কলকাতা প্রতিনিধি
ভারতের আসাম রাজ্যে বাঙালিদের নাগরিকত্ব নিয়ে সমস্যা বেড়েই চলেছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ২০১৯ সালে তৈরি হলেও হিন্দু বাঙালিরাও নাগরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাদেরও।
অভিযোগ রয়েছে, উগ্র অসমিয়া আধিপত্যবাদীরাই বিজেপি সরকারের প্রশ্রয়ে আসামকে বাঙালিশূন্য করতে চাইছে। তাই ১৯ লাখ নাগরিকের আবেদন নাকচ করে আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি তৈরি করা হলেও তা কার্যকর করছে না আসাম সরকার। শাসক দল বিজেপি প্রকাশ্যেই আরও বেশি নাগরিককে বাদ দিতে চাইছে। এই অবস্থায় বাঙালিরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত হয় আসামের এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা। ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম বাদ পড়ে সেই তালিকা থেকে। তালিকাভুক্ত হন ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন। তবে ১৬ হাজার কোটি রুপি খরচ করে তৈরি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বাঙালিরাও স্বস্তিতে নেই। কারণ আজও সেই তালিকা গ্রহণ করেনি রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকার। বরং ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বাঙালিদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এনআরসি তালিকার বাইরে থাকা অধিকাংশই বাঙালি। বাঙালিদের মধ্যে আবার হিন্দুদের সংখ্যাই বেশি। তাই দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ তৈরি করে। কিন্তু সেই আইন তৈরি হলেও আজও বিধি তৈরি না হওয়ায় কার্যকর হয়নি। গুজরাটে সামনে নির্বাচন থাকায় সেখানে বিজেপি সরকার দুটি জেলায় ১৯৫৫ সালের আইন মেনে অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে। কিন্তু আসাম বা উত্তর পূর্বাঞ্চলে সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেই।
আসামের পাশের রাজ্য মেঘালয়েও নতুন করে শুরু হয়েছে বাঙালিবিদ্বেষ। ‘আমরা বাঙালি’ সংগঠনের নেতা সাধন পুরকায়স্থের মতে, ‘আসামসহ গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকেই বাঙালিকে উৎখাত করতে চায় বিজেপি। তাই সরকারের ১ হাজার ৬০০ কোটি এবং সাধারণ মানুষের ১০ হাজার কোটি রুপি খরচ করে এনআরসি তালিকা তৈরি হলেও সেটি মানছে না বিজেপি সরকার।’ তিনি আরও জানান, এনআরসি প্রক্রিয়া চলাকালে অন্তত ১০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তবু দুর্ভোগ কমেনি।
আসামের নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির (সিআরপিসিসি) সভাপতি ও আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্যের মতে, ‘বাঙালি বাঙালিই। বাঙালি কখনো হিন্দু বা মুসলমান হয় না। বিজেপি সমস্ত বাঙালিরই শত্রু।’ তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দেন তিনি। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ভারতের আসাম রাজ্যে বাঙালিদের নাগরিকত্ব নিয়ে সমস্যা বেড়েই চলেছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ২০১৯ সালে তৈরি হলেও হিন্দু বাঙালিরাও নাগরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাদেরও।
অভিযোগ রয়েছে, উগ্র অসমিয়া আধিপত্যবাদীরাই বিজেপি সরকারের প্রশ্রয়ে আসামকে বাঙালিশূন্য করতে চাইছে। তাই ১৯ লাখ নাগরিকের আবেদন নাকচ করে আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি তৈরি করা হলেও তা কার্যকর করছে না আসাম সরকার। শাসক দল বিজেপি প্রকাশ্যেই আরও বেশি নাগরিককে বাদ দিতে চাইছে। এই অবস্থায় বাঙালিরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত হয় আসামের এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা। ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম বাদ পড়ে সেই তালিকা থেকে। তালিকাভুক্ত হন ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন। তবে ১৬ হাজার কোটি রুপি খরচ করে তৈরি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বাঙালিরাও স্বস্তিতে নেই। কারণ আজও সেই তালিকা গ্রহণ করেনি রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকার। বরং ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বাঙালিদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এনআরসি তালিকার বাইরে থাকা অধিকাংশই বাঙালি। বাঙালিদের মধ্যে আবার হিন্দুদের সংখ্যাই বেশি। তাই দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ তৈরি করে। কিন্তু সেই আইন তৈরি হলেও আজও বিধি তৈরি না হওয়ায় কার্যকর হয়নি। গুজরাটে সামনে নির্বাচন থাকায় সেখানে বিজেপি সরকার দুটি জেলায় ১৯৫৫ সালের আইন মেনে অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে। কিন্তু আসাম বা উত্তর পূর্বাঞ্চলে সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেই।
আসামের পাশের রাজ্য মেঘালয়েও নতুন করে শুরু হয়েছে বাঙালিবিদ্বেষ। ‘আমরা বাঙালি’ সংগঠনের নেতা সাধন পুরকায়স্থের মতে, ‘আসামসহ গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকেই বাঙালিকে উৎখাত করতে চায় বিজেপি। তাই সরকারের ১ হাজার ৬০০ কোটি এবং সাধারণ মানুষের ১০ হাজার কোটি রুপি খরচ করে এনআরসি তালিকা তৈরি হলেও সেটি মানছে না বিজেপি সরকার।’ তিনি আরও জানান, এনআরসি প্রক্রিয়া চলাকালে অন্তত ১০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তবু দুর্ভোগ কমেনি।
আসামের নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির (সিআরপিসিসি) সভাপতি ও আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্যের মতে, ‘বাঙালি বাঙালিই। বাঙালি কখনো হিন্দু বা মুসলমান হয় না। বিজেপি সমস্ত বাঙালিরই শত্রু।’ তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দেন তিনি। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
২ ঘণ্টা আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
৩ ঘণ্টা আগে