশভাগের দায় নিয়ে মডিউলের এ বিতর্ক হয়তো পাঠ্যক্রমের সীমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং তা ভারতের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে।
ভারতীয় শিক্ষাঙ্গনে ফের বিতর্কের ঝড়। স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরও দেশভাগের ইতিহাসকে ঘিরে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন বিতর্ক। এনসিইআরটির প্রকাশিত সাম্প্রতিক মডিউলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশভাগ কোনো একক নেতার কাজ ছিল না। তিনটি প্রধান শক্তি একত্রে কাজ করেছে—জিন্নাহ যিনি পাকিস্তানের দাবি তুলেছিলেন, কংগ্রেস যারা অবশেষে বিভাজন মেনে নিয়েছিল এবং লর্ড মাউন্টব্যাটেন যিনি তা বাস্তবায়ন করেছিলেন।
এই নতুন পাঠ্য অধ্যায় প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া তীব্র হয়েছে। কংগ্রেস নেতা পবন খেরা একে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ’ বলে আখ্যা দেন এবং এনসিইআরটির মডিউল পুড়িয়ে ফেলার আহ্বান জানান। তাঁর অভিযোগ, ইতিহাসকে বিকৃত করে কংগ্রেসের ভূমিকা ছোট করা হচ্ছে এবং বিজেপি-আরএসএসের রাজনৈতিক মতাদর্শকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
আসলে এর আগে থেকেই অভিযোগ উঠছিল যে, মোদি সরকারের সময়ে পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে আরএসএসের ভূমিকা, নাথুরাম গডসের সংস্রব, কিংবা গুজরাট দাঙ্গার মতো অধ্যায়। সমালোচকদের মতে, এর উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু মৌলবাদী শক্তিকে দায়মুক্ত করা। এবারে দেশভাগের দায় সরাসরি কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপানোয় বিজেপি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে—তারা ইতিহাসকে নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শ অনুযায়ী পুনর্লিখন করছে।
আন্তর্জাতিক মহলেও এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বহু ইতিহাসবিদ মনে করেন, দেশভাগ ছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক নীতি, মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তের সমন্বিত ফল। কিন্তু এনসিইআরটির এই একতরফা বিশ্লেষণ ভারতের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে। বিদেশি গবেষকদের দৃষ্টিতে এটি প্রমাণ করছে, ভারতে শিক্ষা ও ইতিহাসকেও ভোট রাজনীতির চাপে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভারতের সংবিধান নিজেকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু আজ বিজেপি ও আরএসএস যেভাবে ইতিহাসের অধ্যায় পরিবর্তন করছে, তা কি সেই ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, আসলে এভাবেই বিজেপি তাদের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি প্রজন্মের পর প্রজন্মে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। ফলে তারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই কাঠগড়ায় দাঁড়াচ্ছে—যেখানে প্রশ্ন উঠছে, ভারত কি সত্যিই একটি উদার গণতন্ত্র হিসেবে থেকে যাচ্ছে, নাকি শিক্ষা ও ইতিহাসও দলীয় মতাদর্শের শিকার হচ্ছে।
এই বিতর্কের মধ্য দিয়ে পরিষ্কার হচ্ছে, কেবল ইতিহাস নয়, ভারতের রাজনৈতিক বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়েও একধরনের লড়াই শুরু হয়ে গেছে। দেশভাগের দায় নিয়ে মডিউলের এ বিতর্ক হয়তো পাঠ্যক্রমের সীমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং তা ভারতের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে।
চলমান যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর যুক্তি, ‘রাশিয়া খুবই বড় শক্তি, ইউক্রেন নয়। তাই যুদ্ধ এড়িয়ে টিকে থাকতে হলে চুক্তি ছাড়া ইউক্রেনের কোনো গতি নেই।’ এই মন্তব্য ট্রাম্পের আলাস্কা বৈঠকের পর এসেছে...
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে চীন কখনোই তাইওয়ানে আক্রমণ করবে না। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। খবর রয়টার্সের।
৩ ঘণ্টা আগেবোল্টন বলেছেন, ‘এই বৈঠকের পর ট্রাম্প কিছুই পাননি। যা পেয়েছেন তা হলো, আরও কিছু বৈঠকের প্রতিশ্রুতি। অন্যদিকে পুতিন ‘সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন, যা আমি সব সময় তাঁর প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করেছি।’
৪ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি হয়তো আশা করেছিলেন, এই বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে একটি চুক্তি হবে। কিন্তু এমন কোনো কিছুই হয়নি। তাই ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার জন্য সোমবার ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন জেলেনস্কি।
৪ ঘণ্টা আগে