ফুটবলে দুই দেশকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করা হলেও অর্থনীতিতে নজিরবিহীন জোট গঠন করতে যাচ্ছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। একটি অভিন্ন মুদ্রা চালু এবং বৃহত্তর অর্থনৈতিক জোট গড়ার লক্ষ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ একটি যৌথ নিবন্ধ লিখেছেন। ব্রাজিল এই মুদ্রার নাম প্রস্তাব করেছে ‘সুর’। এর অর্থ দক্ষিণ।
আর্জেন্টিনাভিত্তিক ওয়েবসাইট পারফিলে প্রকাশিত নিবন্ধটিতে তাঁরা লিখেছেন, ‘আমরা আমাদের বিনিময়ের বাধাগুলো অতিক্রম করতে, নিয়মগুলোর সরলীকরণ ও আধুনিকীকরণ করতে এবং স্থানীয় মুদ্রার ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে চাই।’
‘আমরা একটি সাধারণ দক্ষিণ আমেরিকান মুদ্রার বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আর্থিক এবং বাণিজ্যিক উভয় প্রবাহের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি পরিচালন বাধা এবং আমাদের বাহ্যিক দুর্বলতা কমাতে সহায়তা করতে পারে।’ নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন দুই নেতা।
একটি সাধারণ মুদ্রার ধারণা মূলত ব্রাজিলের বর্তমান অর্থমন্ত্রী ফার্নান্দো হাদ্দাদ এবং তাঁর নির্বাহী সচিব গ্যাব্রিয়েল গালিপোলো গত বছর লিখিত একটি নিবন্ধে প্রথম উত্থাপন করেন। নির্বাচনী প্রচারের সময় লুলা এই বিষয়টি একাধিকবার উল্লেখ করেছিলেন।
ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই লাতিন আমেরিকায় সর্ববৃহৎ ব্যবসায়িক অংশীদার দেশেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর করার একটি রীতি রয়েছে। সেই ঐতিহ্য বজায় রেখে দায়িত্ব নেওয়ার পর লুলা তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক সফরের জন্য আর্জেন্টিনাকেই বেছে নিয়েছেন। যেখানে ব্রাজিলের সাবেক ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোর সরকারের সময় চার বছর বেশ উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে।
লুলার আর্জেন্টিনা সফর দ্য কমিউনিটি অব ল্যাটিন আমেরিকান অ্যান্ড ক্যারিবিয়ান স্টেটস (সিইএলএসি) জোটে ব্রাজিলের প্রত্যাবর্তনকেও চিহ্নিত করে। বলসোনারোর নির্দেশে ব্রাজিল ২০১৯ সালে এ জোট থেকে বেরিয়ে যায়। কিউবা ও ভেনেজুয়েলার উপস্থিতির কারণে আঞ্চলিক এই জোটে থাকতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন বলসোনারো।
যৌথ নিবন্ধটিতে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মধ্যে আঞ্চলিক ঐক্য জোরদার করার জন্য উভয় প্রেসিডেন্টই পারস্পরিক ভালো সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছেন।
দুই নেতা আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়েকে নিয়ে গঠিত মার্কোসুর বাণিজ্য জোটকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্ভাবনাময় জোটটি প্রায় অকার্যকর হয়ে থাকায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ব্রাজিলের অর্থমন্ত্রী হাদ্দাদ।
গত শনিবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ আমেরিকার প্রতিবেশী দেশগুলো চলতি সপ্তাহেই একটি সাধারণ মুদ্রা প্রচলনের জন্য প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করার ঘোষণা দিতে পারে।
এ সপ্তাহে বুয়েনস এইরেসে একটি শীর্ষ সম্মেলনে এই মুদ্রার বিষয়ে আলোচনা করা হবে। কীভাবে একটি নতুন সাধারণ মুদ্রা চালু করা যেতে পারে, যা আঞ্চলিক বাণিজ্যকে সম্প্রসারিত করবে এবং মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে সহায়তা করতে পারে—আলোচনায় সে বিষয়টির ওপরই জোর দেওয়া হবে।
উভয় দেশের রাজনীতিবিদেরা ২০১৯ সালেই এই ধারণাটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু সেই সময়ে ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
প্রাথমিকভাবে এটি একটি দ্বিপক্ষীয় প্রকল্প হিসেবে শুরু হবে। পরবর্তীকালে লাতিন আমেরিকান অন্য দেশগুলোকে এতে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। গতকাল রোববার রাতে শুরু হওয়া লুলার আর্জেন্টিনা সফরে এ ব্যাপারে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সবাই প্রত্যাশা করছেন।
ফুটবলে দুই দেশকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করা হলেও অর্থনীতিতে নজিরবিহীন জোট গঠন করতে যাচ্ছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। একটি অভিন্ন মুদ্রা চালু এবং বৃহত্তর অর্থনৈতিক জোট গড়ার লক্ষ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ একটি যৌথ নিবন্ধ লিখেছেন। ব্রাজিল এই মুদ্রার নাম প্রস্তাব করেছে ‘সুর’। এর অর্থ দক্ষিণ।
আর্জেন্টিনাভিত্তিক ওয়েবসাইট পারফিলে প্রকাশিত নিবন্ধটিতে তাঁরা লিখেছেন, ‘আমরা আমাদের বিনিময়ের বাধাগুলো অতিক্রম করতে, নিয়মগুলোর সরলীকরণ ও আধুনিকীকরণ করতে এবং স্থানীয় মুদ্রার ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে চাই।’
‘আমরা একটি সাধারণ দক্ষিণ আমেরিকান মুদ্রার বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আর্থিক এবং বাণিজ্যিক উভয় প্রবাহের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি পরিচালন বাধা এবং আমাদের বাহ্যিক দুর্বলতা কমাতে সহায়তা করতে পারে।’ নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন দুই নেতা।
একটি সাধারণ মুদ্রার ধারণা মূলত ব্রাজিলের বর্তমান অর্থমন্ত্রী ফার্নান্দো হাদ্দাদ এবং তাঁর নির্বাহী সচিব গ্যাব্রিয়েল গালিপোলো গত বছর লিখিত একটি নিবন্ধে প্রথম উত্থাপন করেন। নির্বাচনী প্রচারের সময় লুলা এই বিষয়টি একাধিকবার উল্লেখ করেছিলেন।
ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই লাতিন আমেরিকায় সর্ববৃহৎ ব্যবসায়িক অংশীদার দেশেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর করার একটি রীতি রয়েছে। সেই ঐতিহ্য বজায় রেখে দায়িত্ব নেওয়ার পর লুলা তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক সফরের জন্য আর্জেন্টিনাকেই বেছে নিয়েছেন। যেখানে ব্রাজিলের সাবেক ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোর সরকারের সময় চার বছর বেশ উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে।
লুলার আর্জেন্টিনা সফর দ্য কমিউনিটি অব ল্যাটিন আমেরিকান অ্যান্ড ক্যারিবিয়ান স্টেটস (সিইএলএসি) জোটে ব্রাজিলের প্রত্যাবর্তনকেও চিহ্নিত করে। বলসোনারোর নির্দেশে ব্রাজিল ২০১৯ সালে এ জোট থেকে বেরিয়ে যায়। কিউবা ও ভেনেজুয়েলার উপস্থিতির কারণে আঞ্চলিক এই জোটে থাকতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন বলসোনারো।
যৌথ নিবন্ধটিতে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মধ্যে আঞ্চলিক ঐক্য জোরদার করার জন্য উভয় প্রেসিডেন্টই পারস্পরিক ভালো সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছেন।
দুই নেতা আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়েকে নিয়ে গঠিত মার্কোসুর বাণিজ্য জোটকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্ভাবনাময় জোটটি প্রায় অকার্যকর হয়ে থাকায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ব্রাজিলের অর্থমন্ত্রী হাদ্দাদ।
গত শনিবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ আমেরিকার প্রতিবেশী দেশগুলো চলতি সপ্তাহেই একটি সাধারণ মুদ্রা প্রচলনের জন্য প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করার ঘোষণা দিতে পারে।
এ সপ্তাহে বুয়েনস এইরেসে একটি শীর্ষ সম্মেলনে এই মুদ্রার বিষয়ে আলোচনা করা হবে। কীভাবে একটি নতুন সাধারণ মুদ্রা চালু করা যেতে পারে, যা আঞ্চলিক বাণিজ্যকে সম্প্রসারিত করবে এবং মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে সহায়তা করতে পারে—আলোচনায় সে বিষয়টির ওপরই জোর দেওয়া হবে।
উভয় দেশের রাজনীতিবিদেরা ২০১৯ সালেই এই ধারণাটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু সেই সময়ে ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
প্রাথমিকভাবে এটি একটি দ্বিপক্ষীয় প্রকল্প হিসেবে শুরু হবে। পরবর্তীকালে লাতিন আমেরিকান অন্য দেশগুলোকে এতে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। গতকাল রোববার রাতে শুরু হওয়া লুলার আর্জেন্টিনা সফরে এ ব্যাপারে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সবাই প্রত্যাশা করছেন।
ইরানের প্রধান তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনটি স্থাপনাই ‘শেষ’ করে দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের হুমকি দূর করা হয়েছে।
৪ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানে হামলার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তবে, এর অনেক সমালোচক বা এমনকি অনেক সমর্থকও এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হবেন বলে মনে হয় না। কারণ, তিনি কোথাও উল্লেখ করেননি যে, যুক্তরাষ্ট্র আসন্ন হুমকির মুখে ছিল, যার কারণে মার্কিন সংবিধান অনুসারে এই হামলাকে বৈধতা দেওয়া যেতে পারে।
২৮ মিনিট আগেইরানের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানের শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বোমার পর তাৎক্ষণিক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ফোরদো শেষ!’ বাকি দুটি অবস্থা অবশ্য এখনো জানানো হয়নি।
১ ঘণ্টা আগেইরানের পারমাণবিক সংস্থা মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে, বলেছে তাদের পরমাণু শিল্প বন্ধ হবে না। সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক সংস্থা দেশটির তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং তাদের পরমাণু কর্মসূচি ‘কখনোই’ বন্ধ না করার অঙ্গ
১ ঘণ্টা আগে