সংবিধান প্রণয়নের তারিখ অপরিবর্তিত রেখে সংবিধানের প্রস্তাবনায় পরিবর্তন আনা যাবে কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যসভার সাবেক সদস্য সুব্রহ্মনিয়ান স্বামী এবং আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈনের সংবিধান থেকে ‘সেক্যুলার’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটিগুলো বাদ দেওয়ার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এ প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে এ দুটি শব্দ সংবিধানে যুক্ত করা হয়।
বিচারপতি দত্ত বলেন, ‘একাডেমিক প্রয়োজনে কি প্রস্তাবনায় যেখানে তারিখ উল্লেখ করা আছে, সেখানে মূল তারিখ পরিবর্তন না করেই কোনো ধরনের পরিবর্তন আনা যায়? অন্যথা হলে, হ্যাঁ, তাহলে প্রস্তাবনায় পরিবর্তন আনা যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই।’ জবাবে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মনিয়ান স্বামী বলেন, ‘এই প্রসঙ্গে ঠিক এই প্রশ্নই উঠছে।’
বিচারপতি দত্ত আরও বলেন, ‘আমার দেখা এটিই সম্ভবত একমাত্র প্রস্তাবনা যেটির মধ্যে তারিখ উল্লেখিত। আমরা অমুক তারিখে আমাদের এই সংবিধান দিচ্ছি...মূলত এই দুটি শব্দ (সমাজতান্ত্রিক ও সেক্যুলার) তখন ছিল না।’ শংকর জৈন বলেন, ‘ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় একটি নির্দিষ্ট তারিখ রয়েছে, তাই আলোচনা ছাড়া তা সংশোধন করা যাবে না।’
তবে এ বিষয়ে স্বামী বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সালের মধ্যে জরুরি অবস্থার সময় ৪২তম সংশোধন পাস হয়েছিল।
এর আগে বিচারপতি খান্না স্বামীকে বলেছিলেন, বিচারপতিরা আজ সকালেই মামলার নথি হাতে পেয়েছেন এবং সময়ের অভাবের কারণে তাঁরা তা পড়ে দেখতে পারেননি। আদালতের বেঞ্চ বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন। দুটি আবেদনেরই শুনানি আগামী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত সুব্রহ্মনিয়ান স্বামীর আবেদনকে শুনানির জন্য বলরাম সিং এবং অন্যদের করা আরেক মামলার সঙ্গে যুক্ত করেন। স্বামী ও সিং দুজনই প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘সেক্যুলার’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার দাবি জানান।
১৯৭৬ সালে ইন্দিরা গান্ধী সরকারের করা সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীর অধীনে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘সমাজতান্ত্রিক’ এবং ‘সেক্যুলার’ শব্দগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সংশোধনীতে প্রস্তাবনায় ভারতের বর্ণনা ‘সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ থেকে পরিবর্তন করে ‘সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। স্বামী তাঁর আবেদনে যুক্তি দেন, প্রস্তাবনা পরিবর্তন বা বাতিল করা যায় না।
যেখানে সংবিধানের প্রস্তাবনা অনুসারে, সংবিধান প্রণয়নের তারিখ ২৬ নভেম্বর ১৯৪৯ সাল উল্লেখ করা আছে।
তিনি তাঁর আবেদনে বলেন, প্রস্তাবনায় কেবল সংবিধানের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্যগুলোই নির্দেশ করা হয় না বরং ঐক্যবদ্ধ সংহত জাতি গঠনের মৌলিক শর্তগুলোও নির্দেশ করা হয়।
সংবিধান প্রণয়নের তারিখ অপরিবর্তিত রেখে সংবিধানের প্রস্তাবনায় পরিবর্তন আনা যাবে কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যসভার সাবেক সদস্য সুব্রহ্মনিয়ান স্বামী এবং আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈনের সংবিধান থেকে ‘সেক্যুলার’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটিগুলো বাদ দেওয়ার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এ প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে এ দুটি শব্দ সংবিধানে যুক্ত করা হয়।
বিচারপতি দত্ত বলেন, ‘একাডেমিক প্রয়োজনে কি প্রস্তাবনায় যেখানে তারিখ উল্লেখ করা আছে, সেখানে মূল তারিখ পরিবর্তন না করেই কোনো ধরনের পরিবর্তন আনা যায়? অন্যথা হলে, হ্যাঁ, তাহলে প্রস্তাবনায় পরিবর্তন আনা যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই।’ জবাবে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মনিয়ান স্বামী বলেন, ‘এই প্রসঙ্গে ঠিক এই প্রশ্নই উঠছে।’
বিচারপতি দত্ত আরও বলেন, ‘আমার দেখা এটিই সম্ভবত একমাত্র প্রস্তাবনা যেটির মধ্যে তারিখ উল্লেখিত। আমরা অমুক তারিখে আমাদের এই সংবিধান দিচ্ছি...মূলত এই দুটি শব্দ (সমাজতান্ত্রিক ও সেক্যুলার) তখন ছিল না।’ শংকর জৈন বলেন, ‘ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় একটি নির্দিষ্ট তারিখ রয়েছে, তাই আলোচনা ছাড়া তা সংশোধন করা যাবে না।’
তবে এ বিষয়ে স্বামী বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সালের মধ্যে জরুরি অবস্থার সময় ৪২তম সংশোধন পাস হয়েছিল।
এর আগে বিচারপতি খান্না স্বামীকে বলেছিলেন, বিচারপতিরা আজ সকালেই মামলার নথি হাতে পেয়েছেন এবং সময়ের অভাবের কারণে তাঁরা তা পড়ে দেখতে পারেননি। আদালতের বেঞ্চ বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন। দুটি আবেদনেরই শুনানি আগামী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত সুব্রহ্মনিয়ান স্বামীর আবেদনকে শুনানির জন্য বলরাম সিং এবং অন্যদের করা আরেক মামলার সঙ্গে যুক্ত করেন। স্বামী ও সিং দুজনই প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘সেক্যুলার’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার দাবি জানান।
১৯৭৬ সালে ইন্দিরা গান্ধী সরকারের করা সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীর অধীনে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘সমাজতান্ত্রিক’ এবং ‘সেক্যুলার’ শব্দগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সংশোধনীতে প্রস্তাবনায় ভারতের বর্ণনা ‘সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ থেকে পরিবর্তন করে ‘সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। স্বামী তাঁর আবেদনে যুক্তি দেন, প্রস্তাবনা পরিবর্তন বা বাতিল করা যায় না।
যেখানে সংবিধানের প্রস্তাবনা অনুসারে, সংবিধান প্রণয়নের তারিখ ২৬ নভেম্বর ১৯৪৯ সাল উল্লেখ করা আছে।
তিনি তাঁর আবেদনে বলেন, প্রস্তাবনায় কেবল সংবিধানের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্যগুলোই নির্দেশ করা হয় না বরং ঐক্যবদ্ধ সংহত জাতি গঠনের মৌলিক শর্তগুলোও নির্দেশ করা হয়।
গত সপ্তাহেই কেনিয়ার আদালতের এক ম্যাজিস্ট্রেট আশা প্রকাশ করেছেন, ব্রিটিশ সম্পদশালী ব্যবসায়ী হ্যারি রয় ভিভার্সের আত্মা এবার হয়তো শান্তি পাবে। কিন্তু মৃত্যুর ১২ বছর পরও তাঁর মরদেহ কোথায় শায়িত হবে, সে প্রশ্ন এখনো অনির্ধারিতই রয়ে গেছে।
২ ঘণ্টা আগেউপহারটি যখন দেওয়া হয়, তখন আফসারের দোকান বন্ধ ছিল। গত শুক্রবার তিনি দোকানে পৌঁছে উপহারটি খোলেন এবং দেখেন যে স্পিকারগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ভারী।
২ ঘণ্টা আগেতানজানিয়ার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত নর্থ মারা সোনার খনি একদিকে যেমন দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করছে, অন্যদিকে স্থানীয় মানুষের জন্য নিয়ে এসেছে ভয়াবহ দুর্দশা, নির্যাতন আর মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম হু হু করে বাড়ায় এ খনিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন, পুলিশি সহিংসতা ও অপহরণের মতো ঘটনা বাড়ছে।
৩ ঘণ্টা আগেস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, এই অপরাধী চক্রের মূল হোতা একজন বাংলাদেশি নাগরিক। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নেপালি নাগরিক পুলিশকে জানিয়েছে কীভাবে মিথানল মিশিয়ে মদ তৈরি ও বিক্রি করা হতো। কর্তৃপক্ষ আবাসিক ও শিল্প এলাকাগুলোয় অভিযান চালিয়ে এই অবৈধ কারখানাগুলো খুঁজে বের করে।
৫ ঘণ্টা আগে