কলকাতা প্রতিনিধি
নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে ভারতের অর্থনীতি নিয়ে যতই বড় বড় বুলি আওড়ানো হোক, সরকারি তথ্যই প্রমাণ করছে—দেশের অর্থনীতির ভিত কতটা নড়বড়ে হয়ে উঠছে। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সর্বশেষ রিপোর্ট জানাচ্ছে, আগস্ট পর্যন্ত বিদেশি ঋণের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৭৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, টাকায় যা প্রায় ৬৫ লাখ কোটি।
মাত্র এক বছরে ১০ শতাংশ ঋণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা অর্থনীতির কাঠামোর ভেতরের দুর্বলতাকেই স্পষ্ট করে দিচ্ছে। সরকারের দাবি—ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, খুব শিগগির ছুঁয়ে ফেলবে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক। কিন্তু বাস্তবতা বলছে, ধার করে সেই স্বপ্ন দেখানো হচ্ছে। আজকের দিনে একজন ভারতীয় নাগরিকের মাথাপিছু ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা, যা এক দশক আগে কল্পনাও করা যেত না।
বাজেট উপস্থাপনের সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের পূর্বাভাস ছিল—চলতি অর্থবছরের শেষে ঋণের অঙ্ক হবে ১৮১ লাখ কোটি টাকা, কিন্তু মাত্র পাঁচ মাস পর সরকারি হিসাবই বলছে ২০০ লাখ কোটির কাছাকাছি চলে যাবে। এই ব্যবধানই দেখাচ্ছে সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা কতটা দুর্বল এবং অনুমান কতটা ভুল।
মূলত ডলারের তুলনায় টাকার পতন এবং অতিরিক্ত ধার শোধ করার চাপ অর্থনীতিকে টেনে নিচ্ছে গভীর খাদে। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এখন ৬০১ বিলিয়ন ডলার আর স্বল্পমেয়াদি ১৩৪ বিলিয়ন ডলার। এগুলো মেটাতে গিয়ে বিপুল সুদের বোঝা পড়ছে সরকারের ওপর। চলতি অর্থবছরেই সুদ বাবদ খরচ হতে পারে প্রায় ১২ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকা।
মোদি যখন ক্ষমতায় আসেন, ভারতের ঋণের অঙ্ক ছিল ৭০ লাখ কোটি, যা জিডিপির ৫১ শতাংশের মতো। এখন সেটাই পৌঁছে গেছে ২০০ লাখ কোটির কাছাকাছি—জিডিপির ৫৬ শতাংশে। অথচ সরকার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রচারে ব্যস্ত এবং ‘সেবাপক্ষ’ পালনে বাহুল্য প্রদর্শন করতে। আর দেশের জনগণ জানছে, আগামী প্রজন্মের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে আরও বিশাল ঋণ।
প্রশ্ন উঠছে—ভারত কি সত্যিই অর্থনৈতিক বিশ্বশক্তি হয়ে উঠছে, না শুধু সংখ্যার খেলা আর প্রচারের জাঁকজমক দিয়ে বাস্তব সংকট ঢেকে রাখা হচ্ছে? অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ঋণ নিয়ে উন্নয়ন করা যায় না, তা সাময়িক চাকচিক্য আনলেও ভেতরে ফেলে যায় ফাঁপা কাঠামো। মোদির ভারতও কি সেই পথে হাঁটছে?
নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে ভারতের অর্থনীতি নিয়ে যতই বড় বড় বুলি আওড়ানো হোক, সরকারি তথ্যই প্রমাণ করছে—দেশের অর্থনীতির ভিত কতটা নড়বড়ে হয়ে উঠছে। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সর্বশেষ রিপোর্ট জানাচ্ছে, আগস্ট পর্যন্ত বিদেশি ঋণের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৭৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, টাকায় যা প্রায় ৬৫ লাখ কোটি।
মাত্র এক বছরে ১০ শতাংশ ঋণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা অর্থনীতির কাঠামোর ভেতরের দুর্বলতাকেই স্পষ্ট করে দিচ্ছে। সরকারের দাবি—ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, খুব শিগগির ছুঁয়ে ফেলবে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক। কিন্তু বাস্তবতা বলছে, ধার করে সেই স্বপ্ন দেখানো হচ্ছে। আজকের দিনে একজন ভারতীয় নাগরিকের মাথাপিছু ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা, যা এক দশক আগে কল্পনাও করা যেত না।
বাজেট উপস্থাপনের সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের পূর্বাভাস ছিল—চলতি অর্থবছরের শেষে ঋণের অঙ্ক হবে ১৮১ লাখ কোটি টাকা, কিন্তু মাত্র পাঁচ মাস পর সরকারি হিসাবই বলছে ২০০ লাখ কোটির কাছাকাছি চলে যাবে। এই ব্যবধানই দেখাচ্ছে সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা কতটা দুর্বল এবং অনুমান কতটা ভুল।
মূলত ডলারের তুলনায় টাকার পতন এবং অতিরিক্ত ধার শোধ করার চাপ অর্থনীতিকে টেনে নিচ্ছে গভীর খাদে। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এখন ৬০১ বিলিয়ন ডলার আর স্বল্পমেয়াদি ১৩৪ বিলিয়ন ডলার। এগুলো মেটাতে গিয়ে বিপুল সুদের বোঝা পড়ছে সরকারের ওপর। চলতি অর্থবছরেই সুদ বাবদ খরচ হতে পারে প্রায় ১২ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকা।
মোদি যখন ক্ষমতায় আসেন, ভারতের ঋণের অঙ্ক ছিল ৭০ লাখ কোটি, যা জিডিপির ৫১ শতাংশের মতো। এখন সেটাই পৌঁছে গেছে ২০০ লাখ কোটির কাছাকাছি—জিডিপির ৫৬ শতাংশে। অথচ সরকার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রচারে ব্যস্ত এবং ‘সেবাপক্ষ’ পালনে বাহুল্য প্রদর্শন করতে। আর দেশের জনগণ জানছে, আগামী প্রজন্মের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে আরও বিশাল ঋণ।
প্রশ্ন উঠছে—ভারত কি সত্যিই অর্থনৈতিক বিশ্বশক্তি হয়ে উঠছে, না শুধু সংখ্যার খেলা আর প্রচারের জাঁকজমক দিয়ে বাস্তব সংকট ঢেকে রাখা হচ্ছে? অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ঋণ নিয়ে উন্নয়ন করা যায় না, তা সাময়িক চাকচিক্য আনলেও ভেতরে ফেলে যায় ফাঁপা কাঠামো। মোদির ভারতও কি সেই পথে হাঁটছে?
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের মাঝে দেশবাসীকে বিদেশি পণ্যের ব্যবহার বন্ধ করে দেশীয় পণ্য ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল রোববার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই আহ্বান জানান তিনি। আজ থেকে ভারতে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) কার্যকর হবে বলে জানান মোদি।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আকস্মিক সিদ্ধান্তে এইচ-১বি ভিসায় ১ লাখ ডলারের ফি আরোপের ঘোষণায় চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে। এই নীতির প্রতিক্রিয়ায় শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভারত সরকার জানায়, এই ধরনের পদক্ষেপে গুরুতর মানবিক পরিণতি হতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগেখেয়াল করুন, এই তিন দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলেও সমস্যা সমাধানে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের কথা বলেছে। অর্থাৎ এই একটামাত্র উপায় ছাড়া হয়তো ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সমস্যা সমাধানের কোনো পথ নেই। কিন্তু এই দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান কি আদৌ সম্ভব?
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। শিগগির স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স, পর্তুগালসহ আরও কয়েকটি দেশ। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে ১৪০টিরও বেশি দেশের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে ফিলিস্তিন। এই অবস্থায় পশ্চিম তীরে বসবাস করা ফিলিস্তিনিদের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল যুক্তরাজ্যভিত্তিক গার্ডিয়ান।
৮ ঘণ্টা আগে